করোনা পরবর্তীতে বিষণ্ণতায় ভুগছে শিশু-তরুণরা

কোভিড-পরবর্তী মারাত্মক বিষণ্ণতায় ভুগছে শিশু ও তরুণরা। খিটমিটে মেজাজ, হঠাৎ রেগে যাওয়াসহ শিশুদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে অদ্ভুত সব আচরণ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, শিশুদের বয়স অনুযায়ী গুণগত সময় দিতে হবে অভিভাবকদের। বিরূপ পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা তৈরিসহ তরুণদের নেতিবাচক চিন্তা বাদ দেওয়ার পরামর্শ।

দেশে কোভিডের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাগজে কলমে ভাইরাসটি থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাড়ে ১৭ লাখের মতো মানুষ। তবে মুক্তি মেলেনি করোনা-পরবর্তী নানা জটিলতা থেকে। সংক্রমণ-পরবর্তী বিষণ্ণতায় ভুগছেন তরুণরা। আর নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে কমলমতি শিশুদের মাঝে। অভিভাবকরা বলছেন, অস্থিরতা, খিটমিটে মেজাজ আর অল্পতেই নানা বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে শিশুরা।

সংক্রমণের পারদ ঊর্ধ্বগতিতে, বিধিনিষেধ বেড়েছে সেই সঙ্গে নানামুখী ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন তরুণরা। প্রয়োজন আর সাধ্যের সমীকরণ না মেলায় কেউ হতাশায় ডুবছেন আবার কেউ চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।

করোনার পর রোগীদের সেবা দিতে প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে আলাদা ক্লিনিক খোলার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও তা অপ্রতুল। ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখা যায় সপ্তাহে দুদিন সেবা দেওয়া ছাড়া পুরো সময় তা তালাবদ্ধ থাকছে।

শিশুদের করোনা পূর্ববর্তী দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. জিনাত ডে লায়লা বলছেন, মান সম্পন্ন সময় দিতে হবে অভিভাবকদের। আর অতিমারিতে ক্ষতির চিন্তা না করে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে তরুণদের।

দ্য স্টেট অব দ্যা ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন ২০২১-এর তথ্য অনুযায়ী দেশের তরুণদের ১৪ শতাংশ হতাশায় ভুগছেন।

এসএইচ-০৩/১৯/২২ (অনলাইন ডেস্ক)