দুপুর ২:৩৩
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সাত জেলায় সাত বিয়ে!

প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে বিয়েকে বেছে নেন শাকিল আজাদ (২৯) নামে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার এক যুবক। যেখানে বিয়ে করেন ওইখানে নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী।

প্রত্যেক শ্বশুরবাড়ির এলাকার বেকার যুবকদের কাতারে নেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেন টাকা পয়সা। এমন করে ৭ জেলায় ৭টি বিয়ে করেন ওই প্রতারক। পরে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।

অবশেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

বুধবার কুমিল্লা র‌্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে তার বিয়ে ও প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মেজর সাকিব জানান, গ্রেফতার শাকিল আজাদ প্রতারণার মাধ্যমে কুমিল্লা,চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, নীলফামারী ও ফরিদপুরে বিয়ে করেন। শাকিল আজাদ প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আগে ওই এলাকার নিম্ন আয়ের পরিবার খোঁজেন। সেই পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দান খয়রাত করেন। নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী হিসেবে। তারপর শ্বশুরবাড়ির এলাকার বেকার যুবকদের কাতার নেওয়ার কথা বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে উধাও হয়ে যান।

তিনি জানান, প্রতারণার শিকার বেকার যুবকরা প্রতারকের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে টাকার জন্য চাপ দেন। এমন ঘটনায় একদিকে কন্যাকে নিয়ে দুঃচিন্তা, অন্যদিকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এলাকার যুবকদের চাপ সব মিলিয়ে অসহ্য হয়ে উঠতো ওই পরিবারের মানুষদের জীবনযাপন।

‘আজাদ চতুর্থ বিয়েটি করেন খুলনায়। সেখানের মানুষজনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসে। ওই ঘটনা ২০১৮ সালের। পরে এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ে ওই পরিবারটি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে ১৫ দিন আগে আজাদের চতুর্থ স্ত্রী কুমিল্লা র‌্যাব অফিসে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

কমান্ডার সাকিব আরও জানান, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আজাদের পাসপোর্টটি বাতিল করে। পরে তিনি ছদ্মবেশে চট্টগ্রামে একটি বেকারি খোলেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এসএইচ-২৩/২৬/৩৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বউ ভাগিয়ে নেওয়ায় তুমুল সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বউ ভাগিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার পোড়াদিয়া বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কফাই বালিয়া গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের ছেলে আনিস মাতুব্বর (২৮) একই গ্রামের জলিল ফকিরের ছেলে শাহিন ফকিরের স্ত্রীকে প্রায় ১ মাস আগে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে স্থানীয় পোড়াদিয়া বাজারে আনিসের ছোট ভাই সুজনের সঙ্গে শাহিন ও তার ভাই রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

উত্তেজনার এক পর্যায়ে আনিসের বাবা মুন্নু মাতুব্বরকে সমর্থন দিয়ে স্থানীয় ওয়াদুদ মাস্টার ও শাহিনের বাবা জলিল ফকিরকে সমর্থন দিয়ে স্থানীয় সাহেদ আলীর সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, সড়কি, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- সাহেদ আলী গ্রুপের জামাল মিয়া (৪৫),ওবায়দুর মিয়া (৫২), আক্কাস মিয়া (৫৫), ছত্তার মিয়া (২৭), রাজ্জাক মিয়া (৭৫) এবং ওদুদ মাস্টারের গ্রুপের শহিদুল ইসলাম (৪৫),কবির মাতুব্বর (৬৫) ইমদাদুল মিয়া (৪৭), ওহিদুল ইসলাম (৩২), সিরাজুল ইসলাম (২৩) প্রমুখ। আহতরা সবাই নগরকান্দা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা খান বলেন, কফাই বালিয়া গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ সময় দুই পক্ষের মাতুব্বর ও সমর্থকদের বুঝিয়ে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করি।

নগরকান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান, বলেন সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

এসএইচ-২২/২৬/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

করণ জোহরের সিনেমায় সামান্থার নতুন আইটেম সং

বলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজক করণ জোহরের ‘লাইগার’ নামের নতুন ছবিতে স্পেশাল আইটেম গার্ল হতে যাচ্ছেন দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভু। সেখানে লাইগারের নায়ক বিজয় দেভরাকোন্ডা থাকবেন সামান্থার সঙ্গে।

এক আইটেম গানে নেচে ঝড় তুলেছেন সামান্থা। বক্স অফিস হিট ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ নামের নতুন ছবির ‘ও অন্তাভা’ শিরোনামের একটি গান। যে গানে নেচে পাঁচ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন এ অভিনেত্রী। প্রথমে আইটেম গানে নাচতে রাজি হননি সামান্থা। পরে আল্লু অর্জুনের কথাতেই রাজি হন তিনি। আর সেই এক গানে নেচেই ভাইরাল দক্ষিণী তারকা।

এরই মধ্যে বিভিন্ন নেট মাধ্যমে সামান্থার ড্যান্স ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল্লু অর্জুন ও রাশ্মিকা মান্দানা। সামান্থার ভক্তদের জন্যই আবারো একই রকম চমক আসতে চলেছে।

‘লাইগার’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে অভিনেতা বিজয়ের। ছবির পরিচালক-প্রযোজক সবাই চাইছেন, সামান্থা আইটেম গানটি করুক। যদিও গানটি সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য এখনো জানা যায়নি। অ্যাকশন ঘরানার এ ছবিতে বিজয়ের নায়িকা হিসেবে থাকবেন অনন্যা পান্ডে।

গেল বছর মনোজ বাজপেয়ীর ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ ওয়েবসিরিজে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন সামান্থা। সেখান থেকেই মূলত চোখে পড়েন এই দক্ষিণী অভিনেত্রী।

ওয়েবসিরিজে কাজের প্রশংসা পেয়ে সামান্থা বলেন, যা পেয়েছেন তা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। তিনি কখনই এত ভালো রেস্পন্স আশা করেননি। কিন্তু এখন তার মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার আত্মবিশ্বাস জন্মেছে বলেও জানান অভিনেত্রী।

এসএইচ-২১/২৬/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

বাড়িতেই গাঁজা চাষের অনুমতি

থাইল্যান্ডে মাদকের তালিকা থেকে গাঁজা বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকী বাসাবাড়িতে গাঁজা চাষের অনুমতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। খবর সিএনএনের

এর আগে ২০১৮ সালে চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যের স্বার্থে গাঁজা ব্যবহারের বৈধতা দিয়েছিল থাইল্যান্ড।

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চরনভিরাকুল জানান, নতুন আইন অনুযায়ী গৃহস্থালিতে গাঁজা চাষ করা যাবে। এজন্য কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হবে। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশে গাঁজা ব্যবহার করা যাবে না।

তবে আইনটি এখনও প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হয়নি। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের ১২০ দিন পর বাড়িতে গাঁজা চাষ করা যাবে বলে আইনে উল্লেখ আছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। তাতে গাঁজার ব্যবহার, বাণিজ্যিক চাষ ও বিক্রি সম্পর্কে নির্দেশনা রয়েছে।

খসড়া বিল অনুযায়ী, সরকারকে না জানিয়ে বাড়িতে গাঁজা চাষ করলে ২০ হাজার থাইমুদ্রা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া নিবন্ধন ছাড়া গাঁজা বিক্রি করলে ৩ বছরের জেল বা ৩ লাখ থাইমুদ্রা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এসএইচ-২০/২৬/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের (কনমেবল) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে পৃথক পৃথক ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে চিলির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। তার আগে সোয়া তিনটায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে লড়বে ব্রাজিল।

চিলি ম্যাচ বাদেও আর্জেন্টিনা ২ ফেব্রুয়ারি খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে মেসিকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণা করে আলবিসেলেস্তে শিবির। মেসির বাদ পড়ার কারণ অবশ্য ফিটনেস ও করোনা। মেসি না থাকলেও লিওলেন স্কালোনি দলে জায়গা দিয়েছেন লাওতারো মার্টিনেজ, হোয়াকিন কোরেয়া, পাওলো দিবালাদের।

দলে গোলরক্ষক হিসেবে আছেন ফ্রাঙ্কো আরমানি, এস্তেবান আন্দ্রাদা, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও হুয়ান মুসো। মার্টিনেজ গত বছর কোপা আমেরিকা জয়ের পর থেকেই রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তাকেই দলের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিফেন্ডার হিসেবে যারা স্কালোনির দলে জায়গা পেয়েছেন তারা হলেন- নাহুয়েল মলিনা, গঞ্জালো মন্তিয়েল, লুকাস মার্টিনেজ কোয়ার্তা, জার্মান পেৎজেলা, নিকলাস অটামেন্ডি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, নিকলাস টালিয়াফিকো, মার্কোস আকুনইয়া।

অন্যদিকে ইকুয়েডর ছাড়াও ব্রাজিল ২ ফেব্রুয়ারি খেলবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারছেন না নেইমার জুনিয়রও। তাকে ছাড়া ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। গত বছরের নভেম্বরে লিগ ওয়ানের ম্যাচে সেন্ট এতিয়েনের বিপক্ষে গুরুতর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তার পায়ের গোড়ালির ইনজুরি এতটাই প্রখর ছিল যে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মাঠে নামা হয়নি তার। এমন অবস্থায় ব্রাজিল কোচের বিবেচনায় নেইমারকে বিশ্রামে রাখাটাই শ্রেয়। আর দলের তারকা ফুটবলার না থাকলেও যে খুব একটা ক্ষতি নেই। কারণ এরইমধ্যে দল পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আর্জেন্টিনা। ১৪ ম্যাচে ৭ জয় ও ২ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে কনমেবল থেকে কাতার যাত্রার পথে এক পা দিয়ে রেখেছে ইকুয়েডর।

এসএইচ-১৯/২৬/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

নয়া জামানার মীর জাফর বিএনপি-জামায়াত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মীর জাফরেরা কখনও মরে না। তারা যুগে যুগে জন্মায়। আজও আমরা সেই সব মীর জাফরদের সাথে বসবাস করছি। আজও তারা স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

তিনি বলেন, এই নয়া জামানার মীর জাফরেরা আর কেউ নয়, এরা জামায়াত আর বিএনপির কতিপয় নেতা।

বুধবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক ভাষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংসদে দেওয়া পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর পুরো বক্তব্য সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

মাননীয় স্পিকার,

আমরা সবাই ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার আমরা কিভাবে ক্ষমতালোভী মীর জাফরের কারণে ইংরেজদের ইতিহাস উপমহাদেশের স্বাধীনতা হরণ হয়েছিল। আমাদেরকে ১৯০ বছরের জন্য পরাধীন থাকতে হয়েছিল। আমাদের অনেকের কাছে এটা এখন শুধু ইতিহাস মনে হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে এটা এখন বর্তমান। মীর জাফরেরা কখনও মরে না, তারা যুগে যুগে জন্মায়। আজও আমরা সেই সব মীর জাফরদের সাথে বসবাস করছি। আজও তারা স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আজ এই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে আমি সেই সব রাষ্ট্রদ্রোহী নব্য মীর জাফরদের মুখোশ উন্মোচন করব। এ দেশের সবাইকে এই সব মীর জাফরদেরকে চিনিয়ে দিতে চাই। জানিয়ে দিতে চাই, তারা কারা? আর তারা কিভাবে আমাদের সোনার বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

মাননীয় স্পিকার,

জানলে অবাক হবেন, এই নয়া জামানার মীর জাফরেরা আর কেউ নয়, এরা জামায়াত আর বিএনপির কতিপয় নেতা। মাননীয় স্পিকার, বিশ্বাস করেন, আমি কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে এ কথা বলছি না। আমি বলছি আমার হাতের এই সব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে। আমি এই সব তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই। আপনারা যে কেউ চাইলে এগুলো নিয়ে দেখতে পারেন, গবেষণা করতে পারেন। এগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশের ঘরে-বাইরে কারা, কিভাবে লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে বাংলাদেশের সর্বনাশ করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার কার্যক্রমকে ধূলিসাৎ করতে চাইছে।

মাননীয় স্পিকার,

প্রথমে বিএনপির ষড়যন্ত্রের কথা বলি। এ ষড়যন্ত্র বোঝার জন্য আমেরিকার দুটি বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে হবে। এর একটি হচ্ছে National Security Division (NSD) এবং অন্যটি হচ্ছে Foreign Agents Registration Act (FARA)। National Security Division (NSD) আমেরিকার বিচার বিভাগের একটি দফতর। এর দফতরের কাজ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আর এই বিভাগের অধিক্ষেত্রাধীন একটি আইন হলো Foreign Agents Registration Act ( FARA)। এই আইনটার মূল নাম ‘an act to require the registration of certain persons employed by agencies to disseminate propaganda in the United States and for other purposes’। এই আইনের আওতায় দেশি-বিদেশি ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান (foreign principal) আমেরিকার কোনো লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে (agent of a foreign principal) আমেরিকা সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি উপস্থাপন করে মার্কিন মতামত, পলিসি, আইনকে প্রভাবিত করে। সহজ কথায়, এই FARA এর registration unit আমেরিকার লবিস্ট ফার্মগুলোর মূল কর্মক্ষেত্র।

২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে লবিস্ট ফার্ম Akin Gump এর মাধ্যমে FARA registration unit -এ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বানোয়াট সব তথ্য দাখিল করে। এই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৩৪৯২। এ কাজে Akin Gump ফার্ম Toby Cadman নামের এক আইনজীবী নিয়োগ করে। এই Toby Cadman-কে লেখা চিঠি হতে জানা যায় যে, Toby Cadman ওয়াশিংটনে বিএনপির ‘eyes and ears’। তাদের উদ্দেশ্য ‘to facilitate dialogue between the BNP and politicians in Washington (including in relation to the forthcoming election) and lobbying in relation to war crimes trials taking place in Bangladesh, and… human rights abuses in Bangladesh’।

Akin Gump আরও দাবি করে যে, ‘We have strong relationship with Members of Congress as well as throughout Executive Branch have leading members of both the Republican and Democratic parties in our practice. We have worked closely with every major committee and subcommittee in the House and Senate, on both sides of the aisles, as well as with senior officials in virtually all Executive Branch agencies।

ঐ চিঠিতে Akin Gump ফার্ম Toby Cadman-কে মাসিক ৪০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে। উপরন্তু, এ কাজ শুরুর জন্য বিএনপি তাদের কাছে রিটেইনার হিসেবে ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার জমা রাখে। ২০১৭ সালে এই রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হয়।

সম্ভবত প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে, ২০১৮ সালে বিএনপি এক সাথে দুটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে FARA এর registration unit-এ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরপর দুই বার ভুয়া তথ্য দাখিল করে। লবিস্ট ফার্মের একটি বোস্টনের Rasky Partners (রেজিস্ট্রেশন নং-৬৫৮৬) এবং অন্যটি ওয়াশিংটনের Blue Star Strategies (রেজিস্ট্রেশন নং- ৬৫৮৭)। এবার বিএনপি দল হিসেবে না, আব্দুল সাত্তার নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে উভয় ফার্মের সাথে চুক্তি করে। আব্দুল সাত্তারকে বিএনপি নিয়োগ করেছে কিনা প্রশ্ন হতে পারে। তাই Rasky Partners এর একটি লাইন পড়ে শোনাচ্ছি, ‘This material is distributed by Blue Star Strategies and Rasky Partners on behalf of Bangladesh Nationalist Party’। এদের সাথে চুক্তিতে মাসিক মোট ৫০,০০০ মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য – ‘Rasky Partners will engage in message development, outreach to influencers, media monitoring, media relations, strategic counsel and research’। এছাড়া ২০১৯ সালে বাংলাদেশের কুৎসা রচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর করা গাদা গাদা চিঠি আমার হাতে এসেছে। তিনি আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতর থেকে শুরু করে ‘House Committee on Foreign Affairs’, ‘Senate Appropriations Subcommittee on State, Foreign Operations and Related Programs’, ‘Senate Committee on Appropriations’, ‘House Committee on Appropriations’, ‘Senate Committee on Foreign Relations’, ‘Senate Subcommittee on Near East, South Asia, Central Asia, and Counterterrorism’, ‘House Foreign Affairs Subcommittee on Asia, the Pacific and Nonproliferation’ ইত্যাদিতে দফায় দফায় চিঠি লিখেছেন। সময়ের অভাবে আমি তার লেখা চিঠির দুই একটি অংশ পড়ে শোনাচ্ছি। তিনি লিখেছেন, ‘We are APPRECIATIVE to the U.S. State Department for its recent annual Human Rights Report on Bangladesh and its comprehensive detailing of human rights abuses committed by the ruling parties’। তার মানে, দেশের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদনের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। আরেকটি চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘…we strongly urge you to consider opportunities to raise questions that REVIEW U.S. AID AND FOREIGN ASSISTANCE to Bangladesh’, অর্থাৎ, বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা হোক

মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবকে জিজ্ঞেস করতে চাই, নামের শুরুতে ‘মির’ থাকলেই কি মীর জাফরের মতো হতে হবে? জামাতকে না হয় আমরা স্বাধীনতাবিরোধী বলে চিনি, কিন্তু আপনারা তো স্বাধীনতার পক্ষের বলে দাবি করেন। তাহলে হীন দলীয় স্বার্থে দেশের বিরুদ্ধে এত বড় ষড়যন্ত্র করতে আপনাদের বিবেকে কি একটুও বাঁধল না? ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত, ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এ রাষ্ট্রের সাথে দ্রোহিতা করতে একটুও বুক কাঁপল না?

মাননীয় স্পিকার,

এবার বলছি, জামাতের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কথা। আমার হাতে এখন জামায়াতের ৪টি ফাইল আছে। ২০১৪ সালের রেজিস্ট্রেশন নং-৬২১৮ ও ৬২১৯, ২০১৫ সালের রেজিস্ট্রেশন নং-৬২৭২, ২০১৬ সালের রেজিস্ট্রেশন নং-৬৩৩৬ এবং ২০১৮ সালের রেজিস্ট্রেশন নং-৬৫১৭। মনে হচ্ছে, একের পর এক ব্যর্থ হয়ে তারা লবিস্ট ফার্ম বদলেছে। এদের ওয়াশিংটনভিত্তিক লবিস্ট ফার্মগুলো যথাক্রমে KG Global, Cassidy & Associates, Cloakroom Advisors Husch Blackwell Strategies। সবগুলো চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া আছে ‘Organization for Peace and Justice’। এটি নিউইয়র্কের একটি non-stock corporation জামায়াতের পক্ষে চুক্তিগুলিতে স্বাক্ষর করেছে এক জিয়াউল ইসলাম। যদি প্রশ্ন করেন, এ প্রতিষ্ঠান জামাতের কি না, তাই বলছি, এই প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে লেখা আছে ‘Sympathizers of the Jamaat-i-Islami political party are directors/ employees of Organization of Peace and Justice Inc., and the mission of the principal the party and its members in Bangladesh’। এই সব লবিস্ট ফার্মদের চারটি প্রধান উদ্দেশ্যে তুলে ধরছি এক. to increase US Government pressure on Bangladesh’, দুই. engage US Congress to introduce resolution condemning ICT, তিন. use best efforts to include anti-ICT legislative language এবং
চার. engage US Government about human rights violations। এ জন্য জামাত Husch Blackwell Strategies-কে বাৎসরিক ১,৩২,০০০ মার্কিন ডলার ও Cassidy & Associates-কে মসিক ৫০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে।

মাননীয় স্পিকার,

জামাত-বিএনপির এ সকল প্রতিটি কর্মকাণ্ডই রাষ্ট্রদোহিতার শামিল। লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে তাদের এ সব কাজের ফলাফল আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। আলজাজিরা রিপোর্ট ও আমাদের র‍্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এর প্রমাণ। এখনই সময় জনগণকে সাথে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। সময় এসেছে জনগণের সামনে এদের মুখোশ খুলে দেওয়ার। পলাশীর প্রান্তরে এক মীর জাফরের হাতে আমরা
হারিয়েছিলাম। আর কোন মীর জাফরকে আমরা স্বানীনতা হারিয়েছিলাম। আর কোনো মীর জাফরকে আমরা এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিতে পারি না।

মাননীয় স্পিকার,

এতশত দেশবিরোধী চক্রান্তের মধ্য দিয়েও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সোনার বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হতে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। সাফল্যের সাথে আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছি। আমাদের অর্থনীতি ৪১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি। মাথাপিছু আয় এখন ২,৫৫৪ ডলার। ক্রমাগত বাড়ছে আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার। World Economic League Table 2022 বলছে, ২০৩৬ সালে বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের উপরে থাকা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, নরওয়ে, বেলজিয়াম, সুইডেন, তাইওয়ান, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া সবাইকে ছাড়িয়ে সেদিন বাংলাদেশের নাম উপরে উঠবে।

মাননীয় স্পিকার,

তলাবিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশ এখন সোনার ফসলে ভরে উঠেছে। দেশবিরোধী চক্রের ঈর্ষা তো হবেই। এদের সাথে অনেকেই যোগ দেবে সেটাও স্বাভাবিক। তাই বলে আমরা তা অনায়াসে হতে দিতে পারি না। বঙ্গবন্ধুর বঙ্গসেনারা কখনও মাথানত করেনি, করতে শেখেওনি। আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।

মাননীয় স্পিকার আপনাকে ধন্যবাদ।

এসএইচ-১৮/২৬/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

মাদকাসক্তির জন্য ৩৭ পুলিশ সদস্য চাকরি হরিয়েছেন

মাদকাসক্তির জন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এই পর্যন্ত ৩৭ জন চাকরি হারিয়েছেন। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহর চতুর্থ দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ডোপ টেস্টে ধরা পড়লে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্টে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পুলিশই প্রথম ‘ডোপ টেস্ট’ চালু করে। সরকারের অন্য কোনো বিভাগ আমাদের মতো সেভাবে ডোপ টেস্ট চালু করতে পারেনি।

মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে ডিআইজি হায়দার বলেন, কোনো মাদকাসক্ত পুলিশে যোগদান করে কি না, সেটি আমরা প্রথমেই চেক করি। পরবর্তীতে প্রতিনিয়ত এই ডোপ টেস্ট করা হয়ে থাকে। কেউ যদি ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও তদন্ত করে সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, অভিযোগ উত্থাপিত হলে অথবা যে কোনো সময় সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পুলিশের বিভাগীয় ব্যবস্থা চালু থাকে এবং নিয়মিত মামলা হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ হামলা ও হয়রানি করেছে তাদের।

পুলিশ সদর দফতর তার তদন্ত করছে কি না- জানতে চাইলে ডিআইজি হায়দার বলেন, অবশ্যই পুলিশ দফতর দেখছে, বিভাগীয় তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে যদি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএইচ-১৭/২৬/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

অজিদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দল ঘোষণা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার ঘোষিত দলের সদস্য সংখ্যা ২০।

এই দলে ফিরেছেন দানুশকা গুনাথিলাকা ও কুশাল মেন্ডিস, এই দুজন কদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লঙ্কানদের যে দল ছিল তার থেকে ৯টি পরিবর্তন এসেছে এতে। এই সিরিজ দিয়ে ফিরছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি।

জানিথ লিয়ানাজ ও কামাল মিশরা, দুজনেই জাতীয় দলে এখনো খেলেননি। গত বছর শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দুজনেই আলো ছড়িয়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দলে ডাক পেয়েছিলেন তারা। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে সফর মিস করেন এ দু’জন। অজিদের বিপক্ষে সিরিজে ফের দলে ডাক পেলেন তারা। এ দল থেকে বাদ পড়েছেন কুশাল পেরেরা ও আকিলা ধনঞ্জয়া।

পাঁচ ম্যাচের এ টি-টোয়েন্টি সিরিজটি মাঠে গড়াবে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে। সিরিজের পরের ম্যাচগুলো হবে ১৩, ১৫, ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি।

শ্রীলঙ্কা দল

দাসুন শানাকা, চারিথ আসালাঙ্কা, আভিস্কা ফার্নান্দো, পাথুম নিসাঙ্কা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশাল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, চামিকা করুনারত্নে, জানিথ লিয়ানাজ, কামিল মিশরা, রামেশ মেন্ডিস, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, লাহিরু কুমারা, নুয়ান থুসারা, দুশমন্থ চামিরা, বিনুরা ফার্নান্দো, মাহেশ থীকশানা, জেফরে ভ্যান্ডারসে, প্রভীন জয়াবিক্রমা ও শিরান ফার্নান্দো।

এসএইচ-১৬/২৬/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পপি এ কি বললেন?

গেল এক বছর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ঢাকাই সিনেমার গ্ল্যামার কন্যা খ্যাত নায়িকা পপির। তাকে নিয়ে নেই গুঞ্জনের কমতি। কেউ বলেছেন তিনি বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন, আবার কেউ বলছেন সন্তানের মা হওয়ার কারণে শোবিজ থেকে অনেক দূরে তিনি। তবে এসবের মধ্যেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এ নায়িকা।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা ছেড়েছেন পপি।

ভিডিওটিতে নায়িকা পপি বলেন, সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও সালাম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ইলিয়াস কাঞ্চন, বোন নিপুন, আমার বন্ধু রিয়াজসহ সবার জন্য শুভ কামনা রইল। ভেবেছিলাম আর কখনো ক্যামেরার সামনে আসব না। তবে না এসেও পারলাম না। দীর্ঘ ২৬ বছর আমি ফিল্ম জগতে সুনামের সাথে কাজ করে এসেছি। ৩ বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি।

অনেকেই প্রশ্ন করেন, আমি কোথায়? আমি আপনাদের মাঝেই আছি। ভাগ্যে থাকলে কাজেও ফিরব। বর্তমান সমিতির একটি মাত্র ব্যক্তি যার নানা অপকর্ম, কুকর্ম আর নোংরামিতে সহায়তা না করায় আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। তার কারণে আমি এখন ভিক্টিম। আমার মতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর সদস্য পদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটা একজন শিল্পির জন্য কতটা অপমানজনক তা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না। আমার মতো আরও ১৮৪ জনও একইভাবে অপমানিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি জানের ভয়ে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমার সদস্য পদ বাতিলের চিঠি এখনো আমার কাছে আছে। তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই, আমি আর এসব নোংরামির মধ্যে থাকব না। পরিবেশ ভালো হলে, এই নোংরা মানুষগুলো সরে গেলে আবার কাজ করব। আমাদের এফডিসি জাতির জনকের হাতে গড়া এফডিসি। আমাদের এফডিসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের এফডিসি।

সবার কাছে আমার অনুরোধ, আমরা যে ভুল করেছি আপনারা তা করবেন না। সঠিক মানুষকে ভোট দিন। আমরা পরিবর্তন চাই। চলচ্চিত্রকে বাঁচান। আমি আমার ভুলের জন্য অনুতপ্ত। আমাদের ভুলের কারণে মানুষ আজ বিপদগ্রস্ত। আপনারা সবাই কাঞ্চন, নিপুন, রিয়াজ ভাইদের একটাবার সুযোগ দিন। তারা অন্তত শিল্পীদের নিয়ে অসম্মানিত করবে না।

এসএইচ-১৫/২৬/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

ফের রিয়াল মাদ্রিদে ফিরছেন রোনালদো!

দ্বিতীয় মেয়াদে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়ে ঝলক দেখাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২৩ ম্যাচে তিনি এখন পর্যন্ত করেছেন ১৪ গোল। তবুও গুঞ্জন, রেড ডেভিলদের ডেরা ছাড়তে যাচ্ছেন পর্তুগিজ তারকা। ফিরতে চান তারই সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে।

স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য সান বলছে, রিয়াল মাদ্রিদে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন রোনালদো। তিনি নাকি এজেন্ট জর্জ মেন্ডেসের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে যোগাযোগও করেছেন। ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ন্যাসিওনালের মতে, রোনালদো ম্যানচেস্টারে খুশি নন। এর বড় কারণ আগামী মৌসুমে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই করতে পারার সামর্থ্য নিয়ে। ক্রিস্টিয়ানোর শঙ্কা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আগামী মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে পারবে না। সে কারণেই নতুন গন্তব্যের খোঁজ করছেন তিনি।

নতুন গন্তব্য হিসেবে রোনালদোর পছন্দের জায়গা কোনটি? দ্য সান বলছে, তিনি যেতে চান তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। কারণ স্পেনের প্রতি তার অন্যরকম একটা টান আছে। সে কারণেই রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে জর্জ মেন্ডেসকে কথা বলার ইঙ্গিত দিয়েছেন রোনালদো।

এই ম্যানচেস্টার থেকেই ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনালদো। সেখানে কাটান প্রায় ৯ মৌসুম। এরপর ২০১৭ সালে মাদ্রিদ ছেড়ে য়্যুভেন্তাসে পাড়ি জমান পর্তুগিজ সুপারস্টার। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার দল বদলের পর খুব বেশি সাফল্য পায়নি ইতালির ক্লাবটি।

য়্যুভেন্তাস থেকেই গত বছরের ২৭ আগস্ট দুই বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন রোনালদো। গোল ডটকমের প্রতিবেদনে জানা যায়, পর্তুগিজ তারকার জন্য ২৪ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছিল ইউনাইটেড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই ক্লাবে খেলেছেন তিনি। সেবার ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল করেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। জিতেছিলেন ৯টি শিরোপা।

এসএইচ-১৪/২৬/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)