পড়ুন অন্তত কিছুক্ষণ বিষন্ন থাকুন

বিষাদ না থাকলে আনন্দ কিংবা ভালো লাগার গুরুত্ব থাকে না। তাই মানুষ হয়ে না জন্মে যদি কোনো কবির কবিতা হয়ে জন্মাতাম তবে নিঃসন্দেহে কবির বিরহের জগতে ডুব দিতাম,পাঠকেরা কবিতার অক্ষরে খুঁজে পেতো আমায়। সেইসকল মানুষের জীবনের শূন্যতার অনুভূতি কিংবা বিষাদকে লালন করে যিনি শব্দের মিছিল থেকে তুলে আনেন বিদ্রোহী বাক্য কিংবা জীবনকে বেঁধে ফেলে কবিতার ছন্দে ফুটিয়ে তোলেন না পাওয়ার বেদনা, অনুভূতির অভিশাপ,যার কবিতায় মানুষ খুঁজে ফেরে অতীত,হারানোর বেদনা।

সেরকমই এক কবি স্বপ্নীল চক্রবর্তী। তিনি মধ্যরাতের ভাবনায় হিসেবের খাতায় ভুল করে কবিতা লিখে তেপ্পান্নোটা প্রেমপত্র আর একটা একশো টাকার ছেড়া নোট নিয়ে মেইল ট্রেনের অপেক্ষায় রেললাইনে শুয়ে আত্মহত্যা থেকে কোনোভাবে বেঁচে ফেরা সামান্য কবি, হৃদয়ঘটিত সমস্যায় যার জুতোজোড়া খালি পায়ে হাসপাতালে চলে যায়। যার সদর দরজায় অফহোয়াইট পর্দায় পা মুছে চলে যায় পাওনাদার, দালালেরা। মহালয়ার ভোরে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে যার নারীচরিত্র স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করে।

কবিতা যার কাছে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতকে একসাথে মিলিয়ে দেয়া বিষুবরেখা অথবা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চেয়ারে পা তুলে বসে আয়েশ করার মতো প্রিয় অভ্যাস। যার কলমের ছোঁয়ায় কবিতাকে নিদারুণ কষ্ট যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। তাইত রচনা করেছেন অন্তত কিছুক্ষণ বিষন্ন থাকুন। হয়ে পড়ে পাঠক হৃদয়।

পাঠকরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রেম, বিরহ কিংবা নিঃসঙ্গতায় কবির কবিতা আমার পাঠক হৃদয়ে জায়গা দখল করে নিয়েছে।

হাবিবা সুলতানা খুশী বলেন বই হচ্ছে মস্তিষ্কের ক্যাফেইন। বইয়ের পৃষ্ঠাজুড়ে অক্ষরের মাঝে মনোমুগ্ধকর গন্ধ মিশে থাকে। বইয়ের ছোঁয়ায় পাঠক মনে যে আনন্দের অনুভূতি জাগ্রত হয় তা থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে বইটি আজই পড়ুন এবং “অন্তত কিছুক্ষণ বিষন্ন থাকুন”

বইটি একুশে বই মেলার ৭ নম্বর স্টলে পাও্য়া যাবে।

এসএইচ-২০/১৪/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)