ওমিক্রন থেকে ‘আংশিক সুরক্ষা’ দেয় ফাইজারের টিকা

ফাইজারের দুই ডোজ টিকা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আংশিক সুরক্ষা দেয়। তবে যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের নতুন করে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আফ্রিকা হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালেক্স সিগাল গতকাল মঙ্গলবার তাদের এই গবেষণার কথা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা থেকে পাওয়া সুরক্ষা আংশিকভাবে ভেদ করে যেতে পারে।

এর ফলে করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে তৃতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা শক্ত ভিত্তি পেল।

অ্যালেক্স সিগাল জানান, করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধের সক্ষমতার তুলনায় ওমিক্রন প্রতিহত করার ক্ষমতা এই ভ্যাকসিনের অনেকটাই কম। অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ফ্রাংকফুর্টের ভাইরোলোজিস্ট স্যান্ড্রা সিয়েসেকের গবেষণায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের ভ্যাকসিনের সক্ষমতার চিত্র উঠে এসেছে তা বেশ হতাশাজনক।

তার গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনের তিন ডোজ থেকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ৩৭ গুণ কম সক্রিয়।

অন্যদিকে ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে শঙ্কার মধ্যেও আশার কথা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির জরুরি সেবা বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান মঙ্গলবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর তুলনায় অমিক্রন আরও গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করবে—তেমনটা মনে হচ্ছে না। টিকা থেকে তৈরি অ্যান্টিবডি সুরক্ষা অমিক্রনের পক্ষে সম্পূর্ণরূপে ভেদ করা প্রায় অসম্ভব।

তিনি বলেছেন, নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য অজানা থাকলেও প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, ডেলটা কিংবা করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে অমিক্রন মানুষকে বেশি অসুস্থ করবে না। বরং গুরুতর অসুস্থতা কম হওয়ারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এসএইচ-১৭/০৮/২১ (অনলাইন ডেস্ক)