চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্কে সন্তান প্রসব, আদালতে নির্যাতিতার জবানবন্দি

গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেনের নিজ বাড়ির গৃহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে সন্তান প্রসবের ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক জুবায়দা নাসরিন বন্যার আদালতে এ জবানবন্দি নেয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী আদালতের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে জবানবন্দি দেন ওই কিশোরীর মা। সেখানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নির্যাতিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে জানান তিনি। পরে আদালত ওই নবজাতক ও কিশোরী মাকে সমাজসেবা অধিদফতরের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

এর আগে সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যানের শ্যালকের বাড়ি থেকে কিশোরী মা ও তার শিশুসন্তানকে উদ্ধার করে পিবিআই।

গত ৩১ আগস্ট গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা।

গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মাকছুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তির শ্যালকের বাড়ি থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করেছি।’

অভিযুক্ত মো. সাখাওয়াত হোসেন কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একই সঙ্গে তিনি কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি।

সম্প্রতি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তার গৃহপরিচারিকা এক কিশোরী (১৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বক্তব্য দেয়। এরই মধ্যে ওই কিশোরী এক সন্তানের জন্ম দিয়েছে। ভিডিও বক্তব্য দেয়ার পর সেটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় বিচার পেতে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা। মামলার এজাহারে তিনি ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি তার মেয়ে ও নবজাতককে গত ২৯ আগস্ট অপহরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। মামলার ১০ দিনের মাথায় ওই কিশোরী ও তার সন্তানকে উদ্ধার করে পিবিআই।

তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা উঠেপড়ে লেগেছে। তার প্রতিপক্ষরা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করছে। ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেননি বলেও দাবি করেন তিনি।

এসএইচ-২০/০৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)