কোটি টাকার স্টেডিয়াম এখন লাউ চাষের জমি

খানেওয়াল ক্রিকেট স্টেডিয়াম অযত্নে এখন পরিণত হয়েছে কৃষিজমিতে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থান এই মাঠের, যা নির্মাণ করা হয়েছিল কোটি টাকা খরচ করে।

পাকিস্তানকে ক্রিকেটের অন্যতম উর্বর ভূমি মনে করা হয়। ১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে তারা। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ইমরান খান, যাকে এখন পর্যন্ত অন্যতম অলরাউন্ডার ও ক্রিকেটীয় ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। ইমরান এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালে নেতৃত্বে বসেন তিনি। মনে করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাকিস্তানের ক্রিকেটে প্রভূত উন্নতি নিয়ে আসবেন তিনি। কিন্তু হচ্ছে তার উলটো!

ক্ষমতায় আশার পর কোথায় স্টেডিয়াম নির্মাণ, ভালো প্রশিক্ষক নিয়োগ, খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য পরিকাঠামোর উন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করবেন, এখানে কিনা ইমরান রয়েছেন এসব থেকে দূরে। ক্রিকেটীয় কোনো কার্যক্রম নেই, গ্যালারি থেকে দর্শকদের চিৎকার নেই।

খানেওয়াল স্টেডিয়ামের অবস্থা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও ভেতরে গেলেই অব পরিষ্কার। একসময়ের সবুজ ঘাসে আবৃত মাঠ এখন উর্বর চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। যেখানে চাষ করা হচ্ছে লাউ, বেগুন, মরিচ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের সবজি। এই ঘটনা লোকচক্ষুর নজরে আশার পর সমালোচনার শিকার হচ্ছেন ইমরান।

অথচ পাকিস্তানকে শিরোপা জেতানোর পর দেশের মানুষের কাছে ক্রিকেটীয় আদর্শরূপে আবির্ভূত হন ইমরান। এখন সেই ইমরানের ক্ষমতার আমলেই বেহাল দশা পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় খেলাটির।

মূলত ২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের হামলার পর পাকিস্তানে দীর্ঘদিন খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই ঘটনার রেশ ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য নির্মিত খানেওয়াল স্টেডিয়াম চাষের জমিতে পরিণত হতে থাকে। এখন দেশে ক্রিকেট ফিরলেও মাঠের অবস্থা ভালো হয়নি। দিনকে দিন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

করোনাভাইরাসের আগমণের পর খানেওয়াল স্টেডিয়ামের অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। অন্যান্য স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ হলেও খানেওয়াল থাকে আগের মতোই। দীর্ঘ সময় কোনোরকম রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এমনিতেই মাঠ ঘাসে ভরে গিয়েছিল। তার ওপর কোনো নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় আশপাশের বাসিন্দারা একে একে এই মাঠেই চাষাবাদ শুরু করে দেন।

এসএইচ-০৬/১১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)