বিকাল ৩:১৬
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সংসদে দাঁড়িয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন রাঙ্গা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এরশাদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে মন্তব্য করায় সংসদে দাঁড়িয়ে সবার কাছে নিঃশর্তভাবে করজোড়ে ক্ষমা চেয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। সাবেক এই স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি যদি কোনো রকমের ভুল করে থাকি তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি, নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কোনো ভুল ত্রুটি হলে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ২৭৪ বিধিতে নিজের কৈফিয়ত দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এরশাদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে নিয়ে মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি আসে সংসদ থেকে। কোনো কোনো এমপি তাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কারও চান। তবে জাতীয় পার্টির কয়েকজন সিনিয়র নেতা বলেন, এটা তাদের দলীয় বক্তব্য নয়।

আজ সংসদে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ একটি গণতন্ত্র দিবস পালন নিয়ে আমাদের একটা সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনুষ্ঠান ছিল। একই দিনে নূর হোসেনের দিবস নিয়ে একটি আলোচনা ছিল। পুরাতন ঢাকা থেকে আমাদের কিছু লোক আসার সময় নূর হোসেন চত্বরে তাদেরকে গালাগালি করা হয়। বলা হয়-‘এরশাদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’। এই সব কিছু কথাবার্তা শোনার পর আমাদের অফিসে এসে তারা আমাদের বলেন। আমি দলের মহাসচিব হিসেবে তাদেরকে শান্ত থাকতে বলি।”

তার এ বক্তব্যের সময় সংসদে উপস্থিত অনেক এমপি হৈ-হুল্লোড় করতে থাকেন। উত্তেজিত এমপিদের উদ্দেশে রাঙ্গা বলেন, ‘কোনো মন্তব্য করার আগে আমারটা কথাটা শুনুন।’ এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য, আপনি বলতে থাকুন, আপনি বলুন।’

এরপর রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী মহোদয় সংসদে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমার স্থানীয় সরকারের সাবেক সিনিয়র মন্ত্রীও আলোচনা করেছেন মঙ্গলবার সংসদে। আমি মনে করি, তারা আমাকে শাসন করেছেন। আমি এটা ভুল করেছি এবং ভুল করার জন্য আমি তার (নূর হোসেন) পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এমনকি বিবৃতিও দিয়েছি।’

তিনি বলেন, “আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সংসদে ৩৭ বার প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। সে সময় অসংখ্যবার আমি জাতির পিতার নিয়ে কথা বলেছি। এ সময় ‘জয় বাংলা’ বলেছি। তাই জাতির পিতা নিয়ে আমার যদি কোনো রকমের ভুল হয়ে থাকে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি, নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।”

স্পিকারকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “মাননীয় স্পিকার, আমরা মহাজোটের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছি ২০১৪ সালে। আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সারা দিনরাত পরিবহন সেক্টর সচল রাখার জন্য কাজ করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বা ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলিনি। আমি বলেছি, এই সময়ে বিশ্বজিৎ হত্যা হয়েছে। তারও বিচার হয়েছে। আমি যেটা বলেছি, তাহল ১৯৯০ সালেন পর যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলেন, তখন কৃষকদের হত্যা করা হয়েছিল।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য। বিদেশ থেকে সেই সময় অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে বাংলাদেশে। এই কথাগুলো কিন্তু আমি বলেছি। এর রেকর্ড রয়েছে। এরপরও আমি নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। যদি আমি কোনো ভুল করে থাকি অবশ্যই আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।”

তিনি বলেন, ‘সংসদে আমার কলিগ আছেন, তারাও এটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, হয়তো আমার দল ক্ষমতায় আসলেও আমি মন্ত্রী হতে পারতাম না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী করেছেন। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। আমি মনে করি, সেই সম্পর্ক উনার সঙ্গে আমার থাকবে। আমি এখানে কাউকে কটাক্ষ করে কিছু বলতে চাই না। সমস্ত দোষ আমার ঘাড়ে নিচ্ছি। আমার হয়তো ভুলত্রুটি হতে পারে।’

নিজ ভুলের জন্য সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তিনজন যাবত জ্বরে ভুগছি। তাই দুইদিন আমি সংসদে আসতে পারিনি। আমি কালকে সংসদে আসলে আমি কালকেই জবাব দিতে পারতাম। তারপরও আমি বিশ্বাস করি, নূর হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা গুলি করি কিংবা এরশাদ সাহেব গুলি করে মারুক কিংবা না মারুক-এটা তো সত্য তিনি মারা গেছেন। আমি তার পরিবারের কাছে পত্র দিয়ে ক্ষমা চেয়েছি। সুতরাং আমি মনে করি, এখানকার মাননীয় মন্ত্রী, এমপিরা আমার কোনো ভুলত্রুটি হলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

বিএ-১৫/১৩-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রাজশাহীতে রেলের টেন্ডার নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবলীগ কর্মী নিহত

রাজশাহীতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন ফয়সাল হোসেন রাসেল নামের এক যুবলীগ কর্মী।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মার মৃত্যু হয়।

নিহত রাসেল বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজার ছোট ভাই।

এই ঘটনায় তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সোনা নামের আরেক আওয়ামী লীগ কর্মী।

এর আগে দুপুরের দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তরের পাশে রাস্তার ধারে আওয়ামী লীগ ও সৈনিক লীগের দুই পক্ষ্যের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে।

এতে ছুরিকাহতসহ আহত হন ৫ জন। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিন জনকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেল ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রাজা ও মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।

এনিয়ে বুধবার দুপুরে রেলভবনের সামনে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এব্যাপারে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নেয়।

ওসি আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। সেখান থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

বিএ-১৪/১২-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তর থেকে অপরাধ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া সরকারি কর্মচারীসহ অন্য যে সব ব্যক্তি জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে। সরকারি কর্মচারীসহ অপরাধী যেই হোক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে অনুসন্ধানপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া কারা কারা অভিজাত গাড়ি ক্রয় করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্যাসিনো ও দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটসহ একটি বিশেষ মহল রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে একটি বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের একটি হাত রয়েছে। কিন্তু আমরা সব সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে বিশ্বাসী।

এ ব্যাপারে তার সরকারের কঠোর নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিষ্কার অবস্থান হচ্ছে, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বা একটি জিনিস স্পষ্ট বলতে চাই- বাংলাদেশের মাটিতে আমরা কোনো দেশের বা প্রতিবেশী কোনো দেশের কেউ কোনো রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় বা কোনো রকম সন্ত্রাসী তাদের কোনো অবস্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না, এটা থাকবে না। এ ব্যাপারটা আমরা নিশ্চিত করেছি। এগুলো তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের মাটি আমরা কাউকে ব্যবহার করতে দেব না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে থেকে অন্য দেশে কোনো রকম সমস্যার সৃষ্টি করুক বা কোনো রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাক বা কোন রকম গোলমাল করুক সেটা আমরা কখনও আমাদের দেশে স্থান দেয়নি, দেব না। বাংলাদেশের সব সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন ও ভারতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে শহীদুজ্জামান সরকারের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এ দুটি দেশের সঙ্গেই আমরা আলোচনা করেছি, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে। শুধু ভারত বা চীনই নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব দেশের স্থলসীমানা রয়েছে (ভারত-চীন-থাইল্যান্ড-লাওস) সেসব দেশের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত, এ ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার রাজি হয়েছে এবং একটি চুক্তিও করেছে। কিন্তু একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা দেশটিতে ফেরত যেতে চাচ্ছে না। এটি এখন মিয়ানমার সরকারের ওপরই নির্ভর করছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) ফেরত যাওয়ার পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ থাকবে সেই বিশ্বাসটি আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্টি করা তাদেরই (মিয়ানমার) দায়িত্ব।

মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান অর্থাৎ দুর্নীতির অনুসন্ধান, তদন্ত এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দফতরে পত্র প্রেরণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এরূপ অভিযান অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বদাই বদ্ধপরিকর। তাছাড়া, বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য প্রেরণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেছে। সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।

মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দল মত নির্বিশেষে সকল ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সারাদেশে এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি এ সময় কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সমাজ থেকে সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করার জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও নানা ধরনের সভা-সেমিনারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সর্বপ্রকার হয়রানির অবসানে আমরা বদ্ধপরিকর। সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্তর কমিয়ে এনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিধি-বিধান যথাসময়ে প্রতিপালন এবং জনগণের সেবক হিসেবে প্রশাসনকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা এবং আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিধি ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনারও পরিকল্পনা আমাদের সরকারের রয়েছে।

আনোয়ারুল আবেদীন খানের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যা যা করার তা করে যাচ্ছি, করে যাব। গত ১০-১১ বছর আগে দেশের কী অবস্থা ছিল একটু বিবেচনা করুন। আগে মানুষ এক বেলা খেতে পর্যন্ত খেতে পারত না। কিন্তু গত এক দশকে দেশের চেহারাই পাল্টে গেছে। সরকারের উন্নয়নের সুফল তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ ভোগ করছে। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনে বাবার মতো আমার জীবনকে উৎসর্গ করব।

বিএ-১৩/১৩-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

বাংলাদেশে কোলগেট টুথপেস্ট আমদানি বন্ধ হচ্ছে

বিশ্বের জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত কোলগেট ব্র্যান্ডের টুথপেস্টে ক্যান্সারের উপাদান আছে কি না তা পরীক্ষা করবে সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। পরীক্ষায় ক্ষতিকর কোনো উপাদান মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পণ্যটির আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে।

বুধবার বিএসটিআইয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, বিশ্বের জনপ্রিয় টুথপেস্ট ব্র্যান্ড কোলগেট। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এ টুথপেস্টে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর উপাদান ট্রাইক্লোসেন, যা দীর্ঘদিন ব্যবহারে দাঁতের মাড়ির ক্ষতিসহ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণা এমনটিই বলছে।

বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোলগেট টুথপেস্ট নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এতে ট্রিকলোসা নামের একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হয়, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কোলগেট টুথপেস্ট দেশে তৈরি হয় না।

এটি আমদানি করা হয়। তারপরও বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টুথপেস্টটি পরীক্ষা করা হবে। যদি ক্ষতিকর কোনো উপাদান পাওয়া যায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফলে আমদানিও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান বিএসটিআই কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে বিএসটিআই পরিচালক (সিএম) এস এম ইসহাক আলী বলেন, কোনো পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিএসটিআই তা পরীক্ষা করে। কোলগেট টুথপেস্টের বিষয়টি বিএসটিআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখছেন।

জানা গেছে, কোলগেটের পক্ষ থেকে বলা হয় টুথপেস্টের ব্যবহৃত ট্রাইক্লোসেন মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করে। এ বিষয়ে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন দেয়। সম্প্রতি এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ এফডিএ! কারণ কোলগেটের অনুমোদন পত্রেই আছে তারা ট্রাইক্লোসেন ব্যবহার করছে, যাতে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। তবে এতো দিন বিষয়টি প্রকাশ না হওয়ায় সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে কিছু জানত না।

সম্প্রতি টক্সিকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ট্রাইক্লোসেন উপাদান ক্যান্সারের সেলের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। তবে এবারই প্রথম এ ধরনের তথ্য প্রকাশ পায়নি। বরং এর আগেও এ ধরনের গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের উপাদান মানুষের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

মানুষের চামড়া ভেদ করে শরীরে প্রবেশের ক্ষমতা রয়েছে ট্রিকোসান নামের এই রাসায়নিক উপাদানটির। এটি শরীরে ঢুকে বিভিন্ন হরমোন এবং বিভিন্ন গ্রন্থির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে।

এই উপাদানটি রাসায়নিক শিল্পে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়। লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, বিভিন্ন পরিষ্কারক সামগ্রী, ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিস্যাপটিকসে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ উপাদানটি ক্ষতিকারক কারণ এটি মানুষের ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে রক্তে মিশে যেতে পারে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।

ট্রাইক্লোসেনের এ ক্ষতিকর দিকটি সামনে আসার পরও কোলগেট তাদের টুথপেস্টে এই উপাদানের ব্যবহার বন্ধ করেনি। বরং তাদের দাবি, এই উপাদান মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। কানাডায় ইতোমধ্যে এই উপাদানের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে।

বিএ-১২/১৩-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রাজশাহীতে গ্রেফতার ৫৫ জন জেলহাজতে

রাজশাহীতে নিয়মিত অভিযানে ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতভর নগর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরের দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এই অভিযানে নগর পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৫২ জনকে। বাকি ৩ জনকে গ্রেফতার ডিবি পুলিশ।

নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, আরএমপির অভিযানে বোয়ালিয়া মডেল থানা ১১ জন, রাজপাড়া থানা ১১ জন, চন্দ্রিমা থানা ৮ জন, মতিহার থানা ৫ জন, কাটাখালী থানা ১ জন, বেলপুকুর থানা ১ জন, শাহমখদুম থানা ১ জন, পবা থানা ২ জন, কাশিয়াডাঙ্গা থানা ১০ জন কর্ণহার থানা ১ জন ও দামকুড়া থানা ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের ১৮ জন ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। ৯ জনকে মাদকদ্রব্যসহ ও অন্যান্য অপরাধে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার দুপুরের দিকে এদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

বিএ-১১/১২-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

রাজশাহীতে তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক স্বামী

রাজশাহীর চারঘাটে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারাকে কেন্দ্র করে তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ফতেপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ নাসিমা বেগম মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে তুফান শেখ ওরফে ভোবেশের স্ত্রী।

চারঘাট মডেল থানার পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৯ বছর আগে ফতেপুর গ্রামের সিরাজ আলীর মেয়ে নাসিমার বিয়ে হয় একই গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে তুফান শেখ ওরফে ভোবেশের সাথে। এই দম্পত্তির দুই কন্যা ও একটি পুত্র রয়েছে।

নিহত গৃহবধূ নাসিমার পিতা সিরাজ আলী জানান, তার জামাই তুফান শেখ ওরফে ভোবেশ একজন দিনমজুর। ৩/৪ বছর থেকে সে ঋণে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির টাকা দিতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এনজিও থেকে নেয়া কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ভোবেশ তার স্ত্রীকে মারপিট করে।

পরে স্ত্রীর গলায় ডিস লাইনের তার পেচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। সিরাজ আলী লোকমুখে সংবাদ পেয়ে দ্রুত মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নাসিমার লাশ দেখতে পায়।

পরে চারঘাট মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ নাসিমার স্বামী তুফান শেখ ওরফে ভোবেশকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা সিরাজ আলী বাদি হয়ে জামাই তুফান শেখকে আসামি করে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সমিত কুমার কুন্ডু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তুফান শেখকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিএ-১০/১২-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

রাজশাহী রেলের টেন্ডার নিয়ে আ.লীগ-সৈনিক লীগের সংঘর্ষ, আহত ৫

রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও সৈনিক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তরের পাশে রাস্তার ধারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজা, তার ভাই রাসেল এবং আওয়ামী লীগের কর্মী সোনা।

আহতদের মধ্যে রাজার পেটে গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানায় রামেকের দায়িত্বরত চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, রেল ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রাজা ও মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুপুরে রেলভবনের সামনে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এব্যাপারে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

বিএ-০৮/১২-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

আ’লীগে দূষিত রক্তের প্রয়োজন নেই বললেন কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের প্রয়োজন নেই। গুটিকয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা দল বদনামের ভাগিদার হবে না। যারা অন্তঃকলহ করবে, অপকর্ম করবে, দুর্নীতি করবে- তাদের এ দলে স্থান হবে না।’

বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর কেবি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কারও অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন হচ্ছে। ১০টা উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে যদি একটি খারাপ আচরণ হয়। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু সেই পরিবর্তন চাই না যে পরিবর্তন আওয়ামী লীগকে আদর্শের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

শিকড়ের সঙ্গে আদর্শ বিস্তৃত। সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে যারা কাজ করবে তাদের চরিত্র হারালে চলবে না।

সভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম প্রমুখ।

বিএ-০৭/১৩-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

জাবি ভিসিকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিলেন আব্দুর রব

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখেও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম পদত্যাগ না করায় তাকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়েছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

বুধবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতি আয়োজিত, ‘ছাত্র রাজনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি একজন নির্লজ্জ মহিলা। তিনি টাকা দিয়ে ছাত্রলীগের গুন্ডা ভাড়া করে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছেন। তার যদি লজ্জা থাকতো তাহলে এতক্ষণে পদত্যাগ করতেন।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র চুরি হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা চুরি হয়ে গেছে, এই দেশ আর দেশ নেই, দেশের গণতন্ত্র নেই, সব চুরি হয়ে গেছে ।

রব বলেন, দেশ এখন স্বৈরশাসকে পরিণত হয়েছে। স্বৈরাচার দুই প্রকার, বর্তমান সরকার হল সিভিল স্বৈরাচার। ৩০ তারিখের ভোট যে সরকার ২৯ তারিখ রাতেই করে এরকম স্বৈরাচার পৃথিবীতে আর নাই। এই দেশ আর দেশ নেই, দেশের সব চুরি হয়ে গেছে।

ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক ভিপি রব বলেন, আজকে যে আমরা বাংলায় কথা বলছি এটা ছাত্ররাজনীতির ফসল। আমরা যে স্বাধীন দেশে বসবাস করছি এটাও ছাত্ররাজনীতির ফসল। এই সরকারের আমলে আমাদের দেশের মেধাবী ছাত্র সমাজ চাকরি পাচ্ছে না। চাকরি পাচ্ছে হাতুড়ি লীগ, টর্চার লীগ, যারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী করে বেড়ায়, ছাত্র খুন করে তারা। এই সরকার চাকরির যোগ্যতা চায়, যারা টর্চার করতে পারে, গুম করতে পারে, চাঁদাবাজি করতে পারে, দখলবাজি করতে পারে তাদের চাকরি দেয়া হয়। আমরা এই বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহেদা রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

বিএ-০৬/১৩-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আবরার হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বললেন আইনমন্ত্রী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আবরার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দেয়ার পর বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইন, ২০০০’ এ বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব। সেটা যখন আইন মন্ত্রণালয়ে আসবে তখন আমরা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।

শিগগিরই আবরার হত্যা মামলার বিচার শেষ হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যথা শিগগিরই করা হবে।’

এর আগে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২৫ জনের মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন— মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না মোশতুবা রাফি এবং এসএম মাহমুদ সেতু।

প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

বিএ-০৫/১৩-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)