সকাল ৭:২১
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

আবারও ঢাকাই সিনেমায় পাওলি দাম

সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত ‘নীল জোছনা’ সিনেমা নির্মাণ করবেন ফাখরুল আরেফীন খান। মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমায় অভিনয় করবেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম। সিনেমার প্রধান নারী চরিত্র লায়লার ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি।

গত বুধবার কলকাতার ডিকালগ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। ঢাকাই সিনেমায় আবারও কাজ করার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী নিজেও।

সিনেমায় পাওলির বিপরীতে কে থাকছেন তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে নির্মাতা জানিয়েছেন, পাওলির বিপরীতে দেশের একজন অভিনয়শিল্পীকে তিনি নির্বাচিত করবেন। খুব শিগগিরি তা চুড়ান্ত করে জানাবেন তিনি।

আবারও বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে পাওলি বলেন, ‘গত বছর নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান আমার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে যোগাযোগ করেন। প্রথমে তার কাছ থেকে গল্পটি শুনেছি, যেহেতু তখনও মোশতাক আহমেদের সেই বইটি আমার পড়া ছিল না, এরপর যখন বইটি পড়লাম, তখন দারুণ লাগল। বলা যায়, এই সিনেমার সঙ্গে সেদিন থেকেই জড়িয়ে আছি। যার আনুষ্ঠানিকতা গত বুধবার হয়েছে।’

নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘নীল জোছনা’ সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ৬ বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষের দিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে আমার ধারণা এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই যখন আমি মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি।’

নতুন এই সিনেমায় পাওলি দাম প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের গল্পের অন্যতম নারী চরিত্র লায়লা, যা পাওলি দামের সঙ্গে অনেক বেশি যায়, যার কারণে আমরা তাকে এই চরিত্রের জন্য প্রথমে নির্বাচিত করি। এরপর পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাকে চিত্রনাট্য পাঠানো হলে তিনিও আমাদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। আশা করছি, আমরা পাওলিকে নিয়ে কাজটি খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব।’

নির্মাতা জানান, ‘নীল জোছনা’ সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী মাসের শেষদিকে, একটানা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।

এসএ-০৫/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা সাংবাদিকদের

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শিল্পী সমিতি। এছাড়াও সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা।

বুধবার রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন লিমন আহমেদ। তিনি জানান, হামলার ঘটনায় এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে। একইসঙ্গে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি বসে। যেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না। এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিক লিমন আহমেদ জানান, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লিমন বলেন, ‌‘জয় চৌধুরীকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে।’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

একইসঙ্গে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ পালন করা হবে জানিয়ে লিমন বলেন, ‘‘এই তারিখে বিনোদন সাংবাদিকরা কোনো সিনেমার খবর প্রকাশ করবে না। এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।’’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান অভিনয়শিল্পীরা। যার নেতৃত্ব দেন অভিনেতা শিবা শানু ও জয় চৌধুরী। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এসএ-০৪/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

ভিডিও দিয়ে হাসিন বললেন, ‘শামি দেখ, এটাই তোর আসল রূপ’

বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন তার বিচ্ছিন্না স্ত্রী হাসিন জাহান। তখনই তিনি স্পষ্ট চেয়েছিলেন, মাঠের খেলায় শামি হারুক।

আবার একইসঙ্গে শামি যেন অনেকদিন ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলতে পারেন, সেটাও কামনা করেছিলেন। এর পেছনের কারণ হিসেবে বলেছিলেন, শামি জাতীয় দলে খেললেই তার এবং একমাত্র মেয়ের ভরণপোষনে টাকা পেতে কোনো অসুবিধা হবে না।

এসব কারণে সে সময় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন একসময়ের চিয়ারলিডার ও মডেল মোহাম্মদ শামির বিচ্ছিন্না স্ত্রী হাসিন জাহান। বিচ্ছিন্না তকমা জুড়ে যাওয়ার কারণ, বর্তমানে শামির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই হাসিনের। কোর্টে তাদের বিচ্ছেদের পর ভরণপোষনের মামলা চলছে।

এসবের মাঝেই আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে একটি ভিডিও শেয়ারকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনায় এই ক্রিকেটারের স্ত্রী। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন হাসিন।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন পুরুষ ও একজন নারীকে। ভিডিওর গল্পটা এমন, বিয়ের পর একজন পুরুষের হঠাৎ অন্য মহিলাদের ভালো লাগতে শুরু করে। তার কাছে নিজের স্ত্রী ছাড়া সকলেই সুন্দর। ঈশ্বর এই কথা শুনে সেই ব্যক্তিকে বলেন, তিনি যদি পৃথিবীর সকল মেয়েকেও বিয়ে করে নেন তবুও এই স্বভাব যাবে না। এটা নিজেকেই বদলাতে হবে।

ভিডিওটি পোস্ট করে হাসিন লেখেন, ‘শামি আহমেদ দেখ, এটাই তোর আসল রূপ। এটাই তোর সত্যতা।’ এরপরই রীতিমতো তোপের মুখে পড়েছেন হাসিন। শামিভক্তরা এই মডেলকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন তার নিজের চরিত্র নিয়েও।

এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আপনি আবার কবে থেকে এতো সতী হলেন? ভারতীয় ক্রিকেট দলের গর্বকে খাটো করার চেষ্টা করছেন যে সেটা সবাই বুঝতে পারছে।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘প্রথম স্বামীও কী একই কাজ করেছিল? তাই তাকেও ছেড়েছিলেন? নাকি নিজের স্বভাব এটা?’ আরও একজনের মন্তব্য, ‘আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সুস্থ হোন। চিকিৎসক দেখান।’

জানা যায়, খুব অল্প বয়সেই পাড়ার এক মুদির দোকানের মালিকের প্রেমে পড়েছিলেন হাসিন। পালিয়ে বিয়েও করেন। তাদের দুটো সন্তানও আছে। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। মাত্র আট বছরেই ডিভোর্স হয় সেই সংসারের। এরপর শামির গলায় মালা দেন তিনি।

হাসিন কলকাতার মেয়ে। মডেলিংও করেছেন। আইপিএলের সময়েই শামির সঙ্গে আলাপ হয়। সেই আলাপই গড়ায় প্রেমে। এরপর ২০১৪ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি মেয়েও আছে, আয়ারা। কিন্তু প্রথম বিয়ের মতোই হাসিনের দ্বিতীয় বিয়েও বেশিদিন সুখকর হয়নি। ২০১৮ সালে শামির সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। এই ভারতীয় পেসারের নামে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি। বর্তমানে তাদের ডিভোর্সের মামলা চলছে।

এসএ-০৩/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

২০০ কোটি দিয়ে নিজেই ‘ডন’ হয়ে ফিরছেন ‘কিং’ শাহরুখ

ফারহান আখতারের ‘ডন থ্রি’তে শাহরুখ খানকে সরিয়ে সিংহাসনে বসেছেন রণবীর সিং। টিজার দেখে কিং খান ভক্তরা তো বটেই এমনকি সিনেমা দর্শকদের একাংশও ঘোর আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন ফারহান। কিন্তু এবার শাহরুখ নিজেই মেগাবাজেটের সিনেমায় চমক দিতে চলেছেন ‘ডন’-এর ভূমিকায়। এবার পরিসর, পরিচালক আলাদা হলেও শোনা যাচ্ছে, কিং খান নাকি কোমর বেঁধে মাঠে নামছেন।

বহুদিন ধরেই মেয়ে সুহানা খানের সঙ্গে শাহরুখের স্ক্রিনশেয়ার করার কথা শোনা যাচ্ছে। সিনেমার নাম ‘কিং’। পরিচালনায় সুজয় ঘোষ। সেই সিনেমা নিয়েই এবার প্রকাশ্যে এল বড়সড় তথ্য। শাহরুখ নাকি এই ‘কিং’ ছবিতে ডনের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। কথা ছিল, শাহরুখকে শুধু ক্যামিওর চরিত্রে দেখা যাবে। তবে পরবর্তীতে ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ দেখে সিদ্ধান্ত বদলে চিত্রনাট্যের খোলনলচেও বদলে ফেলেছেন নির্মাতারা। বাদশাকে নাকি এই সিনেমায় দেখা যাবে আদ্যোপান্ত ডন-এর চরিত্রে। আর মেয়ে সুহানা থাকছেন তার শিষ্যর চরিত্রে। গৌরী খানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজক শাহরুখের ‘পাঠান’ সিনেমার পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। ২০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই সিনেমা।

পুরোপুরি অ্যাকশনড প্যাক সিনেমা হতে চলেছে ‘কিং’। সূত্রের খবর, সুজয় ঘোষ যেখানে পুরোদস্তুর চিত্রনাট্যে মন দিয়েছেন। প্রি-প্রোডাকশনের কাজে ব্যস্ত। সেখানে প্রযোজক সিদ্ধার্থ আনন্দ বসেছেন গোটা অ্যাকশন সিকোয়েন্সের টিম নিয়ে। আন্তর্জাতিকমানের মারপিটের দৃশ্য দেখা যাবে এই ছবিতে। কেমন লুকে ধরা দেবেন বাদশা?

সূত্র আরো জানায়, লম্বা হেয়ারস্টাইল, মুখ ভর্তি দাড়িতে দর্শকদের চমক দেবেন শাহরুখ। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শুরু হবে শুটিং। বাদশার কথায়, দর্শকরা নাকি বর্তমানে ধূসর চরিত্রেই দেখতে পছন্দ করেন তাকে। আর তাই নতুন করে এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলিউড সুপারস্টার। মেয়ে-বাবা এরইমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

ফারহান আখতারের পরিচালনায় কিং খানের ডন চরিত্র দুবার বক্স অফিসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। এবার সুজয় ঘোষের ফ্রেমে বাদশা কোন ম্যাজিক দেখান? সেটার অপেক্ষায় দর্শকরা।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

এসএ-০২/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর পাশাপাশি নিজ দেশের দৈন্যদশায় হতাশা প্রকাশ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন।

দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।

শেহবাজ শরীফ বলেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

তিনি বলেন, “আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।”

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।

এআর-০৩/২৫/০৪ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

শুরু থেকেই দূরত্ব! যে কারণে কাজলের সঙ্গে কথা বলতেন না রানি

মুখার্জি বাড়ির দুই মেয়ে রানি ও কাজল। একটা সময় দুজনেই দাপটের সঙ্গে বলিউডে রাজত্ব করেছেন। বক্সঅফিসে একের পর এক হিট ছবি দিয়েছেন তারা। কিন্তু তাদের মধ্যে যে সম্পর্ক মোটেই মধুর ছিল না! ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র সেটে দুই বোনকে দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন পরিচালক করণ জোহর।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাদের মধ্যে তেমন ভাব ছিল না। তবে এখন বলিউডের দুই বাঙালি কন্যার বরফ-শীতল সম্পর্কে উষ্ণতার প্রলেপ লেগেছে। কিন্তু সম্পর্কে দিদি হওয়া সত্ত্বেও কেনই বা কাজলের সঙ্গে বলিউডের ‘মর্দানি’র দূরত্ব ছিল, প্রকাশ্যে সেবিষয়ে জানালেন রানি মুখার্জি।

সম্প্রতি কফি উইথ করণ শোয়ে করণ জোহারের অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন কাজল-রানি। পছন্দের পরিচালকের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেন দুই নায়িকা। করণও এমন বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে তুলে আনেন, যা নিয়ে প্রথম থেকেই রানির অনুরাগীদের কৌতূহল ছিল। করণের কথায়, তাদের মধ্যে শুরুতে তেমন একটা বন্ধুত্ব ছিল না, কিন্তু কেন? খুল্লমখুল্লা জবাব দেন করণের অঞ্জলি আর টিনা।

রানি স্বীকার করে নেন যে অতীতে মুখার্জি বাড়ির বোনেদের মধ্যে তেমন ভাব ছিল না। তবে সেই দূরত্বের তেমনও কোনও বড় কারণ ছিল না। তাই সময়ের সঙ্গে সবই ঠিক হয়ে গেছে। আদিত্য চোপড়ার ঘরণী বলেন, সব পরিবারেই মতপার্থক্য থাকে, কিন্তু যদি মতপার্থক্যের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণই না থাকে তাহলে কেনই বা অহেতুক এর জন্য সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হবে! শুধু তাদের মধ্যে ‘যোগাযোগের অভাবেই সম্পর্ক ঠিক ছিল না’ বলে জানান রানি মুখার্জি।

বোনের কথায় সায় দেন কাজলও। তিনি বললেন, সত্যি তেমন কোনও কারণ ছিল না। খুব স্বাভাবিক দূরত্ব। আমাদের কাছে সেই সময়টা কাজই প্রথম গুরুত্ব পেত।

কাজলের কথা শেষ হতে না হতেই রানি বলে ওঠেন, ‘কারণ আমরা সবাই ছোট ছিলাম, কাজল ছোটবেলা পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এরপর ওরা থাকত শহরে, আর আমরা থাকতাম জুহুতে। তাই খুব একটা দেখাও হত না।’

রানির কথায়, দুজনেরই বাবার মৃত্যুর পরই তাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। একটি ইন্টারভিউতে কাজলের বোন তানিশা জানিয়েছিলেন, তিনি রানির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পেয়েই যোগাযোগ করেছিলেন। তবে কাজলের চেয়ে বোন তানিশার সঙ্গে তার সম্পর্ক যে বেশি খোলামেলা তা স্বীকার করেছেন রানি মুখার্জি।

কাজল ও রানির মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই ছিল, তা বলিউডে অনেকেরই জানা। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও ঠারেঠোরে দু’জনেই বুঝিয়ে দিতেন সেই দূরত্বের কথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেক পরিণত দুই বোন। স্বামী-সন্তান নিয়ে ভরপুর সংসার করছেন তারা। চলতি বছর মুম্বাইয়ের দুর্গাপূজাতেও পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় দুই বোনের হাসি ঠাট্টার ছবি ধরা পড়েছে।

এসএ-০১/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি

আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার হতে যথারীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কক্ষে পাঠদান চলবে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রমের যে অংশটুকু কক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চলবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এআর-০২/২৫/০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)

নতুন ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি, এবারের দাবদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন করে তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করে বলেছে, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে গত কয়েকদিন ধরে টানা তীব্র গরমের মধ্যে আজ চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন প্রায় ৪৫টির মতো জেলার ওপর দিয়ে এই দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায়।

সংস্থাটি বলছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে তীব্র ধরণের তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আর খুব একটা বাড়বে না, যদিও গরমও খুব একটা কমবে না। তবে এবারের তাপপ্রবাহের পর একটু একটু করে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

বাংলাদেশে সাধারণত কোনও স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা জারি করা হয়।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে, সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে থাকেন আবহাওয়াবিদরা।

এছাড়া তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে, সেটিকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।

আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

বাংলাদেশে এবার যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলার ওপর দিয়ে গত কিছুদিন ধরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রায় রেকর্ড হয়েছে মোংলায়, ৪১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশে এর আগে, ২০২৩ সালকে বাংলাদেশের উষ্ণতম বছর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ওই বছর একটানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলার রেকর্ড হয়েছিলো।

ফলে এ নিয়ে পরপর দুই বছর প্রায় একই ধরণের দাবদাহের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৃষ্টি হবে, তবে কবে হবে?

নতুন করে তিন দিনের হিল অ্যালার্ট জারি হলেও আবহাওয়া বিভাগ আশা করছে চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

“২৯ তারিখের দিক থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে,” বলেছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।
গরমে করণীয়

যদিও চলতি সপ্তাহের শেষ থেকে বৃষ্টি হলেও তাতে তাপমাত্রা কতটা কমে তা নিয়ে সংশয় আছে।

কারণ সাধারণত পূর্বাঞ্চল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তা খুব একটা গরম কমায় না।

মি. রশীদ বলছেন, বৃষ্টিপাত পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু হলে সেটি দ্রুত আবহাওয়া ঠাণ্ডা করতে শুরু করে কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দিয়ে।

“ফলে দ্রুতই গরম খুব একটা কমবে না। তবে তাপমাত্রা আর বাড়বেনা এটি বলা যায়,” বলছিলেন তিনি।
আজ থেকে পরের তিন দিন কেমন যাবে

আবহাওয়া বিভাগ বলছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একই সাথে কোন কোন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

আজ খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলা এবং বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সতর্কতা

হিট অ্যালার্টের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ শুক্রবার এবং তৃতীয় দিনে শনিবারও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি, ঝড়ো বৃষ্টি কিংবা শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আজ থেকে প্রথম দুদিনে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকলেও তৃতীয় দিনে গিয়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

তিনদিনেই জলীয় বাষ্পের কারণে অস্বস্তিভাব থেকেই যাবে অর্থাৎ গরম খুব একটা কমবে না।

তবে এ তিনদিনের তাপপ্রবাহের পরেই দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে যা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এবার এত তাপমাত্রার কারণ কী

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান।
তীব্র গরমে স্বস্তির উপায় খুঁজছেন অনেকে।

এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

“যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়,” সম্প্রতি বলেছেন আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

“বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি,” বলছিলেন মি. মল্লিক।

এআর-০১/২৫/০৪ (সূত্র: বিবিসি বাংলা)

রণবীরকে হারিয়ে এখনও ক্যাটরিনাকে ক্ষমা করতে পারেননি দীপিকা

বলিউডে পা রাখার পরই অনেক সুন্দরীর ঘুম হারাম করেন রণবীর কপূর। স্ত্রী আলিয়া ভাট তো শৈশব থেকেই রণবীরের প্রেমে মুগ্ধ ছিলেন। যদিও রণবীরের চেয়ে বয়সে ছোট হওয়ায় তখনও দুজনের মধ্যে কোনো যোগাযোগই ছিল না।

এরই মাঝে বেশ কিছু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই অভিনেতা। ক্যারিয়ারে একাধিক বলি সুন্দরীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। সবচেয়ে বেশি চর্চায় ছিল দীপিকা পাড়ুকোন ও ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে সম্পর্ক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলিয়াতেই দাঁড়ি টেনেছেন রণবীর। বিয়ে করছেন এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে।

দীপিকার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা। দীপিকা যে প্রেমে প্রতারিত হয়েছেন, সে কথা নিজেই স্বীকার করেন বিভিন্ন সময়। ঠিক একইভাবে রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে প্রতারিত হন ক্যাটরিনা নিজেও।

যদিও স্বামীর দুই প্রাক্তনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন আলিয়া। কিন্তু এত বছর কেটে গেলেও নাকি বন্ধুত্ব হয়নি ক্যাটরিনা-দীপিকার মাঝে। এর অন্যতম কারণ দীপিকা নিজেই। নিজের প্রাক্তনের প্রেমিকাকে এখনও যেন ক্ষমা করতে পারেননি তিনি।

২০০৯ সালে ‘আজাব প্রেম কি গাজাব কাহিনী’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে রণবীরের সঙ্গে আলাপ ক্যাটরিনার। যদিও সে সময় দীপিকার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে প্রেম ভাঙে রণবীর-দীপিকার।

এরপর ঋষিপুত্র সম্পর্কে জড়ান ক্যাটরিনার সঙ্গে। কয়েকবছর চুটিয়ে প্রেম করেন এই জুটি। কিন্তু ‘জাগ্গা জাসুস’ সিনেমার সময় রণবীর-ক্যাটরিনার সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। বছরখানেক পরই আলিয়া ভাটের সঙ্গে প্রেম শুরু করেন অভিনেতা। একটা সময়ে তার গলাতেই মালা দেন।

যদিও আলিয়া-ক্যাটরিনা বহু দিনের বন্ধু। একসঙ্গে জিম করতে তারা। অন্যদিকে, দীপিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো আলিয়ার। কিন্তু অস্বস্তি রয়ে গেছে ক্যাটরিনা-দীপিকার সম্পর্কে। এখনও নাকি বন্ধু হতে পারেননি তারা।

ক্যাটরিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে, আলিয়ার সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ। দীপিকার সঙ্গে তা নয়। এর নেপথ্যে ঠিক কী কারণ, তা বলা খুব মুশকিল। আসলে আমরা দু’জনেই হয়তো নিজেদের গুছিয়ে নিতে সময় নিয়েছি। পরে বুঝেছি, মনের ভিতর এসব জমিয়ে রাখা বোকামি। তাই বন্ধুত্ব না হলেও, দীপিকার সঙ্গে আর কোনও সমস্যা নেই।’

অন্যদিকে রণবীর সিং ও দীপিকার বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন ক্যাটরিনা। সে সময়ে দীপিকা বলেন, ‘অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। আমি খুব খুশি, আমার এই বিশেষ দিনে সে উপস্থিত ছিল। বরাবরই তাকে পছন্দ করতাম।’

এসএ-০৬/২৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

শাহরুখ নাকি অমিতাভ, সম্পত্তির দিক থেকে এগিয়ে কে?

ক্রিকেটে যেমন ভারতে শচীন টেন্ডুলকার নাকি বিরাট কোহলি, সেরার লড়াইয়ে কে এগিয়ে? এই তর্ক বহুদিনের। বলিউডেও দুইজনকে ঘিরে ঠিক এমনই তর্কে জড়ান তাদের ভক্তরা। একজন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, অন্যজন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন।

এই দুই তারকার ব্যক্তিজীবন নিয়েও ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। সেটা হোক সম্পত্তি কিংবা পারিবারিক জীবন। বলিউডের প্রভাবশালী এই দুই তারকার সম্পত্তির পরিমাণ কেমন, সেটা নিয়েই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইন।

সেই প্রতিবেদন অনুসারে, বচ্চন পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অমিতাভের সম্পদের পরিমাণ ৩১১০ কোটি টাকা। এ বছর দীপাবলির আগেও অভিনেতার নিজ সম্পত্তির মূল্য ছিল ৩১৬০ কোটি টাকা। প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ‘প্রতীক্ষা’ তিনি উপহার দিয়েছেন কন্যা শ্বেতা বচ্চন নন্দাকে।

অন্যদিকে শাহরুখ খান মাত্র ১৫০০ টাকা পকেটে নিয়ে মুম্বাইতে এসেছিলেন। ২০০ টাকা ট্যাক্সিকে রাস্তায় ঘুরেছেন। সেই ছেলেই নিজেকে নিয়ে গেছেন বলিউড বাদশহার আসনে। বর্তমানে শাহরুখের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটির। অমিতাভ বচ্চনের থেকে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা বেশি সম্পত্তির মালিক তিনি।

এই দুই তারকার গাড়ির তালিকায় রয়েছে রোলস রয়েস, বেন্টলি, বুগাতি, বিএমডাব্লিউ, রেঞ্জ রোভার, ল্যান্ড ক্রুজারের মতো দামি দামি সকল কালেকশন। নিত্যনতুন গাড়ি কিনে সংগ্রহে রাখতে পছন্দ করেন শাহরুখ নিজেও।

এখানেই শেষ নয়। বহু পণ্যর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ-অমিতাভ দুজনেই। সেখান থেকেও কোটি টাকা আয় দুই তারকার। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেও তাদের নিয়মিত আয় হয়ে থাকে।

শাহরুখ খান ও অমিতাভ বচ্চন বহু ছবি একসঙ্গে করেছেন। তাদের জুটি দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়। বলিউডের অন্যতম দুই স্তম্ভ বলা হয় দুজনকে। ৫০ বছর পেরিয়ে আজও বলিউডে রাজত্ব করছেন অমিতাভ। অন্যদিকে শাহরুখের ক্যারিয়ারও তিন দশক পার করে ফেলেছে। এখনও পর্যন্ত বলিউডের সবচেয়ে আয় যেই সিনেমা, সেই ‘জওয়ান’ও রয়েছে শাহরুখ খানের দখলে।

এসএ-০৫/২৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)