ম্যারাডোনা প্রথম দেখাতেই সুন্দরী ক্রিস্টিনার প্রেমে পড়েন

ফুটবল ইশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল দিনগুলোতে আলো ছড়িয়েছেন নাপোলির হয়ে। সেই নাপোলিতে সুন্দরী ক্রিস্টিনা সিনাগ্রার প্রেম ও ভালোবাসায় সিক্ত হন ফুটবল সম্রাট। তাদের ঘরে জন্ম হয় একমাত্র ছেলে সন্তান দিয়েগো সিনাগ্রা জুনিয়র ম্যারাডোনার।

১৯৮৪ সাল, ২৪ বছরের টগবগে ফুটবল তারকা দিয়েদো আরমানদো ম্যারাডোনা। স্পেনের বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন ইতালির ক্লাব নাপোলিতে। যেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ইতালির সুন্দরী ক্রিস্টিনা সিনাগ্রার। প্রথম দেখাতেই প্রেম, এরপর প্রণয়। বাঁধলেন সংসারও। যদিও আনুষ্ঠানিক বিয়ের কথা কখনোই স্বীকার করেননি ম্যারাডোনা।

১৯৮৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নাপোলিতে ক্রিস্টিনা ও ম্যারাডোনার সংসারে জন্ম নেয় একমাত্র পুত্র দিয়েগো সিনাগ্রা। আর এর সবকিছুই হয়েছিল সবাইকে অন্ধকারে রেখে। কিন্তু বাধ সাধলো ম্যারাডোনা যখন নাপোলি ছেড়ে ১৯৯২ সালে স্পেনের ক্লাব সেভিয়াতে যোগ দেন। সেই সময় ম্যারাডোনা ও ক্রিস্টিনার সম্পর্ক ও তাদের সন্তানের কথা ছড়িয়ে পড়ে। |ম্যারাডোনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় নাপোলির প্রেমিকা ও সন্তানের মা ক্রিস্টিনার।

ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে সন্তান ও স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করেন ক্রিস্টিনা। ম্যারাডোনা প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে, থেমে যান। যা থেকে সবাই ক্রিস্টিনার দাবিকেই সত্য ধরে নেয়। আদালতের বাইরে বিষয়টির মীমাংসা হলেও, ইতালিয়ানরা ম্যারাডোনোরা ব্যক্তিগত জীবনের চাইতে ফুটবল ঈশ্বরের মাঠের খেলাকেই মনে রাখতে চান।

ম্যারাডোনার একমাত্র ছেলে দিয়েগো সিনাগ্রা বলেন, ‘আমি আমার চিন্তাগুলো ভিন্নভাবে করি। সবসময় ক্লাবের সকলের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চাই। আমি সাধারণ জীবন পছন্দ করি। বাবার মত বিশাল প্রাসাদ আর অর্থকড়ি আমার দরকার নাই।’

এক ইতালিয়ান নাগরিক বলেন, ‘আমি দেখেছি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে খেলতে। তার খেলা এতোই জাদুকরী যা তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের তালিকায় নিয়ে গেছে। ব্যক্তি জীবন যাই হোক না কেন, তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ লিওনার্দো ভিঞ্চির সঙ্গে তুলনা করা যায়।’

ফুটবল ঈশ্বরের মৃত্যুকে সহজভাবে নিতে পারছেন না ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও

এক প্রবাসী বাংলাদেশী বলেন, ‘বিশ্ব কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

আরেক প্রবাসী বাংলাদেশী বলেন, ‘ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে সারা বিশ্বের ফুটবলাররা শোকাহত। তার মৃত্যুতে সবার জন্য অনেক কষ্টের।’

সবকিছু মিলিয়ে ইতালির নাপোলি ছিল ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার ব্যক্তি জীবন ও ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। নাপোলিকে তিনি এনে দিয়েছেন ইতিহাসের সেরা সাফল্য। আর ফুটবল ঈশ্বর পেয়েছেন ভালোবাসা, প্রেম ও বিশ্বসেরার খেতাব।

এসএইচ-২০/২৯/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)