জয়পুরহাটে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জয়পুরহাট শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যাংক কর্মকর্তার নাম এরশাদ আলী (৩৩)।

মামলায় জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে তিন বছর আগে এরশাদ আলীর সঙ্গে ওই শিক্ষিকার পরিচয় হয়। অভিযুক্ত এরশাদ পাঁচবিবি উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক শাখায় কর্মকর্তা (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত। তিনি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার উৎকুরা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আগের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এরশাদ আলী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে প্রতারণা করেন। শিক্ষিকার কাছে নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে পরিচয় দেন। এর পর থেকে এরশাদ আলীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সুবাদে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে এরশাদ আলী ফের তাঁর ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ওই শিক্ষিকাকে। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন।

এদিকে ওই শিক্ষিকা এরশাদ আলীকে বিয়ের জন্য তাগিদ দেন। কিন্তু এরশাদ আলী তাঁকে বিয়ে করতে টালবাহানা করেন। এরশাদ আলী ওই শিক্ষিকাকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকিও দেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এরশাদ আলীর স্থায়ী ঠিকানায় স্ত্রী আছে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এআর-০৬/০২/০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)