রাজশাহীর উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যার তৈরিতে আরেক ধাপ এগুলো রাসিক

রাজশাহী নগরীর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে আরোক ধাপ এগুলো সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সোমবার দুপুরে সেবা সংস্থাগুলোর সাথে এনিয়ে মতবিনিময় করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।

নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় চীনা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নার মি. এ্যান্ডু পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে খসড়া মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করেন। সেখানে নিজেরে উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে রাসিক।

সভায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখে উচ্চভিলাষী মনে হতে পারে। তবে আজ থেকে ২০ বছর পর এটি মনে হবে প্রয়োজন। রাজশাহীকে ঢাকার মতো অবস্থায় দেখতে চাই না। মাস্টারপ্ল্যান করছি, সুন্দর-মনোরম রাজশাহী তৈরিতে। নতুন প্রজন্মের জন্য রাজশাহীকে প্রস্তুত করে রেখে যেতে চাই।

তিনি যোগ করেন, ইতোমধ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর অনেক সুনাম আছে। আমাদের সবদিকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আগামীতে সভা হবে। মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হবার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে কাজ শুরু হবে। আমরা দ্রæত কাজ এগিয়ে নিতে চাই।

জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার চায়না। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, পদ্মা নদীরধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা। রাজশাহীতে জেনারেল এবং স্পেশালাইজড হাসপাতাল গড়ে তোলা।

হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর স¤প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং গণপরিবহণ, সম্প্রসারিত রাস্তা, আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে প্রতিষ্ঠানটি। আলোচনায় মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্তের পর দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক সই হবার কথা।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু ও তাহেরা বেগম, কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, আরডিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, নেসাকোর প্রধান প্রকৌশলী হাসিনা দিলরুবা, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মুহম্মাদ আলী, এলজিইডি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

বিএ-১১/১৮-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)