প্রাতিষ্ঠানিক নয়, বাসায় কোয়ারেন্টিন চান টিকা নেওয়া প্রবাসীরা

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ সব দেশে তাদের নাগরিক ও প্রবাসীদের সুরক্ষায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দ্রুত টিকা আওতায় আনতে জোরশোরে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করছে কুয়েত।

দেশটির সরকার অনুমোদিত ফাইজার, অক্সফোর্ড, জনসন ও মোর্ডেনা টিকা যারা গ্রহণ করবে তাদের ভ্রমণে বাধা থাকবে না। করোনা মহামারির এসময়ে প্রবাসীরা রয়েছেন অর্থিক সংকটে।

বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া নিজ খরচে কুয়েত ও ওমান প্রবাসীদের জন্য ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ান্টিনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব প্রবাসী টিকা গ্রহণ করার পর জরুরি ভিত্তিতে ছুটিতে দেশে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সনদ নিয়ে দেশে যাচ্ছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের পরির্বতে বাসায় কোয়ারেন্টিনের দাবি জানান কুয়েত প্রবাসীরা।

কুয়েতে প্রবাসী মহসিন পারভেজ ও মুরশেদ আলম বাদল বলেন, বাহিরের সব দেশের নাগরিকরা টিকা গ্রহণ করার স্বাভাবিক কার্যক্রম ও চলাফেরা করছে এবং ভ্রমণ করছে। তাদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা নিজ দেশে গেলে পিসিআর সনদ ও টিকা গ্রহণের সাটিফিকেট সঙ্গে থাকার পরও কেন বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আমাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিতে পারে।

তারা বলেন, আমার প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে পেলে সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে কষ্টে অর্জিত সেই টাকা দেশে পাঠাই। দেশে অর্থনীতি ও উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। যদি কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক হয় তাহলে সে খরচ যাতে বাংলাদেশ সরকার বহন। করোনার কারণে আয়-রোজগার আগের মতো নেই। প্রবাসীদের এই দুর্দিনে সরকারকে পাশে দাঁড়ানো দরকার।

এসএইচ-১৩/০৯/২১ (প্রবাস ডেস্ক)