অস্থির আটার বাজার, প্রতি বস্তায় বেড়েছে ৫০০ টাকা

ভারতের গম রফতানি বন্ধে বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে না বলে খাদ্যমন্ত্রী জানালেও মিলারদের যোগসাজশে টাঙ্গাইলের পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা আটা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীসহ নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। অস্থিতিশীল বাজার নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবি তাদের। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক দ্রুত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস, তেল, চাল-ডালসহ নানা ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশে গম রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে–এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।

আর সেই গুজবের সূত্র ধরেই টাঙ্গাইলে গত কয়েকদিন ধরে অসাধু মিলাররা স্থানীয় বাজারে আটার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঈদের আগে যে আটার দাম ছিল ১৬০০ টাকা বস্তা, কয়েকদিনের ব্যবধানে সেই আটা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ২০০০-২১০০ টাকা। এতে ক্ষুব্ধ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বেকারি মালিকসহ সাধারণ ক্রেতারা।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম থাকার পরও মিলার ও ডিলাররা যোগসাজশ করে আটার বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন। প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন তারা। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

এদিকে মিলারদের দাবি, ভারত থেকে গম আমদাদি বন্ধের খবরে গমের সংকট তৈরি হয়েছে। কোনো পার্টি গম বিক্রি করছে না। কেউ কেউ বিক্রি করলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে প্রতি বস্তা আটায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে তারাও কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরাই গম আমদানি বন্ধ হয়েছে বলে গুজব রটিয়ে ফায়দা লুটছে। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। বাজার অস্থিতিশীলকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএইচ-২১/১৬/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক, সূত্র : সময়)