সকাল ১১:২৪
শুক্রবার
১৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৩ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

দক্ষিণী সিনেমা বাংলাদেশে জনপ্রিয়?

মূলত চারটি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা। সেগুলো হলো তামিল, তেলুগু, মালয়লাম ও কন্নড়। তামিল-তেলুগু ভাষার সিনেমাগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি তাদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। শিবাজি থেকে শুরু করে রজনীকান্ত, কমল হাসান এবং এ প্রজন্মের আল্লু অর্জুন ও বিজয় থালাপতি। বেশ ফ্যানবেজ তৈরি করেছেন বাংলাদেশে।

দক্ষিণী সিনেমা আমাদের দেশে জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো- গল্প, অভিনয়, অ্যাকশন। আর তার সঙ্গে তারকাদের লাইফস্টাইল।

গল্প: দক্ষিণ ভারতের সিনেমার গল্প বেশ শক্ত হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে এ সিনেমাগুলো আমাদের দেশের দর্শক দেখেন। ভিন্ন ভাষার সিনেমা হলেও এর সঙ্গে রিলেট করতে পারেন দর্শকরা। তাই দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো এ দেশে বেশ জনপ্রিয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, রোমান্স, থ্রিলার, কমেডি, অ্যাকশান, ড্রামা- যে ঘরানার সিনেমাই হোক না কেন? দর্শক খুব সহজের গল্পে ঢুকে যেতে পারেন। গল্পগুলো এমন ভাবে সাজানো তাতে মনে হয় এটি আমাদের দেশের কোনো অঞ্চলেরই ঘটনা। সিনেমা জীবনের প্রতিচ্ছবি। তার প্রমাণ দক্ষিণী সিনেমাতেই খুঁজে পাচ্ছেন আমাদের দেশের দর্শকরা।

বিজয়, সুরিয়া, ধানুস, বিক্রম, এনটিআর, মহেশবাবু, আল্লু অর্জুন, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআরসহ অনেক তারকার বহু ভক্ত আছে এ দেশে। তামিল সিনেমার গল্প যেসব বিষয়কে নিয়ে করা হয় সেগুলো নিয়ে আমাদের দেশে দেখাই যায় না। কী নেই দক্ষিণী সিনেমায়? পুলিশের সফলতা ও দুর্নীতি, সেনাবাহিনীর ত্যাগ-দেশপ্রেম, কৃষকদের দুরবস্থা, ধর্ষণ, চিকিৎসা ব্যবস্থার অসংগতি, সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থার অসংগতি, নারীর ক্ষমতায়ন, নেতাদের ক্ষমতার অপব্যবহার, আরও কত কী!

অভিনয়: দক্ষিণ ভারতের নায়করা একটি চরিত্রের জন্য বেশ পরিশ্রম করেন। সেটা পর্দায় তাদের দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিটি চরিত্রে তারা বেশ প্রাণবন্ত থাকেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাবলীল অভিনয় করেন তারা। চরিত্রে এমনভাবে ঢুকে যান তাতে মনে হয় বাস্তব কোনো একটি চরিত্রকে আপনি পর্দায় দেখছেন। আর সেটাকেই দর্শক লুফে নেয়।

চেন্নাই শহর হচ্ছে তামিল সিনেমা প্রধান কেন্দ্র। আর তেলুগু ছবির প্রধান কেন্দ্র হায়দরাবাদ। তামিল-তেলুগু ভাষায় কিছুটা মিল থাকায় দুই ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকা দুই জায়গায় কাজ করেন। বাংলাদেশের বেশকিছু সিনেমার কালার গ্রেডিং করা হয়েছে তামিল-তেলুগু থেকে। অনেকে আবার দুই দেশের টেকনিয়াশন দিয়েও কাজ করাচ্ছেন।

অ্যাকশন: তামিল সিনেমার অ্যাকশন মানেই ফ্যান্টাসি। একটা সময় দক্ষিণী সিনেমায় ধুন্ধুমার মারপিট দেখা যেত। এখন তার আমুল পরিবর্তন এসেছে। বাস্তবতার সঙ্গে এর মিল না থাকলেও আমাদের দর্শক সহজেই বুঁদ হয়ে যায় এসব অ্যাকশনে। কিছুদিন আগে অ্যাকশন দৃশ্যে হুবহু বানিয়ে আলোচনায় ছিলেন মাদারীপুরের ছয় তরুণ। লজিস্টিক সাপোর্ট থাকার পরও আমাদের দেশের নির্মাতারা বড়পর্দায় এসব অ্যাকশন দেখাতে পারেন না। অন্যদিকে শুধু মোবাইল আর কিছু অ্যাপস ব্যবহার করেই হুবহু তামিল সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্য বানিয়ে ফেলছেন অনেকে, যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়া। এটা থেকেই দক্ষিণ ভারতের সিনেমার অ্যাকশনের জনপ্রিয়তা অনুমান করা যায়।

বলিউডে প্রভাব: দক্ষিণ ভারতের সিনেমার জয়জয়কারের প্রভাবে পড়েছে বলিউডে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী সিনেমাগুলোর কাছে হার মেনেছে বিটাউনের সিনেমা। সালমান-শাহরুখ ভক্তরাও এখন ব্রিবত হন- অযৌক্তিক অ্যাকশন, মানহীন গল্প, সেই টিপিক্যাল প্রেম এসবের কারণে।

নতুন যারা আসছেন তারাও খুব বেশি ভাঙতে পারছেন না। একজন নাচে ভালো তো অ্যাকশনে দুর্বল। আবার একজন অ্যাকশন ভালো করেন তো অভিনয়ে ভালো না। অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রজনীকান্ত থেকে শুরু করে এ প্রজন্মের আল্লু-প্রভাসরা। বলিউড একের পর এক বায়োপিক নির্মাণ করেও দর্শক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। উল্টো দিকে গল্প, অভিনয়, সিনেমাটোগ্রাফি, অ্যাকশন আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে বেশ এগিয়ে আছে দক্ষিণী সিনেমা।

দেশে জনপ্রিয়তার কারণ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দক্ষিণী সিনেমা নিয়ে অনেক গ্রুপ দেখা গেছে। দেশে দক্ষিণী সিনেমা জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে এসব গ্রুপের ভূমিকাও কম নয়। গ্রুপে ব্যক্তি উদ্যেগে এসব সিনেমার ইতিবাচক রিভিউ করেন। ফলে দেশের অনেকে এসব সিনেমা দেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেন। তামিল, তেলুগু ভাষায় না হলেও হিন্দি ডাবিং করা সিনেমাগুলো বেশ উপভোগ করেন তারা। গেল কয়েক বছরে বলিউডের সিনেমা থেকে দক্ষিণী সিনেমাগুলো বেশি আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশে। প্রভাষের ‘বাহুবলী’, যশের ‘কেজিএফ: চ্যাপটার ওয়ান’, জুনিয়র এনটিআরের ‘আরআরআর’ কিংবা দুলকার সালমানের সিনেমা দেখেননি- এমন লোক পাওয়া দুষ্কর!

দক্ষিণী সিনেমা এ দেশে জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হলো- ফ্যানবেজ। প্রিয় তারকার নতুন সিনেমার জন্য মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা। আরআরআর, কেজিএফ চ্যাপ্টার-২ তারই প্রমাণ। একটু পেছনে যদি যাই, প্রভাষ তার বাহুবলী সিনেমার জন্য পাঁচ বছর কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি। তার ভক্তরাও অপেক্ষা করেছেন। ফলাফল মিষ্টি হয়েছে। বাহুবালী মুক্তির পর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ভক্তরা।

এসএইচ-৩০/০৭/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

পদ্মা সেতু চালু হওয়া নিয়ে ভিন্ন কথা অর্থমন্ত্রীর

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে নয়, নির্ধারিত সময় জুনেই চালু হবে পদ্মা সেতু।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষে নয়, বরং অর্থবছরের শেষদিকে চালু হবে পদ্মা সেতু। টোলের টাকা দিয়ে খরচ মেটানোর পাশাপাশি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

কবে খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন চালু হবে সেতু। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পদ্মা সেতুর কিছু সরঞ্জাম পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ছয় মাস পেছাতে পারে বলে বুধবার (৬ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

একই দিনে সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইঙ্গিত দিয়েছেন বছর শেষে সেতু চালুর বিষয়ে।

তবে, একদিনের ব্যবধানে তার ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানালেন, বছর শেষ বলতে অর্থবছরের শেষ বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ জুনেই চালুর বিষয়ে আশাবাদী সরকার।

এছাড়াও অর্থমন্ত্রী জানান, সেতুর টোলের মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় তুলে লাভ করতে চায় সরকার। লাভের অর্থ ব্যয় করা হবে অন্য প্রকল্পে। তবে এখনো টোলের হার নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

এর আগে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

এসএইচ-২৯/০৭/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নারীদের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত বিজিবি সদস্য, আসামি ছিনতাই

কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আটক এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উখিয়ার বালুখালীর পূর্ব ফাঁড়ির বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মো. মেহেদি হোসাইন কবির এ তথ্য জানান।

বিজিবির এ কর্মকর্তা জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. বখতিয়ার (৪২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে বিজিবি। তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় বখতিয়ার এবং পালংখালীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে টহল সদস্যদের ওপর পাথর, ইট এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

অর্ধশতাধিক নারী বিজিবি সদস্যদের হাত ও শরীরে কামড় বসিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। বিজিবি সদস্যরা নারী ও শিশু বিবেচনায় বল প্রয়োগে বিরত থাকার সুযোগ নিয়ে আটক আসামিকে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

মো. মেহেদি হোসাইন কবির আরও জানান, মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’নীতি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে মাদকসন্ত্রাসীদের সহায়তাকারী নারী বা বৃদ্ধ যেই হোক না কেন, সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং যথাযথ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সরকারি কাজে বাধা, বিজিবি সদস্যদের জীবনের হুমকি সৃষ্টিকারী আক্রমণ মোকাবিলায় কঠোর থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এসএইচ-২৮/০৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যে সওয়াব মিলবে অন্যকে ইফতার করালে

রহমতের মাস রমজান। ক্ষমা ও নাজাতের মাসও এটি। এ মাসের বিশেষ আমল অন্যকে ইফতার করানো। কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে সমপরিমাণ সওয়াব মিলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসের একাধিক বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। অন্যকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে কী বলেছেন নবিজী?

কোনো রোজাদারকে ইফতার করানো একটি ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। রোজাদারকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সওয়াব বৃদ্ধি এবং গুনাহ মাফের আমল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে পাবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না। সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।’

হজরত যায়েদ ইবনে জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালো, তারও (ইফতার করানো ব্যক্তির) রোজাদারের ন্যায় সওয়াব হবে; তবে রোজাদারের সওয়াব বা নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে রোজাদারকে ইফতার করালো, তাকে পানাহার করালো, তাকেও রোজাদারের সমান সওয়াব দেওয়া হবে; তবে তার (রোজাদারের) নেকি বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না।’ (তাবরানি, মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক)

ইফতার করার দাওয়াত পেলে করণীয়

যদি কেউ কাউকে ইফতারের জন্য দাওয়াত দেয় তবে তার করণীয় কী হবে; এ প্রসঙ্গে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি বর্ণনা রয়েছে। তিনি তাঁর নিজ ভাষায় বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেছেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘তাঁকে এক নারী ইফতারের জন্য দাওয়াত করলো, তিনি তাতে সাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘আমি তোমাকে (নারী) বলছি, যে গৃহবাসী কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সওয়াব হবে।নারী বলল, ‘আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন, বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন, ‘আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার অর্জন করুক।’ (মুসান্নেফে ইবনে আব্দুর রাজ্জাক)

হাদিসের আলোকে বুঝা গেলো যে, অন্যকে ইফতার করানো ফজিলতপূর্ণ আমল। কারণ ইফতার করানোর কারণে সারাদিন উপোস থেকে রোজা রাখার মাধ্যমে রোজাদার যে সওয়াব পাবে। শুধু ইফতার করানোর কারণে ওই ব্যক্তির রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে। এর চেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল ও সওয়াবের কাজ আর কী হতে পারে।

সুতরাং মহান আল্লাহ তাআলার অসীম অনুগ্রহ যে, তিনি বান্দার জন্য কল্যাণে ভিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। যেমন তিনি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার আহ্বান জানিয়ে সওয়াবের ঘোষণা দিয়েছেন। রোজাদারকে ইফতার করানো ঘোষণাও কল্যাণের আহ্বান।

রোজাদারকে ইফতার করানো ফজিলতপূর্ণ আমল। যে রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে সারাদিন রোজা পালনকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ নেকি লাভ করবে। রোজাদারকে ইফতার করালে তার প্রতিদান আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে প্রদান করবেন, রোজাদারের পক্ষ থেকে নয়। এ কারণেই রোজাদারের কোনো নেকি হ্রাস করা হবে না। এটা বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ।

মনে রাখা জরুরি

ইফতারের দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ ও কল্যাণের কাজ। কোনো অজুহাতে বা নেকি কমে যাওয়ার আশংকায় ইফতারের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়। আবার কেউ যদি কোনো গরীব রোজাদারকে ইফতারের জন্য আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে; তাতে সে ওই টাকায় ইফতারও করলো; আবার কিছু বাচিয়ে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হালো; এটাও ইফতার করানোর অন্তর্ভূক্ত হবে। আর গরীব ব্যক্তিও আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।

তবে ইফতারের দাওয়াত যদি অসহায় গরীব-দুঃখীর জন্য হয় তবে সেখানে ধনী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করা ঠিক নয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব রোজাদারকে পারস্পরিক দাওয়াত ও সদাচরণ বিনিময়ের তাওফিক দান করুন। অস্বচ্ছল, গরীব-দুঃখীর মাঝে ইফতার ও ইফতার করার জন্য অর্থ দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএইচ-২৭/০৭/২২ (ধর্ম ডেস্ক)

তরুণরাও নেমে এলো শ্রীলঙ্কার রাস্তায়

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জেরে শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে রাস্তায় নেমেছে দেশটির তরুণরাও।

দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের পরও পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তে অনড় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এদিকে, চলমান সঙ্কট নিরসনে শ্রীলঙ্কায় আরও ৭৬ হাজার টন ডিজেল ও পেট্রোল পাঠিয়েছে ভারত। যদিও ভারতের এ ঋণ সহায়তা বিক্ষোভ দমাতে কোনো কাজে আসছে না বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রকট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এবার রাস্তায় নেমেছেন দেশটির তরুণরা। বুধবারও টানা তৃতীয় দিনের মতো ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কয়ারের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপর দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানান তারা। এ সময় আবারও সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধরা।

একজন বলেন, আমরা টানা তৃতীয় দিনের মতো এখানে জড়ো হয়েছি। সরকার যতদিন না আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নেয় আমরা এখান থেকে সরবো না। সরকার আমাদের দমানোর চেষ্টা করছে। তারা আমাদের ওপর অব্যাহত যে নির্যাতন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের এ প্রতিবাদ। শ্রীলঙ্কার তরুণরা কখনোই এই নির্যাতন চলতে দেবে না।

দেশজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হলেও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশটির সড়কমন্ত্রী জনস্টন ফার্নান্দো গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। সরকারের শীর্ষ পদে গোতাবায়ার পরিবারের সদস্যদের ঠাঁই ও বেহাল অর্থনৈতিক দশা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যেই ৪২ আইনপ্রণেতা সরকারি জোট ছেড়ে দিলেও পদত্যাগ না করা সিদ্ধান্তে অনড় গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎতের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। এরইমধ্যে চলমান সংকট সমাধানে ভারতের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে গোতাবায়া সরকার। একশ’ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার আওতায় এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে জ্বালানি ও চাল সরবরাহ করেছে নয়াদিল্লি। সবশেষ বুধবারও কলম্বোকে ৩৬ হাজার টন পেট্রোল ও আরও ৪০ হাজার টন ডিজেল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মোদি সরকার। তবে বিক্ষোভ দমাতে ভারতের এ ঋণ সহায়তাও তেমন কোনো কাজে আসছে না বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

এদিকে বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, সামনে আরও কঠিন দিন আসছে। দেশের অর্থনৈতিক সংকটে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের অনাহারে থাকার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। খাদ্য ও তীব্র জ্বালানি ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ সংকট পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

এসএইচ-২৬/০৭/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

করোনায় মৃত্যু নেই, বেড়েছে শনাক্ত

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এতে ভাইরাসটির সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৩ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্যদিকে এই ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ৪৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৭ জনে।

এর আগের দিন গত বুধবার (৭ এপ্রিল) ৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৭৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।

এ ছাড়া এ সময় নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬২৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৩ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী টিকাকরণের ফলে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বর্তমানে মানুষ অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করেছে। কিছুদিন ধরেই কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর গ্রাফ নিম্নমুখী।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ২ হাজার ৫৯৮ জন। এ সময় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৭৪ জন।

এর আগে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৯ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮২ জনের।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৪ হাজার ৬১২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৪ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬১ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ জন।

এসএইচ-২৫/০৭/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরাতে আবারও চিঠি দিতে অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যদি কোনো বাধা-বিপত্তি থাকে সে ক্ষেত্রে আলোচনা করতে রাজি আছে বাইডেন প্রশাসন। এ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে, কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা হয়েছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান আইনমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

এসময় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য আবারও চিঠি দিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে অনুরোধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে আছেন। তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। রাষ্ট্রদূতকে পরিষ্কার বলা হয়েছে এ দাবির বিষয়ে।

এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিষয়টিকে একটা বার্নিং ইস্যু মন্তব্য করে, এসব ইস্যু দ্রুত ফয়সালা করা দরকার বলে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কথা জানান আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, এ ইস্যুতে দু’দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হোক সেটি রাষ্ট্রদূতও চান না। এ বিষয় নিয়ে কিছু মডালিটির আলাপ হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেই মডালিটি অনুসারে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

বৈঠকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কখনোই বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেনি। এর ফলে গণমাধ্যম মুক্তভাবে তাদের সংবাদ পরিবেশন করতে পারছে।

এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, মানবপাচার এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেবে তারা।

এসএইচ-২৪/০৭/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

এ বছর ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর নতুন করে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়েছে।

গত বছর তিনটি গুচ্ছে ২৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। গুচ্ছ তিনটি হচ্ছে- সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং কৃষি ও কৃষি প্রধান।

এবছর গুচ্ছভুক্ত নতুন তিন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় জানানো হবে।

তবে এ বছর প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন হতে পারে।

বৃহস্পতিবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপাচার্যদের মনোনীত প্রতিনিধিরা।

সভায় গুচ্ছের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি, ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল ও ভর্তির সময় প্রকাশ করা, কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট এর প্লেসমেন্ট, মাইগ্রেশনের সময় নির্ধারণ, ভর্তি ফি একবার প্রদানের সুপারিশ করে ইউজিসি। এছাড়া ইউজিসির পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফি যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কম হয় এমন বিভাগগুলোর আসন সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

এছাড়া কোন সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এবং দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

সভায় উপাচার্যরা গুচ্ছের বাইরে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পরামর্শ দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা প্রয়োজনে এ চার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদা গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহসী ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরে থাকা আট বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভারতের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) আদলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে অবগত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে। তিনি গুচ্ছ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সাবজেক্ট পছন্দ ও মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া এবং যৌক্তিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফি নির্ধারণের পরামর্শ দেন।

সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এ পদ্ধতিতে পরীক্ষার সফলতার মাত্রা অনেক বেশি। এবছর ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করা হবে এবং এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

এসএইচ-২৩/০৭/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)

কয়েক দিন পর পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন আর কয়েকটা দিন দেখো, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কিভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো যায়। কৃষক যাতে দাম পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার জেলার ঘিওর উপজেলার বাগ-বানিয়াজুরী এলাকায় ব্রি-ধান ৯২ জাতের বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যদি কৃষির উন্নয়ন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে, কারণ কৃষির ওপর দাঁড়িয়ে সকল উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশে যদি কৃষি কাজ না হয় তাহলে দেশ টিকে থাকবে না। এই যে ইউক্রেনে যুদ্ধ হচ্ছে আর এখন ইউক্রেন থেকে গম আসতেছে না। তারাই মূলত সারাবিশ্বে গম সরবরাহ করে থাকে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ভোজ্যতেলের জন্য প্রতি বছর আমাদের ২৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হয়। এখন বিদেশ থেকে তেল আসছে না। যে তেল ছিল ৬০০ ডলার টন সেই তেল এখন ২ হাজার ডলার টন। বিএনপির শাসন আমলে তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। বর্তমান সরকারের আমলে এক জন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি, যদি কেউ এই রকম প্রমাণ দিতে পারে তবে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খাঁন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহসহ অন্যরা।

এসএইচ-২২/০৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

রামেক হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট হবে না

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থাপন হলো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক (ভিআইই)। সেন্ট্রাল এই অক্সিজেন প্লান্টের ধারণ ক্ষমতা ৩০ হাজার লিটার।

ফিতা কেটে এটি উদ্বোধন করেন- রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। এ সময় রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশের কোনো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এতো বড় লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক (ভিআইই) নেই। কোভিড চলাকালীন হাসপাতালের অক্সিজেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের দ্বায়িত্ব তার ওপর দিয়ে ছিলেন- হাসপাতাল পরিচালক। কোভিড ওয়ার্ডে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল তার। অক্সিজেন সরবরাহ কোম্পানির কারখানা যমুনা নদীর ওপারে থাকায় জরুরি সময়ে এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো তাকে।

একদিন লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই সময় অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা গেলে সরবরাহ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়ে ছিলেন তিনি। যদিও ওই সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনোভাবে এড়ানো গেছে। তবে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন যে, এটার ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

সেই ধারাবাহিকতায় ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক পরিবর্তন করে লিন্ডে কোম্পানি বিনা মূল্যে রামেক হাসপাতালের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এটি স্থাপন ও কার্যক্রম শুরু করলো। দেশের কোনো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এতো বড় লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক এখন পর্যন্ত নেই।

এসএইচ-২১/০৭/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)