বর্ষবরণ উৎসবে মেতেছেন প্রবাসীরা

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দু-বছর পর সব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এবার পূর্ণোদ্যমে বৈশাখ উদ্‌যাপন করছে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পুরুষরা রং-বেরঙের পাজামা-পাঞ্জাবি আর নারীরা শাড়ি পরে অংশ নেন বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে।

গত মাসের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন হয়। তবে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত কয়েকশ’ প্রবাসী পরিবার এতে অংশগ্রহণ করে।

সিউলের ইয়নপিয়ং কালচার অ্যান্ড আর্টস সেন্টার মিলনায়তনে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে শুরু করা হয় বর্ষবরণ। অনুষ্ঠানটি সর্বস্তরের প্রবাসী বাঙালিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ উপলক্ষ্যে মিলনায়তন ও এর সংলগ্ন স্থান ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। প্রদর্শন করা হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাঙালির গর্ব মঙ্গল শোভাযাত্রা। নানা রঙের ব্যানার ও পতাকা নিয়ে শিশু-কিশোররা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। দূর-দূরান্ত থেকে শত শত প্রবাসী রং-বেরঙের পোশাক পরে নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, গত মাসে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান না করতে পারলেও করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর প্রবাসীদের আগ্রহ ও উৎসাহে বর্ষবরণ আয়োজন করা হয়।

নতুন স্বপ্ন, উদ্যম ও প্রত্যাশার আলোয় নতুন বছরকে বরণ করে নেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ, হরেক পদের ভর্তা ও মিষ্টিসহ নানা পদের মুখরোচক খাবারেরও আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোর ও নারীদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করা হয় এবং রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের এ উৎসবে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কমিউনিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরেন তারা।

এসএইচ-১৯/১৬/২২ (প্রবাস ডেস্ক)