সব কিছু ঠিকঠাক, তবুও ১২ লাখ চালককে ঘোরাচ্ছে বিআরটিএ

বিআরটিএ

লাইলেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন, টাকা জমা এবং লিখিত পরীক্ষায় পাস করার তিন বছর পরও মিলছে না বিআরটিএ ‘র স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। এই লাইসেন্সের জন্য দেশে সাড়ে ১২ লাখ চালক অপেক্ষায় রয়েছেন। কবে পাওয়া যাবে এই স্মার্ট লাইসেন্স তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

সেবা গ্রহীতাদের দীর্ঘ সারি আর ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষার নামই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গ্রাহকের অপেক্ষা স্মার্ট লাইসেন্সের জন্য। কিন্তু কবে মিলবে সেই লাইসেন্স?

সড়কে চলাচলের জন্য বিআরটিএ থেকে দেওয়া অস্থায়ী অনুমতি পত্রে নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির সিল দেওয়ার স্থানও নেই। গত কয়েক বছরে তিন–চার দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে স্থায়ী অনুমতিপত্রের।

লাইসেন্সের জন্য আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি পর্যন্ত কয়েকবার এসেছি লাইসেন্সের জন্য। তারা শুধু ঘুরাচ্ছে কিন্তু লাইসেন্স দিচ্ছে না। দালাল ছাড়া কাজ হয় না। যারা দালালদের মোটা অংকের টাকা দেয় তাদেরটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।’

সরকার নির্ধারিত ফ্রি দেওয়ার পরও গত কয়েক বছরে লাখ লাখ স্মার্টড্রাইভিং লাইসেন্স জমে আছে বিআরটিএতে। নতুন করে স্মার্ট লাইসেন্স প্রদান প্রকল্পের চুক্তিবদ্ধ সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কারণেই এই ভয়াবহ ভোগান্তি। প্রতিষ্ঠানটি চুক্তির এক বছরেও বিআরটিএ-কে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারেনি। এতে যারা গতকয়েক বছর ধরে বিদেশে যেতে চান তারাও যেতে পারছেননা।

লাইসেন্সের জন্য আরেক ব্যাক্তি বলেন, ‘আমি ড্রাইভিং ভিসায় বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বানাইছি দুই বছর হচ্ছে। কিন্তু লাইসেন্সের জন্য আটকাই আছি, কিছু করতে পারছি না। আমাদের ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না। বিআরটিএ আসলে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।’

একই চিত্র রযেছে বিআরটিএ আরেক পরিবহন সেবা গাড়ির ফিটনেসের বিষয়েও। দুই বছর ধরে দুর্ভোগে রয়েছে গাড়ির ফিটনেস গ্রহীতারাও।

এক গাড়ির ফিটনেস গ্রহীতা বলেন, ‘গাড়ির ফিটনেসের কাগজের জন্য রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারছি না। এদিক থেকে ফিটনেসের কাগজ দেয় ওইদিক থেকে পুলিশি হয়রানি হতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান জানান, স্মার্ট কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরী হওয়ায় সময় মতো লাইন্সেন্স দিতে পারেনি বিআরটিএ।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য অনেকের লাইসেন্স পেতে দেরি হচ্ছে। সেই টেন্ডার জটিলতাটা এখন কেটে গেছে। ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স এখন পেন্ডিং আছে। আমরা এই লাইসেন্সগুলো আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার জন্য উদ্বেগ নিচ্ছি।’
দেশ জুড়ে গাড়ি চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে।

এসএইচ-০৬/২০/২১ (অনলাইন ডেস্ক)