‘বিতর্কিত’ নো বলে পাকিস্তানের পরাজয় ?

আরেকটি রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনাকর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়ে গেল বিশ্বকাপের মঞ্চে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৪ উইকেটে জিতে যায় ভারত। ঘটনাবহুল ওই ওভারে উইকেট পড়ে দুটি। ওয়াইড হয় দুটি।

কোহলি বোল্ড হলেও ফ্রি হিটের কারণে বেঁচে যান। যে কারণে এই ফ্রি হিট পায় ভারত, সেই নো বল নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। সেই নো বলই পাকিস্তানকে ছিটকে দেয়। ভারত পায় রুদ্ধশ্বাস জয়।

শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। বোলার মোহাম্মদ নওয়াজ। প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৭ বলে ৪০ রান করা হার্দিক। তৃতীয় বলটি ছিল ফুলটস। কোমর সমান উচ্চতার ফুলটস বলটি ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন কোহলি। আম্পায়ার ‘নো বল’ ডেকে বসেন। সাথে সাথে আপত্তি জানান পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। যদিও পাকিস্তানিদের সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি। ফিল্ড আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। কারণ আইসিসির আইন অনুযায়ী সেটা নো বল।

পরের বলে ফ্রি হিট। কিন্তু বিশাল এক ওয়াইড দিয়ে বসেন নওয়াজ। ৩ বলে দরকার হয় পাঁচ রানের। ফ্রি হিটের বৈধ বলটিতে বোল্ড হয়ে যান কোহলি। কিন্তু ফ্রি হিট হওয়ায় তিনি বেঁচে যান। বাড়তি ফায়দা হিসেবে দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে তিনবার প্রান্ত বদল করে ফেলেন। ২ বলে চাই ২ রান। পঞ্চম বলে স্টাম্পড হয়ে যান দিনেশ কার্তিক (১)। শেষ বলে প্রয়োজন ২ রানের। আবারও ওয়াইড দিয়ে বসেন নওয়াজ। স্কোর সমান সমান। অবশেষে শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ভারতকে ৪ উইকেটে জিতিয়ে দেন নতুন ব্যাটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

ম্যাচ শেষে সোশ্যাল সাইটে সেই নো বল নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। এক পক্ষের মতে, সেটি নো বল ছিল না। অন্য পক্ষ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই সঠিক দাবি করছে। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায় ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেই আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে রুবেল হোসেনের একটি ‘নো বল’ ঘিরে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল, সেটি নো বল নয়। ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ। এবার আরো একটি বিশ্বকাপে সৃষ্টি হলো ‘নো বল’ বিতর্ক।

এসএইচ-০৫/২৩/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)