সকাল ৭:৫১
সোমবার
২০ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

আইপিএলের নিলামে ১৪ বছরের এক আফগান

বয়স মাত্র ১৪। তাতেই নাম উঠল আইপিএলের নিলামে। গড়লেন ইতিহাসও। নাম তার নূর আহমেদ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় হবে নিলাম। সেখানে নজর থাকবে নূরের দিকে। তার ভিত্তি মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা।

আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে নিলাম লিস্টে নূরের নাম। ইতিমধ্যেই রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ট্রায়াল দিয়েছে নূর। রাহুল দ্রাবিড় বেশ প্রশংসাও করেছেন এই আফগান তরুণের।

এ দিকে চলতি মাসেই আফগানিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পান নূর। দলটির হয়ে বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে চার উইকেট নিয়ে কুড়িয়েছেন বাহবা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নূর বলেন, ‘‌রাহুল দ্রাবিড় স্যার আমার বোলিং দেখে খুশি হয়েছেন। যা আমাকে আরও ভাল পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করছে। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তির প্রশংসা ও আস্থা আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দিল।’‌

উল্লেখ্য, আগামী বছরের এপ্রিলে শুরু হবে আইপিএলের ১৩তম আসর। এবারও আট দলের অংশগ্রহণে মাঠে গড়াবে এই জমজমাট টুর্নামেন্ট। টি২০ ফরম্যাটে রাউন্ড রবির পদ্ধতিতে মোট ৬০ ম্যাচের ফয়সালা হবে।

এসএইচ-২২/১৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মাকে ধাক্কা দেওয়ায় রেগে গাড়িতে লাথি শিশুর (ভিডিও)

মাকে ধাক্কা দেওয়ায় রেগে গিয়ে গাড়িকে লাথি মারে এক শিশু। মনে হচ্ছে, লাথি মেরে গাড়িটিকে ভেঙেই ফেলবে সে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

চীনের চংকিং শহরের একটি রাস্তার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই দৃশ্য। যা দেখে অনেকেই সমবেদনা জানাচ্ছেন, সেইসঙ্গে ছোট্ট শিশুটির কাণ্ড দেখে হাসছেনও। কেউ আবার তাকে ‘হিরো’ বলছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার জেব্রা ক্রসিং দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক নারী ও তার ছোট্ট শিশু। সন্তানের হাত ধরে রাস্তা পারাপারের সময় একটি সাদা রঙের গাড়ি এসে ধাক্কা মারে দুজনকে। এতে দুজনই ছিটকে পড়েন রাস্তার ওপর।

গাড়ির গতি অল্প থাকায় মা-ছেলের তেমন কিছুই হয়নি। তবে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর গাড়ি ও এর চালকের ওপর রেগে যায় শিশুটি।

ভিডিওতে দেখা যায়, মা ঠিক আছে কিনা দেখে নিয়েই শিশুটি গাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। এরপর গাড়ির সামনে গিয়ে জোরে লাথি মারে। তবে তার ওই লাথিতে গাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি। গাড়ির চালকের দিকে তাকিয়ে তাকে আঙুল তুলে কিছু বলতেও দেখা যায়।

পরে গাড়ির চালক ও আশপাশের লোক এগিয়ে এসে নারী ও ওই শিশুকে সাহায্য করেন। যে গাড়িটি ধাক্কা মেরেছিল, তাদের সেই গাড়িতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসএইচ-২১/১৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

৩ কেজি ইলিশের দাম ১০ হাজার টাকা!

জেলেদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ৩ কেজি ওজনের ইলিশ। বাজারে তুলতেই ক্রেতাদের ভিড় করেন ইলিশটি কিনতে। শেষ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে মাছটি।

সোমবার ভারতের উড়িষ্যার মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে এ মাছটি বাজারে নিয়ে আসেন স্থানীয় জেলে প্রমাণাকার।

বাজারে আনার সাথে সাথে ইলিশ মাছটিকে ঘিরে হইচই পড়ে যায় দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। দিঘা মোহনায় অজিত হাজরার আড়তে মাছটি আসার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে।

ইলিশ নিয়ে সেলফি তোলার ধুম শুরু হয় পর্যটকদের মধ্যে। দীর্ঘ দরদামের পর ইলিশটি বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার টাকায়। বিশালাকার ইলিশটি কেনে কলকাতার এসডিআর নামে একটি কোম্পানি।

গত দু’বছরের মধ্যে দিঘা মোহনায় এটিই সবচেয়ে বড় আকৃতির ইলিশ বলে জানিয়েছেন আড়ৎকর্মী সুদীপ হাজরা।

এসএইচ-২০/১৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর

বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বে বুধবার লড়ছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রেঞ্জার্স। ইতোমধ্যে এ ম্যাচের টস সম্পন্ন হয়েছে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর। এবারের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দুই ম্যাচে খেলে একটিতে জিতেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

দলে রয়েছে ভানুকা রাজাপাকসে, ডেভিড মালান, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানের মতো তারকা ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রামের উইকেট গতবারের মতো এবারও ব্যাটিং সহায়ক। তাই বড় স্কোর গড়তে হবে কুমিল্লাকে।

বোলিংয়ে আফগানিস্তানের রহস্যময়ী তারকা মুজির উর রহমান রয়েছেন। যার অফ স্পিনের মর্মার্থ অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানও বুঝতে পারেনি। সঙ্গে পেসার আল আমিন ও আবু হায়দার রনি রয়েছেন।

এ দিকে, দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রংপুর রেঞ্জার্স। কেবল সিলেট থান্ডার চার ম্যাচের সবকটিতে হেরে রংপুরের নিচে অবস্থান করছে। দল হিসেবে ভারসাম্যপূর্ণ হলেও রংপুর মাঠের লড়াইয়ে তা মেলে ধরতে পারেনি।

নাঈম শেখ, মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ নবী ও লুইস গ্রেগরির মতো তারকা ব্যাটসম্যান আছে রংপুরে। বোলিংয়ে অপশনে তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আছেন ছন্দের বাইরে। এটা মানসিকভাবেও রংপুরের জন্য বেশ হতাশাজনক। তাসকিন, নবী, গ্রেগরি, আরাফাত সানির মতো অনেক বোলিং অপশন থাকার পরও দুই ম্যাচেই হারের কষ্ট পেয়েছে তারা।

এসএইচ-১৯/১৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাবা মিস্ত্রী, মা হোটেলের রাঁধুনী; ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা

বাবা চাকরি করতেন কারখানায়, মা গৃহিণী। হঠাৎ বাবার চাকরি চলে যাওয়ায় অভাবের সমুদ্রে পড়ে যান তারা। এরপর বাবা কোনোরকমে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি কাজ জোগাড় করেন। কিন্তু সেই আয়ে সংসার চলত না। তাই মা কাজ করা শুরু করেন হোটেল, সেখানে রুটি বানাতেন তিনি। ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি বাবা ও হোটেলের রাঁধুনী মায়ের ছেলে এখন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েছে। গল্পটি ভারতের রাজস্থানের।

দেশটির কনিষ্ঠতম অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিটেন্ডেন্ট পুলিশ (এএসপি) হয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের জামনগর থানায় কাজে যোগ দেবেন তিনি। নিজের এই সাফল্য বাবা-মাকে উত্সর্গ করেছেন।

ভারতের কনিষ্ঠতম এই এএসপির নাম সাফিন হাসান। গুজরাটের পালানপুরে জন্ম তার। ছোটবেলায় একবার জেলাশাসককে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধান করতে দেখেছিলেন।

খুব সহজ আর সুন্দরভাবে গ্রামবাসীর সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন সেই জেলাশাসক। তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান বাতলে দিচ্ছিলেন। বিনিময়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা আর সম্মান। ওই জেলাশাসককে দেখেই সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা হয় সাফিনের।

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভের পর তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তাকে অবশ্য শুধু বাবা-মা সাহায্য করেননি, এমন এক মেধাবী ছেলের যেন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে এগিয়ে এসেছিলেন এক প্রতিবেশী পরিবারও।

পরে ইউপিএসসি-তে সারা ভারতে ৫৭০ র‌্যাঙ্ক করেন তিনি এবং মাত্র ২২ বছর বয়সে ভারতে কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়ে যান।

এসএইচ-১৮/১৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

পার্টির পর হ্যাংওভার ছুটি মিলবে ব্রিটেনে

সামনেই উৎসবের মরশুম। ক্রিসমাস, বর্ষবিদায়, নতুন বছর বরণ একের পর এক অনুষ্ঠান। রাতভর পার্টি। কিন্তু সকালেই ঘুম চোখেই হ্যাংওভার নিয়েই ছুটতে হবে অফিস। এরপর অফিসে দিনভর ঘুমঘুম ভাব, একটানা চেয়্যারে বসে কাজ করতে বিরক্তি। কিন্তু উপায় কি! ছুটি তো আর মিলবে না। কিন্তু অফিসই যদি পার্টি করার জন্য ছুটি দেয়? ভাবছেন, জেগে স্বপ্ন দেখছেন? গল্প নয়, সত্যি। ব্রিটেনের এক অফিসে মিলছে হ্যাংওভার ডে। পার্টি করার পরদিন বাড়িতে বসেই কাজ করার সুযোগ মিলছে।

উত্তর-পশ্চিমে ব্রিটেনে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং সংস্থা ‘দ্য অডিট ল্যাব’। অন্যান্য সংস্থা হ্যাংওভারকে ছুটি নেওয়ার অজুহাত হিসেবে দেখতে রাজি নয়। কিন্তু অডিট ল্যাব সেই পথে হাঁটতে রাজি নয়। জেন ওয়াইয়ের কর্মীদের আকৃষ্ট করতে নতুন পন্থা নিয়েছে অডিট ল্যাব। কর্মীদের ‘হ্যাংওভার ডে’ নেওয়ার সুবিধা দিচ্ছে।

এই নীতি অনুযায়ী, পার্টি করার পরের দিন কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করতে হবে না। তাঁরা চাইলে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন। ফলে কর্মীদের কষ্ট কিছুটা কমবে, কোম্পানির কোনও ক্ষতি হবে না। তবে এটি শুধু উৎসবের মরসুমের জন্য নয়। হ্যাংওভার ডে পলিসি সারা বছরই চালু রেখেছে।

সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের দাবি, অনেকেই সপ্তাহের শনি-রোববার ছুটি পান না। আবার অনেক উৎসব শনি-রবিবার দেখে হয়ও না। সেক্ষেত্রে অফিসের কর্মীরা পার্টি করার সুযোগ পান না। অফিসের কথা মাথায় রেখে কিছুক্ষণ পার্টিতে থেকেই তাঁরা ফিরে যান। আবার যারা পার্টি শেষ করে ভোর রাতে বাড়ি ফেরে তাঁদের হ্যাং ওভার কাটে না। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায়, বহু কর্মী পার্টি করার পর মিথ্যা অজুহাতে ছুটি নেন। এবার সেই পরিস্থিতি এড়ানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে অডিট ল্যাবের ডিরেক্টর ক্লেয়ার ক্রম্পটন জানিয়েছেন, এটা একটা পারস্পরিক বিশ্বাসের বিষয়। আশা করা যায় কর্মীরা সত্যি কথা বলবেন ।সংস্থাও কর্মীদের বাস্তব সমস্যাটা বুঝবে।

এসএইচ-১৭/১৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

কাতার টি-টেন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ

গত মাসে কাতার টি-টেন লিগের প্রথম আসর শেষ হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে দুর্নীতির প্রশ্ন রয়েই গেছে। প্রায় একমাস পর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি নিশ্চিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর বিষয়টি।

টুর্নামেন্টটির অনুমোদন দেয়ার ১২ মাস পরেই আয়োজক ও মালিকানা পরিবর্তন হয়। ফলে আইসিসির সন্দেহ হলে আরো শক্ত অবস্থানে যায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘আয়োজকদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইসিসি ১২ মাস আগে এই টুর্নামেন্টের অনুমোদন দিয়েছিল।

টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েকদিন আগে আয়োজক এবং দলের মালিকানা পরিবর্তন আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। এই সন্দেহে অতিরিক্ত তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যার ফলে আমরা কাতার এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিত দুর্নীতিবাজদের বাধা দিতে পেরেছি। তাদের পরিকল্পনা আমরা ভেস্তে দিতে পেরেছি।

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের জন্য কিছু নতুন তদন্তের জন্ম হয়েছে। ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যহত থাকবে।’

এসএইচ-১৬/১৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রাজাকার বাহিনী গড়ে উঠে যেভাবে

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শব্দটি গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ক্ষোভ ও ঘৃণা ছড়িয়েছে এবং এখনও ছড়াচ্ছে, সেটি হলো ‘রাজাকার’।

‘রাজাকার’ শব্দটির সাথে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় ঘটে ১৯৭১ সালে।

মাত্র কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ সরকার রাজাকারদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেটি নিয়ে চলছে বিতর্ক এবং শোরগোল। অভিযোগ উঠেছে যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত ব্যক্তির নাম ঢুকেছে রাজাকারের তালিকায়।

প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৭১ সালে রাজাকার কারা ছিলেন? আর তাদের ভূমিকাই বা ঠিক কী ছিল?

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘রাজাকার’ একটি ফার্সি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে ‘স্বেচ্ছাসেবী’।

তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তার জন্য ১৯৭১ খুলনার খান জাহান আলী রোডের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিকে নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়।

এরপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ বাহিনীর জন্য সদস্য সংগ্রহ করা হয় এবং তারা প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান অধ্যাপক মামুন।

রাজাকার বাহিনী গঠনের পেছনে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন নেতা এ কে এম ইউসুফ, যিনি পরবর্তীতে দলটির নায়েবে আমির হন।

মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে কারাগারেই তার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং খুলনায় শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’র আহবায়ক ড. এম এ হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পর ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্স গঠন করা হয়।

তিনি জানান, এর অধীনে রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস্ বাহিনী গঠন করা হয়।

এই ফোর্সের অধীনে বাঙালীরা যেমন ছিল, তেমনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসরত উর্দুভাষীদের অনেকে তাতে যোগ দেয়। পাকিস্তান বাহিনী তাদের হাতে অস্ত্রও তুলে দিয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে রাজাকার বাহিনী ছিল শান্তি কমিটির আওতাধীন।

ড. এম এ হাসান বলেন, ১৯৭১ সালের জুন মাসে জেনারেল টিক্কা খান রাজাকার আইন জারি করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনীতে প্রায় ৫০ হাজার সদস্য ছিল, যারা মাসিক ভাতা পেতেন।

ওই সময় প্রতি মাসে রাজাকার বাহিনীর একজন সদস্য দেড়শো’ রুপির মতো ভাতা পেতেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ড. হাসানের বলেন, “যতদূর আমার মনে আছে, একজন রাজাকার সদস্য তখন ১৫০ রুপি ভাতা পেত। স্বাধীনতার পরেও এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ৯০ রুপি।”

অনেক রাজাকার সদস্য অবশ্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতেও কাজ করতেন।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং ড. এমএ হাসান – দু’জনই বলেছেন যে রাজাকার বাহিনীতে যারা কাজ করতেন, তাদের নাম মুক্তিযুদ্ধের সময় সংশ্লিষ্ট থানায় লিপিবদ্ধ ছিল।

ড. হাসান বলেন, রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিতো, মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতো, হত্যা করতো কিংবা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতো।

যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের ভেতরে বেশ কয়েকটি বাহিনী বা সংগঠন গড়ে উঠেছিল। এগুলো হচ্ছে – শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস।

গবেষকরা বলছেন, যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জামায়াত ইসলামীর নেতা গোলাম আযম এবং মুসলিম লীগ নেতা খাজা খয়েরউদ্দিন।

অন্যদিকে আল-বদর বাহিনীর তিন থেকে পাঁচ হাজার সদস্য ছিল বলে উল্লেখ করেন ড. হাসান। জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা-কর্মীরা এ বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে তিনি জানান।

বাহিনীটির প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী, যিনি স্বাধীন বাংলাদেশে পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর আমির হন। মানবতবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে মি. নিজামীকে ফাঁসি দেয়া হয়।

এছাড়া আল-শামস বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও ছিল প্রায় ৩,০০০’র মতো।

এসএইচ-১৫/১৮/১৯ (আকবর হোসেন, বিবিসি)

সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা কমেছে, বেড়েছে গ্রেপ্তার

কাজ করতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা কমেছে৷ কিন্তু সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপ কমেনি৷ দেশে দেশে এখনও গ্রেপ্তার বহু পেশাদার৷ রিপোর্ট পেশ করল সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা৷

ষোলো বছরে সব চেয়ে কম সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে ২০১৯ সালে৷ কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে৷ রিপোর্ট প্রকাশ করল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স নামে একটি সংস্থা৷ তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে গোটা বিশ্বে কাজ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৪৯ জন সাংবাদিক৷ কিন্তু দেশে দেশে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুণ৷

২০১৯ সালে মেক্সিকো, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে সব চেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷ সংস্থাটি এই কটি দেশকেই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সব চেয়ে আশঙ্কাজনক জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮সালে সব মিলিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল ৮৭৷ ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৷

তবে এর জন্য কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি৷ তাদের বক্তব্য, গত এক বছরে তথাকথিত যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সাংবাদিকরা কাজ কম করেছেন৷ সিরিয়া বা মধ্য প্রাচ্য-এর দেশ গুলিতে যাঁরা গিয়েছেন তাঁরা অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন৷

আফগানিস্তানের মতো দেশে, যেখানে কাজ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নিহত হওয়ার হার চোখে পড়ার মতো বেশি, সেখানে ইদানীং সাংবাদিকরা অনেক বেশি সতর্ক হয়ে কাজ করছেন৷ একবারে অনেকটা রাস্তা একা পাড়ি দিচ্ছেন না৷ রিপোর্ট অনুযায়ী এ বছর এক দেশ থেকে অন্য দেশে কাজ করতে গিয়ে কার্যত একজন সাংবাদিকেরও মৃত্যু হয়নি৷ গত এক দশকে যে সংখ্যাটা ছিল চোখে পড়ার মতো৷

মৃত্যু হয়তো হয়নি, কিন্তু দেশে দেশে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচারকমেনি৷ গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সব চেয়ে বেশি সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে আটক করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৮৯৷ যার মধ্যে এক নম্বরে চীন৷ শুধু সে দেশেই এখনও পর্যন্ত আটক সাংবাদিকের সংখ্যা ১২০৷

সাংবাদিকরা কম নিহত হয়েছেন, এটা আশার কথা৷ তবু প্রশ্ন উঠছে, দেশে দেশে কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন সাংবাদিকরা৷ শুধু চীন নয়, তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশ গুলিতেও ইদানীং সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টিকরছে সরকার৷ ভারতেও গত কয়েক বছরে এই অভিযোগ বার বার উঠেছে৷ বস্তুত, গোটা উপমহাদেশেই এই অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে৷ পিছিয়ে নেই লাতিন অ্যামেরিকাও৷ সেখানেও বার বার সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ উঠছে৷

এসএইচ-১৪/১৮/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

রাজাকারের তালিকা প্রকাশ শাপে বর হয়েছে!

ব্যাপক বিতর্কের মুখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজাকারের তালিকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে  বলেছেন, ‘‘এই তালিকা প্রকাশ শাপে বর হয়েছে৷’’ মন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন যারা রাজাকার ছিলেন না তারা তা সংশোধনের সুযোগ পাবেন৷ ১০০ বছর পর প্রকাশ হলে সেই সুযোগ তারা পেতেন না৷”

১৫ ডিসেম্বর পূর্ব ঘোষণা অনুাযায়ী ‘রাজাকরের তালিকা’ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ ১০ হাজার ৭৮৯ জনের এই তালিকায় সরকারের গেজেটে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের নামও রয়েছে৷ এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও এই তালিকা প্রকাশের পক্ষে ডয়চে ভেলের কাছে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক৷

তিনি বলেন,‘‘আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা প্রকাশ করেছি৷ এর দাড়ি, কমা, সেমিকোলন কিছুই পরিবর্তন করিনি৷ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের করা এই তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিলো৷ এই তালিকা সঠিক কিনা তা জানতে হলে যারা এটা করে গেছেন তাদেরকে আমাকে কবর থেকে তুলতে হতো৷”

যাচাই-বাছাই ছাড়াই তালিকাটি প্রকাশ ঠিক ছিল বলে মনে করেন মন্ত্রী৷ তার মতে এটি প্রকাশ করা ঐতিহাসিক কারণে জরুরি ছিলো৷ তিনি বলেন, ‘‘এই তালিকা তো একদিন না একদিন প্রকাশ হতো৷ আরো ৩০ বছর পর যদি প্রকাশ হতো, ১০০ বছর পর প্রকাশ হলে তা যারা এখন বলছেন তারা সংশোধনের সুযোগ পেতেন না৷ এখন তো আমরা সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি৷ তারা বলতে পারছেন, আমরা রাজাকার ছিলাম না৷ এই তালিকা প্রকাশ তাই শাপে বর হয়েছে৷ তারা এখন সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছেন৷”

তালিকাটি প্রকাশের পর নিজের মুক্তিযোদ্ধা বাবার নাম এসেছে বলে জানান বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী৷ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার বাবা এডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং-১১২ পৃষ্ঠা-৪১১৩৷ তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার৷”

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘আমার ঠাকুরদা এডভোকেট সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে৷ তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত৷ তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷”

প্রকাশিত ওই তালিকায় রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ সংগঠকের নাম রয়েছে৷ এসেছে বগুড়ার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যসহ একডজনের বেশী শীর্ষ নেতাদের নামও৷

এই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে রাজাকারের তালিকায় রাখার মাধ্যমে তাদের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা খ্যাতিমান ব্যক্তি তাদের আমরা চিনি৷ কিন্তু যাদের চিনি না তাদেরটা কিভাবে যাচাই করব? আমি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি৷ আমিতো আগেই বলেছি এই তালিকা আমরা করিনি৷ আমাদের যাচাই বাছাইয়ের প্রশ্ন কেন?”

তালিকায় নিজের নাম থাকলে তিনি যতটা দুঃখ ও কষ্ট পেতেন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও যাদের নাম রাজাকারের তালিকায় উঠেছে তারাও ততোটাই দুঃখ পেয়েছেন বলে মনে করেন মন্ত্রী৷ তারপরও এর দায় নিতে নারাজ তিনি৷

যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে অনেকের নামের পাশে লেখা আছে অপরাধ প্রমাণিত হয়নি৷ তাহলে তাদের নাম প্রকাশের যুক্তি কী? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘‘এর চেয়ে আর কী ভালো লেখা থাকবে বলেন৷ তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এটাতো ভালো৷ তারা বলতে পারবেন আমরা নির্দোষ৷”

মন্ত্রী জানান, এটি প্রথম তালিকা৷ ধাপে ধাপে আরো তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হলেও তারা তালিকা পাঠাননি৷ আক্ষেপ করে তিনি বলেন,‘‘জাতি যেখানে রাজাকারদের তালিকা চায় সেখানে জেলা প্রশাসকদের এই অবস্থা!”

এদিকে রাজাকারের তালিকার ভুল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, কেউ আবেদন করলে যাচাই করে সেই নাম বাদ দেয়া হবে৷ এ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা আপত্তি করবেন তথ্য প্রমাণ দেখে তাদেরটা সংশোধন করা হবে৷ এটা আমরা নিজেরাও করব, কিন্তু সময় লাগবে৷ তবে ব্যক্তি নিজে আবেদন করলে তাড়াতাড়ি হবে৷”

কোনো বিচারের জন্য এই তালিকা নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ইতিহাসের প্রয়োজনে এই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে৷ আর যারা হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে তাদের বিচারতো চলছেই৷ আমরা জাতিকে ইতিহাসের ঘটনা অবহিত করছি৷”

রাজাকারদের তালিকায় যারা আছেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করা হবে না বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘যে অপরাধ করেছে সে তো দলীয় পরিচয়ে করেনি৷ আর তখনতো অনেক দল সৃষ্টি হয়নি৷ তখনতো বিএনপি ছিলো না, জাতীয় পার্টি ছিলো না৷”

এসএইচ-১৩/১৮/১৯ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)