একেবারে নতুন দিয়ে শুরু হোক ২০২২

বিদায় নিলো ২০২১, স্বাগত ২০২২! পাওয়া না পাওয়ার নানা কাব্য নিয়ে মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। শনিবার পুরাতনের গ্লানি ভুলে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। পুরানো সকল আনন্দ-বেদনা কালের মহাস্রোতে হবে ইতিহাস। ‘করোনামুক্ত বিশ্ব’ দেখার প্রত্যাশার ঝাপি খুলে শনিবার বিশ্বময় আশা জাগানিয়া যে নতুন সূর্যটি উঠেছে, সেটি নতুন বছরের। বিদায় বিষময় ২০২১, স্বাগত ২০২২ সাল।

বছর শেষের সন্ধ্যা মানে এক বছরের ভাল-মন্দ, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির ভর্তি অথবা শূন্য ভাঁড়ার নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। নতুন বছরের এ প্রাক মুহূর্তে ঠিক করে নিতে হবে কোনগুলি সঙ্গে নিয়ে চলা যাবে না। নতুন বছর হোক একেবারে নতুন।

সদ্য বিদায় নেয়া বছরকেও ভুলতে পারবে না বিশ্বের মানুষ। এই বছরটিও কেটেছে আতঙ্ক, উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তায়। পুরো বছরটিই কেটেছে করোনাভাইরাসের মরণ-ভীতি। কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ, এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। স্বল্পতম সময়েই আবিষ্কার হয়েছে ভ্যাকসিন, প্রয়োগও শুরু হয়েছে দেশে দেশে। বিশ্বের সব মানুষের এখন একটাই আশা- করোনা ঝড় মোকাবেলায় সক্ষম হোক মানুষ, পৃথিবী থেকে দূর হোক প্রাণঘাতী কোভিড-১৯। ২০২১-কে বিদায় জানাতে ভারাক্রান্ত হয়নি কোন মানুষের মন, কারণ একুশও যে বিষ ছড়িয়েছে আরও বেশি। তাই বিশ্বের মানুষ নতুন বছর ২০২২-কে স্বাগত জানিয়েছে নতুন আশায় বুক বেঁধে।

বিদায়ী ২০২১ সাল গোটা বিশ্ব মহামারির থাবায় ছিল বিধ্বস্ত। তার কড়ালগ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। তবে বছরের শেষের দিকেএসে যোগ হয়েছে ওমিক্রন। করোনার নতুন ধরণ। সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে এসেছে স্থবিরতা। আমাদের জাতীয় জীবনে এসেছে নানা দুর্ভোগ, এসেছে উত্থান-পতন। করোনার ছোবলে প্রিয়জন হারিয়ে, ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তায় বিষাদময় হয়ে উঠেছে জীবন ধারণ।

নতুন বছরে এসকল দুঃখ-বেদনা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চান মানুষ। তাই সবার একটাই প্রার্থনা করোনার ভয়াল গ্রাস থেকে নতুন বছরটি যেন ভালো যায়। সবার প্রত্যাশা করোনাভাইরাসের এই ক্ষত থেকে নিরাময় হয়ে মুক্তি পাবে গোটা পৃথিবী।

নতুন বছরে খারাপ স্মৃতিতে নয়, ভাল মুহূর্ত নিয়ে বাঁচতে হবে। এ বছরের সব অপ্রিয় স্মৃতিগুলিকে এক জায়গায় রাখা দরকার। সেগুলি থেকে শিক্ষা নেয়া যাবে। কিন্তু সেইগুলি আঁকড়ে ধরে থাকার দরকার নেই। সুখস্মৃতিগুলি নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে।

ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে নতুন বছরে। এই বছরের করা ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি হয়ে যাতে সামনের বছর না ঘটে সে দিকে সদা সতর্ক থাকা দরকার।

মানসিকভাবে শক্ত হতে শিখতে হবে নতুন বছরে। মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়াটা আজকালকার যুগে খুবই দরকার। মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে চলাই হবে মুলমন্ত্র।

সারা বিশ্বে করোনা কেড়ে নিয়েছে বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ লাখো মানুষকে। নতুন বছরে প্রিয়জন হারানোর বেদনা ভুলে আবার ঘুরে দাঁড়াবে মানুষ।

প্রতিবছরই বিশ্বেরনানা প্রান্তে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে উদযাপিত হয় ইংরেজি বর্ষবরণ। তবে এবার  প্রাণকেড়ে নেওয়া করোনার কারণে বিষণ্নতা মোড়ানো এ উৎসব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সীমাবদ্ধ আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। সীমিত পরিসরে বর্ণিল আলোকচ্ছটার মধ্য দিয়ে ২০২২ কে স্বাগত জানায় বিশ্বের দেশগুলো।

আন্তর্জাতিক সময়-মানের সব থেকে কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর সর্বপ্রথম বর্ষবরণের সুযোগ পায়। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বাজতেই বর্ণিল হয়ে উঠে নিউজিল্যান্ডের আকাশ। বছর শুরুর চোখ ধাঁধানো রঙিন আতশবাজি আর লেজার শো’তে মন্ত্রমুগ্ধ সবাই।

২০২১ সাল বিষাদের বছর হলেও অর্জনও বাংলাদেশের কম নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু দৃশ্যমান হওয়া, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে রেকর্ড, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো ছিল উল্লেখ করার মতই ঘটনা।

তাই নতুন এ বছর হোক উত্তরণের, কালের যাত্রায় এগিয়ে চলার। নতুনের আবাহনে জেগে উঠুক সমগ্র দেশ, বিশ্ব। বয়ে আনুক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।

গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুযায়ী ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিন আজ। আজ ২০২২ সালের প্রথম দিন। ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে/ তবু শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতোই দুঃখ, কষ্ট, করোনার ভয়-ভীতি সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। নতুন বছরটি যেন পৃথিবী করোনামুক্ত হয়, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। বিশ্ব থেকে বিতাড়িত হয় ঘাতক করোনাভাইরাস। আমাদের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত প্রিয় স্বদেশ আরও সমৃদ্ধির দিকে যেন এগিয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশে ইংরেজী নববর্ষ উদ্যাপনের ধরন বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের মতো ব্যাপক না হলেও এ উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বাংলাদেশের মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়। বিশ্বের বয়স আরও এক বছর বাড়ল। এক বছরের ‘আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্য আর সাফল্য-ব্যর্থতার পটভূমির ওপর আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই প্রিয় বাংলাদেশ নতুন বছরে পর্বতদৃঢ় একতায় সর্ব মহামারী-বিপর্যয়-দুঃসময়কে জয় করবে অজেয়-অমিত শক্তি নিয়ে’- এ সংকল্পের সোনালি দিন আজ। আলোড়ন আর তোলপাড় করা ঘটনাবহুল ২০২১-এর অনেক ঘটনার রেশ নিয়েই মানুষ এগিয়ে যাবে। ভাগ্যাকাশে আনন্দ-বেদনা প্রত্যাশা আর দুর্যোগের ঘনঘটা নিয়েই বাঙালীর বছর ফুরোল। সূচনা হলো আরও একটি বর্ষযাত্রা।

নতুন দিনের নতুন সুর্যালোকে স্নান করে সিক্ত হবে জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। সব কালিমা ধুয়ে-মুছে নতুন কেতন ওড়াতে ওড়াতে এগিয়ে যাবে সময়, সভ্যতা, হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানিমুক্ত রাজনীতি, অর্থনীতি আর সংস্কৃতি। অনাবিল স্বপ্ন আর করোনামুক্ত পূর্বের মতো সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন আর অফুরন্ত প্রাণোন্মাদনা নিয়ে নতুন সূর্যের আলোয় অগ্রসর হবে মানুষ। বিগত সময়ের সব ভুল শুধরে নেয়ার সময় এসেছে আজ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নতুন বছরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে। শনিবার  ‘ইংরেজি নববর্ষ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘অতীতকে পেছনে ফেলে সময়ের চিরায়ত আবর্তনে নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোটা দেশ। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিস্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিবছর নববর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে বিগত বছরের মতো এবারের উৎসবের আমেজও অনেকটাই ম্লান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সতর্কতা প্রতিপালনের বিকল্প নেই। একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানান তিনি।

আবদুল হামিদ বলেন, নববর্ষ সবার মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ-খ্রিষ্টীয় নববর্ষে এ প্রত্যাশা করি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নববর্ষ সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনবে।

ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনি অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি সম্ভারে হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনও আনন্দ দেয়, আর কখনো কৃতকর্মের শিক্ষা নব উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ বাঙালি জাতির জীবনে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা এ সময়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান-২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করি। এরই মধ্যে আমরা চলতি-২০২১ সালের মার্চ মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করি। যেখানে সার্কভুক্ত ৫টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধানগণ সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালায় যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিশ্বের ৭৭টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধানগণ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ ভিডিও বার্তা ও অভিনন্দনপত্র প্রেরণ করেছেন, যেখানে সকলেই আমাদের সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরে জাতির পিতার নামে স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন, সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সৃজনশীল অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত সেখানে করোনাকালেও আমরা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি, এখন আমাদের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। পদ্মা সেতু নতুন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ অর্জন করেছি। দেশকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছি। মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি কেউ গৃহহীন থাকবে না। আমরা শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দেবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। বাংলাদেশ ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি।

এসএইচ-০১/০১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)