একটি গাছেই ১০০ মণ আম

ঠাকুরগাঁওয়ের তিন বিঘা জমি জুড়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় আমগাছটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। গাছটির ছড়িয়ে যাওয়া ডালপালা আর থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা আম দেখে মুগ্ধ তারা। তাই জায়গাটিকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি স্থানীয় ও দূর দুরান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের।

দেখতে বাগান মনে হলেও একটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। বিশাল আকৃতির গাছটি অবস্থিত ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা হরিণমারি এলাকায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ গাছটি এক নজর দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

অনেকেই মনরোম পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে গাছের ডালপালায় বসে মোবাইলে ফ্রেমবন্দি করে আনন্দ উপভোগ করছেন। অনেকে আবার গাছের চারপাশ ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ মৌসুমে গাছটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমের ফলন হওয়ায় গাছটি সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, গাছটিতে ১০০ মণ আমের ফলন হবে।

এদিকে দৃষ্টিনন্দিত আমগাছটি দেখতে ভ্রমণ পিপাসুরা দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসলেও জায়গাটিতে এখনও বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। তাই গাছটি ঘিরে পর্যটন স্পট গড়ে তোলার দাবি স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের।

ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এত বড় আমগাছ আগে কথাও দেখিনি। গাছটি দেখে মনেই হয় না, এটি মাত্র একটি গাছ। গাছের ডালপালা যেভাবে ছড়িয়েছে তা দেখে সকলকে মুগ্ধ করে। গাছটিতে ১০০ মণ আম উৎপাদনের ধারণা করা হচ্ছে। সে কারণে গাছের সৌন্দর্য আরও বেড়েছে। তবে দর্শনার্থীর জন্য তেমন কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। প্রশাসন যদি গাছটি ঘিরে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে তাহলে দর্শনার্থীরা আরও বেশি মুগ্ধ হবে।

এদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল জানান, জায়গাটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে জেলা প্রশাসককে এ উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ গাছটি ব্যক্তি মালিকানার।

জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, জায়গাটি ঘিরে সৌন্দর্য বর্ধন করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। গাছটির পাশে ইতোমধ্যে রেস্টহাউজ করা হয়েছে। পর্যটন স্পট করতে যা যা প্রয়োজন তা বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রশাসন। দুইশ বছরের বেশি বয়সের পুরোনো আম গাছটি দেখতে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার দর্শনার্থী আসেন।

এসএইচ-১৬/০৩/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)