আন্দোলন দমাতে সচল করা হচ্ছে পুরোনো মামলা

রাজনীতির মাঠে চলছে আন্দোলন-পাল্টা আন্দোলন। এর মধ্যেই পুরোনো মামলা সচলের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাদের অভিযোগ, কর্মসূচিতে গণজোয়ার দেখেই এমনটা করা হচ্ছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, আইন-আদালত চলছে নিজস্ব গতিতে। বরং বিএনপির নেতারাই বিভিন্ন কৌশলে মামলাগুলোর গতি মন্থর করে দেয়ায় এখনও হয়নি নিষ্পত্তি।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ বিভিন্ন মামলার বিচারিক কার্যক্রম গতি পাচ্ছে গেল কিছুদিন ধরে। দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া এসব মামলার বেশির ভাগই এক যুগেরও বেশি সময় আগে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের।

সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ছয় নেতার মামলা সচলের আদেশ এসেছে সর্বোচ্চ আদালত থেকে। এ ছাড়া ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমানউল্লাহ আমানের মামলার শুনানিও নতুন করে চলছে আদালতে।

এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলছেন বিএনপির নেতারা। বলছেন, আন্দোলন দমাতেই সচল করা হচ্ছে মামলার কার্যক্রম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘যখনই আন্দোলন গতি পেয়েছে, তখনই মামলা দিয়ে আমাদের গতি কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এবারও তা-ই করছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মামলা। এসব মামলা নিজ গতিতে চলছে বিষয়টি এমন নয়, এখন আন্দোলন চলছে বলে এটা নিজ গতিতে চালানো হচ্ছে।’

এমন অভিযোগ নাকচ করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আইন-আদালত চলছে নিজস্ব গতিতে, স্বাধীনভাবে। মনে করিয়ে দেন এক-এগারো সরকারের সময় বিএনপির নেতাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তাদের আন্দোলনের জন্য মামলার গতি পাচ্ছে, বিষয়টি তা নয়। তারা বিভিন্ন সময় মামলার গতি মন্থর করে রেখেছিল, কিন্তু এখন নিয়মমাফিক মামলাগুলো চলছে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে বিএনপির নেতারা মামলার গতি মন্থর করে রাখায় নিষ্পত্তি হয়নি বিচারিক কার্যক্রম।

এসএইচ-১৯/১৪/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : সময়)