শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফোরকান আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার দিবাগত রাতে জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪-এর একটি দল।
সোমবার বিকেলে র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতার ফোরকান শ্রীবরদী উপজেলার কেল্লাকান্দি গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে। স্ত্রী হত্যার পর ১১ বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি। এদিকে চলতি বছরের ১০ মে তার অনুপস্থিতিতেই আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালত ও মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ২০০৫ সালে ফোরকান আলীর সঙ্গে একই উপজেলার ঘেরামারা গ্রামের জব্বার আলীর মেয়ে জহুরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে জুয়ায় আসক্ত হয়ে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন ফোরকান। একপর্যায়ে ২০১১ সালের ২ জুলাই গভীর রাতে জহুরাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। পরদিন সকালে জহুরার ভাই মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বোনের বাড়িতে আসেন। তিনি নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের কাছে তিনি জানতে পারেন, তারা মধ্যরাতে জহুরার চিৎকার শুনেছেন এবং ভোরে ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি ফোরকান আলী আত্মগোপনে চলে যান। এ সময় তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে অটোচালক, শ্রমিক, দিনমজুর, বাসের হেলপার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অন্যদিকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ১০ মে আসামি ফোরকান আলীর অনুপস্থিতিতেই তাকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন আদালত।
র্যাব-১৪ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে রোববার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে।
এসএইচ-১৮/১৪/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)