বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর দেড় কিলোমিটার অংশ দৃশ্যমান

যমুনা নদীর বুক চিরে দ্রতগতিতে এগিয়ে চলছে দেশের দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নির্মাণকাজ। রাত-দিন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও কর্মীদের পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে এই নির্মাণযজ্ঞ।

মূল সেতুর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের মধ্যে এখন যমুনার বুকে দৃশ্যমান প্রায় দেড় কিলোমিটার। আর ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে বসানো হয়েছে ১৬টি।

সেতুর মূল কাঠামোর সঙ্গে নদীর দুই পাড়ে সমান তালে এগিয়ে চলছে সংযোগ রেলপথ নির্মাণের কাজও। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান, মোট ৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হবে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতু। এরই মধ্যে সব কটি পিলারের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০টি পিলার ও ১৬টি স্প্যানের নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে আনা বিশেষভাবে তৈরি মরিচারোধী বড় বড় স্টিলের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সেতুর স্প্যান।

প্রকল্পের বাঁধ ও রেলপথ প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন জানান, রেলসেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি নদীর দুপাড়ে সমান তালে এগিয়ে চলছে অ্যাপ্রোচ রেলপথ নির্মাণের কাজ। এরই মধ্যে দুপাড়ে ৮ কিলোমিটার রেলপথে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন রেলট্র্যাক বসানোর কাজ চলছে।

আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, যমুনার নদীর দুই পাড়ে দুটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। সেতুর টাঙ্গাইল অংশে এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ আর সিরাজগঞ্জ অংশে ৫৬ শতাংশ। নির্ধারিত সময়েই এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই রেল সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাইকা। সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।

এসএইচ-০৯/০৭/২৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)