চট্টগ্রামের আলিফাকে চীনা প্রেসিডেন্টের চিঠি

সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং-এর কাছ থেকে চিঠির জবাব এসেছে বাংলাদেশি মেয়ে আলিফার কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে আলিফার হাতে তুলে দেন সেই চিঠি।

এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল আলিফা দুই দেশের বন্ধুত্বের দূত ও চীনে চিকিৎসা বিদ্যা নিয়ে পড়ালেখার আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল চীনের প্রেসিডেন্ট কাছে। সেই চিঠির উত্তর দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং।

জবাবে প্রেসিডেন্ট লিখেছেন,‘চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশি ও বন্ধু। ভবিষ্যতে তুমি চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের দূত ও চীনে পড়ালেখা করে ভালো চিকিৎসক হওয়ার যে স্বপ্ন দেখছো। তাতে আমি খুবই খুশি।’

চিঠির জবাব পেয়ে উচ্ছ্বসিত আলিফা জানায়, তারা ২০১০ সালে আমার আম্মু সুস্থ করে তুলেছে। আমার জন্যও তারা অনেক কিছু করেছে। আমি তাদের মতো একজন চিকিৎসক হতে চাই।

ঘটনার শুরু ২০১০ সালের ১২ নভেম্বর। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ে সন্তানসম্ভবা আলিফার মা জান্নাতুল ফেরদৌস ভর্তি হন চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর হাসপাতালে। অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে চিকিৎসকরা তাকে চীনা নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক ভাসমান হাসপাতাল ‘পিস আর্ক জাহাজে’ পাঠান। বিশ্বসেরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ছুটে আসেন নৌবাহিনীর হাসপাতালে। জান্নাতুলের সফল অস্ত্রোপচার করেন তারা। জন্ম হয় আলিফার। পরে চীনা চিকিৎসকদের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতায় মা-বাবা মেয়ের নাম রাখলেন ‘আলিফা চীন’। আলিফাও কৃতজ্ঞ চীনা চিকিৎসকদের প্রতি। তার খুবই মনে পড়ে তাদের, যাদের কারণে সে পৃথিবীর মুখ দেখেছে।

এর পরও চিকিৎসক দলটি আলিফার খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি পড়ালেখায় বাড়িয়েছে সহায়তার হাত। ২০১৯ সালে আর্ক পিসের ১০ বছর পূর্তিতে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণে চীনে গিয়েছিলেন আলিফার পরিবার।

আলিফার বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, তারা চীনে গিয়ে অনেক সমাদর পেয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে।

আলিফা চীন এখন চট্টগ্রাম বিএফ শাহীন কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। ভবিষ্যতে সে চীনে গিয়ে সেখানের চিকিৎসা বিদ্যা নিয়ে পড়তে আগ্রহী।

এসএইচ-১০/০৭/২৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)