সকাল ৬:১৫
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ট্রাম্পের স্বস্তি! মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে বাধা দূর

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আড়াই বিলিয়ন ডলার খরচের অনুমতি দিয়েছেন। শুক্রবার কোর্ট এ অনুমতি দেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের ফলে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা ও নিউ মেক্সিকো প্রকল্পে ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকলো না।

দেশটির প্রতিরক্ষা খাত থেকে এ অর্থ দেওয়ার জন্য পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের একটি রুলের কারণে এ খাতে ট্রাম্পের অর্থ খরচে এতোদিন বাধা ছিল। প্রাচীরটি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোকে আলাদা করবে।

এটি ছিল ২০১৬ সালে ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। যদিও ডেমোক্র্যাটরা প্রথম থেকে বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।

এসএইচ-২০/২৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

উগান্ডার মানুষ ভারতে আসছে

ভারতে অভিবাসন বিষয়ে সর্বশেষ যে শুমারি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে উগান্ডা থেকে আসা মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এর কারণ কি? শুমারিতে দেখা যাচ্ছে উগান্ডা থেকে আসা মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ চিনমে থামবে অবশ্য বলছেন কর্মকর্তাদের বড় ভুলের কারণেই এটা হয়েছে।

ভারতীয়দের একটা দীর্ঘ যোগসূত্র আছে উগান্ডার সাথে। ১৮৯০ সালে প্রায় চল্লিশ হাজার ভারতীয়কে (প্রধানত পাঞ্জাবি) উগান্ডায় নেয়া হয়েছিলো অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে। তাদের নেয়া হয়েছিলো কেনিয়ার মোম্বাসা থেকে উগান্ডার কাম্পালা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য।

পরে ১৯৭২ সালে সামরিক শাসক ইদি আমিনের আদেশে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছিলো যে- তারা (ভারতীয়রা) উগান্ডার অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। পরে আশি ও নব্বইয়ের দশকে অনেকে আবার উগান্ডায় ফিরে যান এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরবর্তীতে উগান্ডার অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। দি ঘোস্ট এন্ড দি ডার্কনেস এবং দি লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ডের মতো হলিউডের ড্রামাগুলোতে এসব প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে।

এখন ২০১৯ সালে এসে ভারত ও উগান্ডার মধ্যে তৃতীয় যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে- নাটকীয়ভাবে এটা এসেছে ২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে। প্রতি দশ বছরে এই শুমারি করা হয় তবে এর কিছু তথ্য এখন প্রকাশ করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত অভিবাসন বিষয়ক তথ্য থেকে জানা যায় ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা উগান্ডাকে তাদের সর্বশেষ বসবাসের জায়গা হিসেবে উল্লেখ করেছেন- তাদের সংখ্যা ২০১১ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৩ জন। ২০০১ সালে এই সংখ্যা ছিলো মাত্র ৬৯৪।

বেড়ে যাওয়া সংখ্যার মধ্যে নারীর সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭০০ যা আগে ছিলো মাত্র ৩৩৯। আর পুরুষ ৩৫৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৬৩। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পর উগান্ডা থেকেই সবচেয়ে বেশি বা উগান্ডা ফেরত অভিবাসী বেশি হচ্ছে ভারতে।

এটা হতে পারে উগান্ডার নাগরিক ভারতে আসছে বা ভারতীয় নাগরিক যারা উগান্ডায় ছিলেন তারা আবার ভারতে ফিরে আসছেন। উত্তর প্রদেশ ও বিহারে এ ধরণের অভিবাসীর সংখ্যা ২০০১ সালের পাঁচ জন থেকে বেড়ে ২০১১ সালে হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৪।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ চিনমে থামবে বলছেন, এ সংখ্যা হতে পারে শুমারিতে ভুলের কারণে বা এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বৈশিষ্ট্য অগোচরে থেকে যাওয়ার কারণে।

দুটি বিষয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি। একটি হলো সংখ্যার মধ্যে ব্যাপক লিঙ্গ অসমতা। আরেকটি বিষয় হলো ৭৭ হাজারের বেশি উগান্ডা অভিবাসী বা সেখান থেকে ফিরে আসা অভিবাসী ভারতে প্রায় দশ বছর ধরে বাস করে আসছিলো। অথচ ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিলো মাত্র ৬৯৪। তাই এখানে কিছু ভুল ছিলো বলে মনে হতেই পারে।

আবার শুমারি প্রশ্নমালা ছিলো একটি ছোট ডকুমেন্ট এবং ভারতীয়দের কেউ সর্বশেষ অন্য দেশে বসবাস করলে সেই দেশের নাম তথ্য গ্রহণকারীদের নিজে লিখতে হতো। পরে এসব তথ্য স্ক্যানড হয়ে কম্পিউটার সফটওয়্যারের মধ্যে ডেটা টেবিলে স্থান পেতো। পরে ওই শিটগুলো ওয়েবে আপলোড হয়ে প্রকাশ হয়েছে।

তবে একজন সিনিয়র শুমারি কর্মকর্তা বলেছেন, “অভিবাসীদের বিষয়ে এই সন্দেহজনক তথ্যের বিষয়টি তারা পরীক্ষা করে দেখছেন”।

এসএইচ-১৯/২৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক , তথ্য সূত্র: বিবিসি)

ভূমধ্যসাগর থেকে ২৪২ অভিবাসী উদ্ধার মরক্কো নৌবাহিনীর

মরক্কোর নৌবাহিনী সাব-সাহারান আফ্রিকার ২৪২ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। তারা স্পেনে যাওয়ার জন্য ছোট ছোট নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। শুক্রবার রাতে মরক্কোর সরকারি বার্তা সংস্থা এ কথা জানায়।

সূত্র মতে, অভিবাসীদের বিভিন্ন ছোট নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৫০ জন নারী ১২ শিশু রয়েছে। নৌকাগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল।

বার্তা সংস্থাটি জানায়, ‘অভিবাসীদের নিরাপদে বন্দরে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত এ ধরনের ১৫ হাজারের বেশি অভিবাসী স্পেনে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ১২ হাজারই সমুদ্র পথে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ প্রচেষ্টায় ২শ’র বেশি লোক মারা যায়।

অভিবাসীদের প্রবাহ থামানোর লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানব পাচারকারীদের লাগাম টেনে ধরার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে গত বছর মরক্কোকে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো দেয়।

এসএইচ-১৮/২৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

কি বলে গেলেন মালিঙ্গা?

ফর্মে থাকার পরও তরুণ বোলারদের সুযোগ করে দিতেই ১৫ বছরের ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ডান-হাতি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। শুক্রবার কলম্বোয় বিদায়ী ম্যাচেও বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন। ৩৮ রানে নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ক্রিকেট ভক্তরা অনেকেই বলেছেন- আরও কিছুদিন অনায়াসেই খেলে যেতে পারতেন মালিঙ্গা। কিন্তু না, মালিঙ্গা তা মনে করেন না। এখনই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় দেয়ার সেরা সময় বলে মনে করেন তিনি। তাই যাদের সুযোগ করে দিতে ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেয়া, সেই তরুণ বোলারদের শেষ বেলায় মালিঙ্গার পরামর্শ, ‘ম্যাচ জয়ী খেলোয়াড় হও।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মালিঙ্গা বলেন, ‘অধিনায়করা আমার কাছে উইকেট চেয়েছেন, ক্যারিয়ার জুড়ে আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করব, সব তরুণ বোলারও তাদের সেরাটা দেবে। ক্রিকেটে টিকে থেকে বেশিদূর যাওয়াটা কঠিন বলে আমি মনে করি।

ম্যাচ উইনার হতেই হবে খেলোয়াড়দের। যা আমি ভবিষ্যতে দেখতে চাই। তরুণ বোলারদের ম্যাচ জয়ী পারফরম্যান্স দেখাতে হবে এবং লোকে যেন বলে, সে ম্যাচ জেতানো বোলার। আমাদের দলে বেশ কয়েকজনের সেই সামর্থ্য আছে, তাদের যত্ন নিতে হবে। অনেক পরিশ্রম করতে হবে তরুণ বোলারদের।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ শেষেই ওয়ানডেকে বিদায় বলবেন বেশ আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন মালিঙ্গা। এরপর নির্বাচক, কোচ-অধিনায়করা অনুরোধ করেছিলেন পুরো বাংলাদেশ সিরিজটা খেলতে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী মালিঙ্গা। তার মতে এখনই সময় ওয়ানডে ক্রিকেটকে গুড বাই বলার।

এসএইচ-১৭/২৭/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

প্রিয়া সাহার ব্যাপারে হুট করে সিদ্ধান্ত নয়

প্রিয়া সাহার ব্যাপারে হুট করে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। এক্ষেত্রে তার অবস্থা বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউভেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে কোনো রাজনৈতিক দলের ইন্ধন আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপার আমার জানা নেই, প্রিয়া সাহাই ভালো বলতে পারেন।

প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুসনে আরা বেগম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুননেছা হক প্রমুখ।

বিএ-১৭/২৭-০৭ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

রাজশাহীতে স্কুলের গর্তের পানিতে ডুবে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সহাড়াগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গর্তের পানিতে ডুবে ইমরান হোসেন (১১) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুর দুইটার দিকে টিফিনের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ইমরান হোসেন সাহারা গাছি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

সহাড়াগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। তাই স্কুলের পাশেই বিম নির্মাণের জন্য গর্ত করা হয়েছে। দুপুরের টিফিন এর সময় ইমরানসহ কয়েকজন ছেলে তাতে গোসল করতে নামে। এই সময় ইমরান নিচে তলিয়ে যায়।

অন্যরা আমাদের এসে খবর দিলে জানতে পারি। পরে আমাদের এক শিক্ষকসহ অন্যদের গর্তে নামিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি।

বিএ-১৬/২৭-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

ডেঙ্গু হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ওষুধ খাওয়াবেন না

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শনিবার তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বর্ষায় (এপ্রিল-অক্টোবর) ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এ সময় অধিক সতর্ক থাকুন। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। অফিস, ঘর ও আশপাশে পানি জমতে দেবেন না। যে কোনো পাত্রে জমিয়ে রাখা বা জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করুন।

এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। যথাসম্ভব লম্বা পোশাক পরিধান করুন। দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারি ব্যবহার করুন।

তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও সাম্প্রতিককালে এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে। জ্বরে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ান।

এ ছাড়া জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ ও ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করুন। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

বিএ-১৫/২৭-০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই বাবা গ্রেফতার

খাগড়াছড়ি রামগড় উপজেলায় মায়ের সহায়তায মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ওই ঘটনার পর শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি আদালত চত্তর থেকে গ্রেফতার করা হয় আবুল কাশেম ওরফে শিয়াল কাশেমকে।

গত ২০ জুলাই নির্যাতনের শিকার মেয়ের চাচা ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা করলে মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতার অভিযোগে এজাহারভুক্ত অপর আসামি মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, ঘটনার পর পুলিশ আসামি আটকের জোর চেষ্টার পর খাগড়াছড়ি আদালত চত্তর থেকে বিশেষ কৌশলে ছদ্মবেশে পুলিশ আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মায়ের সহযোগিতায় মাদরাসা পড়ুয়া নিজের মেয়েকে গত ২ জুলাই রাতে প্রথমবার ধর্ষণ করে কাশেম। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এসময় তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন বাবা-মা।

পুলিশ আরও জানায়, ১৪ জুলাই মেয়েটি তার চাচা ওমর ফারুককে বিষয়টি জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে। মেয়েটি একাধিকবার তার বাবার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে। এসময় তার মা-ও বিষয়টি স্বীকার করেন।

এরপর মাকে গ্রেফতার করা হলেও ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবা পালিয়ে যান বলে পুলিশ জানায়।

বিএ-১৪/২৭-০৭ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল স্বাধীনের

ফিরোজ কবির স্বাধীন। পড়ছিলেন দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটে নবম হওয়া এ মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখা এখন শেষ দিকে। স্বপ্ন ছিল একাডেমিক পাঠ চুকিয়ে একটি ভালো চাকরি করার। দরিদ্র পরিবারের হালধরার। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। রাজধানী ঢাকায় মহামারি হয়ে দেখা দেয়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহের মাথায় প্রাণ গেল স্বাধীনের।

তার আকস্মিক মৃত্যু হতবিহ্বল করেছে পরিবার বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে সবাইকে। সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বাধীন এখন আর আনন্দ-উল্লাসে মাতিয়ে তুলবে না চারদিক। ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষক বাবা ও ভাইকে আর কৃষিকাজ থেকে মুক্তি দেয়ার আশ্বাসও দেবে না। মহামারি ডেঙ্গু পরিবারের সব আশা-ভরসা শেষ করে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪১৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন স্বাধীন। তার রুমমেট লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন রহমান বলেন, স্বাধীন ভাইয়েরা দুই ভাই ও দুই বোন। তিনি সবার ছোট। বড় ভাই ও বাবা কৃষিকাজ করেন। স্বাধীন ভাই কিছুদিন আগে তার বড় ভাইকে বলেছিলেন, ‘ধানের দাম কম ভাই। তোমারে আমি খেতে যাইতে দেব না। আমি ৭০ হাজার টাকার চাকরি করব। তোমাকে ভালো রাখব।’

স্বাধীনের বড় ভাই মৃত্যু সংবাদ শুনে গতকাল হাসপাতালের করিডোরে ছোট ভাইয়ের শেষ কথাগুলো মনে করে আহাজারি করছেন আর বলছেন, ভাই তোর কিছু করা লাগবে না। তুই আয়। আমি মাকে কী কমু।

সুমন রহমান জানান, গত ১৮ জুন স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে তার পরিবার এসে তাকে দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফের ঢামেকে আনা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়।

কিন্তু চিকিৎসকরা ততক্ষণে জানিয়ে দেন রোগী ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন ওভারকাম করছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এরপর পরিবার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ২২ ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সুমন আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে স্বাধীনের উন্নত চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাবা হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের উদ্দেশে রওনা হন জমি বিক্রি করতে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও পৌঁছানোর আগে মাঝপথেই ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান বাবা।

এদিকে স্কয়ার হাসপাতালে ২২ ঘণ্টা চিকিৎসার জন্য স্বাধীনের চিকিৎসা ব্যয়ের হিসাবে এক লাখ ৮৬ হাজার টাকা দেখিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেখানে শুধু ওষুধবাবদই দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।

সুমন রহমান বলেন, এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর নেতারা ২২ ঘণ্টায় এত টাকা কীভাবে বিল হয় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ঠিকমতো দিতে পারেনি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা ছাড়াই রোগী রিলিজ দিয়েছে।

বিএ-১৩/২৭-০৭ (শিক্ষা ডেস্ক)

বিএসএমএমইউতে দাঁতের চিকিৎসা নিলেন খালেদা জিয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দন্ত বিভাগে নেয়া হয়।

শনিবার বেলা দেড়টার পর কড়া পাহারায় খালেদা জিয়াকে কেবিন ব্লক থেকে বের করা হয়। এরপর তাকে একটি মাইক্রোবাসে শ’ খানেক গজ দূরের আরেকটি ব্লকে দন্ত বিভাগে নেয়া হয়। বেলা সোয়া ২টার দিকে তাকে ফিরিয়ে নেয়া হয় কেবিন ব্লকে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. কাজী বিল্লুর রহমানের অধীনে খালেদার দাঁতের চিকিৎসা হয়। তিনি বিএসএমএমইউর ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিফেসিয়াল বিভাগের প্রধান।

এ সময় হুইল চেয়ারে বসা খালেদা জিয়ার পরনে ছিল গোলাপি রঙের শাড়ি, চোখে চশমা।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলাচল করতে ও নিজে বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না।

তিনি দাবি করেন, তাকে সব সময় সাহায্য করতে দুজন লোকের দরকার। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে সম্প্রতি তার জিহ্বায় আলসার হয়েছে। কিছুই খেতে পারছেন না।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য গত ১ এপ্রিল তাকে বিএসএমএমইউয়ে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি এখানে রয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে।

বিএ-১২/২৭-০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)