ফাইনালে পাকিস্তানকে ১৭১ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা

পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৭০ রান। জয়ের জন্য পাকিস্তানকে করতে হবে ১৭১ রান।

শুরুতে পাকিস্তানি বোলারদের দাপট, শেষে লঙ্কান ব্যাটারদের ঝড়। পাশাপাশি বাবর আজমদের দুটি সহজ ক্যাচ মিসের সুবাদে ইনিংস বিপর্যয়ের শঙ্কা থেকে বড় পুঁজি পেয়েছে টুর্নামেন্টের স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের হয়ে ৪৫ বলে ভানুকা রাজাপাকসে ৭১ রানের ঝড়ের পাশাপাশি হাসারাঙ্গা ২১ বলে করেছেন ৩৬ রান।

রোববার শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। প্রথম দুই বলে ওয়াইডসহ ২ রান দিলেও পরের বলেই দারুণ এক ইন-সুইঙ্গারে নাসিম উপড়ে ফেলেন কুশাল মেন্ডিসের স্টাম্প। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তিনি। হাসনাইন পরের ওভারে দেন ১২ রান।

এক ওভার বিরতিতে আরও একটি উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। হারিস রউফের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে লং অফে খেলতে গিয়ে ক্যাচ ‍তুলে দেন পাথুম নিসাঙ্কা। আউট হওয়ার আগে ১১ বলে ৮ রান করেন তিনি। পেছন দিকে দৌড়ে গিয়ে নিসাঙ্কার ক্যাচটি দেন পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ইন-সুইঙ্গারে দানুস্কা গুনাথিলাকার উইকেটও নেন হারিস।

শ্রীলঙ্কা দলকে অনেকটা একাই টানছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। পাওয়ার প্লে শেষে লঙ্কানরা যে ৪৭ রান করেছিল, সেখানে ডি সিলভারই ছিল ২৭ রান। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা সিলভা আউট হন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। ইফতিখার আহমেদের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনি। দাসুন শানাকা উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফিরে যান সাজঘরে। শাদাব খানকে মেরে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি।

৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা যখন ধুঁকছিল, তখন দলের হাল ধরেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ভানুকা রাজাপাকসে। দুজনে মিলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। এর মধ্যে হাসারাঙ্গা একাই ২১ বলে করেন ৩৬ রান। সেই জুটি ভাঙেন হারিস। শেষ দিকে আরেকটা শক্ত জুটি দাঁড় করান রাজাপাকসে ও করুনারত্নে মিলে। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত তাদের জুটি থেকে আসে ৫৪ রান। ভানুকার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার দিয়ে। করুনারত্নে অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে।

এসএইচ-১২/১১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)