রাত ৯:৫৫
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

৫০০০ বছরের পুরনো স্থাপত্যে রানির আট দশক

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উপলক্ষ্যে ব্রিটেনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এবার ৫০০০ বছরের পুরনো স্থাপত্য স্টোনহেন্জে রানির ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আট দশকে রানির আটটি ছবি দিয়ে এই প্রদর্শনীটি করা হয়। খবর সিএনএনের।

দাতব্য প্রতিষ্ঠান ইংলিশ হ্যারিটেজ এই উদ্যোগ নেয়। সেটির ভিডিও সোমবার তারা টুইটারে পোস্ট করেছে।

প্রত্যেক দশক থেকে একটি করে মোট আটটি ছবি বাছাই করে সেগুলো যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় স্থাপত্যটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়। রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ।

১৯৫২ সালে পিতার মৃত্যুর পর ব্রিটেনের সিংহাসনে আরোহন করেন এলিজাবেথ। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর।

এসএইচ-১০/০১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

পদ্মা মেঘনা নামেই হচ্ছে দুই বিভাগ

ঢাকা বিভাগ ভেঙে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে পদ্মা নদীর নামানুসারে ‘পদ্মা’ নামে নতুন বিভাগ হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ভেঙে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামানুসারে ‘মেঘনা’ নামে অন্য একটি নতুন বিভাগ করা হচ্ছে। এই প্রথম দেশের প্রধান দুটি নদী পদ্মা-মেঘনার নামে নতুন দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগের সদর দফতর হবে ফরিদপুরে এবং মেঘনা বিভাগের সদর দফতর হবে কুমিল্লায়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিভাগ দুটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার কথা। এ ছাড়া ওই বৈঠকে একটি নতুন পৌরসভা ও আরেকটি পৌরসভার সীমানা নির্ধারণসহ মোট ছয়টি এজেন্ডা উপস্থাপন করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগ ভেঙে প্রস্তাবিত বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা নদীর নামানুসারে এ বিভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এর সদর দফতর হবে ফরিদপুরে। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২ হাজার ৭৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭। গোপালগঞ্জ জেলার আয়তন ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৭৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪১৫। রাজবাড়ীর আয়তন ১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫১৯। শরীয়তপুরের আয়তন ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৪। মাদারীপুরের আয়তন ১ হাজার ১২৫ দশমিক ৬৯ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১২ লাখ ১২ হাজার ১৯৮। ফলে পদ্মা বিভাগের মোট আয়তন হবে ৭ হাজার ১৪৯ দশমিক ৯৯ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩। সাক্ষরতার হার ৪৮ দশমিক ৯ ভাগ।

বৃহত্তর কুমিল্লার তিন জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর এবং বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরসহ মোট ছয় জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামে ‘মেঘনা’ বিভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সদর দফতর হবে কুমিল্লায়। তবে বিভাগ সংক্রান্ত গণশুনানিতে নোয়াখালীর নেতারা প্রস্তাবিত মেঘনা বিভাগে থাকার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণ তাদের বিভাগের নাম কুমিল্লা নামেই করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সম্মতি দেননি। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় কোনো জেলার নামে নয়, নতুন দুটি বিভাগ পদ্মা ও মেঘনা নদীর নামেই হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেকের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

জানা গেছে, বর্তমানে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর ছয়টি জেলায় প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা রয়েছে। ওই ছয় জেলার আয়তন প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের চেয়ে জনসংখ্যা ও আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ। কুমিল্লায় সরকারের প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে কুমিল্লায় বিভাগ হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ওপর জনগণের চাপ কমবে। ঢাকা শহরে বাড়তি লোকের চাপ হবে না। সেখানে যানজটও কমে আসবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লার অবস্থান। একটি পরিপূর্ণ আবাসিক জেলা হিসেবে কুমিল্লার সুনাম রয়েছে।

রাজধানী ও বন্দরনগরের ওপর চাপ কমাতে এ শহর বেশ ভূমিকা রাখবে। বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলার মধ্যবর্তী স্থানেও কুমিল্লার অবস্থান। ভৌগোলিক ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে কুমিল্লা খুবই সমৃদ্ধ জনপদ। এ ছয় জেলার মানুষের সঙ্গে সড়ক, রেল ও নদীপথে যোগাযোগ অত্যন্ত মসৃণ। দাফতরিক বেশির ভাগ কাজেই ছয় জেলার মানুষ কুমিল্লায় জড়ো হন। এখানে দিনে এসে দিনে কাজ করে বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব। ছয় জেলার মানুষের আঞ্চলিক ভাষাও কাছাকাছি।

এসএইচ-০৯/০১/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু হতে পারে ১০ জুন

করোনা মহামারির কারণে ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ১০ জুন থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাস চলাচল পুনরায় শুরু হতে পারে।

আনুষ্ঠানিক আদেশ না এলেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

গত রোববার ২ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হওয়ার কয়েক দিন পরেই বাস যোগাযোগ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর বাস ও ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

করোনার কারণে বাস সেবা বন্ধ রাখার আগে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৫টি রুটে বাস চলাচল করত। সেগুলো হচ্ছে, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গুয়াহাটি-ঢাকা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-আগরতলা ও ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা।

শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভাঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানিয়েছেন, কোনো লিখিত নির্দেশ না পেলেও ১০ জুন থেকে বাস চালু করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাস চালু করতে প্রস্তুত।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটে পুনরায় বাস চালু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

এসএইচ-০৮/০১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

মৃত্যুর আগে শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা লিখেছিলেন কেকে

কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গান গাইতে গাইতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলিউড তারকা গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ। এর কিছুক্ষণ পর হোটেলেই ফিরেই মারা যান তিনি। বলিউডে তিনি কেকে নামেই পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।

মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে কনসার্টে যোগ দেন তিনি। হোটেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়তেই দ্রুততার সাথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের প্রথম সারির এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে।

চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে এই সংগীতশিল্পীর।
মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেকে’র সবশেষ স্ট্যাটাস ছিল, “আজ রাতে নজরুল মঞ্চে বিবেকানন্দ কলেজের উত্তেজনাপূর্ণ কনসার্ট!! সবাইকে ভালোবাসা।”

গান গাইতে গাইতে যেভাবে চলে গেলেন কেকে

কলকাতার নজরুল মঞ্চ ভিড়ে ঠাসা। দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা, কখন আসবেন গায়ক? কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যিনি কেকে নামেই সুপরিচিত, তিনি এলেন। কণ্ঠে সুরের ঝাঁপি আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে। হাততালিতে ফেটে পড়ল গোটা হল।

হাম, রাহে ইয়া না রাহে কাল…. মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাইক্রোফোন হাতে গান ধরেছিলেন কেকে। উপলক্ষ গুরুদাস কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগের রাতেই ছিল বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠান।

গান শুরু হতেই উৎসাহ-উত্তেজনায় দর্শকদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার। হবে না-ই বা কেন! মঞ্চে যিনি গান গাইতে উঠেছেন, তিনি তো আর সাধারণ কেউ না। বলিউডের তারকা নেপথ্যগায়ক কেকে।

মঞ্চে উঠে দর্শকদের মাতোয়ার করতে পারা সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কেকে। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানেও তার ব্যত্যয় হয়নি।

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়ার পাশাপাশি গাইতে থাকেন একের পর এক গান। বাড়তে থাকে দর্শকেদের উত্তেজনাও।

নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৪ বছর বয়সী একজন গায়ক কতটা তরতাজা। গান গাইতে গাইতে মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়াতেও দেখা গেল কেকে-কে। কখনও দর্শকদের উদ্দেশে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিচ্ছেন, তো কখনও আবার গান গাইতে গাইতে নিজের মনেই লাফাচ্ছেন।

দর্শকদের অনেকেই কেকে-কে দেখার জন্য, তার গান শোনার জন্য বহু দিন ধরেই অপেক্ষা করে ছিলেন।

গান গাওয়ার ফাঁকে কেকে মঞ্চের স্পটলাইটগুলো নিভিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন।

যার গানের সুরে ভারতীয় উপমহাদেশের আপামর শ্রোতা মুগ্ধ, তার আবার স্পটলাইটের দরকারই বা কী!

স্পটলাইট নেভাতেই শতাধিক ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি গানের পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে।

কেকে’র অনুষ্ঠানের সময় নজরুল মঞ্চে শীতাতপ যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছিল না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। গান গাইতে গায়ককে দরদর করে ঘামতেও দেখা গেছে। মাঝে মাঝে সাদা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিচ্ছিলেন। তবে চোখে মুখে বিরক্তির লেশমাত্র নেই।

শেষের দিকে বেশ খানিকটা ক্লান্তই লাগছিল গায়ককে। ভিতরে কষ্ট হচ্ছিল কি? কষ্ট হলেও বুঝতে দেননি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত দর্শকদের আবদার মিটিয়েছেন মুখের মিষ্টি হাসি ধরে রেখেই।

অনুষ্ঠান শেষ হতেই চলে যান স্থানীয় ধর্মতলা এলাকার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে কেকে’র। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার।

শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করেই কি অনুষ্ঠান করেছেন কেকে? উঠছে প্রশ্ন।

নিজে বুঝে থাকলেও, শারীরিক অসুবিধার কথা বুঝতে দেননি দর্শকদের। দক্ষ জাদুকরের মতো সুরের জাদু দেখিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

‘আলবিদা’। ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সিনেমায় তার গাওয়া বিখ্যাত গান। সুরের শহরকে সেই কথাই হয়তো জানাতে এসেছিলেন তিনি। আর এই অনুভবের শেষ সাক্ষী কলকাতা।

এসএইচ-০৭/০১/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

মেসিদের হারিয়ে দুঃখ ভুলতে চায় ইতালি

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ইতালি দীর্ঘদিন ধরে জয়ের দেখা পাচ্ছে না। ১৯৮৭ সালে সর্বশেষ আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ইতালি। সেবার জুরিখে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইতালি ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে।

এদিকে, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে একটায় লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ইতালি।

দীর্ঘ ২৯ বছর পর রাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে সুপার কাপ। উয়েফা ও কম্বেল কর্তৃপক্ষ এর নাম দিয়েছে ফিনালিসিমা।

গত বছর কোপা আমেরিকা জয় করেছে লিওনেল মেসিদের আর্জেন্টিনা। মারাকানা স্টেডিয়ামে গত বছর ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারায় ব্রাজিলকে। গত বছরের ১১ জুলাই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে যায় ইতালি। দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন এবার মুখোমুখি হচ্ছে ফিনালিসিমায়।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পার হতে না পেরে হতাশায় ভুগছে রবার্তো মানচিনির ইতালি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফিনালিসিমার ম্যাচটি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে চায় ইতালি।

১৯৮৭ সালের পর পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। একবারও জিততে পারেনি ইতালি। চারবার হেরেছে। একবার ড্র করেছে। দুই দল মোট ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়বার জিতেছে ইতালি। চারবার জিতেছে আর্জেন্টিনা। দুই দল ড্র করেছে পাঁচবার।

এর আগে ১৯৯৩ সালে দিয়াগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল ডেনমার্কের। সে সময় ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন ছিল ড্যানিশরা। কোপা আমেরিকাজয়ী ছিল আর্জেন্টিনা। দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে উয়েফা ও কম্বেল কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছিল আরতেমিও ফ্রাঞ্চি কাপ। ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার হোসে মারিয়া মিনেয়া স্টেডিয়ামে। ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ম্যারাডোনার দল জিতেছিল ৫-৪ ব্যবধানে।

এরও আট বছর আগে প্রথমবার আরতেমিও ফ্রাঞ্চি কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্যারিসের পার্ক ডি প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে। সেবার ইউরো কাপজয়ী ফ্রান্স কোপা আমেরিকাজয়ী উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল।

এসএইচ-০৬/০১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

নতুন বাস দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে চান তারা

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন থেকেই নতুন বাস দিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে চান শরীয়তপুরের পরিবহন মালিকরা। পুরোদমে চলছে বাস তৈরির কাজ।

নির্ধারণ করা হয়েছে ভাড়াও। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০০টি বাস দিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে যাত্রীসেবা চালু করতে চান তারা। পরিবহন মালিকরা বলছেন, এর ফলে দীর্ঘ ১৮ বছরের অচলাবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের।

অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে বাকি আর মাত্র ২৪ দিন বাকি। শরীয়তপুরের বিভিন্ন ওয়াকর্শপে তাই ঘুম নেই কারিগরদের। চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। বসানো হয়েছে চেসিস, বাকি শুধু বডি তৈরি ও সিট বসানোর কাজ। জেলার বাসিন্দারা স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন এ বাসে করেই।

শরীয়তপুরের কয়েকটি ওয়ার্কশপেই চলছে নতুন বাস তৈরির কাজ। শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস প্রাইভেট কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছে সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ। তারা ৩০টি নতুন বাস প্রস্তুত করছেন। শুধু এখানেই নয়, তাদের বাস তৈরির কাজ চলছে পাশের জেলা মাদারীপুর ও ঢাকায়।

পরিবহন মালিকরা বলছেন, এ দিনটির জন্য তারা অপেক্ষা করছেন দীর্ঘ ১৮ বছর। পদ্মা সেতু চালু হলে তাদের ব্যবসা বাড়বে।

শরীয়তপুর পরিবহন নামে একটি বাস কোম্পানি এরই মধ্যে ঢাকা-মাওয়া রুটে ২৫টি বাস দিয়ে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছে। পদ্মা সেতু চালুর খবরে তাদের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ৬০টি নতুন বাস।

শরীয়তপুর পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন মাত্রায় নতুন বাস সংযোজন করা হচ্ছে। নতুন এসি বাসও থাকছে, ভাড়া একটু বাড়ছে। এসিতে ৪০০ টাকা আর নন-এসিতে ৩০০ টাকা করে টিকিটের দাম ঠিক করা হয়েছে।

শরীয়তপুর পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বাচ্ছু বেপারী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আমরা একই রঙের ৩০টি বাস প্রস্তুত করেছি। আশা করছি ভালো ব্যবস্থা হবে।

শরীয়তপুর পরিবহন পরিচালক আসাদুজ্জামান এরশাদ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আমরা ৬০টি বাস দিয়ে শুরু করবো যাত্রী পরিবহন, তবে সেটি ধাপে ধাপে, একবারে নয়। রাস্তার অবস্থা ভালো হলে আমরা দ্রুত বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০০টি বাস দিয়ে শরীয়তপুর ঢাকা বাস সার্ভিস চালু করতে চায় পরিবহন মালিকরা। তবে চালকরা বলছেন, যে সড়ক দিয়ে তারা সেতুতে উঠবেন সেটির সংস্কার প্রয়োজন।

এলাকার সংসদ সদস্য বলছেন, টেন্ডার হয়েছে চার লেনের রাস্তার। কাজ শুরু হয়েছে। পরিবহন খাতে তৈরি হবে কর্মসংস্থানও।

শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু সময় সংবাদকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকে জাজিরা হয়ে কাজীরহাট পর্যন্ত চার লেনের কাজের টেন্ডার হয়েছে, কাজ শুরু হয়েছে। এটার সুফল এলাকার মানুষ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পদ্মাসেতু হওয়ার পর জাজিরা হবে হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক শহর। আমিও এটা আশা করি।

শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দারা নৌপথে ঢাকায় যাতায়াত করেন। পদ্মা সেতু চালুর খবরে জেলার সড়ক পরিবহন মালিকরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা আশা করছেন, সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকেই নতুন বাস দিয়ে যাত্রীসেবা চালু করতে পারবেন।

এসএইচ-০৫/০১/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

জলপাইগুড়ি-ঢাকা রুটে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন বুধবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে, যেটি উত্তরবঙ্গের নীলফামারি জেলার চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

মিতালী এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটির মাধ্যমে বহু বছর পর এই রুটে ভারত ও বাংলাদেশের ট্রেন যোগাযোগ স্থাপিত হল।

বুধবার সকালে দিল্লিতে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভার্চুয়াল ফ্ল্যাগ অফের পর নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ে।

ঢাকায় এটির পৌঁছানোর কথা রাত দশটায়।

এর আগে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ঢাকা-কোলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটিও গত ২৯শে মে পুনরায় যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করে।

রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে, মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে দু দিন উভয় প্রান্ত থেকে চলাচল করবে, মোট চারটি ট্রিপ থাকবে।

বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়া যাত্রীদের ঢাকায় ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আর ভারত থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে।

দিল্লিতে ট্রেনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলওয়ে থেকে আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিলো যে মিতালী এক্সপ্রেস চালু হলে সপ্তাহে চার দিন এটি চলাচল করবে।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রবি ও বুধবার আর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।

পথে হলদিবাড়ি ও চিলহাটি স্টেশনে ট্রেনটি থামার কথা রয়েছে।

নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী নিউজলপাইগুড়ি থেকে বেলা পৌনে বারোটায় ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে দশটায়।

অন্যদিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাত সাড়ে নয়টায় ছেড়ে জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে সকাল সোয়া সাতটায়।

রেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনটির সর্বোচ্চ ভাড়া হবে ৫২৫৫ টাকা।

এটি এসি বার্থের টিকেটের মূল্য।

তবে যারা এসি সিটে যাবেন তাদের টিকেটের জন্য জনপ্রতি ৩৪২০ টাকা দিতে হবে।

আর এসি চেয়ারে যারা যাবেন তাদের ২৭৮০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।

এ ভাড়ার মধ্যেই ভ্রমণ কর অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে যাত্রীদের আর নতুন করে কোন ভ্রমণ কর দিতে হবে না।

আর পাঁচ বছর বয়সের কম যাত্রীদের ভাড়া হবে টিকেট মূল্যের অর্ধেক।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী সর্বোচ্চ ৩৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের মালামাল বিনামূল্যে বহন করতে পারবেন।

রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন আর কলকাতায় টার্মিনাল স্টেশন ও ফেয়ারলিপ্লেস রেলওয়ে বিল্ডিং থেকে মিতালী এক্সপ্রেসের টিকেট পাওয়া যাবে।

মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং সিকিমে যাওয়া বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য আরও সহজ হবে।

আবার সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষদেরও বাংলাদেশে যেতে সুবিধা হবে।

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ জলপাইগুড়ি হয়ে দার্জিলিং ভ্রমণ করে।

ট্রেনটি চালুর পর দার্জিলিং ভ্রমণ আরও স্বাচ্ছন্দ্যের ও কম খরচের হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা, কারণ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের দূরত্ব খুবই কম।

তবে ভারতের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসাকেন্দ্র না থাকায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় অথবা সিকিমের মানুষের জন্য এই ট্রেনসেবা কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে সংশয় আছে।

কারণ কলকাতায় গিয়ে ভিসা করিয়ে কেউ আবার জলপাইগুড়ি এসে ট্রেন ভ্রমণ করে বাংলাদেশে আসবেন না।

ঢাকায় রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

এসএইচ-০৪/০১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

কে চ্যাম্পিয়নের চ্যাম্পিয়ন? আর্জেন্টিনা না ইতালি

একদল জিতেছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা, অন্যদল জিতেছে কোপা আমেরিকা। ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করা দুই মহাদেশ ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকার সেরা দুই দল আর্জেন্টিনা এবং ইতালিকে নিয়ে এবারের আয়োজন, ফাইনালিসিমা। অর্থ্যাৎ চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা।

দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন- আর্জেন্টিনা এবং ইতালির মধ্যে সেরা কে, তা নির্ধারণ হবে আজ রাতে, লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত পৌনে ১টায় টেন ওয়ান সরাসরি দেখাবে ম্যাচটি।

ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম আপাতত শেষ। নতুন মৌসুম শুরু হতে আরও এক-দেড় মাসের অপেক্ষা। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন না হলে হয়তো এখন এই বৈশ্বিক আসরটি নিয়েই ব্যস্ত থাকতো সবাই।

তবে, নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বকাপের অপেক্ষা হলেও, এই সময়ে ফুটবল ভক্তদের হতাশ হওয়ার সুযোগ থাকছে না। যেহেতু দুই মহাদেশের দুই সেরার আয়োজন, সে কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ম্যাচটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছে অনেক বেশি।

দুই দলের ফুটবলারদের দিকে তাকালেই ফুটবলীয় উত্তেজনাটা বেশ টের পাওয়া যায়। একইসঙ্গে দুই দলের র‌্যাংকিং। যদিও ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি এবারের কাতার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে বেশ দাপটের সঙ্গেই কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।

নিজেদের আগের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তুরস্ককে ৩-২ গোলে হারিয়ে ইতালি অবশ্য নিজেদেরকে ট্র্যাকেই রেখেছে। রবার্তো মানচিনির অধীনে চেষ্টা করছে আবারও নিজেদের বিশ্বসেরা হিসেবে তুলে ধরার। বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করতে পারলেও কোচ মানচিনিকেই ধরে রেখেছে আজ্জুরিরা।

অন্যদিকে লিওনেল স্কালোনির অধীনে গত দু’তিনটা বছর বেশ ভালোই কাটাচ্ছেন আর্জেন্টাইনরা। টানা ৩০টিরও বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড তাদের। যদিও নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে আলবিসেলেস্তারা। তবুও লিওনেল মেসিরা আজও ফেবারিট থাকবে ইতালির ওপর।

তবে হেড টু হেডে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ইতালি। মোট ১৬বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এর মধ্যে ৬বার জিতেছে ইতালি এবং ৫বার জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৫টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। এর মধ্যে আবার আর্জেন্টিনাকে ইতালি হারিয়েছে সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে। এরপর চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই জিতেছে আর্জেন্টিনা।

তবে ইতালির জন্য দুঃসংবাদ হলো, ডোমেরিকো বেরার্দি, সিরো ইমোবিলে, ফেডেরিকো চিয়েসা এবং গাইতানো ক্যাস্ট্রোভিলি রয়েছেন ইনজুরিতে। যে কারণে তাদেরকে বাদ দিয়েই দল গঠন করতে হয়েছে রবার্তো মানচিনিকে। জিওর্জিও চিয়েল্লিনিকে দলে রাখা হয়েছে এবং সম্ভবত, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এই ম্যাচটিই হতে পারে ইতালির জার্সিতে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা দলে ইনজুরির শঙ্কা নেই। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর হালকা চোট আছে। এছাড়া বাকি সবাই ফ্রেশ। স্কালোনির স্কোয়াডে মেসি, ডি মারিয়া এবং লওতারো মার্টিনেজরা শুরু থেকেই থাকবেন।

এসএইচ-০৩/০১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মহাদেশীয় ফুটবল যুদ্ধে যেভাবে এলো ‘লা ফিনালিসিমা’

আবার ফুটবলীয় উত্তাপ বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের রেশ কাটতে না কাটতে হাজির আরেকটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইতালির মুখোমুখি দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। বুধবার রাতে মাঠে গড়াচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘লা ফিনালিসিমা’। তবে আশ্চর্যের বিষয় এবারই প্রথম হচ্ছে না এই আয়োজন।

১৯৩০ সালে প্রথম মাঠে গড়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল। সে আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আমেরিকার দল উরুগুয়ে। এর ঠিক পরের বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন ইতালি। সেই থেকেই শুরু ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার মধ্যে ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ২১টি বিশ্বকাপের আসর শেষে যেখানে ১২-৯ ব্যবধানে এগিয়ে ইউরোপ। ইউরোপের পাঁচ দল মিলে ১২ টি বিশ্বকাপ জিতেছে যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে মিলে ৯টি শিরোপা ঘরে তুলেছে। তাই বলাই যায় দুই মহাদেশের মধ্যকার লড়াইয়ের আবেদন দর্শকদের মধ্যে অনেক চড়া।

এই আবেদনে সাড়া দিয়েই বলতে গেলে আয়োজন করা হচ্ছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মধ্যকার এই ম্যাচ। ফিফার অফিসিয়াল টুর্নামেন্টের স্বীকৃতি পাওয়ায় যার শিরোপা গণ্য হবে মেজর শিরোপা হিসেবে। দুই মহাদেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল সেতুবন্ধন বলা যায় একে।

অবাক করার বিষয়, এবার নিয়ে তৃতীয়বার আয়োজন করা হচ্ছে দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নের এই ম্যাচ। ‘লা ফিনালিসিমা’ -গালভরা এমন নামে ডাকা হলেও এটি আসলে ‘কনমেবল-উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়নস’ এর তৃতীয় কিস্তি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল ও ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক উয়েফার বহু পুরনো চুক্তির ফল হিসেবে ২৯ বছর পর আবার মাঠে গড়াচ্ছে এই প্রতিযোগিতা।

কনমেবল ও উয়েফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতি চার বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা মাঠে গড়াবে, যেখানে এই দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হবে। ক্লাব ফুটবলের সুপার কাপ ঘরানার এই প্রতিযোগিতা ১৯৮৫ প্রথমবার মাঠে গড়ায়। সেবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।

উয়েফার সাবেক সভাপতি ও ইতালিয়ান ফুটবল সংগঠক আরতেমিও ফাচ্চির নাম অনুযায়ী এই শিরোপার নাম দেওয়া হয় ‘আরতেমিও ফাচ্চি কাপ’। কথা ছিল, একবার ইউরোপে তো আরেকবার দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজন করা হবে ম্যাচ।

প্রথম আসরে মিশেল প্লাতিনির ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ জিনেদিন জিদানের আইডল এনজো ফ্রানসেসকেলির উরুগুয়ে। সে ম্যাচে হোসে তুরে ও দমিনিক রকেতুর গোলে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স।

চার বছর পর ১৯৮৯ সালে আবার গড়ানোর কথা ছিল ‘আরতেমিও ফাচ্চি কাপ’। কিন্তু ম্যাচের সময়সূচি নিয়ে সেবার একমত হতে পারেনি ইউরো চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ড ও কোপা চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। তাই ফের আয়োজন করতে লেগে যায় ৮ বছর!

১৯৯৩ সালে সেবার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ডেনমার্ক। কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলে তখন ডিয়েগো ম্যারাডোনা ছাড়াও ছিলেন ক্লদিও ক্যানিজিয়া। দলে ছিলেন তখনকার উঠতি তারকা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। অন্যদিকে ১৯৯২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ক দলে পিটার স্মেইকেল, ব্র্যায়ান লাউড্রপ, হেনরিক লারসেনরা। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টিনা সে ম্যাচে সমতায় ফিরেছিল ক্লদিও ক্যানিজিয়ার গোলে। এরপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও আর কোনো গোল হয়নি ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জেতে।

এরপর স্থগিত হয়ে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের জায়গায় ফিফা সব মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজন করে ফিফা কনফেডারেশন কাপ। প্রতি বিশ্বকাপের আগের বছর বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে আয়োজন করা হতো এই টুর্নামেন্ট। ২০১৯ সালে সে প্রতিযোগিতাও বাতিল করে দেওয়া হয়।

কনফেডারেশন কাপ বাতিল হওয়ার পর ফের মাঠে গড়াচ্ছে ‘কনমেবল-উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়নস’। ‘লা ফিনালিসিমা নাম নিয়ে ফেরা এই টুর্নামেন্টের ভেন্যু এবার ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম।

এখন অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রেক্ষণের। বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া ইতালির জ্বালা জুড়ানোর উপলক্ষ্য হবে নাকি লিওনেল মেসি আরও একটি আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পাবে তা জানা যাবে আজ রাতেই।

এসএইচ-০২/০১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ট্রাকচাপায় অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে নিহত ৬

রাজবাড়ীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাচালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরেকজন।

বুধবার সকালে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হ‌লেন, পাংশা পুইজোরের ব‌সির উদ্দিন মিয়ার ছে‌লে অটোরিকশার চালক নাসির (৩২), একই এলাকার মোতালেব মন্ডলের মে‌য়ে ম‌রিয়ম (৪০), স্ত্রী মসিরন বিবি ( ৬০), না‌তি ইউসুফ আলী (৫), নয়ন (৮) ও নাতনি শিলা।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রহমান জানান, ট্রাকটি কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ী যাচ্ছিল।

পথে ওই এলাকায় বিপরীতমুখী একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে চারজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

হতাহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। প্রাথ‌মিকভা‌বে জান‌তে প‌রে‌ছেন নিহতরা সবাই অটোরিকশায় ছিলেন।

এসএইচ-০১/০১/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)