মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাবর্ষণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার আকাশসীমায় মহড়া দিচ্ছে। এ সময় হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাবর্ষণ করা হয়।

শনিবার সকালে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার আকাশে উড়তে দেখা যায়। এ সময় হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান থেকে থেমে থেমে গোলাবর্ষণ করা হয়। এতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ফায়ার করা কয়েকটি গোলা জিরো পয়েন্টে এসে পড়ে। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ৮ থেকে ১০টি গোলা ফায়ার করা হয় এবং হেলিকপ্টার থেকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর মাঝামাঝি প্রতিপক্ষ বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের ফায়ার করা হয়। মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্পে ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে গোলাগুলির ঘটনা চলছে। ওদের ফায়ার করা কয়েকটি গোলা সীমান্তের ৩৯-৪০ পিলারের কাছে জিরো পয়েন্টে এসে পড়েছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২টি যুদ্ধবিমান ও ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার এলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

এসএইচ-০৫/০৩/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)