‘মেসি’ পরিচয়ে নয়, সাধারণ কেউ হয়ে ঘুরে বেড়াতে চান মেসি

রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জেতার পর ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর মুখোমুখি হয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।

যেখানে পুরনো ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে আসা এবং পিএসজিতে থিতু হওয়া নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এ ছাড়া নিজের জীবনযাপন নিয়েও কথা বলতে ভোলেননি খুদে এই ফুটবল জাদুকর।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, আমার চারপাশে যা কিছু ঘটছে সবকিছু নিয়েই আমি খুশি আছি। তবে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারতাম। অর্থাৎ পরিবার নিয়ে বাইরে দিব্যি ঘুরে বেড়াব কিন্তু কেউ আমাদের চিনতেই পারত না।

তবে তার মানে এটা নয় যে, আমি আমার ভক্ত-অনুরাগীদের ওপর বিরক্ত। তাদের সঙ্গে আমি হাসি মুখে সেলফি তুলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এটা আমার জন্য সাধারণ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মেসি আরও বলেন, আমি একটু অন্যরকম। কিছুটা লাজুক প্রকৃতিরও বলা চলে। যে কারণে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

রোনালদোর সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়ে যা বললেন

এদিকে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীও বটে। মাঠের লড়াইয়ে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে থাকেন তারা।

তবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে ভিন্ন সুরই শোনা গেল মেসির মুখে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পর্তুগিজ এই গোলমেশিন থেকে বেশি গোল করার চাপ অনুভব করেন কি না, এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে মেসি বলেন, আমি কখনো এসব নিয়ে ভাবিই না। বরং আমরা একে অপরকে সম্ভব হলে সহযোগিতা করি।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, আমি সবসময় নিজের উন্নতির দিকেই বেশি মনোযোগী। অন্যরা কে কি করছে সেদিকে তাকাই না।

তবে মেসি এও বলেন, আমরা যখন একই লিগে খেলতাম, তখন নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল। আর সেটির মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করারও সুযোগ ছিল। ‘কখনো আমি বলিনি যে, আমিই বেস্ট। এভাবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিতে চাই।’

মেসি বলেন, শৈশবের মেসি আর এখনকার মেসির মধ্যে বিস্তর তফাত আছে। শৈশবে আমি যখন খেলায় হারতাম, তখন কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইতাম না, নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রাখতাম।

এরপর যখন আমি কৈশোর পেরিয়ে তরুণ হই, তখন প্রতি ম্যাচেই জয়ের তারণা অনুভব করি। যেটি এখনো আছে। হ্যাঁ, আমি প্রতি ম্যাচই জিততে চাই।

পিএসজিতে জার্সি নম্বর নিয়ে যা বললেন

বার্সেলোনা কিংবা জাতীয় দল সবখানেই মেসির জার্সি নাম্বার ছিল ১০। তাকে সংক্ষেপে ডাকাও হতো ‘এলএমটেন’ নামেও। তবে পিএসজিতে এসে তাকে দেখা যায় ৩০ নাম্বার জার্সি পরতে।

এ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, পিএসজিতে ১০ নাম্বার জার্সি নেইমারের। আমি আসার পর সে আমাকে সেটি দিয়েও দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সেটি ঠিক হবে না। কারণ, ১০ নম্বর জার্সিটি নেইমারেরই প্রাপ্য। এ ছাড়া সে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আগের ক্লাবেরও সতীর্থ। আর তাই আমি অন্য জার্সি বেছে নেই।

এসএইচ-০৬/০৫/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)