নিহত ড. সামাদ নিউজিল্যান্ডের সেই মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টার্চে আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে খ্রিস্টান বন্দুকধারীদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের নিহতের তথ্য দিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছেন তিন বাংলাদেশিও।

তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত লোক। যার মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন অন্তত আটজন। বর্বর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। পাশাপাশি হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তারা।

বাংলাদেশি তিনজনের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ। তিনি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্যা গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে।

ঘটনার পর থেকে শোকের মাতম চলছে তার গ্রামের বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিবার-স্বজনরা।

পরিবার জানায়, মেধাবী আব্দুস সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পিএইচডি করেন নিউজিল্যান্ডে। পরবর্তীতে তিনি ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে স্থায়ীভাবে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি সেখানকার ‘মসজিদে নুর’ নামে একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

তার বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ দেশে ফিরে বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। আর তার অপর দুই ভাই তারেক, তানভির ও মা কেশোয়ারা সুলতানাকে নিয়ে বাবা ড. আব্দুস সামাদ সেখানেই থাকতেন।

নিহতের ছোট ভাই হাফেজ হাবিরুর রহমান জানান, তারা এই হত্যাকাণ্ডে অত্যন্ত মর্মাহত। তারা চান দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক এবং ড. সামাদের লাশ অবিলম্বে বাংলাদেশে এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এদিকে ড. সামাদসহ মুসল্লিদের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ আছর নাগেশ্বরী বাজারে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে একটি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসএইচ-১৯/১৭/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)