উপবন লেক পর্যটকদের প্রধান গন্তব্যস্থল

পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন লেক। লেকের শান্ত জলের ওপর ঝুলন্ত সেতু মূলত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ারে উঠে বনের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক ভিড় করছেন এই পর্যটনকেন্দ্রে।

লেকের জলে ঝুলন্ত সেতু। দুই পাশে বন, আর শান্ত নয়নাভিরাম পরিবেশ। চোখজুড়ানো স্থানটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন উপবন লেক পর্যটনকেন্দ্র।

পাহাড়ের গায়ে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা বিশাল লেকটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই পর্যটনকেন্দ্র। দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থা আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়েছিল এই স্পটটি।

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানকার সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেয়া হলে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্তের পর্যটকরাও ছুটে আসছেন এখানে। ঝুলন্ত সেতুতে চড়ে ও ওয়াচ টাওয়ারে উঠে চারপাশের বনের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। পর্যটকরা বলেন, এখানে এসে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। নতুন করে সব সাজানো হয়েছে।

তবে সারা দিন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়াতে পারলেও থাকার ব্যবস্থা না থাকায় দূরের পর্যটকদের পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। তাই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল ও রিসোর্ট গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখানে যদি রেস্টহাউসের মতো একটা থাকার ব্যবস্থা হতো, তাহলে পর্যটক যারা আসেন, তাদের অনেক সুবিধা হতো।

পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসছেন। খাবারের যে অসুবিধা ছিল, তা ঠিক করা হয়েছে। অন্য যেসব সমস্যা আছে, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ১৯৯৬ সালে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে উপবন লেক পর্যটন স্পটটি গড়ে ওঠে।

এসএইচ-১৮/১১/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)