সকাল ৬:৩১
বুধবার
৬ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২২ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১১ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে সরকার

সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।

এছাড়া, সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।

এআর-০১/০৯/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আয়োজনে Enhancing Personal Branding and Winning CV Making Strategies শীর্ষক ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনার বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের কর্পোরেট হিউম্যান রিসোর্স বিজনেস পার্টনার আরথিমা নজনূর এবং রিক্রুটমেন্ট লিড -পিপল অ্যান্ড অর্গানাইজেশন মাজেদুর রহমান। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. কানিজ হাবিবা আফরিন।

সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান। উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. রেজাউল করিম, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ।

সেমিনারের মূল পর্বে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট হিউম্যান রিসোর্স বিজনেস পার্টনার আরথিমা নজনূর পারসোনাল ব্র্যান্ডিং বিষয়ে অনুপ্রেরণামূলক ও তথ্যবহুল আলোচনা উপস্থাপন করেন। তিনি চাকরি বাজারে নিজেকে ব্র্যান্ড হিসেবে উপস্থাপনের কৌশল, সোশ্যাল মিডিয়ায় পেশাগত ইমেজ তৈরির গুরুত্ব এবং আত্মবিশ্বাস, যোগ্যতা ও নেটওয়ার্কিং কিভাবে ক্যারিয়ারে বড় প্রভাব ফেলে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘নিজেকে যখন আপনি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, তখন চাকরি নয়, চাকরিই আপনাকে খুঁজবে।’ তার বক্তব্যে আত্মউন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও পেশাগত পরিচিতি তৈরির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

অপরদিকে, মাজেদুর রহমান সিভি তৈরির কৌশল (CV Making Strategies) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। কীভাবে একটি পেশাদার সিভি তৈরি করতে হয়, কী কী তথ্য রাখা উচিত এবং কী কী ভুল এড়িয়ে চলা প্রয়োজন, তা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একটি ভালো সিভি শুধু আপনার অভিজ্ঞতা নয়, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, সক্ষমতা ও দক্ষতাকেও প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি শব্দই হতে হবে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক।

শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা পারসোনাল ব্র্যান্ডিং, ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি, সিভিতে প্রকল্প অভিজ্ঞতা যুক্ত করা, এবং গ্রামীণফোনে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। দুইজন রিসোর্স পার্সন শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ প্রদান করেন।

এআর-০৪/০৭/০৫ (শিক্ষা ডেস্ক)

ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে বাংলাদেশ, উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

একইসঙ্গে দুই দেশকে শান্ত ও সংযত থাকা এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বুধবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

‘আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ আশা করছে যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে,’ বলা হয় বিবৃতিতে।

এআর-০৩/০৭/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

ভারতের হামলার জবাব দেওয়ার অনুমতি পেল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

পাকিস্তান বলেছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের আওতায় তাদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দেশটি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং বেসামরিক প্রাণহানির প্রতিশোধ নিতে ‘নিজস্ব সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে’ ভারতের হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার তারা রাখে।

পাকিস্তানের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পূর্ণ অনুমোদন’ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক বৈঠকের পর এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে পাকিস্তান ভারতের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। পাকিস্তান আরও তারা দেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতের যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে ‘দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ’ গড়ে তুলেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে। পেহেলগামে হামলার ১৫ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। দেশটি এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।

এআর-০২/০৭/০৫ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

পাকিস্তানে ভারতের হামলায় আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা ও উদ্বেগ

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটক হত্যার ঘটনা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছে অস্থিরতা। এর মাঝেই বুধবার ভোর রাতে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের সীমান্ত এলাকায় ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ব নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প:

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটি লজ্জাজনক, আমরা এইমাত্র এটি সম্পর্কে শুনলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় মানুষ বুঝতে পারছিল যে কিছু ঘটতে চলেছে। তারা দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করছে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি আশা করি এটি খুব দ্রুত শেষ হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ‘এক্স’-এ বলেছেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস:

গুতেরেসের মুখপাত্র জানান, ‘(কাশ্মীরের) নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশকে কোনো ধরনের সামরিক উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান। বিশ্ব ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের জন্য প্রস্তুত নয়।’

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি:

হায়াশি বলেন, ‘কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার নিন্দা জানায় জাপান। তবে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে (দুই দেশের মধ্যে) প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ও পূর্ণ মাত্রার সামরিক সংঘাত দেখা দেওয়ার সম্ভাবনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আমরা ভারত-পাকিস্তান উভয়কে ধৈর্যশীল থাকার ও আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার আহ্বান জানাই।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়:

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ, যাদের কোনোভাবে দূরে সরানো সম্ভব নয়। তারা একইসঙ্গে চীনেরও প্রতিবেশী’।

‘সব ধরনের জঙ্গি কার্যক্রমের বিরোধিতা করে চীন’।

‘শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দেওয়া, শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকা এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে আহ্বান জানাচ্ছি’, বলেন মুখপাত্র।

ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত:

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, ‘ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। জঙ্গিদের এটা জানা উচিত যে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ করে তারা কোথাও পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।’

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী:

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বাখো টিএফওয়ান টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, ভারত ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার হাত থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে চায়। তবে অবশ্যই আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে ধৈর্য্যশীল থাকার আহ্বান জানাই, যাতে পরিস্থিতির আরও অবনতি না হয় এবং বেসামরিক মানুষ সুরক্ষা পায়।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘সামরিক সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

‘পরিস্থিতির আরও অবনতি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য উভয় পক্ষকে ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা’

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করছি শান্তিপূর্ণ ও কূটনীতিক প্রক্রিয়ায় অস্থিরতার অবসান ঘটবে’।

এআর-০১/০৭/০৫ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ‘জুলাই ঐক্য’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের এক নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। জোটের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদের দাবি, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন দেশের স্বাভাবিক গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট করার শামিল।

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ‘জুলাই স্পিরিট’ ধারণকারী সংগঠনগুলোর ঐক্য গঠন ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জুলাই ঐক্য প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সংগঠক ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিতে হয় দুই হাজারের বেশি মানুষকে। একই সঙ্গে আহত ও পঙ্গু হন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা পরিচালিত এ হামলা আন্তর্জাতিক মহলে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

মুসাদ্দিক বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসরকারি মহলের কিছু অংশ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। যা একদিকে শহীদ, আহত ও পঙ্গু জনগণের আত্মত্যাগের চূড়ান্ত অপমান। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পুনর্বাসন দেশের স্বাভাবিক গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট করার শামিল।

এসময় ‘জুলাই ঐক্য’ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে মুসাদ্দিক বলেন, জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শংকিত। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা বিভিন্ন দাবি তুলে জুলাইয়ে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের বিতর্কিত করতে চায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই আমরা বিভিন্ন মতাদর্শের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ নিয়ে আজ ‘জুলাই ঐক্য’ নামে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় জোটের ঘোষণা করছি।

জোটের মূল দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, জোটের মূল ও একমাত্র দাবি হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও চব্বিশের গণহত্যা, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডি, পিলখানা ট্র্যাজেডি, গুম, খুন, দুর্নীতিসহ বিগত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপকর্ম সংঘঠিত হয়েছে তার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় ক্যাম্পেইন জারি রাখা।

সংবাদ সম্মেলনে জোটের আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ৭ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে দলটি।

এআর-০১/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া: ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির ১০ নির্দেশনা

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় যাবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় ফেরা উপলক্ষে এয়ারপোর্ট থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে অতিরিক্ত জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সুষ্ঠু ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সংশ্লিষ্ট দলের নেতাদের আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান/বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প রাস্তা হিসেবে নিম্নোক্ত রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো:

(ক) আব্দুল্লাপুর কামারপাড়া-ধউর ব্রিজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল করা। (খ) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা। (গ) উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারীদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউজ বিল্ডিং-জমজম টাওয়ার-১২নং সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন- উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন হতে ১৮ নং সেক্টর-পঞ্চবটী হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে পারেন।

(ঘ) গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি স্বরনি এলাকার যাত্রীরা কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন র‍্যাম্প ব্যবহার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এয়ারপোর্ট/উত্তরা যেতে পারেন। (ঙ) মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহনসমূহ মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারেন।

(চ) এয়ারপোর্ট/৩০০ ফিট রাস্তা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনসমূহ বনানী/কাকলী র‍্যাম্পের পরিবর্তে মহাখালী র‍্যাম্প/এফডিসি র‍্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তা (জিয়া কলোনী/জাহাঙ্গীর গেইট/সৈনিক ক্লাব/স্টাফ রোড) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধুমাত্র হালকা যানবাহন গমনাগমনের অনুমতি প্রদান করেছে। সুতরাং সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।

ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজি চালিত অটো রিক্শা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধপূর্বক সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি./ঘণ্টা গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাম পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভারস্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

যাত্রীসাধারণকে বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর গমনাগমনকারী ট্রেনসমূহ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলওয়ের সবল আগ্রনগর ট্রেন আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টঙ্গী, এয়ারপোর্ট এবং তেজগাঁও স্টেশনে দুই মিনিটের জন্য থেমে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর-টঙ্গী রুটে অতিরিক্ত একটি শাটল ট্রেন পরিচালনা করবে।

হজযাত্রীসহ বিদেশগামী যাত্রী সাধারণকে এয়ারপোর্টে গমানগমনের ক্ষেত্রে এবং ওই এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা হতে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিগণকে কোন ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা কোনো যানবাহন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে যুক্ত হতে পারবেন না।

ডিএমপি জানিয়েছে, অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনক্রমেই গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না। তবে এ রাস্তা দিয়ে (জনসমাগম না হলে) সাধারণ যানের সাথে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।

এআর-০২/০৫/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ

স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৫ মে) স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর তিনি এই নির্দেশ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘ দিন থেকে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এসব সুপারিশের যেগুলো এখনই বাস্তবায়নযোগ‍্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেন, স্বাস্থ্যখাতের সমস্যাগুলো বহুদিনের সমস্যা। এর মাধ্যমে আমরা যদি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারি তা হবে যুগান্তকারী ঘটনা।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ‍্য তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এখনই মনোযোগী হতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তারের সংকট, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকলেও যেখানে দরকার সেখানে ডাক্তার নেই। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা ছাড়া সমস্যা নিরসন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং সেখানে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে।

কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এই কমিশনের সদস্যরা তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নিকট হস্তান্তর করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার; সাবেক সচিব এম এম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ।

স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন- ডা. নায়লা জামান খান, ডা. মোজাহেরুল হক।

এআর-০১/০৫/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা

গাজীপুরের চান্দনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় হাসনাত আবদুল্লাহ আহত হয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান এনসিপির আরেক নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ। পোস্টে তিনি জানান, গাজীপুরের চান্দনায় হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন দ্রুত এগিয়ে আসেন, প্লিজ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশেপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন।’

এআর-০২/০৪/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ভিসা ফের চালু করেছে আরব আমিরাত

বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের ভিসা দেয়া শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএই’র সরকারের মধ্যে ধারাবাহিক কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০টি থেকে ৫০টি ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের জন্য গ্রুপ ভিসা প্রসেসিং দ্রুততর করা হয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও জনসম্পর্ককে আরও গভীর করবে।

রোববার (৪ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউএই সরকারের সঙ্গে বিশেষ দূতের সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। ভিসা সহজীকরণ থেকে বিনিয়োগ সহযোগিতা পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে অর্ধডজনের বেশি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি জানান, একটি বড় অগ্রগতির অংশ হিসেবে ইউএই মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইনে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করেছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি আরও বলেন, সম্প্রতি বিপণন ব্যবস্থাপক ও হোটেল কর্মীদের জন্য ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। নিরাপত্তাপ্রহরীদের জন্য এরই মধ্যে ৫০০ ভিসা দেওয়া হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদন হয়ে ইস্যুর অপেক্ষায়। ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমাবদ্ধতা আরও শিথিল করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এআর-০১/০৪/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)