সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বিএনপি

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পরও না যাওয়ার আগের সিদ্ধান্তেই অনড় বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করা হবে।

আর আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন, অতীতের মতো আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে কঠোরভাবে দমন করবে সরকার।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলছে রাষ্ট্রপতির ধারাবাহিক সংলাপ। এতে অংশ নিতে ১২ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় বিএনপিকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। যদিও এরই মধ্যে সংলাপে না যাওয়ার বিষয়ে অনড় দলটি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার চলমান আন্দোলন জোরদার এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

বিএনপি নেতারা বলছেন, অতীতে দুবার রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিলেও নির্বাচনী ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ কারণে এবার তারা সংলাপে যেতে চান না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, একটা ক্ষমতাহীন লোকের সঙ্গে আলোচনা করা আর ঘরের পিলারে সঙ্গে আলোচনা করা একই ব্যাপার। বিগতে আলোচনা করা হয়েছে, লাভটা কী হয়েছে, একবার হয়েছে ভোটারবিহীন ভোট, আরেকবার হয়েছে দিনের ভোট রাতে। তো তার সঙ্গে সংলাপ করার কি প্রয়োজন আছে আমাদের?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পরের বার ভোট কীভাবে চুরি করবে তার প্রক্রিয়ার অংশটা এটা (সংলাপ)। যারা জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে তাদের তো যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার কথাও জানান বিএনপি নেতারা। আর আওয়ামী লীগ বলছে- অতীতের মতো আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও হলে কঠোরভাবে দমন করবে সরকার।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আন্দোলনের নামে তারা যদি সহিংসতা করে, বিএনপি অতীতে যেসব কর্মকাণ্ড করেছিল নাশকতা, ভাঙচুর করতে চায়, হরতাল-অবরোধ দিয়ে জনগণের জীবনযাপন বির্পযস্ত করতে চায় সেটা সরকার বরদাশত করবে না।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এ সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে নির্বাচন কমিশনের নতুন মুখ।

এসএইচ-১০/০৬/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : সময়)