বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রেসবক্সে ঢুকতে দিল না ভারতীয় ম্যানেজার

অব্যবস্থাপনার একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথমে দুবাই বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড দলের বায়োবাবল ব্যবস্থাপনায় ফাটল।

এবার টেলিভিশন সাংবাদিকদের প্রেসবক্সে বসে খেলা কাভার করার সুযোগ দেয়নি আইসিসির ভারতীয় মিডিয়া ম্যানেজার কেতাকি গোলাতকার। প্রশ্ন করা হলে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনিও।

বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড দল ওমান থেকে দুবাই আসার পথে বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনা। প্রশ্নবিদ্ধ আইসিসির বায়ো সিকিউরিটি ইনভাইরনমেন্ট’ বা ‘জৈব-সুরক্ষা পরিবেশ’।

বিশ্বকাপের মূল পর্বের দ্বিতীয় দিনেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এবার আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের বিরূপ আচরণের শিকার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কাভার করতে পারেননি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কোনো সাংবাদিক। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় স্টেডিয়ামের বাইরে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজার কেতাকি গোলাতকারকে।

কিন্তু তিনিও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। অথচ ওমানে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে অস্থায়ী প্রেস বক্সেও জায়গা হয়েছিল স্বাগতিক ওমানসহ বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের গণমাধ্যমকর্মীদের।

আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজার কেতাকি গোলাতকার বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগের দিনও সাংবাদিকদের প্রেসবক্স ব্যবহার থেকেও বিরত রাখেন। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের দৈন্যদশাই ফুটে উঠছে। আইসিসির এমন বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীরাও।

গণমাধ্যমকর্মী তাহমিদ অমিত জানান, আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের নিয়ে একটা নাক ছিটকানো ভাব আছে। সেটা আবারো প্রমাণ হলো। আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, সেটা সত্যিই খুব কষ্টদায়ক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন টেলিভিশন সাংবাদিককেও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটা অপেশাদারিত্বের চরম দৃষ্টান্ত।

আরেক সাংবাদিক রিয়াসাদ আজিম বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশি সংবাদকর্মী হন, এ ছাড়া যদি কোনো টেলিভিশনে কাজ করেন। তাহলে আপনার জন্য এখানে কাজ করা খুবই কঠিন।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভারতীয়দের এমন দাদাগিরি নতুন কিছু নয়। তবে মেগা ইভেন্টের শুরুতেই অবস্থা যদি এমন হয় তাতে শঙ্কা আরও বেড়ে যায়।

এসএইচ-০৯/২৫/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)