সকাল ৭:১৩
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমা সরিয়ে নেওয়ার কারণ জানালেন সৌদ

গত শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘শ্যামা কাব্য’। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি ও সনি স্কয়ার শাখায় দেখা যাচ্ছিল সিনেমাটি। মুক্তির তৃতীয় দিন রোববার (৫ মে) বেশ কিছু অভিযোগ তুলে স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে শ্যামা কাব্যর প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ।

এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের বিষয়টি জানান নির্মাতা। পরে সিনেপ্লেক্সের ওয়েবসাইটেও ‘শ্যামা কাব্য’ সিনেমার প্রদর্শনীর তথ্য মুছে ফেলা হয়।

বদরুল আনাম সৌদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, প্রথম দিন পর্দার সমস্যার কারণে দর্শক সিনেমাটি ভালো করে দেখতে পারছিলেন না। এ কারণে প্রথম দিনের একটি হাউসফুল শো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরদিন হল পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করা হয়। দ্বিতীয় কারণ হলো, পরের দিন দেখা গেল, একটি দৃশ্য শেষ না করে ওই দৃশ্যের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যবিরতি দেওয়া হচ্ছে। বিরতির পর শুরু হচ্ছে সেই দৃশ্যের পর থেকে।

সর্বশেষ টিকিট বিক্রির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাতা। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। কিন্তু প্রদর্শনী টাইম নিয়ে তার আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনুরোধ করার পরেও যে সময়টায় হলে দর্শক কম থাকে, সেই মর্নিং শোতে রাখা হয় শ্যামা কাব্যর প্রদর্শনী। তাই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে শ্যামা কাব্য সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিজের এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে সৌদ লেখেন, ‘হিসাবের গরমিলটা আমি আপলোড করিনি এবং চাইও না।’ আরেকটি মন্তব্যে তিনি লেখেন, ‘কেউ সম্ভবত এর আগে সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমা তুলে নেয়নি। আমি নিলাম।’

সিনেমাটি না চললে নামিয়ে নেওয়া হবে, সিনেপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বারবার এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছিল দাবি করে সৌদ বলেন, ‘তাদের এত প্রয়োজন নেই কাউকে, সবাই তো তাদের কাছে ধর্না দেয়। আমার মনে হয় না অন্য কেউ স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তিন দিনের মাথায় নিজ দায়িত্বে ছবি তুলে নিয়েছে। এর কারণ, তারা যে মানসিক নির্যাতনটা করে থাকে একজন নির্মাতা-প্রযোজককে, সেটা থেকে বের হতে চেয়েছি। সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।’

এ বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন তারা হলের প্রজেকশন নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিল। পরদিন হল পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অফিশিয়ালি আর কোনো অভিযোগ তারা আমাদের জানায়নি, বরং আজ (গতকাল) ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান অফিশিয়ালি মেইল করে সিনেমাটির প্রদর্শনী বন্ধের জন্য বলেছে, তাই আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। ওই স্লটে ‘কাজলরেখা’ চালাচ্ছি।’

মনস্তাত্ত্বিক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘শ্যামা কাব্য’। বিভিন্ন চরিত্রে সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নীলাঞ্জনা নীলা, ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনি, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।

এসএ-০৪/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

নিজের সৌন্দর্যের রহস্য জানালেন মমতাজ

বাংলাদেশের লোকগানের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ। যাকে বলা হয় বাংলা ফোক গানের সম্রাজ্ঞী। গ্রাম-শহর পার করে মমতাজের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও ব্যাপক সক্রিয় মমতাজ। ছিলেন সংসদ সদস্য। গান ও রাজনীতি দুটোই সমানতালে সামলে চলেন তিনি। গেল রোববার ছিল এই গায়িকার জন্মদিন। ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে বিশেষ এই দিনটি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মমতাজ। সেখানে বেশ কিছু কনসার্টে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। নিজের জন্মদিন যুক্তরাষ্ট্রেই কাটিয়েছেন এই শিল্পী।

মমতাজ জানান, জন্মদিনে ঘরোয়া আয়োজনে কেক কাটেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিল বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন, নীলিমা শশীসহ অনেকে। তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তিনি।

যেখানে মমতাজ বলেছেন, ‘জন্মদিনটা এত পুরোনো হয়ে গেছে ফেসবুক না থাকলে হয়তো ভুলেই যেতাম। ধন্যবাদ সবাইকে, যারা এদিনটি মনে রেখে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

সবশেষ নিজের রূপের রহস্যও জানিয়েছেন এই গায়িকা। ভক্তদের দিয়েছেন টোটকা। মমতাজ বলেন, ‘মন সুন্দর রাখলে ৬৩ বছর বয়সেও আমার মতো সুন্দর ও সুস্থ থাকবেন।’

জানা গেছে, গেল ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ফোক গানের এই শিল্পী। বর্তমানে দেশটিতে আয়োজিত বিভিন্ন স্টেজ শোতে অংশ নিচ্ছেন তিনি। ফিরবেন চলতি মাসের শেষ দিকে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরে জন্মগ্রহণ করেন মমতাজ। তার বাবা মধু বয়াতিও গান করতেন। তার কাছেই মমতাজের গানের হাতেখড়ি। পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গানের তালিম নেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে ৭০০ শতাধিক গানের রেকর্ড করেছেন মমতাজ। পাশাপাশি তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।

এসএ-০৩/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

‘ফিল্মের মানুষ কোনো দিন আপন হয় না’

ওমর সানী ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি। এই অভিনেতা ১৯৬৯ সালের ৬ মে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের উৎসাহ আর বাবার অনুপ্রেরণায় রুপালি দুনিয়ায় পথচলা শুরু হয় তার। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।

শুভ জন্মদিনে জীবনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ঝুলি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন এক সময়ের দাপুটে এই নায়ক। এক সময় জন্মদিনকে জমকালো আয়োজনে উদযাপন করলেও এখন তা করছেন না। না করার কারণও জানিয়েছেন ওমর সানী। তাছাড়া বিয়ের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ছাড়া জন্মদিন পার করছেন ওমর সানী।

বিয়ের পর এবারই কি প্রথম জন্মদিন যে আপনার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী পাশে নেই? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওমর সানী বলেন, একদমই তাই। তাই খালি খালি লাগছে। তবে আমার জন্মদিন তো সেদিন থেকেই খালি খালি হয়ে যায়, যেদিন আমার আম্মা মারা যান। ২০০০ সালের এই মাসের ২৩ তারিখেই আম্মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। এরপর থেকে এই দিনে ভাষাহীন থাকি। কিছুই ভালো লাগে না। বিবর্ণ থাকি। আমি চাইও না দিনটা উদ্যাপনের। এরপর আর তেমনভাবে কখনো হয়নি। আমি পণ করেছি, যত দিন বাঁচি আর দাওয়াতের ধারেকাছেও যাব না। নিজেও কাউকে অযথা দাওয়াত দেব না।

কেন সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নায়ক বলেন, মান্না ভাইয়ের কথাটাই সঠিক। ফিল্মের মানুষ কোনো দিন আপন হয় না। এটা উপলব্ধি হতে হতে আমার একটু সময় লেগে গেছে তো, তাই আমি চাই না। চার-পাঁচ বছর আগে মান্না ভাইয়ের কথাটা আমাকে ভালোই নাড়া দেয়। কিন্তু আমি একটু স্টুপিড তো, গাধামার্কা—তাই বুঝতে বুঝতে সময় লেগে গেছে বেশি। এখন এই কথা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি। আমাকে অবশ্য মৌসুমী অনেক আগে থেকেই বলছে- ‘খামাখাই এসব করো। মনে রেখো, কেউ কারও না।’ এসব করে সত্যি বলতে কোনো লাভ নেই, এখন বুঝছি। প্রচুর টাকা ব্যয় করেছি। আমি আর চাইও না কেউ আমাকে দাওয়াত দিক। আসলে যতই এদিক-সেদিক থাকি না কেন, দিন শেষে পরিবারই সবচেয়ে বেশি আপন। তাই পরিবারে মগ্ন আছি। এর বাইরেও আরেকটা পণ করেছি।

কী সেই পণ? জবাবে ওমর সানী বলেন, ঢাকায় না থাকার পণ। ঢাকাতে এখন সেভাবে এমনিও থাকি না। বসুন্ধরায় যদিও বাসা আছে, তারপর থাকা হয় না বেশি সময়। আমি একটু লোকালয়ে চলে যেতে চাই। এখন গ্রাম বেশি টানে। ঢাকায় যানজটে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

এদিকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর প্রেমে জড়ান এই অভিনেতা। এরপর ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন তারা। এখন শোবিজের অন্যতম সফল জুটি তারা। এই দম্পতির সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছেন। বর্তমানে মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

এসএ-০২/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষত ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

তিনি আরও বলেন, লোডশেডিং এখন কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা ছিল। কারণ, জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো (লোডশেডিং) প্রথম দিকে ছিল। এখন ৫০০ থেকে জিরোর দিকে চলে আসছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটি ভালোর দিকে যাবে।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমাদের জেনারেশনে যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।

এআর-০৫/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সংসদে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা করা হবে। আরও আলোচনা–পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে বিষয়টি দেখা হবে।

সোমবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম ও ফরিদা ইয়াসমিনের পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর–পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

রফিকুল ইসলাম তাঁর প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার যে বয়সসীমা রয়েছে, তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যাওয়া যৌক্তিক হবে। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুবসমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবেন।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তাদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরে যাওয়ার বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি চাকরিতে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতনকাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতনকাঠামো এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সব সময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট (সদ্য স্নাতক পাস) যারা, তাদের রিক্রুট (নিয়োগ) করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি (নীতি)। আমরা বিসিএসের মাধ্যমে দেখে থাকি, ২২–২৩ বছর বয়স থেকেই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। তারা ৬–৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ জন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে, সেটা চিন্তাভাবনা করে থাকি। তবে মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স আগামীতে বাড়াব কি বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কি না—এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ‍–আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধা সরকারি পত্র দিয়েছেন বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, তা তিনি জানতে চান।

শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে তাঁরা এ ধরনের একটি পত্র পেয়েছেন জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ–আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।’

এআর-০৪/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার

বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার আছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার।

সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, যাঁরা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বিবিএস এই নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এদিকে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তাঁরা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।

এআর-০৩/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

ইমরোজ শাওনের পরিচালনায় ফিরছেন জোভান-তিশা জুটি

ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিন তিশা, জুটি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। যদিও মাঝে হঠাৎ করেই অজানা কারণে দু’জনের যৌথ পথচলায় ছেদ পড়েছে। টানা দুই বছর দেখা যায়নি নতুন কোনও নাটকে।

অবশেষে সেই বিরতি ভেঙে ফের এক ফ্রেমে দাঁড়ালেন জোভান-তিশা জুটি। আর এই কাজটি করেছেন তরুণ নির্মাতা ইমরোজ শাওন। যোবায়েদ আহসানের রচনায় সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত বিশেষ এই নাটকটির নাম ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’।

সদ্য শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে জোভান অভিনয় করেছেন রাকিব চরিত্রে আর তিশারে নাম রিদা। দু’জনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে অন্যজন সাংস্কৃতিক ক্লাবের।

নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা ইমরোজ শাওন বলেন, ‘তার মানে এই নয়, দুটি দলের প্রধান বলে তাদের মধ্যে মধুর বা প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গল্পে মূলত তাদের দেখা যাবে বিরোধী অবস্থানে। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটে তাদের এই বিরোধের জেরে। গল্পটা প্রেমের বটে, তবে এটি দেখলে মূলত ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাবেন দর্শকরা।’

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ নাটকটি শিগগিরই উন্মুক্ত হবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

এসএ-০১/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

চার জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৬ জনের

চার জেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে শরীয়তপুরের দুই উপজেলায় তিনজন, সিলেটের কানাইঘাটে একজন, নেত্রকোণার আটপাড়ায় একজন ও ফরিদপুরের মধুখালীতে একজনের মৃত্যু হয়।

শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ও বিকেলে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম।

অন্যদিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম স্বামীর জন্য দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই ঝড়সহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম মারা যান।

এছাড়াও জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুরচরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুল হান্নান নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুরচর এলাকার সরল খার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সিলেটের কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মাহতাব উদ্দিন মাতাই (৪৫) নামে এক ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার দীঘিরপার ৩নং পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন মাতাই উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে।

ফরিদপুরের মধুখালীতে বজ্রপাতে মুরাদ মল্লিক (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন মো. কামরুজ্জামান (৪৫) নামের আরেক কৃষক। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কামালদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালিদ হাসান বলেন, দুই কৃষক মীরেপাড়া গ্রামের একটি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদ মল্লিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণার আটপাড়ায় বোরো জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মো. দিলওয়ার মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দিলওয়ার মিয়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

আটপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে দিলওয়ার নিজের জমির ধান কাটতে হাওরে যান। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এআর-০২/০৬/০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টের নাটক সাজান মা

চুয়াড়াঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় সাত বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টের নাটক সাজান মা পপি খাতুন। হত্যার দুই মাস পর তদন্তের পর এমনই তথ্য জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান।

সোমবার (৬ মে) সকালে এক নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দোষ স্বীকার করে নিজের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। ৭ বছরের শিশুকন্যা মাইশাকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাইশা মারা গিয়েছে এমন নাটক সাজিয়ে মোবাইল ফোনের চার্জার তার গলায় জড়িয়ে রাখেন। হত্যাকারী মা পপি খাতুন আলমডাঙ্গা ভোগাইল বগাদি গ্রামের বাসিন্দা।

আরএম ফয়জুর রহমান জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাইশা খাতুন নামে ৭ বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়। মোবাইল চার্জার নিয়ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা মামলার তদন্ত করার সময় মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে শিশুটিকে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় শিশুকন্য মাইশার শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরই ভিত্তিতে গত ৩ মে নিহত মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমানসহ মামলার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেয়ে মা পপি খাতুনের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি তার পারিবারিক কারণে নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান।

মাইশা খাতুন ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলে মায়ের সাথে মাইশা নানা বাড়িতেই থাকতো।

এআর-০১/০৬/০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে নিহত অন্তত ৪

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারের অন্তত চার সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় ওই চার লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

দেশটির সীমান্তের গ্রাম মেইস আল জাবালে ওই চার নাগরিক নিহত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মাঝে নিয়মিত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মেইস আল জাবাল।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, বিমান হামলার প্রতিশোধে লেবানন সীমান্তের পার্শ্ববর্তী ইসরায়েলি উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শমোনা শহরে অন্তত ১০টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে তাদের যোদ্ধারা।

অক্টোবর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উভয়পক্ষ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত রয়েছে।

অক্টোবরে লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ২৫০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহত হয়েছেন আরও ৭৫ জন বেসামরিক। ইসরায়েলের একাধিক সূত্র বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএ-২০/০৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)