রাত ৩:১৩
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বাবা ২০ হাজার টাকার জন্য সন্তান বিক্রি করলেন!

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য দেড় বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে বিক্রি করে দেন তার বাবা ইমরান হোসেন। এ ব্যাপারে শিশুটির মা লামিয়া আক্তার পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।

পরে সোমবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক রুহুল আমিন পাশের উপজেলা মতলব উত্তরের চরলক্ষ্মী গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে মা লামিয়ার কোলে ফিরিয়ে দেন।

এর আগে গত শনিবার বাবা ইমরান হোসেন মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহকে বিক্রি করে দেন ওই নিঃসন্তান দম্পতির কাছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী ইমরান হোসেন নগদ টাকার বিনিময়ে তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহকে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

এরপর শিশুটির মা লামিয়া আক্তার থানা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটিকে উদ্ধার করতে অভিযানে নামেন উপপরিদর্শক রুহুল আমিন।

পরবর্তীতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করা হয়।

ইমরান হোসেনের স্ত্রী পেশায় ভিক্ষুক লামিয়া আক্তার দাবি করেন, মূলত মাদকের টাকার জন্যই তাদের শিশু সন্তান অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন তার স্বামী।

এদিকে, দেড় বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে ফিরে পেয়ে খুশি মা লামিয়া আক্তার। এ সময় সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই পরিবারে ৫ বছরের আরও একটি কন্যা শিশু রয়েছে।

মতলব সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইমরান হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করা গেলে হয়তো জানা যাবে কী কারণে শিশুটিকে বিক্রি করে দেয়া হয়।

এসএইচ-১২/০৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

কাদের আনাগোনা বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদের বাড়িতে?

বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদের৷ অবস্থান ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-২-এর ৫৫ নম্বর সড়কে৷ এই বাড়িতেই থাকেন রশিদের মেয়ে খন্দকার মেহনাজ রশিদ৷

গুলশান ক্লাবে বড় পদে মেহনাজের চাকরির খবর প্রকাশ্যে আসার পর তার বাড়ি নিয়েও পাওয়া যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

মেহনাজের বাড়িতে দেশের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর একাধিক কর্ণধারের যাতায়াত৷ সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে রাজধানীর একটি আসনে মনোনয়ন পাওয়া এক শিল্পপতির রহস্যময় আনাগোনা ইতোমধ্যে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এসেছে।

রাজধানীর অভিজাত ক্লাবপাড়ায় অতি পরিচিত এই শিল্পগোষ্ঠীর একাধিক কর্ণধারই শুধু নয়, সেখানে গুলশান ক্লাবের বর্তমান সভাপতিও নিয়মিত যাতায়াত করেন৷ গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে৷

দেশের অন্যতম পাঁচ তারকা একটি হোটেলের একজন পরিচালক এই বাড়িতে কেন ঘনঘন আসেন তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। অর্থপাচার নিয়ে তদন্ত হওয়া এই শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার কেন বঙ্গবন্ধুর খুনির মেয়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন? এই প্রশ্নও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরেও এসেছে।

সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না প্রশ্ন তুলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

মোহাম্মদ আলী শিকদার মনে করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা স্বাধীনতাবিরোধীদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বকে ভালোভাবে নিতে পারছে না। কারণ তার নেতৃত্বে দেশ জঙ্গিবাদমুক্ত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটেছে। পঁচাত্তরের খুনিরা দেশকে পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সেই ধারাবাহিকতায় তাদের অপচেষ্টা থেমে নেই। তাই তাদের ব্যাপারে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘গুলশানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বঙ্গবন্ধুর খুনির পরিবার বসবাস করে, এটাও আতঙ্কজনক। কারণ অভিজাত এলাকায় উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ-সম্পর্কও গড়ে ওঠে প্রতিবেশী হিসেবে। কেউ যদি এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘পঁচাত্তরের খুনিচক্র এখনো গর্জে ওঠার চেষ্টা করে। দেশকে বিপথে নিতে তাদের ষড়যন্ত্রও থেমে নেই। এদেরকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এরা খুবই সংঘবদ্ধ। তবে এদের চেতনা খুবই দুর্বল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রকৃত বিকাশ হলে তাদের প্রতিহত করা সহজ হবে।’

বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একজন খুনির মেয়ে কীভাবে গুলশানের ক্লাবের মতো অভিজাত শ্রেণির মিলনমেলায় ঢুকে পড়ল, কেন ঢুকল, খতিয়ে দেখতে হবে। এটা শুধু চাকরি নয়, এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনো দূরভিসন্ধি আছে বলে আমি মনে করি।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ মনে করেন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখনো সক্রিয়।

ড. হারুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে তারা দমে যায়নি, এখনো সক্রিয়। তাদের পরিবারের সদস্যরাও তাদের চেতনাতেই বেড়ে উঠেছে। মনে রাখতে হবে সাপের বাচ্চা সাপই হয়।’

এই বঙ্গবন্ধু গবেষক মনে করেন- বঙ্গবন্ধুর খুনি পরিবারের সদস্যরা কে কোথায় আছে, সেই তথ্য গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে থাকা উচিত৷ তিনি বলেন, ‘তাদের গতিবিধিও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারা তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ-সম্পর্ক রাখছে, কী বৈঠক করছে, কোনো ষড়যন্ত্র চলছে কি না, এসব জানতে হবে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হবে।’

গুলশান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস খান বলেন, ‘আমরা মেহনাজ রশিদের পরিচয় জানতে পেরে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আগে যদি তার পরিচয় জানতাম, তাহলে তো চাকরিই হতো না। এ কথা আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি। তিনি (মেহনাজ) কীভাবে আমাদের ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন, কতদিন কাজ সব জানানো হয়েছে।’

ক্লাবের অনেকেই মেহনাজ রশিদের বাসায় যাতায়াত করতেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেরদৌস খান বলেন, ‘সেটা আমার জানা নেই, তবে আমি কোনো দিন সেখানে যাইনি। যারা গেছে তাদের কাছে প্রশ্ন করেন।’

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘এই ধরনের সুযোগ দেওয়ার ঘটনা, খুবই দুঃখজনক। মেনে নেওয়া যায় না। অনেকে এসব পরিবারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখে, ধারণ করে। গুলশান ক্লাব অবশ্যই জেনে-শুনে তাকে চাকরি দিয়েছে। তাদের এমন কাণ্ড করা ঠিক হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উচিত কেন, কীভাবে, কারা চাকরি দিলো, তাদের কী লাভ- এসব বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।’

প্রসঙ্গত, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদের মেয়ে গুলশান ক্লাবের উচ্চপদের চাকুরে? এটাও সম্ভব!’ শিরোনামে ঢাকাটাইমসে শুক্রবার একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে গুলশান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। চাঞ্চল্যকর সংবাদটি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে মেহনাজকে উচ্চ পদের ওই চাকরি থেকে বরখাস্তের খবর জানানো হয়।

গেল বছরের অক্টোবরে ক্লাবটির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এডমিন পদে চাকরি নেন মেহনাজ রশিদ। তিনি ক্লাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনারও দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি তিনি বেশ দাপটের সঙ্গে ক্লাবে চলাফেরা করতেন।

জানা গেছে, উচ্চ বেতনে চাকরি নেওয়া মেহনাজ ক্লাবে ব্যাপক দাপট দেখাতেন। এমনকি তার গুলশানের বাসায় ক্লাবের অনেকে আড্ডাও দিতেন। এদের বেশির ভাগই সমাজের অর্থবিত্তশালী। মেহনাজ তাদের মাধ্যমে অর্থসম্পদের মালিকও হন।

সূত্র জানায়, যেসব ব্যবসায়ী এই পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে তাদের শনাক্তে মাঠে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঠিকমতো আয়কর দেন কি না, তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বৈধ কি না— সেসব বিষয়ে চলছে অনুসন্ধান। প্রয়োজনে নেওয়া হবে দুদকের সহযোগিতা।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দুই দফায় ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রশিদসহ পাঁচ খুনি এখনো অধরা। আর রশিদের মেয়ে মেহনাজ ২০০৯ সালে তৎকালীন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসকে হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি।

এসএইচ-১১/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : ঢাকাটাইমস)

স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় কবজি কেটে নিলেন স্বামী

স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় হাতের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। অভিযোগ, সরকারি চাকরি পেয়ে স্ত্রী রেণু খাতুন সংসার ছেড়ে চলে যাবেন, এমন সন্দেহে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন স্বামী শেখ মোহাম্মদ।

জানা যায়, রেণু খাতুনের ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। সম্প্রতি তিনি সরকারি নার্সের চাকরিও পান।

অভিযোগ, এরপরেই শেখ মোহাম্মদের কয়েকজন বন্ধু তাকে বোঝায়, চাকরি করতে গেলে রেণুর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হতে পারে। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে রেণুর হাত কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত স্বামী। গত ৪ জুন রাতে রেণু যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন মুখে বালিশচাপা দিয়ে তার ডান হাতের কবজি কেটে ফেলেন শেখ মোহাম্মদ।

এরপর রেণুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেসময় রেণুর ডান হাতের কাটা অংশটি তার স্বামী লুকিয়ে রাখেন। এ নিয়ে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে রেণুর পরিবার।

ঘটনার পর থেকে শেখ মোহাম্মদ ও তার পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক। তাদের বাড়িতে এখন তালা ঝোলানো। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রেণু বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এসএইচ-১০/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

বন্ধুর গুলিতে প্রাণ গেলো মন্ত্রীর

ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী অরলান্দো জর্জ মেরা। নিজ কার্যালয়ে হামলায় প্রাণ হারান তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ৫৫ বছর বয়সী আরলান্দোকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়া হয়। এসময় অফিসে বসে বৈঠক করছিলেন তিনি।

দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারীর নাম মিগুয়েল ক্রুজ। এই ব্যক্তি মন্ত্রীর ছোটবেলার বন্ধু বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে কেন এ হামলা চালানো হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

এক বিবৃতিতে জর্জ মেরার পরিবারও জানিয়েছে, শৈশবের বন্ধুর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

২০২০ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদারের প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেন জর্জ মেরা ।

জর্জ মেরার নিহত হওয়ার ঘটনায় এক টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আবিনাদার। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, একজন ভালো বন্ধু হারিয়েছেন তিনি।

এসএইচ-০৯/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

২৮ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চিন্তা করেন!

দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চালানো এক গবেষণায় উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ২৮ শতাংশের মাথায় জীবনের কোনো না কোনো সময় আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে। উচ্চশিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতদের প্রায় ৪৪ শতাংশ চরম দুশ্চিতায় ভুগছেন।

সম্প্রতি গবেষণা নিবন্ধটি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেসে ‘মোটিভেশনস অ্যান্ড ব্যারিয়ারস ফর ক্লিনিক্যাল মেন্টাল হেলথ-সিকিং ইন বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’ নামে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি পরিচালনা করেন ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ সায়েন্স সেন্টারের পোস্ট-ডক্টরাল রির্সাচ ফেলো মুনজিরিন এস সিফাত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইমা তাসনিম, পেনসিলভেনিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নুসরাত হক ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথের কয়েকজন গবেষক।

২০২০ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৫০ শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য চূড়ান্ত করে ডেটাসেট তৈরি করা হয়।

তথ্যদাতাদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬৩ শতাংশ। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী ৫ শতাংশের নিচে। অংশগ্রহণকারীদের ৫৭ শতাংশ পুরুষ এবং প্রায় ৪২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। যাদের ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ স্নাতক পর্যায়ের। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশ নিজেদের প্রেমের সম্পর্কবহির্ভূত (সিঙ্গেল) বলে দাবি করেছেন। এছাড়া তথ্য দেওয়াদের ৭৩ শতাংশ সচ্ছল পরিবারের সন্তান বলে জরিপে উঠে আসে।

গবেষণার ফলাফলে উঠে আসে শিক্ষার্থীদের ৭০ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যায় ক্লিনিক্যাল সহায়তাকে ইতিবাচক বলে দেখেন। যাদের ৭ শতাংশ ক্লিনিক্যাল সহায়তা নিয়েছেন। যেখানে শিক্ষার্থীদের ১০ শতাংশ মানসিক সমস্যা সমাধানে যান্ত্রিক ও আচরণগত বাধা অনুভব করেছেন। এছাড়া ৭৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী কমপক্ষে অপর একজনের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলাপ করেছেন।

গবেষণায় আরও উঠে আসে, ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যাপারে সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। ক্লিনিক্যাল সমাধানের বাইরেও শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যা সমাধানে আত্মপরিচর্যা, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বাদ দেওয়া, লম্বা শ্বাস নেওয়া, গভীর ধ্যান করা প্রভৃতি কাজ চালিয়েছিলেন।

গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের তুলনায় নারী শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ মানসিক স্বাস্থ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এছাড়া বিদ্যমান কুসংস্কারের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে ক্লিনিক্যাল সহায়তার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা এখনো খুব একটা আগ্রহী নয় বলে দাবি করা হয় এ গবেষণায়।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইংল্যান্ডের কিংস কলেজ অব লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সোশ্যাল সাইকিয়াট্রি’তে প্রকাশিত অপর এক গবেষণা নিবন্ধে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে প্রেমঘটিত ব্যাপার, অতি আবেগপ্রবণতা, স্বপ্নপূরণে ব্যর্থতা, পারিবারিক কলহ, শিক্ষাজীবনে অসফলতা, যৌন নির্যাতন ও মানসিক ভারসাম্যহীনতাকে দায়ী করা হয়।

গবেষকেরা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষণীয় প্রচারণার বিষয়ে তাগিদ দেন। এছাড়া গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সমস্যা থাকলে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে সেজন্য খোলামেলা আলোচনার ব্যবস্থা করা এবং বিশেষ এই সেবাটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়ারও পরামর্শ দেন।

গবেষকদলটির প্রধান মুনজিরিন এস সিফাত জাগো নিউজকে বলেন, খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে শুধু যে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় তাই নয়, বরং এটি মানুষের নিজের মানসিক সমস্যাগুলো কোনোরকম অস্বস্তিবোধ ছাড়াই সহজেই অন্যের কাছে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করা উচিত যে তাদের একটি কাউন্সিলিং সেন্টার আছে এবং সেখান থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভালো দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।

গবেষক মুনজিরিন আরও বলেন, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে রোগী এবং সেবাদানকারীর মধ্যকার ব্যবধানটা অনেক বেশি। মানসিক সমস্যা নিয়ে সমাজের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এর একটি কারণ হতে পারে। মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে এবং নিরাময়ের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তত দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে একজন মানুষ যত বেশি দিন অতিবাহিত করবে, তত বেশি সমস্যাটি বেড়েই যাবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে পারেন।

এসএইচ-০৮/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : জাগো নিউজ)

দুই বছরের শিশুর গুলিতে বাবার মৃত্যু

Closeup of crime scene tape with police officers and police car in background. Utahlypse 2011

ঘরের ভেতর বন্দুক খুঁজে পেয়েছিল দুই বছরের এক শিশু। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই বন্দুক দিয়ে না বুঝেই নিজের বাবাকে গুলি করে বসে সে। এতে ওই ব্যক্তি প্রাণ হারান। এই ঘটনায় ওই শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর খালিজ টাইমসের।

গত মাসে রেগি মার্বি (২৬) তার ছেলের গুলিতে নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি ভিডিও গেম খেলছিলেন। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ছেলে তাকে গুলি করে বসেন। অরেঞ্জ কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় জানিয়েছে, নিজ বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মার্বি।

তার স্ত্রী মেরি আয়ালা এবং তার তিন সন্তানও সে সময় বাড়িতেই ছিল। অরেঞ্জ কাউন্টি শেরিফ জন মিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বন্দুকটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। এমনকি এটা এমন ভাবে রাখা হয়েছিল যে, চাইলেই সেটি কেউ ব্যবহার করতে পারবে। সে কারণেই দুই বছরের ওই শিশুটি খুব সহজেই বন্দুকটি দিয়ে তার বাবাকে গুলি করে বসে। আর এর ফলাফলও হয়েছে খুব ভয়াবহ। এমন ঘটনা কেউ আশা করেনি।

জন মিনা বলেন, ২৮ বছরের আয়ালার অবহেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখা এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের আয়ালা জানান, ঘটনার দিন তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে তাকে জানায় তার দুই বছর বয়সী সন্তান তার বাবাকে গুলি করেছে। কিন্তু শিশুটির হাতে এই বন্দুক কিভাবে গেল সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে ওই ঘটনায় শিশুদের কোনো ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনার পর ওই শিশুদের ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলির হেফাজতে রাখা হয়েছে। শেরিফ অফিসের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের অস্ত্র নিরাপদে রাখা গেলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো।

এসএইচ-০৭/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

ধুমধাম করে দুই কুকুরের বিয়ে

ধুমধাম করে ভুরি ও কাল্লু নামে দুটি কুকুরের বিয়ে দেওয়া হলো। বিচিত্র এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের হামিরপুরে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানের মতোই ছিল সব আয়োজন।

রীতিমত বরপক্ষ ও কনে পক্ষের বাড়িতে ‘বারাত’ নিয়েও যায়। জড়ো হয়েছিল আশপাশের লোকও। ব্যান্ডের ব্যবস্থাও করা হয়।

সেই ব্যান্ডের তালে তালে নাচেন উভয়পক্ষের লোকজন। শেষে আয়োজন ছিল ভূরিভোজের।

হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গহনা পরানোও হয়েছে কনেকে। তবে কেন ঘটা করে কুকুর দুটির বিয়ে দেওয়া হলো তা জানা যায়নি।

সামাজিক মাধ্যমে বিয়ের এই ভিডিও এরইমধ্যে প্রায় দুই লাখ মানুষ দেখেছেন। অনেকে আবার বিয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন।

এসএইচ-০৬/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি দেশে আসছে বুধবার

ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে।

এবারের বাংলাদেশ সফরে ৬০ ঘণ্টা বাংলাদেশে থাকবে বিশ্বকাপ ট্রফি। ৫১টি দেশে ঘোরার জন্য বের হয়েছে এ ট্রফি।

এই সফরের প্রথম দিন বুধবার রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাওয়া হবে বিশ্বকাপ ট্রফি। পরদিন থাকবে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ ও কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্ট। তবে যে কেউ চাইলেই বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন না।

বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার ব্যবস্থা থাকবে।

তবে ছবি তোলার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র কোকাকোলা বাংলাদেশের আমন্ত্রিত অতিথি এবং কোকাকোলার ক্যাম্পেইন থেকে টিকিট পাওয়া দর্শকরা।

এসএইচ-০৫/০৭/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

দেশে মাঙ্কিপক্স সন্দেহে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে এক তুর্কি নাগরিককে ঢাকা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তুর্কি এয়ারলাইন্সে আকসি আলতে (৩২) নামে ওই ব্যক্তি ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় মাঙ্কিপক্স ভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে তাকে বিমানবন্দর হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিমানবন্দরে দুপুর ১২টায় তুর্কি এয়ারলাইন্সে আসা একজন বিদেশি নাগরিক ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে বিমানবন্দর হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিমানবন্দরে থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা আগে তাকে রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসএইচ-০৪/০৭/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে রাতে মাঠে নামছে জার্মানি-ইংল্যান্ড

রাতে নেশনস লিগে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে জার্মানির মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার  অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১টায়। একই সময় একই গ্রুপের লড়াইয়ে হাঙ্গেরিকে আতিথ্য দেবে ইতালি।

উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপ পর্বের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে তারা। তাও হাঙ্গেরির মতো দলের বিপক্ষে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে জার্মানির আতিথ্য নিতে যাচ্ছে থ্রি লায়নরা।

জার্মানদের বিপক্ষে ৩৩ দেখায় ইংলিশদের জয় আছে ১৪টি। বিপরীতে ১৫ জয় ডাই ম্যানশাফটদের। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে জার্মানিকে শক্ত প্রতিপক্ষই মানছেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।

ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট বলেন, ‘জার্মানি ফুটবল দলটা অনেক ভালো। অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। নেশনস লিগের পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে হলে এ ম্যাচটা জিততে হবে আমাদের।’

ইংলিশ শিবিরে একমাত্র ইনজুরি বেনজামিন হোয়াইট। শঙ্কা আছে জেমস জাস্টিন ও ফিল ফোডেনকে নিয়ে।

অন্যদিকে, জার্মানি প্রথম ম্যাচে ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে। তবে, পরের ধাপে যাওয়ার পথটা আরও পরিষ্কার করতে ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কিছু ভাবছে না তারাও।

জার্মানি কোচ বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে মাঠে আমাদের দারুণ কিছু করতে হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা নিজেদের মাঠে জয়ের জন্যই লড়ব। এক বিন্দুও ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।’

জার্মানিরা এ ম্যাচে পাচ্ছেনা মার্কো রিউসকে। স্টেগেন, ড্র্যাক্সলাররাও নিয়মিত নেই। তবে, গুন্ডোগান, থমাস মুলার, কাই হাভার্টজদের পাচ্ছেন কোচ।

এসএইচ-০৩/০৭/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)