ম্যারাডোনাকে নিয়ে নির্মিত ওয়েব সিরিজ আসছে

MEXICO CITY, MEXICO - JUNE 29: Diego Maradona of Argentina holds the World Cup trophy after defeating West Germany 3-2 during the 1986 FIFA World Cup Final match at the Azteca Stadium on June 29, 1986 in Mexico City, Mexico. (Photo by Archivo El Grafico/Getty Images)

দিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনাকে নিয়ে নির্মিত ওয়েব সিরিজ আসছে এ বছরের ২৯ অক্টোবর। ‘ব্লেসড ড্রিম’ নামে এই সিরিজ নির্মাণ করেছে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম।

কিংবদন্তি এই ফুটবলারের জীবনী নিয়ে নির্মিত এ সিরিজটির প্রতি পর্বে দৈর্ঘ্য হবে ৬০ মিনিট করে। প্রায় ২৪০টির মতো দেশ ও অঞ্চলের দর্শক এটি দেখার সুযোগ পাবেন, যা পরিচালনা করেছেন আলেহান্দ্রো আইমেতা।

তার ভাষায়, এ সিরিজে মহানায়কের বর্ণীল ক্যারিয়ারের ১০টি চরিত্রে অনেক অভিনেতা কাজ করেছেন। এতে ম্যারাডোনার বেড়ে ওঠা, আর্জেন্টিনার নেতা- নেপলসের দেবতা বনে যাওয়াটা, রহস্যঘেরা মৃত্যু সবই ফুটে উঠবে।

ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের দর্শন বদলে দেওয়া এক ব্যক্তিত্ব। তার হাত ধরে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে। বলা হয়ে থাকে, ছিয়াশির বিশ্বকাপে মেক্সিকোয় একাই দেশকে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দেন আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

ক্লাব ফুটবলেও ম্যারাডোনা ছিলেন অনবদ্য। ইতালির অখ্যাত এক ক্লাব নাপোলিকে ইউরোপ মঞ্চের ট্রফি এনে দেন তিনিই, জিতিয়েছেন লিগ শিরোপাও।

খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর পর ম্যারাডোনা করিয়েছেন কোচিংও। আর্জেন্টিনা ছাড়াও তিনি আরও সাতটি দলের দায়িত্ব সামলেছেন। অবশ্য কোচিং ক্যারিয়ারে খুব বেশি সফল ছিলেন না তিনি।

ম্যারাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। সেবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পিটার শিল্টনের ওপর দিয়ে হাতে একটি গোল করেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। ইংল্যান্ড ম্যাচটি হারে ২-১ গোলে। পরে ম্যারাডোনা গোলটি হাত দিয়ে দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।

১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। তার জীবনটা ছিল নাটকীয়তায় ঘেরা। ফুটবল ক্যারিয়ারের পরেও তিনি সব সময় থেকেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবেও গণ্য করা হয় তাকে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ঘুমের মধ্যই চির ঘুমের দেশে পাড়ি জমান তিনি।

মৃত্যুর পর ম্যারাডোনাকে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসের বেলা ভিস্তায় চির নিদ্রায় সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় ঘোষণা করা হয় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, ইতালির নেপসও শোকে মাতম হয়।

এসএইচ-১২/৩১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)