নেইমার কথা বলতে পারেন ৫ ভাষায়, মেসি কয়টি?

আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ভাষা জানতে হয়। বিশেষ করে তারা নিজের দেশের বাহিরেও খেলতে যান। তাই নিজেদের ভাষার বাহিরে অন্য ভাষাও আয়ত্ত থাকতে হয় তাদের। ক্রিকেটারদের যেমন ইংরেজি জানলেই হয়ে যায়, ফুটবলারদের ক্ষেত্রে চিত্রটা একটু ভিন্ন হয়। উইরোপে খেলতে যাওয়া ফুটবলারদের ইংরেজির পাশাপাশি ফরাসী, স্প্যানিশ, পর্তুগিজসহ নানা ভাষায় কথা বলতে হয়।

যেমন ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয় নেইমার নিজ দেশের বাহিরে স্পেন, ফ্রান্স হয়ে এখন সৌদি আরবে খেলছেন। দীর্ঘ দিন ধরে দেশগুলোতে অবস্থানের কারণে ওই দেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, দেশ আর মানুষের সঙ্গে মিশে বেশ কিছু ভাষা রপ্ত করেছেন তিনি। গোটা পাঁচেক ভাষায় এখন মনে ভাব প্রকাশ করতে পারেন সেলেসাও ফরোয়ার্ড।

পৃথিবীর যে কোনো দেশের মানুষই তার মাতৃভাষায় কথা বলতে সবচেয়ে বেশি স্বাছন্দ্য বোধ করেন। ব্রাজিলের মাতৃভাষা ভাষা পর্তুগিজ, স্বাভাবিকভাবেই নেইমারও পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলতে স্বাছন্দ্য বোধ করেন।

তবে ২০১৩ সালে স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনায় নাম লেখানোর বছর তিনেক আগেই স্প্যানিশ শিখেন নেইমার। এরপর বার্সেলোনায় গিয়ে শিখেন কাতালান ভাষা। কাতালান ক্লাব বার্সেলোনায় খেলতেন বলেই সেই ভাষাটাও আয়ত্ত করেছেন।

যদিও পর্তুগিজ আর স্প্যানিশের মতো কাতালান অতটা ভালো বলতে পারেন না তিনি। বার্সেলোনায় খেলার সময় সতীর্থদের সঙ্গে তিনি মূলত স্প্যানিশ ভাষায়ই কথা বলতেন।

২০১৭ সালে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন এই তারকা। ফ্রান্সে গিয়ে শিখেছেন ফ্রেঞ্চ ভাষা। তবে প্যারিসের ক্লাবটির সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে তার যোগাযোগের মাধ্যম ছিল স্প্যানিশ ভাষা। পিএসজির ফরাসি এই তারকা ফ্রেঞ্চ ভাষার সঙ্গে স্প্যানিশ আর ইংরেজিটাও ভালো বলতে আর বুঝতে পারেন।

পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, কাতালান ও ফ্রেঞ্চ ছাড়াও ইংরেজি বলতে পারেন নেইমার। ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও এ ভাষাটায় নেইমার অতটা স্বচ্ছন্দ নন। তবে বুঝতে ও বলতে পারার জন্য তা যথেষ্ট।

নেইমার মেসির সতীর্থ হয় বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর। আবার একই সঙ্গে দুইজন পিএসজিতেও সতীর্থ ছিলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুইটির সেরা দুইজন খেলোয়াড়ের বন্ধুত্ব বেশ গভীর। মেসি অবশ্য নেইমারের মতো এতো ভাষা জানেন না। মেসি শুধু স্প্যানিশ ও কাতালান ভাষায় কথা বলতে পারেন।

আর্জেন্টিনার জাতীয় ভাষা স্প্যানিশ। আর কাতালানটা শিখেছেন সেখানে দীর্ঘদিন থাকার কারণে। মেসি ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ আর পর্তুগিজ বলতে পারেন না। তাই নেইমারের সঙ্গে তার ভাব বিনিময় হয় স্প্যানিশ ভাষায়।

এসএইচ-০৪/১৬/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)