ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২৯২ রানের লক্ষ্য

প্রথম বলে সাজঘরে ডানহাতি ওপেনার মার্টিন গাপটিল, পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে একই পথে অন্য ওপেনার কলিন মুনরোও- ইনিংসের শুরুতেই এমন ধাক্কার পর নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহকে ঘিরে ছিলো নানান অনিশ্চয়তা।

ক্যারিবীয় বোলিংয়ের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি-না কিউইরা, তা নিয়েও ছিল রাজ্যের সংশয়। তবে সব সংশয় উড়িয়ে দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন নিজেই। খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, দলকে পৌঁছে দিয়েছেন লড়াই করার মতো সংগ্রহে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে দলকে নিয়ে গেছিলেন জয়ের বন্দরে। শনিবার আউট হয়েছেন ঠিক, তবে তার আগে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৮ রানের ইনিংস খেলে নিজ দলকে ২৯১ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন উইলিয়ামসন। ম্যাচ জিততে ক্যারিবীয়দের করতে হবে ২৯২ রান।

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ক্যারিবীয়দের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। শেলডন কটরেলের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন গাপটিল, পঞ্চম বলে সোজা বোল্ড হয়ে যান মুনরো। কেউ রাখেন খাতা খুলতে পারেননি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেন দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসন। দুজন মিলে গড়েন ১৬০ রানের জুটি। দলকে পাইয়ে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৯ রানে আউট হন টেলর।

তবে অন্যপ্রান্ত ধরে রাখেন কিউই অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের ৩৯তম অর্ধশতকটিকে রূপ দেন ১৩তম সেঞ্চুরিতে। ছাড়িয়ে যান নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৪৫ রানের ইনিংসকে। তিনি আউট হন ৪৭তম ওভারে ২৫১ রানের মাথায়। যার মধ্যে ১৪৮ রানই তার নিজের করা। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটিকে ১৪ চার ও ১ ছয়ের মারে সাজান উইলিয়ামসন।

শেষদিকে জিমি নিশাম ২৩ বলে ২৮, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৬ বলে ১৬ ও মিচেল স্যান্টনার ৫ বলে ১০ রান করলে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একাই ৪ উইকেট নেন কটরেল। এছাড়া কার্লোস ব্রাফেটের শিকার ২টি উইকেট।

এসএইচ-৩৪/২২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)