আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ভাগ্য ফিফার হাতে

কথায় আছে, লাতিন আমেরিকার ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। সবশেষ রোববার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ উপভোগের অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরুও হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিট না পেরোতেই ম্যাচে আসে নাটকীয় মোড়। স্থগিত হয়ে যায় বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি।

এদিকে, মেসি-নেইমারদের খেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর আলোচনায়, কে পাবে তিন পয়েন্ট। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না।

খেলতে বাধা দেওয়া যাবে না। খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নয়। এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট।

আর সে হিসেবে খেলতে না পেরেও কিছুটা হলেও খুশি হতে পারার কথা লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা শিবিরের। এদিকে, মাঠের ফল মাঠের বাইরে গড়ানোয় দোটানায় ফিফাও। কারণ যেহেতু ম্যাচটি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ ছিল, তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফিফা’কেই। কনমেবল এ ব্যাপারে কিছুই করার এখতিয়ার রাখে না।

তবে ফিফাও ভালো করে জানে যে, তারা যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন তা-ই সমালোচনার মুখে পড়বে। এছাড়া ব্যস্ত শিডিউলের কারণে পুনরায় ম্যাচটি আয়োজন করাও সম্ভব নয়।

এর আগে মেসি-নেইমারদের লড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক সংস্থা আনভিসার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাদের বিতর্কিত ভূমিকার জেরেই সাও পাওলোতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি শুরু হয়েও স্থগিত হয়ে যায়।

ইংলিশ ক্লাবে খেলা মেসির চার স্বদেশি খেলোয়াড় এমিলিয়ানো বুয়েনদিয়া, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, জিওভান্নি লো সলৈসো ও ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো যে ম্যাচটি খেলতে ব্রাজিলে ঢুকছেন, সেটি নিশ্চয়ই আগে থেকেই জানত আনভিসা। কারণ ম্যাচের তিন দিন আগেই ব্রাজিলে ঢুকেছে আর্জেন্টিনা দল।

সে ক্ষেত্রে ওই খেলোয়াড়দের খেলতে পারা-না পারা নিয়ে প্রশ্ন কেন ম্যাচের মাত্র দুই ঘণ্টা আগে তুলল আনভিসা, কেন ম্যাচ শুরু হওয়ার পর এসে ম্যাচ থামিয়ে দিল, সেসব নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। প্রশ্ন উঠছেও।

যদিও আনভিসার ভাষ্য, ওই চার খেলোয়াড় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আরো জানায় যে, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মেনেই ব্রাজিলে খেলতে এসেছেন তারা। তবে ফুটবল সমালোচকদের মতে, যদি কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভঙ্গ করাই হয়, তাহলে কেন আগে দেখা হলো না বিষয়টি।

এর মধ্যে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলছেন, ওই চার খেলোয়াড় যে খেলতে পারবেন না, সেটা ম্যাচের আগে তাদের কেউই জানায়নি।

এসএইচ-১৩/০৬/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)