বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

বিপিএল ছষ্ঠ আসরের দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এটি দলটির দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৫ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা। আর ফের রানার আপ ঢাকা ডায়নামাইটস। শুক্রবার ঢাকা শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলায় ১৭ রানে জয় পেয়েছে তামিমের দল। তামিমের সেঞ্চুরির সুবাদে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়ে তোলে কুমিল্লা। ঢাকা ডায়নামাইটস ইনিংস থামে ১৮২ রানে।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের দানবীয় ইনিংসে ভর দিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা। তামিম একাই ৬১ বলে করেন অপরাজিত ১৪১* রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে সাকিব আল হাসানেরর দল।

এদিন ঢাকার শুরুটা হয়েছিল আশা জাগানিয়াই। দলীয় ১ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হয়ে কোন বল মোকাবেলা না করেই মাঠ ছাড়তে হয় সুনিল নারিনকে (০)। এরপর রনি তালুকদার ও উপুল থারঙ্গা মিলে পাল্টা আক্রমণ চালান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই দুইজন ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন কুমিল্লার বুকে।

কুমিল্লার বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান তারা। ৫২ বলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। কিন্তু থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন তারই স্বদেশি থিসারা পেরেরা। ৩টি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজিয়ে ২৭ বলে ৪৮ রান করেন থারাঙ্গা। ঢাকার দলীয় রান তখন ১০২।

এরপরই মূলত ধস নামে ঢাকার ইনিংসে। দ্রুত আউট হয়ে যান চার নম্বরে নামা সাকিব আল হাসানও (৩)। দলীয় ১২১ রানের মাথায় রনি তালুকদার রান আউটের শিকার হলে ম্যাচ চলে যায় কুমিল্লার নিয়ন্ত্রণে। ৩৮ বল খেলে ৬৬ রান করেছেন রনি। মেরেছেন ৪টি ছক্কা ও ৬টি চার।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮২ রান পর্যন্ত করতে পারে ঢাকা। দুই অংকের ঘরে পৌঁছানো অন্য তিনি ব্যাটসম্যান হচ্ছেন কিয়েরন পোলার্ড (১৩) নুরুল হাসান সোহান (১৮) ও মাহমুদুল হাসান (১৫)।

কুমিল্লার হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ওয়াহব রিয়াজ। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন।

এসএইচ-২৭/০৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)