বাবার হাতে ছেলে এবং প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন

যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলার সোনাকুড় গ্রামে পৃথক ঘটনায় দুজন খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। দুটি হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম তার ১৫ বছরের ছেলে রুহুল আমিনকে রোববার (১৫ মে) রাত থেকে সোমবার (১৬ মে) ভোরের মধ্যে যেকোনো সময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক নুরুল ইসলামকে আটক করেছে। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

নিহত রহুল আমিনের মা সান্ত্বনা বেগম জানান, তার স্বামী জমি বিক্রি করে নেশা করতেন। এ কারণে তিনি জমি ছেলেদের নামে লিখে দেন। এ নিয়ে প্রাযেই নুরুল ইসলাম তাদের নির্যাতন করতেন। গতকাল মারধর করলে রুহুল আমিন আমাকে আমার মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমার স্বামী ছেলেকে হত্যা করেন। তিনি ছোট ছেলেকেও হত্যার জন্য তাকে মাদরাসায় আনতে গিয়েছিলেন। হুজুররা তাকে দেননি। আমি আমার সন্তানের খুনের বিচার চাই।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন জানান, নুরুল ইসলামের দুই ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে। নুরুলের স্ত্রী সান্ত্বনা বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ছোট ছেলে স্থানীয় মাদরাসায় থাকে। রাতে নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে রুহুল আমিন (১৫) বাড়িতে ছিলেন। রাতে কোনো একসময় রুহুল আমিনকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখেন তার বাবা।

পরে ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয়রা সোমবার (১৬ মে) ভোরে তার বাড়িতে আসেন। এ সময় শ্বাসরোধে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে জানান নুরুল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশ রুহুল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ছাড়া নুরুল ইসলামকে আটক করে।

আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম। পরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে পুলিশের কাছে বলছেন, ‘আমি আমার ফাঁসি চাই।’

এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলার সোনাকুড় গ্রামে সখিনা বেগম নামে এক নারী পরকীয়া প্রেমের জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। সোমবার বেলা ১১টায় নিজ গ্রামের বিলের মধ্য থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মিজান নামে একজনকে আটক করেছে। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় ওসি রুপন কুমার জানান, উভয় ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটক ব্যক্তিদের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এসএইচ-২০/১৬/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)