রাত ১১:১৮
শনিবার
১৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সেপটিক ট্যাংকে নেমে একে একে প্রাণ গেল ৬ শ্রমিকের

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জাফরপুর পলাশবাড়ী গ্রামে একটি নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাইয়ের শার্টার খুলতে গিয়ে ৬ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে জাফরপুর গ্রামের নিখিল কুমারের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, জাফরপুর পলাশবাড়ী গ্রামের বাড়িওয়ালা নিখিল চন্দ্রের ছেলে প্রিতম চন্দ্র (১৯), মৃত গোবিন্দ চন্দ্রের ছেলে গণেশ (৪৫), রেজাউল করিমের ছেলে সজল (২০), সাথী হোসেনের ছেলে শিহাব (১৮), গণিপুর গ্রামের ছামছুল আকন্দের ছেলে শাহিন (৩০) এবং বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা খলিশ্বর গ্রামের টিটু মন্ডলের ছেলে মুকুল (২৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জাফরপুর পলাশবাড়ী গ্রামের নিখিল চন্দ্রের বাড়িতে মিস্ত্রিরা গত কয়েকদিন আগে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করে মুখ বন্ধ করে চলে যান। বুধবার সকালে ওই নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাইয়ের শার্টার খুলতে শ্রমিকরা ট্যাংকের ভেতরে নামেন।

এ সময় বিষাক্ত গ্যাসে ঘটনাস্থলেই ৩ জন ও হাসপাতালে নেয়া হলে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধার করেন।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিরন কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিএ-০২/৩১-০৭ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

ঢামেকে ডেঙ্গুতে ১১ জনের প্রাণহানি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রবিউল ইসলাম রাব্বি (২৭) নামের আরেক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢামেকে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কবিরপুর গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে রাব্বি। তিনি মিরপুর শেওড়াপাড়ায় থাকতেন। ঢামেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. নন্দিতা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাব্বির বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, দুই সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। শেওড়াপাড়ায় স্যামসাং সার্ভিস সেন্টারে চাকরি করতেন রাব্বি। গত ৯ দিন আগে তার জ্বর হয়। এরপর ৩ দিন বাসায় ছিলেন। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসিইউতে তার অবস্থার অবনতি হলে আজ সকালে চিকিৎসকেরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিএ-০১/৩১-০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

হোয়াইটওয়াশের লক্ষে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দু’টিতে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ হাত ছাড়া হয়ে গেছে টাইগারদের। এখন হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছে টিম বাংলাদেশ।

বুধবার লঙ্কানদের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া টাইগাররা।

টাইগারদের সম্মান রক্ষার এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।

এই ম্যাচে একদিকে বাংলাদেশ তাদের সদ্য প্রয়াত দেশের প্রথম অধিনায়ক শামীম কবিরের জন্য খেলবে, অপর দিকে শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি খেলতে নামবে নুয়ান কুলাসেকেরাকে সম্মান জানাতে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন এই পেসার।

এসএইচ-০৩/৩১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

শ্রদ্ধাকে নিয়ে বাহুবলীর ৩৬ সেকেন্ডের চমক (ভিডিওসহ)

শ্রদ্ধাকে নিয়ে

ভারতের দক্ষিণের সুপারস্টার প্রভাস। ‘বাহুবলী’ সিনেমায় অভিনয় করে এই নামেই এখন পরিচয় তার। অনেক দিন পর আসছে এই অভিনেতার নতুন সিনেমা ‘সাহো’। ‘বাহুবলী টু: দ্য কনক্লুশন’ (২০১৭) মুক্তির পর এই সিনেমা দিয়ে পর্দায় ফিরছেন তিনি। আর এই ছবিতে প্রভাসের বিপরীতে অভিনয় করছেন শ্রদ্ধা কাপুর।

ছবির টিজানে দেখা গেছে এই জুটির জমজমাট রসায়ন। এরপর থেকেই ছবিটি ঘিরে প্রভাসের ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। সেই আগ্রহে নতুন রঙ ছড়িয়ে মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছে এই ছবির দ্বিতীয় গান ‘ইন্নিসনি’র টিজার।

মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের এই টিজারেও জমেছে প্রভাস ও শ্রদ্ধার কেমিস্ট্রি। নতুন যুগের লাভ অ্যানথেম বলা হচ্ছে এই গানকে।

সোমবার এই গানের একটি পোস্টার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর। ক্যাপশনে লিখে দিয়েছিলেন, ‘এই গান ছুঁয়ে যাবে আপনাদের মন। ছড়িয়ে পড়বে ভালোবাসার জাদু।’

আগামী ৩০ আগস্ট মুক্তি পাবে প্রভাস ও অভিনীত ছবি ‘সাহো’। তার আগে হিন্দি, পঞ্জাবি, তামিল, মালয়লাম এবং তেলুগু চারটি ভাষায় মুক্তি পাবে এই গান। গানটি সংগীত করেছেন এবং সব ভাষায় গেয়েছেন গুরু রানধাওয়া।

আরএম-১৬/৩১/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)

১ কেজি চা পাতার দাম ৫০ হাজার টাকা

১ কেজি চা পাতার দাম ৫০ হাজার টাকা! নিলামে এই দামেই বিক্রি হয়েছে ভারতের আসামের মনোহরী গোল্ড চায়ের এক কেজি পাতা। প্রকাশ্য নিলামে ১ কেজি চা পাতার এত দাম অতীতে উঠেছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে চা পাতার নিলামে এই ঘটনায় অনেকেই রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, আসামের চা বাগানের এই মনোহরী পাতার দাম বরাবরই চড়া। গতবার নিলামে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৩৯ হাজার ১ টাকা; যা ছিল সর্বোচ্চ। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল অরুণাচলপ্রদেশের গোল্ডেন নিডল চা পাতা। এই চা পাতার দাম উঠেছিল প্রতি কেজি ৪০ হাজার টাকা। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল মনোহরী চা পাতা।

গুয়াহাটি চা নিলাম ক্রেতা সমিতির সচিব দীনেশ বিহানী দাবি করেছেন, প্রকাশ্য নিলামে এত দাম আগে কোনো চা পাতার ওঠেনি।

আসামের ডিব্রুগড়ে মনোহরী চা বাগানের মালিক রাজন লোহিয়া বলেছেন, এবার প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে এই চা পাতা তৈরি করতে হয়েছে। মাত্র ৫ কেজি চা পাতা এবার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তাই এবার দাম এত চড়া।

মাঙ্গিলাল মহেশ্বরী ৫০ হাজার টাকায় ওই ১ কেজি চা পাতা কিনেছেন। গতবার তিনি দুই কেজি মনোহরী গোল্ড চা পাতা কিনেছিলেন তিনি। মাঙ্গিলাল জানিয়েছেন, তিনি ১০০ গ্রাম চা পাতা বিক্রি করবেন ৮০০০ টাকায়।

এসএইচ-০২/৩১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়ে যা বললেন উর্বশী

হার্দিক পান্ডিয়ার

ক্যারিয়ারটা ঠিক মনের মতো করে গুছিয়ে তুলতে পারছেন না সুন্দরী অভিনেত্রী উর্বশী রাওতেলা। খুব বেশি সিনেমা যেমন পাননি তেমনি সফল সিনেমার সংখ্যাও প্রায় নেই। একটি ব্যবসা সফল সিনেমার জন্য কী না করেছেন এই নায়িকা।

অর্ধনগ্ন হয়ে বিছানায় রগরগে দৃশ্যেও অভিনয় করেছেন। আইটেম গানেও নেচেছেন খোলামেলা হয়ে। তবুও সাফল্যের কূলে ভিড়েনি চেষ্টার তরী। এসব কারণে হতাশা বহুবার তাকে ঘিরে ধরেছে।

হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর নিজেকে খোলামেলা করে পর্দায় আনবেন না। এক কথায় স্বস্তা সাফল্যের স্রোতে গা ভাসাতে নিজের শরীরকে মূলধন করবেন না। একটু ভারী গল্পে ভিন্ন রকম চরিত্রে তিনি কাজ করবেন। যেখানে মজবুত অভিনয়ের সুযোগ থাকবে। সেই সুযোগ তিনি কবে পাবেন সেটা সময় বলবে।

আপাতত উর্বশী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার প্রেমিকা হিসেবে। একদমই তাই খবরটা। সবখানে রটে গেছে উর্বশী নাকি হার্দিকের মন কেড়েছিলেন। তারা অনেকদিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন।

ক্রিকেটারদের সঙ্গে বলিপাড়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নীনা গুপ্তা, শর্মিলা ঠাকুর থেকে হাল আমলের আনুশকা শর্মা, সাগরিকা ঘাটগে পর্যন্ত প্রচুর উদাহরণ। আবার এমনও অনেক উদাহরণ আছে যেখানে সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়ায়নি। কিন্তু মাখো মাখো প্রেম চলেছে অনেকদিন।

সেই তালিকায় নাকি আছেন উর্বশী রাউতেলা ও হার্দিক পাণ্ডিয়াও। কিন্তু অভিনেত্রীর বক্তব্য, তার আর হার্দিকের নাকি কোনও সম্পর্ক ছিল না। আজও নেই। সবই মিথ্যে রটনা।

ইউটিউবের একটি স্ক্রিনশট নিয়ে একথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন উর্বশী। ভিডিওয় হার্দিককে উর্বশীর ‘প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উর্বশীর অনুরোধ, ইউটিউবে এই ধরনের হাস্যকর ভিডিও যেন পোস্ট না করা হয়। তিনি এও বলেছেন, তার পরিবারকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হয়। কেউ এই ধরনের ভিডিও পোস্ট করার সময় যেন এই কথাগুলি মাথায় রাখেন, অনুরোধ উর্বশীর।

প্রসঙ্গত, গত বছর উর্বশী রাউতেলা ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে একটি পার্টিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই গুজব ছড়াতে শুরু করে তারা নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু তখন হার্দিক এলি আব্রামের সঙ্গে ডেট করছিলেন। তাই গুজব আরও জমে ওঠে। কানাঘুষো শুরু হয়, তবে কি এ ত্রিকোণ প্রেমের উপাখ্যান? অবশ্য উর্বশী নিজে মুখ খুলে নিজেকে সেই ত্রিকোণ প্রেম থেকে নিজের নামটি কেটে দিয়েছেন।

আরএম-১৫/৩১/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)

বিদেশি প্রোডাকশনে কাজ করার সমস্যার বিষয়ে মুখ খুললেন ববি

ইন্ডাস্ট্রির সবাই

ভারতের মুম্বাইয়ে একটি ছবির শুটিং শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। তার অভিনীত দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এরই মধ্যে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি

* প্রশ্ন: বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

** ববি: সম্প্রতি মুম্বাই থেকে জয়দীপ মুখার্জির ‘রক্তমুখী নীলা’ নামে একটি ছবির শুটিং শেষ করে এলাম। ডাবিংও প্রায় শেষ। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে এটি চলতি বছরই মুক্তি দেয়া হবে। কলকাতায় নতুন আরেকটি ছবির স্ক্রিপ্ট পড়েছি।

চলতি বছরই চুক্তিবদ্ধ হব আশা করছি। এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ব্যস্ত ছিলাম। সেখানেও নির্বাহী সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেছি। এসব কিছু নিয়েই আপাতত ব্যস্ততা।

* প্রশ্ন: প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। সিনেমার উন্নয়নে এখন কী ভূমিকা থাকবে আপনার?

** ববি: সবে তো নির্বাচন হল। কমিটি হল। শিগগিরই কার্যকরী কমিটির মিটিং হবে। সেখানেই ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে। তবে সিনেমার উন্নয়নের জন্য যা যা করার দরকার সেগুলোতে আমার সায় থাকবে- এটা বলতে পারি। এককথায়, ইন্ডাস্ট্রির সবাই যাতে উপকৃত হন এমন কিছুই করতে হবে।

* প্রশ্ন: কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

** ববি: বিদেশি প্রোডাকশনে অভিনয় করা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। তবে আমি ভালোভাবে কাজ করতে পেরেছি। সবার সহযোগিতা পেয়েছি। এ ছবিতে সব্যসাচী মিশ্রা আমার সহশিল্পী। তিনি আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।

আসলে একটি ছবিতে অভিনয় করা মানে তো শুধু নিজের চরিত্র উপস্থাপনই নয়, শুটিংয়ের সময় অনেক কিছু শেখাও যায়। বলা যায় আমি দারুণ কিছু শিখেছি।

* প্রশ্ন: মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবির অগ্রগতি কী?

** ববি: আমার অভিনীত দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেলের পরিচালনায় ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ও কলকাতার রাজা চন্দের পরিচালনায় ‘বেপরোয়া’। ছবি দুটি কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। এখন ছবির পরিচালক ও প্রযোজক বাকি বিষয়গুলো বলতে পারবেন।

* প্রশ্ন: আপনার প্রযোজনা সংস্থা থেকে নতুন ছবি নির্মাণের কথা বলেছিলেন….

** ববি: হ্যাঁ, একটি ছবি বানাব। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। এরই মধ্যে স্ক্রিপ্টও তৈরি করা হয়েছে। আমার অভিনয় ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততা শেষ হলে সবকিছু চূড়ান্ত করব।

* প্রশ্ন: একসময় নাটকেও দেখা যেত আপনাকে। এ মাধ্যমে কি আর অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?

** ববি: এ মুহূর্তে নাটকে অভিনয়ে নিয়ে ভাবছি না। হয়তো পছন্দের বিজ্ঞাপন পেলে মডেলিং করব। আর শেষ অবধি চলচ্চিত্র অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকার ইচ্ছা।

আরএম-১৪/৩১/০৭ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

গেঁটের বাত রোগ প্রতিরোধ করবে যে পানীয়

গেঁটের বাত

আনারস ও শসা দুটোই হচ্ছে ঔষধি ফল। গাউট বা গেঁটে বাত রোগ সারাতে এই দুই খাবার খুবই উপকারি।

গাউট বা গেঁটে বাত রোগ কি?

রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় বিভিন্ন জয়েন্টে প্রদাহ হয়। এ প্রদাহকে গাউট বা গেটেবাত বলে। গাউট বা গেঁটে বাত রোগের লক্ষণ

১. এই রোগে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিকে আক্রমণ , আঙুল ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়।

২. এই রোগে হাত ও পায়ের অন্যান্য আঙুল, কুনুই, গোড়ালি, কবজি, হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আপনি জানেন কি? আনারস ও শসা একত্রে খেলে গাউটের সমস্যা কমে যায়।

গাউট অ্যাটাক প্রতিরোধে আনারস ও শসার দিয়ে তৈরি একটি পানীয় তৈরির কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক।

আসুন জেনে নেই কীভাবে এই পানীয় তৈরি করা যায়।

উপকরণ

শসা এক কাপ, আনারস এক কাপ, আদা একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ, পানি এক কাপ ও অর্ধেকটা লেবুর রস

প্রণালী

সব উপাদান একটি ব্ল্যান্ডারে নিয়ে একত্রে ব্ল্যান্ড করুন। পানীয়টি পান করুন। তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

আরএম-১৩/৩১/০৭ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

ডেঙ্গুজ্বরে যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে

ডেঙ্গুজ্বরে যেসব

জ্বরের শুরুতে বা দুই-একদিনের জ্বরে রক্ত পরীক্ষায় কোনো কিছু শনাক্ত নাও হতে পারে এবং তা রোগ নির্ণয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করতে পারেন যে রিপোর্ট ভালো আছে, তাই আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

মনে রাখতে হবে, প্লাটিলেট কাউন্ট ৪ বা ৫ দিন পর থেকে কমতে শুরু করে, তাই জ্বর শুরুর ৫ বা ৬ দিন পর রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। এর আগে পরীক্ষা করলে তা স্বাভাবিক থাকে বিধায় রোগ নির্ণয়ে যেমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, তেমনি অপ্রয়োজনে পয়সা নষ্ট হয়।

অনেকেই দিনে দুই-তিনবার করে প্লাটিলেট কাউন্ট করে থাকেন। আসলে প্লাটিলেট কাউন্ট ঘনঘন করার প্রয়োজন নেই, দিনে একবার করাই যথেষ্ট, এমনকি মারাত্মক ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারেও। তাছাড়া একই সঙ্গে একাধিক ল্যাবরেটরি থেকে প্লাটিলেট কাউন্ট না করানোই ভালো, এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

দেখা যায়, বিভিন্ন ল্যাবরেটরি থেকে বিভিন্ন রকমের রিপোর্ট আসছে, এতে কোন রিপোর্ট সঠিক তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তার বা রোগী বিভ্রান্তিতে পড়েন। তাছাড়া এতে অযথা রোগীর অর্থের অপচয় ঘটে। আরও একটি পরীক্ষা অনেকেই করে থাকেন যেমন এন্টি ডেঙ্গু এন্টিবডি।

এই এন্টিবডি সাধারণত ৪ থেকে ৬ দিন পর তৈরি হয়। তাই এই সময়ের আগে এই পরীক্ষা করলে রক্তে এন্টিবডি পাওয়া যায় না, যা রোগ নির্ণয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে। ডেঙ্গু এন্টিবডির পরীক্ষা ৫ বা ৬ দিনের আগে করা উচিত নয়। মনে রাখা দরকার, এই পরীক্ষা রোগ শনাক্তকরণে সাহায্য করলেও রোগের চিকিৎসায় এর কোনো ভূমিকা নেই।

এই পরীক্ষা না করলেও কোনো সমস্যা নেই, এতে শুধু অর্থের অপচয় হয়। তবে ডেঙ্গু এনএস-১ এন্টিজেন জ্বরের ২-৩ দিনের মধ্যেই করা যেতে পারে, যা স্বল্পসময়ে রোগ শনাক্তকরণে সাহায্য করে।

সব রোগীর ক্ষেত্রেই ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা উচিত, ডেঙ্গুতে সাময়িকভাবে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ডেঙ্গুতে কিছু রুটিন পরীক্ষা করা হয় যা অপরিহার্য নয় এবং সব ক্ষেত্রে করা হয় না, কিছু সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রেই করা উচিত।

ডেঙ্গুতে সাধারণত লিভারের প্রদাহ (হেপাটাইটিস) হয়ে থাকে, যার কারণে রক্তে লিভারের পরীক্ষাগুলো স্বাভাবিক নাও হতে পারে। যেমন এসজিপিটি, এসজিওটি, এলকালাইন ফসফাটেজ ইত্যাদি বাড়তে পারে।

তাই ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত হয়ে গেলে লিভারের জন্য এই পরীক্ষাগুলো বারবার করার কোনো দরকার নেই, রোগের চিকিৎসায়ও কোনো লাভ হয় না। এতেও অযথা অর্থের অপচয় ঘটে।

পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করা হলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পেটে পানি (এসাইটিস) পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রেও রোগীর চিকিৎসার কোনো পরিবর্তন হবে না বা অতিরিক্ত কোনো ওষুধ দেয়া লাগে না। তাই রুটিন হিসেবে পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করার কোনো দরকার নেই।

বুকের এক্স-রে করলে দেখা যায়, প্রায়ই বুকের ডান দিকে পানি পাওয়া যেতে পারে। যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট থাকে তবে এক্স-রে করা যেতে পারে। তবে বুকে পানি জমলেও তা বের করার প্রয়োজন সাধারণত হয় না। ডেঙ্গুর চিকিৎসার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

রক্তের বিটি ও সিটি করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে চিকিৎসক যদি মনে করেন যে রোগী ডিআইসি জাতীয় কমপ্লিকেশনে আক্রান্ত তবে প্রোথ্রোম্বিন টাইম, এ.পি.টি.টি., ডি. ডাইমার. এফ.ডি.পি ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারেন।

যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত কারণে হয়, তাই রক্ত ও প্রস্রাবের কালচার রুটিন হিসেবে করার প্রয়োজন নেই। তবে যদি ক্লিনিক্যালি অন্য কোনো সংক্রামক রোগ হওয়ার শঙ্কা থাকে, তবেই এই পরীক্ষাগুলো করা যেতে পারে। মাথার সিটিস্ক্যান সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, এমনকি প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকলেও।

চিকিৎসা বিষয়ে বিভ্রান্তি

ডেঙ্গু যেহেতু ভাইরাসজনিত কারণে হয়, তাই উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়। যেমন- জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও এর সঙ্গে প্রচুর পানি এবং শরবত জাতীয় তরল খাবার খাওয়ানোই যথেষ্ট। খেতে না পারলে বা অন্য কোনো প্রয়োজনে শিরাপথে স্যালাইন বা গ্লুকোজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে।

আরএম-১২/৩১/০৭ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

পৃথিবীতে কানা দাজ্জাল ও ইয়াজুজ-মাজুজের আগমন

পৃথিবীতে কানা

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেছেন, কেয়ামত তার নির্ধারিত সময় থেকে এক মুহূর্হ আগেও হবে না,পরেও হবে না। আমাদের গোটা গ্যালাক্সি ইসরাফিল আলাইহিস সালামের সিঙ্গার মধ্যে।আল্লাহ তাকে ফুৎকারের নির্দেশ দিলে তা দীর্ঘায়িত হবে ৪০ দিন।অতি নিচু ভলিউম থেকে ধীরে তা বাড়তে থাকবে।

প্রথমদিন যুক্তিবাদী বিধর্মীরা এই শব্দের উৎস কি মাটির নিচ থেকে আসছে না আকাশ থেকে আসছে এ নিয়েই গবেষণা আর বিশ্লেষণ করে কাটাবে।আর শব্দের চূড়ান্ত পর্যায়ের কথা আল্লাহ বলেছেন,পাহাড়সমূহ তুলার মতো আকাশে ভেসে বেড়াবে।তবে এ দৃশ্য দেখার জন্য কোনো মানুষ তখন বেঁচে থাকবে না।

কাছের সৌরজগতের গ্রহসমূহ,আর দূরের অ্যান্ডেমিন্ডা নক্ষত্রপুঞ্জের সব গ্রহ-নক্ষত্র তাদের নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণি ও প্রদক্ষিণের লাখো কোটি বছরের স্বভাব পাল্টে পতিত হতে থাকবে। তীব্র গতির পতনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রহ ও নক্ষত্রের মাঝে হবে ভয়াবহ সংঘর্ষ।এ ভয়াল দৃশ্য কল্পনা করাও এখন কারো পক্ষে সম্ভব না।

তবে এ সব ঘটার অনেক আগে পৃথিবীবাসী সম্মুক্ষীণ হবে বড় ধরনের কিছু ফেতনার।

এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহা শক্তিধর সাংঘাতিক রকম ক্ষমতার অধিকারী দাজ্জালের আবির্ভাব।সম্প্রতি দাজ্জালকে নিয়ে অনেকে গবেষণাধর্মী বিভিন্ন বই লিখেছেন। নবীয়ে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গবেষণায় ভুল হলে এক নেকি আর সঠিক হলে ডাবল নেকি। কয়েকটি বইয়ে ব্যক্তি দাজ্জাল বা মানুষ দাজ্জালের আবির্ভাবের সব সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে। দাজ্জালের হাদিসসমূহকে রূপক অর্থে ব্যাখ্যা করার কসরত করা হয়েছে। অনেকে দাবি করেন,গণতন্ত্রের উত্থান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মানুষের অকল্পনীয় গতিতে এগিয়ে চলা,কৃত্রিম স্যাটেলাইট ইত্যাদিই নাকি দাজ্জাল।

হাদিসে পরিষ্কার বলা হয়েছে,ইহুদি এক দম্পতির ১৭ মতান্তরে ২৩ বছর দাম্পত্যজীবনের পর দাজ্জালের জন্ম হবে। বলাবাহুল্য, পিতা-মাতার অত্যন্ত যত্নে সে লালিত-পালিত হবে।

শুধু মুসলমান না,এ পৃথিবীর অন্য সব ধর্মের মানুষও বিশ্বাস করে, আল্লাহ জীবন দেন। আল্লাহই মৃত্যু দেন। কিন্তু আল্লাহ মজবুত আর দুর্বল ঈমানদারের মধ্যে পার্থক্য করার উদ্দেশ্যে সাময়িক সময়ের জন্য তার এ ক্ষমতা দাজ্জালের হাতে তুলে দেবেন।সে এই শক্তি সুচারুরূপে ব্যবহার করে ঈমানদার মানুষের মনেও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করবে।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দেখ,দাজ্জাল যত ভেল্কিবাজি দেখাক না,সে হচ্ছে কানা। অর্থাৎ ত্রুটিযুক্ত।আর তোমাদের আল্লাহ ত্রুটিমুক্ত। তার একটা চোখ আঙ্গুরের মতো ফুলে থাকবে।আর তার কপালে লেখা থাকবে কাফের।পৃথিবীতে যত বড় ফেতনার ঘটনা ঘটুক না কেন,তা হচ্ছে কেবল জীবিত লোকের জন্য।কিন্তু দাজ্জালের ফেতনায় মৃত লোকরাও অন্তর্ভুক্ত হবে।তাই তোমরা আল্লাহর কাছে দাজ্জালের ফেতনা থেকে পানাহ চাও।

এ পৃথিবীতে এমন কিছু অতি বিখ্যাত মানুষ এসেছেন, যাদের মৃত্যু বহু বছর আগে হয়ে গেলেও এখনও আমরা তাদের চেহারার গড়ন চিনি।যেমন আইনেস্টাইন, নিউটন, জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিংকন বা আমাদের বঙ্গবন্ধু। জীবদ্দশায় এরা যদি আল্লাহর কাছে দাজ্জালের ফেতনা থেকে বিশেষভাবে পানাহ না চায়,তা হলে দাজ্জালের হাতের ইশারায় এরা কবরের মাটি ঠেলে উঠে দাঁড়াবে।হাজার হাজার দর্শকের সামনে দাজ্জালকে রব বা প্রভু ঘোষণা দিয়ে আবার মাটির নিচে চলে যাবে। রেওয়ায়েতে কিছু মতো পার্থক্য রয়েছে।

অনেকে বলেছেন,স্বয়ং ইবলিস তাদের জীবদ্দশার মুখবয়ব নিয়ে কবর ভেঙে উঠে দাঁড়াবে।ঘটনা যেভাবেই ঘটুক, ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে যে তা নিশ্চিত।ঈমানে ঘুণপোকা আক্রান্ত হবে যে তাও অবধারিত।অতিমাত্রার মেধাবী ও বুদ্ধিমান দাজ্জাল ভীষণ দ্রুতগামী একটা বাহনে চড়ে মানুষের ঈমান নষ্টের মিশন নিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়াবে।তার পেছনে চলবে স্বর্ণ,রুপার মতো মূল্যবান সব খনিজ সম্পদ। মানুষের ঈমান নষ্ট করার সফলতায় সে যেভাবে আনন্দিত হবে,তেমনি তার মধ্যে কাজ করবে মৃত্যু ভয়। মহান আল্লাহ থেকে ঈমান হারিয়ে যারা তার ওপর ঈমান আনবে,তাদের সে অকাতরে ধন-সম্পদ দান করে যাবে।আবার আত্মরক্ষার্থে প্রতি মুহূর্তে স্থান পরিবর্তন করতে থাকবে।পালাতে থাকবে।

দাজ্জাল জানে,সাধারণ কোনো মুসলমান তাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না।তার মৃত্যু যার হাতে লেখা তার গুণবাচক নাম এবং দাজ্জালের গুণবাচক নাম এক। সেটি হচ্ছে ‘মাসিহ’।অর্থ অধিক ভ্রমণকারী।অবশেষে সিরিয়ার লুদ নামের গেটে হজরত ঈসা (আ .) দাজ্জালকে নাগালে পাবেন এবং হত্যা করবেন।

স্যাটেলাইটের ক্যামেরা জুম করে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের প্রতিটা জায়গা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে। কোথাও বিশাল সংখ্যক ইয়াজুজ-মাজুজের দেখা পাওয়া যায়নি।

এর অর্থ পৃথিবীর কোথাও তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা নেই তা না। আমার ছাত্রজীবনে একটা ভয়াল পতঙ্গ ঝড় খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হেয়েছে। সন্ধ্যার অল্প পরই যাত্রাবাড়ি থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত সুদীর্ঘ এ মহাসড়কে হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন এসে গাড়ির হেডলাইটের ওপর আছড়ে পড়ে অসংখ্য-অগণিত পতঙ্গ।

গাড়ির সংখ্যা হাজার হাজার হলেও এদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে বাধ্য হয়ে সব গাড়ি গতি কমাতে বাধ্য হয়।সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জ্যামের।পরের দিন সকালে মহাসড়কের অবস্থা পরিদর্শন করতে যাই।গরুর ভূঁড়ি কাটলে অর্ধেক হজম হওয়া হলদে সবুজাভ ঘাসের মতো গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়া পতঙ্গ ভর্তা। চোখ যতদূর যায়।আধিক্যের কারণে যাকে উল্লেখ করা হয়েছে পতঙ্গ-ঝড় বলে।এই পতঙ্গরা কোথা থেকে এসেছে? সঠিক উত্তর কারো জানা নেই।

ইয়াজুজ-মাজুজ আছে এবং নির্ধারিত সময়ে সারা পৃথিবী জুড়ে এদের বিস্তার ঘটবে।এ কথা যুক্তি-তর্ক ছাড়াই আমাদের বিশ্বাস করে নিতে হবে। ইয়াজুজ-মাজুজের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যিনি দেয়াল নির্মাণ করেন তিনি ইস্কান্দার,আবার তিনিই আলেকজান্ডার।এমন মতামতও পাওয়া যায়।আবার সেই দেয়ালকে অনেকে চীনের গ্রেটওয়াল হিসেবেও চিহ্নিত করেন।যদিও চীনের মহাপ্রাচীর গড়ে উঠেছে ৪/৫শ বছর ধরে ৭/৮ জন সম্রাটের আমলে।

এমনও হতে পারে, হিমালয় পর্বতাঞ্চলের তলদেশে বিশাল এলাকাজুড়ে প্রতিমুহূর্তে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে যাচ্ছে ইয়াজুজ-মাজুজ।যদিও তাদের মানবজাতির একটা অংশ বলা হয়েছে। নূহ (আ.)-এর পুত্র ইয়াফেস থেকে তারা বংশবিস্তার করেছে। কিন্তু তাদের স্বভাব-চরিত্রের মধ্যে মানবিক বৈশিষ্ট্য খুব কম পরিমাণেরই উপস্থিতি পাওয়া যায়।

মানুষ গ্রহণ করে অক্সিজেন,ত্যাগ করে কার্বনড্রাই অক্সাইড।এই সূত্র ইয়াজুজ-মাজুজের ক্ষেত্রে সঠিক নাও হতে পারে।অমানবিক ও মেধাহীন বলার কারণ হচ্ছে, তারা হবে সাংঘাতিক রকমের হিংস্র ও মৃত্যু ভয়হীন।যত অত্যাধুনিক অস্ত্র আর যত হাজার গুলি থাক না কেন তাদের ভয় পাবে না এমন কোনো মানুষ নেই। ব্রাশফায়ার করে লাশের স্তূপ বানিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু সেই স্তূপ ডিঙ্গিয়ে পিল পিল করে তারা নামতে থাকবে। সামনে লতা, পাতা, ফল, মানুষ,পানি যা পাবে সব খেয়ে সাবাড় করে ফেলবে।মানুষ তার অস্ত্র ফেলে দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবে। এমনকি হজরত ঈসা (আ.)ও ইমাম মাহদি তাদের দল নিয়ে পাহাড়ের মাথায় আশ্রয় নেবেন।প্রচণ্ড ক্ষুধা কষ্ট ভোগ করবেন।

পৃথিবীর আলো-বাতাস পেয়ে ইয়াজুজ-মাজুজ আঞ্চলিক শব্দে যাকে বলে উজাইয়া উঠবে।আবার এই আলো বাতাসের কারণেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে মহামড়ক লেগে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।পৃথিবীর রাস্তা,ঘাট,মাঠ সব জায়গায় এদের মৃতদেহ এমনভাবে পড়ে থাকবে যে মানুষের পা ফেলার মতো স্থানও খালি পাওয়া যাবে না।

মহাবিপাকে পড়ে হজরত ঈসা (অ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। ফলে উটের মতো মোটা গলার সেই ডাইনোসর যুগের হাজার হাজার বিশাল পাখি আল্লাহ তায়ালা পাঠাবেন।তারা ইয়াজুজ-মাজুজের লাশ কামড়ে ধরে গভীর সমুদ্রে নিয়ে ফেলবে।

তাদের দায়িত্ব শেষ হলে আবার তারা হারিয়ে যাবে। যেভাবে এখন তারা হারিয়ে আছে।বরকতময় সেই পৃথিবীতে তখন কেবল একটাই ধর্ম হবে ইসলাম।

আরএম-১১/৩১/০৭ (ধর্ম ডেস্ক)