রাত ৮:২১
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

টিকটকে মেয়ের ছবি দেখায় তরুণকে নির্যাতন, অপমানে আত্মহত্যা

ফেনীর সোনাগাজীতে টিকটক ভিডিওতে একটি মেয়ের ছবি দেখা যাওয়াকে কেন্দ্র করে নির্যাতনে অপমান বোধ করায় আত্মহত্যা করেছে ইমরান হোসেন (১৮) নামে এক তরুণ। আত্মহত্যার আগে তিনি চিরকুটে লিখে গেছেন নির্যাতনকারীদের নাম।

রোববার রাতে সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত ইমরান স্থানীয় মাঈন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।

মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইমরান নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে রবিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আত্মহত্যার কারণ ও আটজন নির্যাতনকারীর নাম একটি চিরকুটে লিখে গেছেন।

তারা আরও জানান, কয়েকদিন আগে ইমরান চর দরবেশের মুছাপুর গিয়ে একটি টিকটক ভিডিও বানান। ভিডিও করার সময় ভুলবশত স্থানীয় একটি মেয়ের ছবি উঠে যায়। সেই ছবি ওঠাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আটজন যুবকসহ মেয়েটির ভাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এতে ইমরান ভুল স্বীকার করে তাদের কাছে ক্ষমা চান। এরপরও তারা তাকে মারধর করে। রোববার সন্ধ্যায়ও স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলে ওই যুবকরা তাকে গলমন্দ করে ও হুমকি-ধমকি দেয়। এতে তিনি অপমান বোধ থেকে আত্মহত্যা করেন।

ইমরানের বাবা জানান, তার ছেলে যাদের নাম লিখে গেছে তাদের তিনি চেনেন। তিনি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অতি শিগগিরই থানায় মামলা করবেন।

সোনাগাজীর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম জানান, পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ইমরানের সুইসাইড নোটটি পুলিশ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে।

এসএইচ-১৩/০৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

নিবন্ধনের অনুমতি পেল ১৪ আইপি টিভি

নিবন্ধনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৪টি ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশনকে (আইপি টিভি) নিবন্ধনের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

নিবন্ধনের অনুমতি পাওয়া আইপি টিভিগুলো হলো—মুভিবাংলা টিভি, জাগরণ টিভি, রূপসী বাংলা টিভি, হার্নেট টিভি, মাটি এন্টারটেইনমেন্ট টিভি, ফ্লিক্স আরকে টিভি, রাজধানী টিভি, ভয়েজ টিভি, জে এ টিভি, নিউজ২১ বাংলা টিভি, জাগরণী টিভি, সবেহপ্রাইম টিভি, দেশবন্ধু টিভি ও সিএইচডি নিউজ২৪ টিভি।

নিবন্ধনের শর্তে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠান তৈরি ও প্রচারের ক্ষেত্রে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭ (সংশোধিত ২০২০) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা অন্যান্য আইন, বিধিমালা, নীতিমালা ও পরিপত্র বা নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

এতে বলা হয়, আইপি টিভিগুলোকে বিদ্যমান কপিরাইট আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। এ আইনের কোনো ধারা যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সে দিকে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান সেন্সরশিপ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

শর্তে আরও বলা হয়, সরকার থেকে প্রবর্তিত আইন বা বিধি-বিধান অনুসরণ করে নিবন্ধনের জন্য কমিশন থেকে নির্ধারিত হারে নিবন্ধন ফি, বার্ষিক নবায়ন ফি জমা দিতে হবে।

বিটিআরসি জানায়, স্যাটেলাইট টেলিভিশনে প্রচারিত কন্টেন্টসমূহ ইন্টারনেট প্রটোকল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রচার করার প্রক্রিয়া হলো ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন (আইপি টিভি)। বিটিআরসি কেবলমাত্র লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠানসমূহকে আইপি ভিত্তিক ডাটা সার্ভিসের (যেমন: স্ট্রিমিং সার্ভিস, আইপি টিভি, ভিডিও অন ডিমান্ড) অনুমোদন প্রদান করে থাকে।

বিটিআরসি কর্তৃক আইপি টিভি সার্ভিসের অনুমোদন প্রাপ্ত আইএসপি অপারেটররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলসমূহের সম্প্রচার শুধু তাদের গ্রাহকদেরই প্রদর্শন করতে পারবে। তবে প্রতিটি চ্যানেল বা প্রোগ্রাম বা কন্টেন্ট প্রচারে প্রয়োজনীয় চুক্তি/অনুমোদন/ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে।

অননুমোদিত সম্প্রচারে থাকায় সম্প্রতি ৫৯টি অনিবন্ধিত আইটি টিভি বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।

এসএইচ-১২/০৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কুয়েত সরকারের পদত্যাগ

বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সৃষ্ট অচলাবস্থার জেরে পদত্যাগ করেছে কুয়েতের সরকার। সোমবার দেশটির ক্ষমতাসীন আমিরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ। স্থানীয় দৈনিক আল কাবাস ও আল রাই’র বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, দেশটির বেশ কয়েকজন বিরোধী সংসদ সদস্য কোভিড-১৯ মহামারি, দুর্নীতি মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ জিজ্ঞাসাবাদের ওপর জোর দিয়েছেন।

সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের এই বিরোধে সংসদে আইন প্রণয়নের কাজ থমকে যায়। এ ছাড়া গত বছর করোনাভাইরাস মহামারি এবং তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিরোধীদের সঙ্গে অচলাবস্থার কারণে দেশটির অর্থনীতির চাকা সচল করার লক্ষ্যে সংসদে বাজেট পাসেও বাধার সম্মুখীন হয় সরকার।

এদিকে, পদত্যাগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে দেশটির আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর। তিনি মন্ত্রিসভার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।

এসএইচ-১১/০৮/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

বেফাঁস মন্তব্যে হারালেন মন্ত্রীত্ব!

Libya's Foreign Minister Najla al-Mangoush attends a meeting by Libya's neighbours as part of international efforts to reach a political settlement to the country's conflict, in the Algerian capital Algiers, on August 30, 2021. (Photo by RYAD KRAMDI / AFP) (Photo by RYAD KRAMDI/AFP via Getty Images)

লিবিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মঙ্গুশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে তার ভ্রমণের ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশটির কাউন্সিলের সাথে পররাষ্ট্রনীতির সমন্বয় না করার অভিযোগে গত শনিবার তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

লিবিয়া কাউন্সিলের একটি ডিক্রি অনুসারে, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী তিন সদস্যের সংস্থাটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মঙ্গুশকে বরখাস্ত করেছে। পাশাপাশি পররাষ্ট্রনীতির একচেটিয়াকরণের অভিযোগ এনে তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের মুখপাত্র নায়লা উইহেবা জানান, নাজলা আল-মানগোসের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

লিবিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এমাদেদিন বাদি বলেছেন, সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের কিছু কথার জন্য নাজলা মঙ্গুশের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানগোস ওই সাক্ষাৎকারে ১৯৮৮ সালের লকারবি বিস্ফোরণ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে লিবিয়ার রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাও এর কারণ।

তবে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রোববার এক বিবৃতিতে কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির সরকারের ফেসবুক পেজে জারি করা বিবৃতিতে মন্ত্রীর প্রশংসা করে বলা হয়েছে, নাজলা মঙ্গুশ তার দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবে পালন করবেন। আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পরিষদের নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সদস্যদের নিয়োগ বা বাতিল ও তাদের বিষয়ে তদন্ত করার কোন আইনি অধিকার নেই। এই ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর।

আগামী শুক্রবার ফ্রান্সে লিবিয়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ অনেকের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন করে চেষ্টা চালাতে আহূত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কয়েক দিন আগে নাজলা মঙ্গুশকে বরখাস্তের ঘটনাটি ঘটল।

এসএইচ-১০/০৮/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

সাধারণ ভোটারকে ‘ঠ্যাং ভেঙে’ দেওয়ার হুমকি

ভোটের বাকি দুই দিন। নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে শঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে প্রতিপক্ষের উপর হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি বেড়েই চলছে। প্রচারণার সময় প্রকাশ্যেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে অনেক প্রার্থীর সমর্থকদের। ভোটারদের ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার হুমিকও দেওয়া হচ্ছে। আর এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোটাররা।

গত ৪ নভেম্বর পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ও বকুলবাড়িয়া, ৫ নভেম্বর ডাকুয়া ও চরবিশ্বাস এবং ৬ নভেম্বর চরকাজল ইউনিয়নে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে চরকাজলের বিদ্রোহী ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা গত ১ নভেম্বর একটি মানববন্ধন করেছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আসন্ন দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে গলাচিপা উপজেলার ৮টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে গলাচিপায় বিএনপি দলীয় কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। আওয়ামী লীগ ৮টিতেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে।

কিন্তু এর মধ্যে ৬টিতেই দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এদেরকে যদিও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার গলাচিপার চরকাজল, চরবিশ্বাস, গলাচিপা সদর, পানপট্টি, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, বকুলবাড়িয়া ও গজালিয়ায় দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শুধু গলাচিপা সদর ও গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনও বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।

নির্বাচনী মাঠে ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শক্ত অবস্থানে থাকলেও সে অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আর এতে ৮টির প্রায় ৬টিতেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে অস্বস্তিতে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়ন বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়। দ্বিতীয়বারের মতো আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা। অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী চরকাজল সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন গাজী এবং চরকাজল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা। কিন্তু এবার এই দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বিজয় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে, দুজন বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সাইদুর রহমান রুবেল। এ ইউনিয়নে উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গত শনিবার রাতে মুখোমুখি অবস্থান নেয় নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে, গত ৪ নভেম্বর গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খালিদুল ইসলাম স্বপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এখানেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

একই দিন রাতে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবু জাফর খান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে নৌকা মার্কার প্রার্থীর উঠান বৈঠকে অংশ নেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার এ হামলার শিকার ও লাঞ্ছিত হন।

এছাড়াও গত ৫ নভেম্বর ডাকুয়া ইউনিয়নে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় ও বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট মো. মামুন খানের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও নৌকা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই দিনে চরবিশ্বাস ইউনিয়নেও পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সির সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রাজা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বক্ষম হয়।

ডাকুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমি ও আমার কর্মীরা শঙ্কিত। বিএনপির মো. মিজানুর রহমানের আনারস ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এডভোকেট মামুন খানের ঘোড়া মার্কার কিছু লোক ৫ নভেম্বর আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। ওই দিনই থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ফুলখালী আনারস ও পাঙ্গাসিয়ায় ঘোড়া মার্কার সমর্থকরা প্রতিদিনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।

একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট মো. মামুন খান বলেন, মিথ্যা রটনা রটিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় ভোটারদের আতঙ্কিত করছে। ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে তিনি নানান অপকৌশল নিচ্ছেন। উল্টো নৌকার কর্মী-সমর্থকরা রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। এতে ভোটারা ভয়ে আছে। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

চরকাজল ইউনিয়নের কপালবেড়া গ্রামের মো. সোহেল বলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা হুমকি-ধামকি দেয়। আমারে হুমিকি দিয়ে বলে, নৌকায় ভোট না দিলে ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিমু। এতো চাপের মধ্যেও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

এ প্রসঙ্গে চরকাজল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা মার্কার প্রার্থী সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীরা অপপ্রচার চালিয়ে সুবিধা নিতে চাচ্ছেন। নৌকায় ভোট না দিলে আমি বা আমার সমর্থকরা কোন ভোটরকে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবে এ ধরণের কথা কাউকেই বলেনি। এ কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটেটেছে পুলিশ সাথে সাথে তার ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক দু’টি অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেহেতু প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে গলাচিপার ৪টি ইউনিয়নে কোন সমস্যা হয়নি। এবারও বাকি এ ৮টিতেও কোন কোন সমস্য হবে না বলে বিশ্বাস করি।

এসএইচ-০৯/০৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে অস্ত্র কারখানা

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ (এক্সটেনশন) সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। সোমবার সেই কারখানায় তারা অভিযান চালায়।

এ সময় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন রোহিঙ্গা অস্ত্র কারিগরকে আটক করে র‌্যাব। তারা হলেন- হাবিবুল্লাহ, রাইতুল্লাহ ও হাসান। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।

তিনি আরও বলেন, রোববার দিনগত রাত ৩টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময় হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন রোহিঙ্গা অস্ত্র কারিগরকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। মাদক ব্যবসা, লুটপাটসহ নানা অপরাধের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে অভিযানও চলবে।

এসএইচ-০৮/০৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বন্দুকযুদ্ধে স্বামী নিহতের পর মাদক কারবারে স্ত্রী

স্বামী আব্দুল মালেক ওরফে মালেক মিস্ত্রি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২০১৯ সালের ১১ জুলাই রাতে নিহত হন। এর মধ্যে স্বামীর পথ ধরেই মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণে নেন স্ত্রী গুল ফরাজ (৩৫)।

রোববার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক ওরফে মালেক মিস্ত্রির বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গুল ফরাজকে আটক করা হয়।

এ সময় তার বসতবাড়িতে মজুত করা এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ১০ হাজার ইয়াবার একটি চালান উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা বলে দাবি পুলিশের।
গুল ফরাজ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা গ্ৰামের বাসিন্দা আলী হোসেন মেয়ে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, গুল ফরাজের স্বামী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক তালিকাভুক্ত একজন ইয়াবা কারবারি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রামু ও টেকনাফ থানায় ৬টি অস্ত্র ও মাদক মামলা ছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবার একটি বড় চালান মজুতের তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল আমার নেতৃত্বে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লানপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। বসতবাড়ি থেকে এক কেজি আইস ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় একজন নারীকে আটক করতে সক্ষম হলেও আরও দুজন পালিয়ে যায়। আটকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরের দিকেই আসামিকে কক্সবাজার বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি হফিজুর।

আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে স্বামীর একই পথ ধরে সেও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাসে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন কেজি ৪০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসএইচ-০৭/০৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

এমপিওভুক্ত হতে পারছে না বিলুপ্ত ছিটমহলের ৬ প্রতিষ্ঠান

জমি কেনা-বেচা বা হস্তান্তরের দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চালু না হওয়ায় মালিকানা প্রমাণের শর্তপূরণ করতে পারছে না বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে গত কয়েকবারের মতো এবারও এমপিওভুক্তির আবেদন করলেও আশাবাদী হতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলোর শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।

২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ছিটমহল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ৬৮ বছরের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পর নিজেদের জমি দান করে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন দাসিয়ারছড়ার মানুষ। একাডেমিক স্বীকৃতিসহ বিনামূল্যে সরকারই বই, উপবৃত্তি এবং ডিজিটাল ল্যাব দিয়ে সহায়তার হাত বাড়ায় শিক্ষা বিভাগ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের শিক্ষকদের কোনও বেতন নেই, তবুও শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে আমাদের লেখাপড়া করান। অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, এ জায়গাতে আগে কোনো স্কুল ছিল না। এখানে স্কুল হওয়ার পর থেকে আমরা শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার ব্যবহারও শিখতে পারছি।

কিন্তু বিলুপ্ত ছিটমহলের জমি কেনা-বেচা বা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া এখনও শেষ করতে পারেনি ভূমি দপ্তর। তাই জমির মালিকানা প্রমাণ করতে না পারায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী দাসিয়ারছড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হামিদুল ইসলাম বলেন, এ স্কুল এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।

ভূমি কর্মকর্তা জানান, দাসিয়ারছড়ার প্রায় এক হাজার ৬৪৪ একর জমির দাগ-খতিয়ান রেকর্ডের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মৌজাভিত্তিক জমির মূল্য নির্ধারণ হলেই দলিল রেজিস্ট্রি শুরু হবে।

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীর সহকারী কমিশনার বিমল চাকমা বলেন, যদি মৌজা মূল্য নির্ধারণ হয় সেক্ষেত্রে বাকি প্রক্রিয়া আমরা শুরু করতে পারব।

বিষয়টি বিশেষ বিবেচনার দাবি উঠেছে। অবশ্য ইতোমধ্যে সুপারিশ পাঠানোর কথা জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।

অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, এমপিওভুক্তর সময় আমাদের যে খাজনা খারিজের কাগজ দিতে হয় রেজিস্ট্রারে না থাকার কারণে আমরা করতে পারি নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, যারা এমপিওর জন্য আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনগুলো আমরা যথানিয়মে সুপারিশ করে পাঠিয়েছি।

ছিটমহল বিনিময়ের আগে বাংলাদেশের মূল-ভূখণ্ডে মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করতে হতো বিলুপ্ত ছিটমহলের ছেলেমেয়েদের।

এসএইচ-০৬/০৮/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

মেসিকে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে দেবে না পিএসজি

আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা।

বাংলাদেশ সময় আগামী ১৩ নভেম্বর উরুগুয়ের মাঠে খেলবে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এর চার দিন পর তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলবে ঘরের মাঠে।

এদিকে, দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি চোটে থাকা সত্ত্বেও তাকে নিয়েই ৩৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। কারণ মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনার কথা চিন্তাও করতে পারছেন না লিওনেল স্কালোনি।

তবে জাতীয় দলের হয়ে মেসির খেলতে যাওয়ার কথা মানতে পারছে না পিএসজি। তাদের পক্ষেও হয়ত যুক্তি আছে। কারণ আর্জেন্টাইন এ তারকাকে ক্লাবে রাখতে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। অথচ এরই মধ্যে তিন তিনবার চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবশেষ ম্যাচেও দলের সেরা তারকাকে পায়নি প্যারিসের ক্লাবটি।

আর তাই প্যারিস সেইন্ট জার্মেই চাচ্ছে না চোট নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলুক মেসি। ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট মার্কার বরাতে জানা গেছে, পিএসজির পরিচালক লিওনার্দো শঙ্কা প্রকাশ করেছেন– দেশের হয়ে খেলতে গিয়ে তার চোট না যেন আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে!

ফরাসি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিওনার্দো বলেন, যে ফুটবলার খেলার জন্য ফিট নয়, তাকে আমরা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পাঠাতে পারি না। এর কোনো মানে হয় না

এদিকে, বাছাইয়ের ম্যাচ দুটির জন্য দলে অনেক পরিবর্তন এনেছেন আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি। তবে ৩৪ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন সাত সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়। আক্রমণভাগে মেসির সঙ্গে রাখা হয়েছে লাউতারো মার্তিনেস, পাওলো দিবালা, আনহেল কোররেয়াকে।

মেসিকে কোচ স্কোয়াডে রাখলেও তাকে নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই পেশির সমস্যায় ভুগছেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

আর্জেন্টিনা দল:

ফ্রাঙ্কো আরমানি, এমিলিয়ানো মার্তিনেস, হুয়ান মুস্সো, গনসালো মনতিয়েল, নাউয়েল মোলিনা, লুকাস মার্তিনেস কুয়ার্তা, হেরমান পেস্সেইয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, লিসান্দ্রো মার্তিনেস, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, গাস্তোন আভিলা, মার্কোস আকুনা, লেয়ান্দ্রো পারেদেস, গিদো রদ্রিগেস, নিকোলাস দোমিনগেস, রদ্রিগো দে পল, এসেকিয়েল পালাসিওস, জিওভানি লো সেলসো, আনহেল দি মারিয়া, থিয়াগো আলমাদা, ক্রিস্তিয়ান মেদিনা, মাতিয়াস সুলে, লিওনেল মেসি, নিকোলাস গনসালেস, হোয়াকিন কোররেয়া, লাউতারো মার্তিনেস,আনহেল কোররেয়া, পাওলো দিবালা, হুলিয়ান আলভারেস, সান্তিয়াগো সিমোন, এসেকিয়েল সেবাইয়োস, ফেদেরিকো গোমেজ।

এসএইচ-০৫/০৮/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

সেলফি তোলায় ক্ষেপলেন সালমান খান

সেলফি তুলতে আসায় এক ভক্তের ওপর ক্ষেপেছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান। এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও অনুমতি না নিয়ে সেলফি তুলতে আসা এক ভক্তর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছেন তিনি।

অনেক বড় মনের মানুষ এই ‘দাবাং’ সুপারস্টার কিন্তু ক্ষেপে গেলে তার মেজাজ সহ্য করা বেশ মুশকিল। ইনস্টাগ্রামে সালমান ও তার অনুরাগীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, প্রিয় তারকাকে কাছে পেয়ে সেলফি তুলতে উদগ্রীব ভক্ত ফোন নিয়ে এদিক সেদিক করছে।

সেখানে উপস্থিত সকল ভক্তদের সালমান আগেই সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ফটো সাংবাদিকরা ছবি তুলছে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত এক ভক্তের কোনো রকম হুঁশ নেই। সে মজে ছিলেন নিজের মুঠোফোনে।

আর এদিকে ফটো সাংবাদিকরা বলেই যাচ্ছে আমরা ছবি তুলছি। কিন্তু মোবাইল ফোন কিছুতেই সালমানের মুখের সামনে থেকে সরায় না। সঠিক অ্যাঙ্গেল খুঁজতে ফোন এদিক থেকে ওদিক করতে থাকে। এরপরই বিরক্ত হয়ে সালমান খান বলেন, ‘নাচ বন্ধ কর।’

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর কমেন্টে অনেকে লিখেছেন যে, যাক বাবা এবার অন্তত ফোন ছিনিয়ে নেয়নি। আবার একজন লিখেছেন, ‘সালমনের এতো কিসের দেমাগ জানি না।’

এর আগে গত বছরের শুরুতে গোয়া এয়ারপোর্টে এক অনুরাগীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সালমান। অনুমতি না নিয়ে সেলফি তুলতে আসায় এমনটা করেছিলেন অভিনেতা।

জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস-১৫’ এর উপস্থাপনা করছেন সালমান। ভাইজান তার নতুন সিনেমা ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এর প্রমোশনাল ইভেন্টে ছিলেন। সেখানেই ঘটে এই সেলফিকাণ্ড। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন মহেশ মাঞ্জরেকর।

এসএইচ-০৪/০৮/২১ (বিনোদন ডেস্ক)