দুপুর ১:৪২
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

পিএসএল নিলামে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে সাকিব, ডায়মন্ডে তামিম

করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত স্থগিত রয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের ষষ্ঠ আসর। মার্চের ৪ তারিখ বন্ধ হওয়ার আগে ১৪টি ম্যাচ হয়েছে টুর্নামেন্টের, বাকি রয়েছে আরও ২০টি ম্যাচ।

টুর্নামেন্ট শুরুর নতুন দিন-তারিখ চূড়ান্ত করেছেন আয়োজকরা। আগামী ১ জুন থেকে আবার মাঠে গড়াবে পিএসএলের ষষ্ঠ আসর। ফাইনাল ম্যাচ হবে ২০ জুন।

আর এজন্য সব দলকে পরিবর্তিত খেলোয়াড় নেয়ার সুযোগ করে দিতে নতুন প্লেয়ার্স ড্রাফটের আয়োজন করছেন আয়োজকরা। আগামী সপ্তাহে ভার্চুয়াল সেশনের মাধ্যমে ১৩২ জন বিদেশি খেলোয়াড়কে নিয়ে হবে এই প্লেয়ার্স ড্রাফট।

আগামী জুনেই শুরু হবে ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট। যে কারণে ইংলিশ খেলোয়াড়রা অংশ নিতে পারবেন না পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলোতে। স্থগিত হওয়ার আগে সাকিব মাহমুদ, টম ব্যান্টন, রবি বোপারা, অ্যালেক্স হেলসের মতো তারকা খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছিলেন এ টুর্নামেন্টে।

এদিকে পিএসএলের এই মধ্যবর্তী ড্রাফটের সর্বোচ্চ প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছেন বাংলাদেশ দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরের ক্যাটাগরি অর্থাৎ ডায়মন্ডে রয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া সিলভার ক্যাটাগরিতে রয়েছে তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, লিটন দাসদের নাম।

প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে থাকা খেলোয়াড়রা হলেন এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেল, মার্টিন গাপটিল ও সাকিব আল হাসান। এদের মধ্যে পুরো সময়ের জন্য থাকবেন গাপটিল, লুইস যোগ দেবেন ১৬ জুন। আর আইপিএল শেষ হওয়ার পর পাওয়া যাবে রাসেল ও সাকিবকে।

ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে উসমান খাজা, জেমস ফকনার, অ্যাডাম মিলনে, মরনে মরকেল এবং তামিম ইকবালকে। গোল্ড ক্যাটাগরিতে রয়েছেন নিরোশান ডিকভেলা, দিনেশ চান্দিমাল, কেমো পলরা।

আর সবশেষ সিলভার ক্যাটাগরিতে আছেন জ্যাক ওয়েদারাল্ড, জোনাথন ওয়েলস, হযরতউল্লাহ জাজাই, জর্জ ওয়ার্কার, ওয়েসলে মাধভের, শন উইলিয়ামস, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, সাব্বির রহমান, নুয়ান প্রদীপ, সেকুগে প্রসন্না, জনসন চার্লস, কেসরিক উইলিয়ামস ও সিসান্দা মাগালারা।

এসএইচ-২৯/২৫/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

২২ জনের দেহে করোনা ছড়ানোয় গ্রেফতার!

২২ জনের দেহে করোনা ছড়িয়েছেন এমন সন্দেহ থেকে স্পেনে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি থেকে আরও প্রায় দু’ডজন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।

৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বেশ কয়েকদিন ধরেই কাশি হচ্ছিল এবং তার গায়ের তাপমাত্রা ছিল ১০৪ ফারেনহাইট বা ৪০ সেলসিয়াসের বেশি। কিন্তু তিনি নিজের অসুস্থতাকে পাত্তা না দিয়ে দিব্যি অফিস করেছেন এমনকি জিমেও গেছেন।

তিনি মাজোরকায় কাজ করেন। সেখানে নিজের কাজের এলাকায় তিনি দিব্যি হেঁটে বেড়িয়েছেন। আবার মাস্ক খুলে মজার ছলে নিজের সহকর্মীদের ভয় দেখিয়েছেন যে, তিনি তাদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে দেবেন। যদিও এটা মজা করেই তিনি বলেছেন কিন্তু সেটা আর মজার মধ্যে থাকেনি।

এর কয়েকদিন পরেই তার পাঁচ সহকর্মী এবং তিনি যে জিমে যাওয়া-আসা করতেন সেখানকার তিনজনের দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এছাড়া তার পরিবারেরই আরও ১৪ জনের দেহেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক বছর বয়সী তিন শিশুও রয়েছে।

এক বিবৃতিতে স্পেনের পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহে বেশ কিছুদিন ধরেই করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মানাকোর শহর থেকে তিনি বাড়ি ফিরে যাননি। উপসর্গ দেখা দেয়ার পর যেখানে নিজ দায়িত্বেই আইসোলেশনে থাকা উচিত ছিল সেখানে তিনি কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

যেদিন সন্ধ্যায় তিনি পিসিআর টেস্ট করিয়েছেন সেদিনও তিনি কাজে গেছেন, জিমে সময় কাটিয়েছেন। অথচ তার পিসিআর টেস্টের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল এবং এ সময়টায় বাড়িতেই অবস্থান করা দরকার ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তার এক সহকর্মী তাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তিনি সে কথায় পাত্তাই দেননি। সে সময় তিনি উল্টো মজা করে মাস্ক খুলে ফেলেন এবং কাশি দিতে দিতে বলেন, আমি তোমাকে এবং সবাইকে করোনায় আক্রান্ত করব।

পুলিশ আরও জানায়, তার করোনা পজিটিভ আসার পর থেকেই তার সহকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে।

এসএইচ-২৮/২৫/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

করোনায় সহায়তায় ৫৭৪ কোটি টাকা, উপকৃত হবে সোয়া কোটি পরিবার

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

রোববার সচিবালয়ে সার্বিক ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর ফলে বাংলাদেশে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য সরকার গত বছর বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিল। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সম্প্রতি দেশের সকল সিটি করপোরেশনের অনুকূলে শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত এসব অর্থের মাধ্যমে শিশুখাদ্য ক্রয় করে তা বিতরণ করা হবে। এর ফলে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘জিআর ক্যাশ দিয়েছি ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ দিয়েছি ৪৭২ কোটি টাকা। বড় সিটি করপোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে, ছোটগুলোকে ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছি। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেয়া হয়েছে।’

এছাড়া করোনাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময় অর্থ বরাদ্দ/মজুত রাখা হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সবসময় মজুত রাখা হয় যা জেলা প্রশাসকরা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করতে পারেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যামে সরাসরি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়া হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস, চিড়াসহ বিভিন্ন আইটেম আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় একসপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণের জন্য খুব শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনা হবে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টিআর/কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।’

‘কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

সিটি করপোরেশন এলাকায় যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সেটা পর্যাপ্ত কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই পর্যাপ্ত নয়। কারণ যে পরিমাণ মানুষ কর্মহীন রয়েছে, তাকে সেখানে এই ৫০-৫৭ লাখ টাকা কোনো অংকই না। মেয়ররা বলেছেন ৫০ লাখ না দিয়ে যদি ৫ কোটি দেন তাও এখানে কুলাবে না। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নগরের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন, নগরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা বিতরণ করুন। আবার চাহিদা পাঠান আমরা দেব।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, দুইহাত ভরে দেবে, যাতে মানুষ জানে যে শেখ হাসিনার সরকার মানুষের পাশে আছে। এবার সপ্তাহব্যাপী পরিকল্পনা করে আমরা দিচ্ছি, সেজন্য পরিমাণটা একটু শুনতে কম শোনা যাচ্ছে। লকডাউন কন্টিনিউ করলে আমরা দিয়ে যাব।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৩৩৩ নম্বরটি প্রচার করছি। কেউ খাদ্য কষ্টে থাকলে ফোন করলে তাকে তালিকাভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কাউন্সিলদের বলেছি যে যে যেখানে থাকুন না কেন, খাদ্য কষ্টে থাকলে তাকে এনআইডির ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি, লোকাল ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুতের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। আমাদের সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচ-২৬/২৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

মন কাড়ছে কানাইয়ার কৃষ্ণচূড়া

করোনায় বৈরী সময় পার করছে মানুষ। প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে নিরাপদ জীবনব্যবস্থা খুঁজছে নগরবাসী। এসময় মানুষের মন রাঙাচ্ছে সিঁদুর রাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল।

বসন্ত চলে গেলেও ষড়ঋতুর এই দেশে গ্রীষ্মের শুরুতে সবুজ প্রকৃতি মেলে দিয়েছে তার কৃষ্ণচূড়া ঐশ্বর্য। ফুলে ফুলে রঙীন প্রকৃতি যেন হাসছে খলবল। গাজীপুরের কানাইয়া গ্রামে এখন প্রকৃতির এমন উচ্ছল জীবন্ত ছবি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পথিক ।

সেখানে শান্ত জলের চেলাই নদী পাশ ঘেঁষে চলে গেছে মেঠো পথ। আর সেই মেঠো পথের পাশেই সিঁদুর রাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল বাতাসে দুলছে। বৈশাখী আবহাওয়ায় মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি খেলায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য ভীতসন্ত্রস্থ সময়েও নগরবাসীকে টেনে আনছে তার কাছে।

পথে যেতে যেতে হঠাৎ চোখে পড়ে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। এই সৌন্দর্য পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো বেরসিক মানুষ পাওয়া ভার। সেখানে থেমে গিয়ে দেখা মিলে বেশ কয়েকজন ভ্রমণপিপাসু মানুষের। কথা হয় তাদের সঙ্গে। প্রায় সবাই বলছিলেন, এখানে এসেছি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে। বাঁচতে হলে প্রকৃতিকে ধারণ করতে হবে এটা এখন প্রমাণিত সত্য।

এ যেন ঝলমলে রঙের খেলা,কখনো কখনো বাতাসের ছন্দে আপন মনে দুলছে। মাঝারি আকারের গাছে এলোমেলো ডালগুলো নুয়ে আছে দুপাশে। গাঢ় লাল, কমলা, হালকা হলুদ রঙের ফুলে ভরে গেছে প্রতিটি শাখা।

প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন জয়দেবপুর, বাড়িয়া, ব্রাহ্মণগাঁও, বক্তারপুর, বামচিনিসহ আশপাশের গ্রামগুলো থেকে সকাল-বিকেল ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমী শত শত মানুষ।

এসএইচ-২৫/২৫/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

মাসুদ ২৯ বছর পর পরিবার ফিরে পেলেন

দীর্ঘ তিন দশক আগে হারিয়ে যাওয়া মাসুদকে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার। আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠান ‘আপন ঠিকানা’র মাধ্যমে পরিবার তাকে খুঁজে পায়।

মাসুদ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দেওয়ানজীকান্দি গ্রামের বাচ্চু মোল্লার বড় ছেলে। ১৯৯০ কিংবা ১৯৯১ সালের দিকে তার চাচা খোরশেদ মোল্লার সঙ্গে ঢাকা মুগদা পাড়ায় বেড়াতে আসেন। ঢাকায় আসার একদিন পর চাচাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে রাস্তায় খেলতে খেলতে হারিয়ে যান মাসুদ।

৫/৬ বছরের মাসুদ তখন অনেক খুঁজেও নিজের চাচার বাসা আর চিনতে পারেনি। পরিবারের কতো আহাজারি! তখনকার সময়ের সব পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেও খোঁজ মিলেনি মাসুদের।

দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে পুত্র শোকে ভোগেন তার বাবা-মা ও পরিবারের সবাই। হারানো সন্তানকে আবার খুঁজে পাবেন কে জানতো। কিছু দিন আগে আরজে কিবরিয়ার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যালেন থেকে প্রকাশিত ‘আপন ঠিকনা’ নামক একটি অনুষ্ঠানে নিজের আপন ঠিকানা খুঁজতে আসেন মাসুদ। সেখানে এসে নিজের হারিয়ে যাওয়া অতীতের স্মৃতি যতটুকু মনেছিল, তা তুলে ধরেন।

সেই ছোট্ট মাসুদ কিছু স্মৃতি মনে রাখতে পারলেও মনে রাখতে পারেনি নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের কথা। হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি এতটুকুই বলতে পেরেছিলেন যে, তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া এবং তিনি চাচার সঙ্গে লঞ্চে করে ঢাকা এসেছিলেন৷ এরপর হারিয়ে যায় পরিবার থেকে ২৯টি বছর।

আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠান ‘আপন ঠিকানা’ ১৬ নম্বর এপিসোড মাসুদের হারানোর কথা বলে। পরে তা জানতে পারে মাসুদের পরিবার। আরও জানা যায়, মাসুদ যেই মা-বাবার কাছে এই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থেকেছেন, যাদের কাছে বড় হয়েছেন, তার সেই মা-বাবা কেউই বেঁচে নেই।

অনুষ্ঠানটি দেখার পর নানা মাধ্যমে মাসুদের পরিবার যোগাযোগ করে আরজে কিবরিয়া এবং মাসুদের সঙ্গে। অবশেষে স্টুডিওতে মাসুদের সঙ্গে তার পরিবারের মিল ঘটিয়ে দেন কিবরিয়া।

যদিও অনেক প্রমাণ বা তথ্যাদি হাতে পেয়েই তিনি শনিবার পরিবারের সঙ্গে মাসুদের পরিচয় করিয়ে দেন ও বুঝিয়ে দেন হারিয়ে যাওয়া ঠিকানা৷

বাবা বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরারে ফিরা পাইছি, আল্লার কাছে শুকরিয়া। কিবরিয়া বাবাকে ধন্যবাদ। তোমার ঋণ এই জীবনে শোধ করতে পারবো না।’

দীর্ঘ সময় পর নিজের ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাসুদের মা-বাবা৷ পরিবারেও বইছে ফিরে পাওয়ার আনন্দ।

এসএইচ-২৪/২৫/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

ভারতের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব

জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারতের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

রোববার সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারের ১ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছে কোভ্যাক্স।

এছাড়া একই সময়ে সেরামের ২০ লাখ ডোজ আসার কথা জানিয়েছে বেক্সিমকো বলেও জানান তিনি।

খুরশীদ আলম বলেন, চীনের সিনোফারম ৫ লাখ উপহার নেয়া হবে। তবে প্রয়োগের বিষয়ে জাতীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে দেশে এর সংক্রমণ রোধে আপাতত ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।

সময়নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বড় ঝুঁকি হতে যাচ্ছে দুটোভাবে। একটা হলো ভারতে যে অসংখ্য সংক্রমণ হচ্ছে সেখান থেকে এ সংক্রমণটা আমাদের দেশে আসতে পারে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। এটা হচ্ছে বড় ঝুঁকি।

এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের তাই পরামর্শ, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ তার। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ভারত থেকে বাংলাদেশে কেউ আসলে ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যে নিজেদের সমস্যা আছে করোনার, তারওপর ভারত থেকে এসে সমস্যাটা যেন বেশি গভীর না করে। সে ব্যাপারে আমাদের খুব মনযোগ দেয়া উচিত। ভারত থেকে আসলে তাকে দুই ডোজ টিকার সার্টিফিকেট দেখানো উচিত।’

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি ভারতে যায় জরুরি প্রয়োজনে, সে ক্ষেত্রে তাকেও ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তার।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। সর্বাত্মক লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধে চলছে সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।

পাশের দেশ ভারতেও করোনা মহামারিতে লাগাম ছাড়িয়েছে। করোনার নতুন রূপ ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী ভাইরাসটি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, যা অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং তিনগুণ বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। এতে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হচ্ছে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। শিশুদেরও যা ভোগাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে তার আশঙ্কা, ভারতের করোনার নতুন রূপ বাংলাদেশের জন্যও চরম ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এসএইচ-২৩/২৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কল দিলেই বাসায় পৌঁছে যাবে খাবার

কোনো মধ্যবিত্ত পরিবার যদি খাদ্য সঙ্কটে থাকেন তবে তিনি ‘৩৩৩’ নম্বরে কল দিলে তার বাসায় খাবার পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

রোববার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় মজুত এবার কম, তারপরও ভারত থেকে ৫ লাখ মেট্টিক টন চাল আমদানি হয়েছে। বোরো ধান কেনা হলে সরকারের ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।

এদিকে ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্প কারখানা খোলা থাকাতে গত বছরের তুলনায় এবার কম সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়েছে।

এসএইচ-২২/২৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্লোব বায়োটেকের টিকার অনুমোদন

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের করোনার টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ এক সপ্তাহের মধ্যেই নৈতিক অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

রোববার তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এসএইচ-২১/২৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আসছে ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট

মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির উচ্চহার দেখানো থেকে শেষ পর্যন্ত সরে আসছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগেই একবার বলেছিলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও (বিবিএস) সাময়িক হিসাব দিয়ে জানিয়েছিল, এই হার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।

কিন্তু ৯ মাস পার হতে চলেছে, জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব আর বের হচ্ছে না। তবে গত বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কে আভাস পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী ওই অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪ বা ৪ শতাংশের খানিক বেশির কথা বলা হতে পারে। মূল বাজেটে যা ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের থাবায় গত বছরের মার্চ থেকেই বিপর্যস্ত হয়েছে অর্থনীতি। উৎপাদনের চাকা ঘোরেনি বহুদিন। নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। রপ্তানি আয় কমেছে। আমদানিও হ্রাস পেয়েছে। এক রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় ছাড়া অর্থনীতির সব সূচকই হয়েছে নেতিবাচক। অবশ্য প্রবাসী আয় বৃদ্ধির পেছনে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশ এবং অনেক ব্যাংকের বাড়তি আরও ১ শতাংশ প্রণোদনার বড় ভূমিকা রয়েছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগেই দেশি-বিদেশি সব সংস্থা ও গবেষকদের কাছ থেকে বেশ কিছু বাস্তবমুখী পরামর্শ আসে। কিন্তু সবকিছু এড়িয়ে সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা এক দফা কমিয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়। এখন আরেক দফায় তা কমিয়ে ৬ শতাংশের নিচে আনা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

সূত্রগুলো জানায়, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ধরা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মেনে নিয়ে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণের উচ্চাভিলাষী পথে আর যাচ্ছে না সরকার। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ১ শতাংশের বেশি কমানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকবে ৭ শতাংশের ঘরে।

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, আগামী ৩ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকার নতুন বাজেটের আকার ৬ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ধরে এগোচ্ছে, যা শেষ মুহূর্তে কিছু বাড়তে-কমতে পারে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অবশ্য বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা অপ্রত্যাশিতভাবে এসে পড়েছে। তবে এটা ঠিক যে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাবটি এখনো তৈরি হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি হয়ে যাবে।’

বাজেটকে অংশীদারিমূলক করতে প্রতিবছর যে প্রাক্-বাজেট আলোচনা হয়, গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে তা খুব বেশি হয়নি। অর্থ বিভাগ অনলাইনে কিছু বৈঠক করেছে। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কিছু বৈঠক করেছে সরাসরি, কিছু করেছে অনলাইনে।

বাজেটীয় আয়ের বড় অংশ আসে এনবিআরের মাধ্যমে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বাকি চার মাসে আদায় করতে হবে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা।

করোনাকালে লক্ষ্যমাত্রার কতটা রাজস্ব আহরণ সম্ভব, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এবার এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য বাড়ানো হচ্ছে, যার আকার হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো।

বাজেট ব্যয়ের একটি বড় অংশ খরচ হয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)। আগামী বাজেটে এডিপির আকার ধরা হচ্ছে ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মতো, যা চলতি অর্থবছরের মূল বরাদ্দের চেয়ে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও আগামী অর্থবছরের জন্য এডিপির আকার প্রক্ষেপণ করা আছে ২ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ তাহলে কত হবে? চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশের সমান। অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো বলছে, আগামী বাজেট হবে সম্প্রসারণমূলক। এতে ঘাটতি ধরা হবে জিডিপির ৬ দশমিক ২ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে। সেই হিসাবে আগামী অর্থ বছরে বাজেট ঘাটতি ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে, যা হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

জানা গেছে, ঘাটতি অর্থায়নের প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ব্যাংকঋণের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে, সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের চার মাস বাকি থাকতেই অবশ্য সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার সম পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার আশা করছে অর্থ বিভাগ।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজেট বাস্তবসম্মত করা উচিত। ভালো খবর যে গত অর্থবছরের প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরেরটিও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরেরটিও বাস্তবসম্মত করা হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি। তাই আমার পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।’

আহসান এইচ মনসুরও এবার বড় বাজেট ঘাটতির পক্ষে। তিনি বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ করলেও কোনো অসুবিধা হবে না। মানুষের হাতে ভালো টাকা নেই বলে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা নেই-এটা একদিক থেকে ভালো খবর। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে বিনিয়োগ কমে যাওয়া। এই চ্যালেঞ্জ সরকার কীভাবে মোকাবিলা করবে, সেটাই এখন বড় বিষয়।’

এসএইচ-২০/২৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

শিগগিরই ভ্যাকসিন পাচ্ছে না বাংলাদেশ, জানিয়ে দিলো ভারত

শিগগিরই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না বাংলাদেশ। শনিবার ভারতীয় হাইকমিশনের একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়- কাঁচামালের সংকট ও ভারতে বিপুল অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি হচ্ছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারত তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাকসিন সরবরাহের যেসব চুক্তি করেছিল, সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিন উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।

ভ্যাকসিনের কাঁচামাল রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়ে এতে আরও বলা হয়েছে, প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলো কাঁচামাল আটকে দিয়েছে, এ বিষয়টিও সবার জানা। এতে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরামের ওপর প্রভাব পড়েছে।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিল।

এদিকে, বাংলাদেশে সেরামের স্থানীয় প্রতিনিধি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেছেন, আগাম অর্থ পরিশোধের পরও ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করার কোনো অধিকার সেরাম ইনস্টিটিউটের নেই।

শনিবার দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘তারা দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য আগাম অর্থ নিয়েছে, এখন পর্যন্ত আমরা ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছি। আরও ৮০ লাখ ডোজ এখনো আমাদের দেয়নি। সরকারের উচিত এ বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর চাওয়া।’

এসএইচ-১৯/২৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)