চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএলে জয় যাত্রা শুরু সিলেটের

ডেভিড ওয়ার্নার ও নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ফিফটিতে চিটাগং ভাইকিংসকে ১৬৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল সিলেট। সেই টার্গেট তাড়া করতে পারলো কুমিল্লা। ১৬৩ রান করতে সক্ষম হলেন তারা। ফলে শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়ার্নার বাহিনী। এবারের আসরে এটিই তাদের প্রথম জয়।প্রথম ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূণ্য।

তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে চেনালেন নিজের জাত। তাসকিন আহমেদের বোলিং আগুনে পুড়ল চিটাগং ভাইকিংস। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল সিলেট-সিক্সার্স। জয়ের নায়ক বনে গেলেন তাসকিন আহমেদ। সিলেটের ডানহাতি পেসারের বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ৪-০-২৮-৪।

এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৮ রান করে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা চিটাগং ৭ উইকেটে ১৬৩ রান তুলতে পারে। ম্যাচটি ৫ রানে জিতে নিয়েছে সিলেট।

নিজেকে প্রমাণ করার তাড়না ছিল। তাসকিন তাতে সফল হয়েছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসার চিটাগংয়ের মোহাম্মদ শেহজাদ, মোহাম্মদ আশরাফুল, সিকান্দার রাজা ও নাঈম হাসানের উইকেট তুলে নেন। নিজের শেষ ওভারে (দলীয় ১৮) জোড়া উইকেট শিকার করেন তাসকিন। সেই ওভারে ৩ রান খরচায় ২ উইকেট পান। আর তাতেই ম্যাচের ভাগ্য হেলে পরে সিলেটের দিকে।

শেষ ১২ বলে ৩৮ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের। শেষ ওভারে সে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ বলে ২৪। শেষ দুই ওভারে খেলা দারুণ জমে উঠেছিল। ফ্রাইলিংক ঝড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই চলে যায় চিটাগংয়ের হাতে। ইরফানের করা ১৯তম ওভারে দুই ছক্কার সাহায্যে ১৪ রান তোলেন ফ্রাইলিংক। শেষ ওভারে আল-আমিন হোসেনে বলে মেরেছিলেন দুটি ছক্কা। শেষ বলে ৭ রান দরকার ছিল। তবে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি ফ্রাইলিংক। এরই মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে ম্যাচের।

চিটাগংয়ের হয়ে ডেলপোট ৩৮, মোহাম্মদ আশরাফুল ২২, সিকান্দার ৩৭ রান করেন। শেষের দিকে ব্যাটে ঝড় তোলা ফ্রাইলিংক ২৪ বলে ৪৪ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল একটি চার ও দুইটি ছক্কা।

বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে সিলেট ও চিটাগং। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু হয় দুদলের মধ্যকার ব্যাট বলের যুদ্ধ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। তবে শুরুতেই বিশাল ধাক্কা খায় সিলেট। দলীয় ৬ রানের মধ্য প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যান লিটন দাস, নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় তারা।

প্রথম ম্যাচে পর দ্বিতীয় ম্যাচেও নিষ্প্রভ লিটন দাস। ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রানের খাতায় খুলতে পারেননি। তাকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান ফ্রাইলিংক। দলীয় ৫ রানে নাসিরের উইকেট হারায় সিলেট। পরের ওভারে সাব্বির। বলে রাখা ভালো, সাব্বিরও জাতীয় দলে নিষিদ্ধ আছেন। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

বিপিএলে পারফরম্যান্স করতে পারলে সামনে হয়তো জাতীয় দলের জন্য তাকে বিবেচনা করা হতে পারে! তবে হিটার এই ব্যাটসম্যান দুই ম্যাচেই ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে ৭ রানে আউট হন। বুধবার চিটাগংয়ের বিপক্ষে ফ্রাইলিংকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বল খেললেও রান করতে পারেননি।

দলীয় ৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ডেভিড ওয়ার্নার ও আফিফ হোসেন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ৭১ রান তারা তোলেন। আফিফকে আউট করে এ জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে সিলেটের ব্যাটসম্যান ২৮ বলে ৪৫ রান করেন। তার ইনিংসটি সাঁজানো ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায়।

ডেভিড ওয়ার্নার ৪৭ বলে ৫৯ রান করেন। এছাড়া পুরান ৩২ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন। ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট পান ফ্রাইলিংক। সিলেটের এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম হারের তিতকুটে স্বাদ পেলো চিটাগং।

এসএইচ-০৭/০৯/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)