জয়ের মুল নায়ক স্টোকস

আইপিএলের এক আসরের নিলামে দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে নিয়ে তুমুল টানাটানি হয়েছিল। তার মূল্য উঠে গিয়েছিল আকাশছোঁয়া। তার মতো একজন অলরাউন্ডারকে পেতে চেয়েছে যেকোনো দল।

সেই বেন স্টোকস যদিও নাইটক্লাব কাণ্ডে জড়িয়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটাক না কেন, দেশের জার্সিতে পুরোপুরি নিবেদিতপ্রাণ এক ক্রীড়াবিদ তিনি। বিশেষ করে নিজ দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে যখন ইংল্যান্ড র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দলের তকমা নিয়ে খেলতে নামে, তখন সেই দলের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে উজাড় করে দেয়াটাই তার পক্ষে স্বাভাবিক।

আর বেন স্টোকস যখন নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলেন, তখন প্রতিপক্ষের কী অবস্থা হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে উড়ে গেলো প্রোটিয়ারা। বলা ভালো, একা এক বেন স্টোকসের কাছেই উড়ে গেলো তারা।

টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর ইমরান তাহির যে ধাক্কা দিয়েছিলেন ইংলিশ শিবিরে, সেটা সামলানো ছিল খুব কঠিন। কিন্তু ইংলিশরা, সেই ধাক্কা তো সামলালেনই, উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকানরাই ব্যাকফুটে চলে যায়। চারজন হাফ সেঞ্চুরি করেন ইংলিশদের হয়ে।

এর মধ্যে বিধ্বংসী ছিলেন স্টোকস। ৭৯ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন তিনি। তার এই ইনিংসের ওপর ভর করেই মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩১১ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় ইংলিশরা।

প্রোটিয়ারা জবাব দিতে নামার পর স্টোকসকে প্রথমে বোলিংয়ে আনা হয়নি। তবে তার দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কাছেই আটকে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুর্দান্ত দুটি ক্যাচ ধরেন তিনি। বিশেষ করে আন্দিল পেহলুকাইয়োর ক্যাচটা যে অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে তিনি তালুবন্দী করলেন, সেটা ছিল দেখার মতো।

বল করতে নেমে শেষ দুটি উইকেটও তুলে নেন তিনি। মাত্র ২.৫ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে নিলেন দুই উইকেট। প্রোটিয়াদের টেল এন্ডের লেজ মুড়ে দেন তিনি। তুলে নেন রাবাদা আর ইমরান তাহিরের উইকেট।

এমন একজন পারফরমার থাকতে ম্যাচ সেরা বাছাইয়ের জন্য অন্য কোনো দিতে তাকানোর সম্ভবত আর প্রয়োজন পড়ে না বিচারকদের।

এসএইচ-০২/৩১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)