নিহত হাদিসুরের মরদেহ জাহাজেই আছে

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ জাহাজের ভেতরেই ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক পীযুষ দত্ত চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাহাজটিতে নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারসহ এখনো ২৮ জন অবস্থান করছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এ মুহূর্তে জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যাওয়া নিরাপদ নয়।

নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে জাহাজে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পীযুষ দত্ত জানিয়েছেন, জাহাজটিতে এক মাসের খাদ্য মজুত রয়েছে।

বাংলার সমৃদ্ধি নামের ওই জাহাজটি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে আটকে পড়ে। মাত্র কয়েকদিন আগে জাহাজের একজন নাবিক বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশে ফিরে আসার জন্য তাদের তীব্র আকুতির কথা জানিয়েছিলেন।

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। গত ২৬ জানুয়ারি এটি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে এবং তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এর একদিন পর ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়।

এদিকে কূটনৈতিকভাবে ইউক্রেনে জাহাজে আটকেপড়া জীবিত ২৮ নাবিককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সবিচালয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনার আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা। হাদিসুরের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে।

হাদিসুরের চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, আমার চাচাতো ভাই মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে হাদিসুর। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সাল থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।

এসএইচ-১০/০৩/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)