পেরেজের ওপর বিরক্ত রামোস, ছাড়ছেন রিয়াল!

টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। এরপরই ছন্দপতন। রিয়াল মাদ্রিদ এ মৌসুমে জেতেনি কিছুই। এতে করে ক্লাবের মধ্যে বইছে অস্বস্তির বাতাস। এর মধ্যে খবর রটেছে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের।

যা রটে তার তো কিছুটা ঘটেও…! সেই ঘটেটাই অবশেষে প্রকাশ্যে এলো। আর তা স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন ‘এল পারতিজাদো’র বরাত দিয়ে জানালো জনপ্রিয় স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা। তারা নিশ্চিত করেছে, পেরেজ-রামোসের সম্পর্কের অবনতি এই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, ক্লাবে বেশ বড় ধরনের রদবদল আসতে চলেছে। আর সভাপতির ওপর বিরক্ত খোদ অধিনায়কই ছাড়ছেন ক্লাব।

‘‘এল পারতিজাদো’’ এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রামোস ও পেরেজের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। তাদের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না। তারা রামোসের একটি উক্তিও জনসন্মুখে তুলে এনেছে, ‘আমি ক্লান্ত ও বিরক্ত।’

ঘটনার সূত্রপাত চ্যাম্পিয়নস লিগে আয়াক্সের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকেই রিয়ালের বাদ পড়ার পর। ওই ম্যাচ শেষে রামোসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন পেরেজ। এ ছাড়াও আয়াক্সের কাছে হারের সমস্ত দোষ অধিনায়কের উপর বর্তান ক্লাব সভাপতি। এ কারণেই রিয়াল ছাড়বেন বলে মনস্থির করেছেন রামোস।

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর ড্রেসিং রুমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর পেরেজকে রামোস এও জানান, তাকে তার চুক্তির টাকা দিয়ে দিলেই হাসি মুখে ক্লাব ছেড়ে দেবেন তিনি। এ ছাড়াও তাকে আটকে রাখার জন্য যেন কোনো মূল্য নির্ধারণ করা না হয়। যাতে বিনামূল্যে যেকোনো ক্লাব তাকে কিনে নিতে পারে।

রামোসের ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারটি আরও পরিস্কার হয় পেরেজ গতকাল (সোমবার) স্পেনের অন্যতম জনপ্রিয় রেডিও স্টেশন ওন্ডা চেরোর ‘‘এল ট্রান্সজিস্টর’’ নামক প্রোগ্রামে অংশ নিলে। সেখানে ক্লাব সভাপতি বলেন, ‘তার লোক (রামোসের প্রতিনিধি) আমাকে বলেছে চায়না থেকে ভালো প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু এখনই তারা ট্রান্সফার ফি দিতে পারছে না কারণ রামোসের সঙ্গে এখনো আমাদের চুক্তি আছে। আর দ্বিগুণ টাকা দিয়ে খেলোয়াড় কেনার ব্যাপারেও কিছু আইন আছে।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে বোঝাই যে, একটি দলের অধিনায়ককে বিনামূল্যে ছাড়া যায় না। এটি একটি বিপজ্জনক উদাহরণ হতে পারে। যদিও সব আন্তরিকতার সঙ্গে ঘটছে।’

এসএইচ-২৩/২৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)