বিকাল ৪:৩৬
শুক্রবার
১৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৩ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বোনের পর ৭ বছরের ভাইয়ের কৃতিত্ব

বোনের পর

মাত্র ৫ বছরের মারিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে লন্ডনের লোটন শহরের অধিবাসী ছোট্ট মারিয়া আসলাম মাত্র ৭ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করে সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বোনের ধারাবাহিকতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে ছোট ভাই ইউসুফ আসলাম।

বোন মারিয়ার পর ২ বছরের ব্যবধানে ৭ বছর বয়সী ভাই ইউসুফ আসলামও বোনের মতো পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্তের মাধ্যমে উজ্জ্বল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।

ইউসুফ আসলাম ২ বছরেরও কম সময়ে পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্ত করতে সক্ষম হন। যদিও মারিয়া আসলাম দৈনিক ৫ ঘণ্টা কুরআনুল কারিম অধ্যয়ন করে ২ বছরে কুরআন মুখস্ত করেছিলেন।

মারিয়া আসলাম ও ইউসুফ আসলামের কুরআন হিফজের বিষয়টি তাদের বাবা-মায়ের কাছে একটি স্বপ্নের মতো।

ইউসুফ আসলামের মায়ের ভাষায়, ‘কখনো ভাবিনি এমন অর্জনের মালিক হতে পারবো। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। দুই সন্তানকে শিক্ষা জীবনের শুরুতে কুরআনুল কারিমের হাফেজ বানানোর কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।’

তিনি আরো বলেন, মারিয়া আসলামের মুখস্ত করার ক্ষমতা প্রথমে বুঝা না গেলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে তা অনুধাবন করি। অতঃপর ইউসুফকে নিয়ে কুরআন পড়ানোর চেষ্টা করি। মারিয়ার চেয়ে ইউসুফ দ্রুত কুরআন মুখস্তে এগিয়ে যায়।

মারিয়া এবং ইউসুফ কুরআনুল কারিম মুখস্ত অংশ নিয়ে খেলায় মেতে ওঠে। মারিয়া হয়ে ওঠে ইউসুফের শিক্ষক। মারিয়া ভাই ইউসুফকে পবিত্র কুরআন শেখাতে থাকে।

হাফেজা মারিয়া আসলামের একান্ত উৎসাহে ২ বছরেরও কম সময়ে পরিপূর্ণ হাফেজ হয়ে ওঠেন ৭ বছরের ইউসুফ আসলাম। হাফেজ ইউসুফ আসলাম খুবই ভাগ্যবান যে হাফেজ মারিয়া আসলামকে বোন হিসেবে পেয়েছে।

ইউসুফ আসলাম কুরআন মুখস্ত করায় বাবা-মা উপহার হিসেবে মারিয়া ও ইউসুফকে নিয়ে ওমরা যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের শেষ দিকে পবিত্র ওমরা পালন করবে।

মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলা এমন সুন্দর সুন্দর পরিবার দান করুন। দুনিয়ার সব পরিবারকে কুরআন প্রেমিক হিসেবে কবুল করুন। হাফেজ মারিয়া ও ইউসুফকে কুরআনের সেবক হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

আরএম-১৭/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

যাদের ধন-সম্পদ কোনো উপকারে আসবে না

যাদের ধন-সম্পদ

মানুষের জীবন বিধান পবিত্র কুরআন। এখানে বর্ণনা করা হয়েছে জীবন পরিচালনার সব দিক ও বিভাগ। যে আলোকে মানুষ নিজেদের দুনিয়ার জীবন ও সংসার সাজাবে। যারা কুরআনের বিধান পালন করবে তারা পরস্পর নিজেদের সহযোগিতা করবে এবং উপকার লাভ করবে।

আর যারা কুরআনের বিধানকে অস্বীকার করবে, তারা কারো কোনো উপকার লাভ করবে না এমনকি নিজেদের সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতিও তাদের কোনো উপকারে আসবে না। আল্লাহ তাআলা মানুষের সতর্কতার উদ্দেশ্যে সে বিষয়গুলো বার বার তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

আয়াতের অনুবাদ

আয়াতের পরিচয় ও নাজিলের কারণ

সুরা আল-ইমরানের ১০নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে এক দুঃসংবাদ দিয়ে নিজেদেরকে সতর্ক হওয়ার কথা বলেন। যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করবে, কুরআনের বিধান পালনে নিজেদের বিরত রাখতে তাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি কোনো উপকারে আসবে না।

ইমাম রাজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত তাফসিরে উল্লেখ করেছেন, ‘সুরা আল-ইমরানের আগের আয়াতগুলোতে মুমিনদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এবং সে আয়াতগুলোর আলোকে নিজেদের পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠিত থাকার দোয়াও শিখিয়েছেন। আর এ আয়াতে অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের ক্ষতি ও কঠোর শাস্তির বিবরণ ওঠে এসেছে।

এ আয়াত নাজিলের কারণ সম্পর্কে দু’টি বর্ণনা পাওয়া যায়-

> নাজরানের খ্রিস্টান দলের সম্পর্কে এ আয়াত নাজিল হয়। কেননা এ দলের আবু হারেসা ইবনে আল-কামা তার ভাইকে বলেছিল, আমি জানি ইনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যিই আল্লাহর রাসুল। কিন্তু আমি যদি এ কথা প্রকাশ করি তবে রোমের বাদশাহ আমাকে যে ধন-সম্পদ ও পদ-মর্যাদা দিয়েছেন, তার সবই ছিনিয়ে নেবে। তাদের এ কথার জবাবে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করে বলেন-

নিশ্চয় যারা অবিশ্বাসী, তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি আল্লাহর কাছে কোনো উপকারে আসবে না। আর তারা হবে জাহান্নামের ইন্ধন।’

অর্থাৎ যারা কাফের অবিশ্বাস, অবাধ্য, বিদ্রোহী, যারা মুতাশাবিহ আয়াতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না, যারা আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাসী হয় না, তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি পরকালে আদৌ তাদের জন্য উপকারি হবে না, তাদেরকে আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না আর তারা হবে জাহান্নামের ইন্ধন।’ (তাফসিরে কবির)

> এ আয়াত সম্পর্কে দ্বিতীয় অভিমত হলো যে, তা শুধু নাজরানের খ্রিস্টানদের সম্পর্কেই নাজিল হয়নি বরং বনু কুরায়জা ও বনু নজির গোত্রের ইয়াহুদিদেরকেও সম্বোধন ও সতর্ক করা হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতে (তৎকালীন) আরবের পৌত্তলিকদের সম্পর্কেও বিশেষ হুশিয়ারি রয়েছে এ আয়াতে।’ (তাফসিরে রুহুল মাআনি)

কুরআনুল কারিমের এ আয়াত যুগ যুগ ধরে সব ইসলামের প্রতি সব অবিশ্বাসীর জন্যই প্রযোজ্য। যারাই ইসলাম ও আল্লাহর বিধানের বিরোধীতা করবে তারা তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দ্বারা দুনিয়া ও পরকালের কোনো উপকার পাবে না। আর পরকালে তারা হবে জাহান্নামের আগুনের ইন্ধন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ইসলাম ও কুরআনের অবিশ্বাস থেকে নিজেদের বিরত রাখার তাওফিক দান করুন। কুরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। পরকালে সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-১৬/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

অস্ট্রেলিয়ার ২ তারকা আইপিএল নিলামে উঠছেন না

মাস কয়েক পরই শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১২তম আসর। যেটি শেষ হতেই শুরু হয়ে যাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের মতো বড় আসর, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো কয়েকটি দল তাই নিজেদের খেলোয়াড়দের আইপিএলে পুরো মৌসুম খেলতে দিতে নারাজ।

এর মধ্যে কয়েকজন তো আইপিএলে খেলতেই রাজি নন। আট দলের খেলোয়াড় বেচাকেনার কাজ হয়ে গেছে। বাকি আছে ৭০ জনের জায়গা। এর জন্য ১০০৩ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করা হয়েছে। যেখান থেকে চূড়ান্ত তালিকা করা খেলোয়াড় তোলা হবে ১৮ ডিসেম্বরের নিলামে।

তবে এই নিলামে উঠার দরকার নেই। এবারের আইপিএলে না খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যারন ফিঞ্চ। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই টাকার ঝনঝনানিকে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত তাদের।

বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্ম মৌসুম। এটা চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট সিরিজে আতিথ্য দেবে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ওয়ানডে আর দুই টি-টোয়েন্টির ফিরতি সিরিজ খেলতে তারা আসবে ভারতেও।

ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েল দুজনই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ পরিকল্পনার অংশ। তাই তারা এবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এসএইচ-২৩/০৬/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাংলাদেশি হাফেজ আকমালের ভারত জয়

বাংলাদেশি হাফেজ

হাফেজ আকমাল আহমাদ। ভারতের আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অধিকার করেছেন। ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রতিযোগিতা। হাফেজ আকমাল আহমাদকে অভিনন্দন।

সিলেটের কৃতিসন্তান কিশোর হাফেজ আকমাল আহমাদ রাজধানীর যাত্রাবাড়িস্থ আন্তর্জাতিক হাফেজ ও ক্বারি তৈরির কারগর হাফেজ ক্বারি নাজমুল হাসান পরিচালিত তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র।

উল্লেখ্য যে, হাফেজ আকমাল আহমাদ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে পরিচালিত কুরআনের আলো প্রতিযোগিতা ২০১৭-তে অংশগ্রহণ করে এবং প্রথম স্থান অধিকার করে।

হাফেজ আকমাল আহমাদের জন্য রইলো শুভ কামনা। আল্লাহ তাআলা তাকে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

আরএম-১৫/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

নৌকায় ভোট চাইছেন তারকারা

নৌকায় ভোট

আসছে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে সবগুলো দলের প্রচারণা। প্রার্থিরা নেমেছেন মাঠে। চাইছেন ভোট ও সমর্থন।

সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন নানা অঙ্গনের একঝাঁক তারকা। তারা বিগত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জোয়ার বয়েছে বলে মনে করছেন।

তাই শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও প্রয়োজন বলে মনে করেন তারকারা। সেজন্য দেশবাসীর কাছে নৌকার জন্য ভোট চাইছেন তারকারা।

ড. এনামুল হক, সুবর্ণা মুস্তাফা, ইমদাদুল হক মিলন, রিয়াজ, মাহফুজ আহমেদ, আফসানা মিমি, সাকিব আল হাসান, অপু বিশ্বাস, সাইমন সাদিক, বাঁধনকে দেখা যাচ্ছে ভিডিও বার্তায় ভোট চাইছেন। শিগগিরই প্রকাশ হবে আরও অনেক তারকার প্রচারণার ভিডিও।

সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তারকাদের ভিডিওগুলো। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ফেসবুকেও শোভা পাচ্ছে।

ভিডিও বার্তায় কেউ তুলে এনেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য, কেউ উল্লেখ করেছেন বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে তুলে ধরতে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্ব, কেউ তুলে এনেছেন দেশের অর্থনীতি, কৃষি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, শিল্প ও সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ নানা বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাফল্যের কথা।

তারকারা নিজেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগে আস্থা রেখে নৌকায় ভোট দেয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বেশ ক’জন তারকা। তারা হলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, চিত্রনায়ক ফারুক, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।

আরএম-১৪/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

মন্ত্রীর সিনেমায় অভিনেতা মন্ত্রী

মন্ত্রীর সিনেমায়

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। উপন্যাসটির নাম ‘গাঙচিল’।

উপন্যাসের সঙ্গে মিল রেখে ছবিটির নাম ‘গাঙচিল’ চূড়ান্ত হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করবেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। এখানে জুটি হিসেবে দেখা যাবে ফেরদৌস-পূর্ণিমাকে।

এই সিনেমায় অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।

রোববার সকালে অভিনয় করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামান নূর নিজেই।

এ বিষয়ে পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল জানান, আসাদুজ্জামান নূরের দৃশ্যধারণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ‘গাঙচিল’ ছবির কাজ। সপ্তাহখানেকের মধ্যে যেকোনো একদিন সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন গুণী এই অভিনেতা।

‘গাঙচিল’ সিনেমায় অভিনয় নিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই ছবিতে আমি অতিথি চরিত্রের শিল্পী। আমার তেমন কিছুই করার নাই। শুনেছি, আমার চরিত্রটি একজন রাজনৈতিক নেতার। ফলে আমার আর অভিনয় করার কিছু নাই, জীবন থেকে নেওয়া।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পকার ওবায়দুল কাদের আমার রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার অনেক আগে থেকে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। রাজনৈতিক সহকর্মীর একটা উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনুরোধ করেছেন। ফলে শত ব্যস্ততার মধ্যেও কাজটা করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এই ছবির পরিচালকের সঙ্গে ফোনে কয়েকবার আলাপ হয়েছে। চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে হয়তো তা হয়ে যাবে। চরিত্রটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে অভিনেতা ফেরদৌস (অভিনেতার পাশাপাশি ‘গাঙচিল’ ছবির প্রযোজকও তিনি) আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন। তবে মহরতে অনুষ্ঠানে থাকার সুবাদে ছবিটি সম্পর্কে সেদিন কিছু ধারণা পেয়েছিলাম।

পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল বলেন, আসাদুজ্জামান নূরের মতো গুণী শিল্পীকে নিজের ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে পাওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি।

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে নাটক আর বিজ্ঞাপনচিত্র বানালেও চলচ্চিত্রে আমি একেবারেই নতুন। আমার ছবিতে নূর ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান নূর) মতো একজন শক্তিশালী অভিনেতা অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন, এটা আমার সাহস বাড়িয়েছে। আমি অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত বোধ করছি।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ‘গাঙচিল’ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এই ছবিতে ফেরদৌস সাংবাদিক আর পূর্ণিমা এনজিওকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন।

আরএম-১৩/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

গাঁজা খেয়ে ঘুম তাড়ান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট!

মাদকের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের যুদ্ধে নিহত হয়েছের অন্তত পাঁচ হাজার সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী। সেই দুতার্তেই সম্প্রতি জানালেন, ঘুম তাড়ানোর জন্য তিনি গাঁজা সেবন করে থাকেন। পরে অবশ্য এ কথা ফিরিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওটা রসিকতা ছিল।

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের ২০১৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণা থেকে হাজারও সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী ও আসক্ত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এজন্য দেশে ও বিদেশে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

গত মাসে সিঙ্গাপুরের আসিয়ান সম্মেলন অংশ নেন দুতার্তে। সেখানে একের পর এক বৈঠকে অংশ নিতে হয় রদ্রিগো দুতার্তেকে। তবে ঘুমিয়ে পড়ায় কয়েকটি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র স্যালভাদর পানেলো।সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে গত সোমবার ফিলিপাইনে এক অনুষ্ঠানে দুতার্তে বলেন, ‘আমার যাতে ঘুম না পায় সেজন্য গাঁজা টানি।’ অবশ্য বক্তব্যের পর তিনি এটাকে ‘রসিকতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পর গাঁজা সেবন প্রসঙ্গে ৭৩ বছর বয়সী দুতার্তে বলেন, ‘এটা অবশ্যই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম। আর আমার এ বয়সে এটা সেবন করা আরও কঠিন কিছু। অন্যদের পক্ষে এই বয়সে গাঁজা সেবন করা সম্ভব না। তবে চাপ থেকে মুক্ত থাকতে আমি গাঁজা সেবন করি।’

নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক কার্লোস কন্ডে দুতার্তের রসিকতার সমালোচনা করে বলেছেন, এটা নিশ্চিতভাবেই (হতাহত ব্যক্তিদের) পরিবারকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলবে। প্রেসিডেন্ট যা করার কথা স্বীকার করেছেন এবং এবং মাদকসেবীদের সঙ্গে তিনি যা করার ঘোষণা দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। প্রেসিডেন্ট যদি রসিকতা করতে গিয়েও সত্যি কথা স্বীকার করে ফেলেন, তাহলে পুরো বিষয়টিরই বিশ্বস্ততা নষ্ট হয়।

তবে দুতার্তের এ মন্তব্যের পক্ষ নিয়ে তার মুখপাত্র স্যালভাদর পানেলো বলেছেন, সবাই রসিকতা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট রসিকতা করলে দোষ কী? তিনি মাঝে মধ্যে রসিকতা করেন, কারণ অনেক সময় ইভেন্টগুলো খুব বিরক্তিকর হয়ে থাকে। তাই বিরক্তি কাটাতেই মজা করেন তিনি। আর গাঁজা সেবন করলেই যে মানুষের ঘুম আসে তা শতভাগ সত্য নয়। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। তিনি মজা করেছেন মাত্র।

প্রেসিডেন্টের এমন রসিকতা যুব সমাজের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে-এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের একটা মাত্র রসিকতা প্রমাণ করে না যে, তিনি একজন খারাপ নেতা।’

এসএইচ-২২/০৬/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: আলজাজিরা)

আগামী সরকারের কাছে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের প্রত্যাশা

আগামী সরকারের কাছে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। পুরো দেশেই এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা। চায়ের টেবিলে কিংবা আড্ডায় ঝড় তুলছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিষয়-আশয়।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষরাও এই নির্বাচনের দিকে মনোযোগী। কিছুদিন পরই গঠিত হবে নতুন সরকার। এ সরকারের কাছে রয়েছে তাদের নানা প্রত্যাশা।

মিডিয়ায় বিভিন্ন অঙ্গনের কয়েকজন বিশিষ্ট তারকা নিজেদের তথা কর্মসংশ্লিষ্ট সামগ্রিক চাওয়া নিয়ে সরকারের কাছে নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ।

আমি ১৩ বছর বয়স থেকেই সিনেমা অঙ্গনের সঙ্গে আছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। তাই সিনেমার সব বিষয়েই আমি ভালোই চাব। যা চলচ্চিত্রের জন্য ভালো সবই চাই।

ছোটবেলা থেকেই এফডিসিতে আমার যাতায়াত। কিন্তু এখন এফডিসিতে গেলে এর দুরাবস্থা দেখে চোখে পানি চলে আসে। যে সরকারই আসুক না কেন চলচ্চিত্রের এ দুর্দশা যেন না থাকে সেটাই আমি প্রত্যাশা করি।

সরকারি অনুদানের বিষয়টায় আরেকটু নজর দেয়া দরকার। কারণ সব কিছুরই খরচ বেড়েছে কিন্তু অনুদানটাও যেন বৃদ্ধি হয়। আকাশ সংস্কৃতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে যেন আমাদের মূল্যবোধের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

বিশেষ করে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা যেন কোনোভাবেই ঢুকতে না পারে কিংবা আধুনিকতার নামে কোনো খারাপ কিছু যেন চলচ্চিত্রে না আসতে পারে, এ খেয়াল রাখতে হবে সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের।

আধুনিকতার নামে আমরা যেন সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে না যাই সেটির দিকে আরও কড়া নজরদারি করতে হবে সেন্সর বোর্ডকে।

ববিতা, চলচ্চিত্রব্যক্তিত্ব

আমি মনে করি আমাদের বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব। আমরা সাংস্কৃতিকভাবে এখন ভালো আছি। কারণ যখন এ সরকার ছিল না, তখন আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ওপর নানারকম সমস্যা তৈরি হয়েছিল।

নাটকের ওপর একুশে পদকও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আমি চাইব মঞ্চ নাটক যাতে পেশাজীবিত্ব অর্জন করতে পারে। শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় যারা রয়েছেন অর্থাভাবে তারা যেন না মরেন।

এরা সমাজের সবচেয়ে আলোকিত মানুষ। এরাই সমাজকে সমৃদ্ধ করেন। একজন লেখক যেমন সমৃদ্ধ করে, একজন কবি যেমন সমৃদ্ধ করেন, যেমন শেকসপিয়রের নামে ইংল্যান্ডকে চেনে, রবীন্দ্রনাথের নামে ভারতকে চেনে, টলস্টয়ের নামে সমগ্র রাশিয়াকে চেনে। তাই বলব এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা দেশে কাজ করছে তাদের দিকে একটু নজর বেশি দেয়া উচিত।

সমাজের এই সম্মানীয় লোকরা যেন শেষ বয়সে গিয়ে অর্থ কষ্টে না পড়েন, সেই দিকে খেয়াল রাখার প্রত্যাশা করি। শিল্পী, কলাকুশলীদের বাসাবাড়ির ব্যবস্থা করতে পারে সরকার, এ প্রত্যাশাও করি।

আতাউর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব

আমাদের সময় আগে বিটিভিতে অডিশন দিয়ে পাস করে গান গাওয়ার সিস্টেম ছিল। তবে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোয়ও যেন এ অডিশনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভালো হতো।

বিদেশি বিভিন্ন ট্যুরে যেন ভালো শিল্পী এবং কলাকুশলীরা যায়, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের কপিরাইট সিস্টেমটার দিকে আরও মনোযোগ দেয়া দরকার।

যাতে শিল্পীরা তাদের সঠিক মূল্যায়ন পায় এখান থেকে। ভারতে লতা মুঙ্গেশকরকে কপিরাইট নিয়ে ভাবতে হয় না, কিন্তু আমাদের এখানে এখনও সঠিক মূল্যায়ন পায় না শিল্পীরা। এখানে কোনো নিয়মই নেই।

তাই শেষ বয়সে গিয়ে শিল্পীদের জন্য সাহায্য চাইতে হয়। শিল্পীদের সঠিক রয়েলিটি দেয়ার বিষয়টি সরকার নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয়। তাহলে আর তাদের সাহায্য চাইতে হবে না।

কারণ শিল্পীরাই কিন্তু মানুষকে বিনোদিত করে, অথচ তারাই বেশি আর্থিক সমস্যায় ভোগেন। শিল্পীদের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল চাই সরকারের কাছে। নতুন সরকারে যেই আসুক না কেন আমাদের সমস্যাগুলোর যেন প্রতিকার করেন, এ প্রত্যাশা করি।

ফাহমিদা নবী, সঙ্গীতশিল্পী

মানুষের সবার প্রথম যে চাহিদা সেগুলো হল অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা। তারপর হচ্ছে বিনোদন। অনেকাংশ সময়েই দেখেছি চাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকেই একটু নিগৃহীত আমরা।

আমাদের দেশের শিল্পীদের তো অন্য দেশের শিল্পীদের সঙ্গে তুলনা করে লাভ নেই। আমাদের একজন শিল্পী যদি আনন্দ করেও রিকশায় ওঠে, তখন অনেকেই বলেন যে ওই শিল্পীর মনে হয় অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ।

বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে কিন্তু আমাদের বসে থাকতে হয়। যার ফলে একটি শিল্পীর শেষ জীবনে আমাদের কিন্তু কিছুই করার থাকে না। এ ছাড়া আমাদের কিন্তু সেভাবে কোনো কণ্ঠশিল্পী সংস্থা গড়ে ওঠেনি।

যার ফলে আমরা সংগঠিত হতে পারিনি। অনেক বড় শিল্পীর খারাপ সময়ে সাহায্যের জন্য কাজ করতে হয়। শিল্পীদের সৃষ্টিকর্মগুলোর সুবিধা যেন শিল্পীরা পায় এজন্য আইনগতভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যদি পায় তাহলে আমাদের শিল্পীরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। এতে করে শিল্পীদের শেষ জীবনে আর চিন্তা করতে হবে না।

কুমার বিশ্বজিৎ, সঙ্গীতশিল্পী

আমরা চাই নাটককে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়া হোক। যখন এ ঘোষণাটা আসবে তখন এ শিল্পের সঙ্গে পেশাদার যারা কাজ করছেন তাদের পেশাটা সংরক্ষিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

যখন সরকারের আওতার মধ্যে আসবে তখন এটাকে বজায় রাখা এবং এটাকে যারা বিনষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে এ শিল্পটি আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। আসলে আমরা সুস্থ সুন্দর এবং শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ব্রত নিয়ে কাজ করি।

বেশিরভাগ নাট্যশিল্পীরা দিনরাত ভালো পরিশ্রম করছে ভালো কাজের জন্য। কিন্তু কতিপয় লোক লাভের আশায় কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে করে আমাদের প্রায়ই বিব্রত হতে হয়। যার ফলে এর নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রভাব যারা ভালো কাজ করে তাদের ওপরও পড়ে। তবে যাই হোক কিছু নতুন শিল্পী বেশি করে এ অঙ্গনে আসতে হবে।

আর সরকার যদি এ অঙ্গনের দিকে আরেকটু মনোযোগী হয় তাহলে শুধু দেশেই নয় বিদেশেও বেশি করে প্রশংসিত হবে আমাদের শিল্পকর্ম।

আবুল হায়াত, নাট্যব্যক্তিত্ব

নাটক নিয়ে সরকারের চেয়ে নিজেদের লোকদের কাছেই বেশি দাবি আছে। প্রযোজক, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, এজেন্সি, নির্মাতা এদের সবার কাছেই আমার দাবি যে নাট্যজগৎ যেন সুশৃঙ্খল থাকে।

আমি ভিন্ন একটা দাবি করছি সরকারের কাছে। আমি ট্রাফিক জ্যামমুক্ত ঢাকা চাই। প্রতিদিন শুটিংয়ের জন্য শিল্পীরা অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে সিনিয়র শিল্পীরা খুব বেশি সমস্যায় পড়েন এ জন্য। কিছুদিন আগে আমি উত্তরা থেকে কলাবাগান গিয়েছি ৩ ঘণ্টায়।

যদি এ যানজট না থাকত তাহলে শিল্পীরা সময়মতো শুটিং স্পটে হাজির হতে পারত। মন ভালো থাকত। সময়মতো কাজ শুরু এবং শেষ করা যেত। এতে করে নাটকগুলোর মানও আরও ভালো হতো। শুধু শিল্পী নয় সাধারণ মানুষও এতে উপকৃত হতো। শিল্পীরাই শিল্পীদের সমস্যা সমাধান করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। তারপর যদি তাও সমস্যা দূর না হয় তাহলে তখন সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।

শর্মিলী আহমেদ, নাট্যব্যক্তিত্ব

আরএম-১২/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

তালিবান সন্ত্রাসীরা খুঁজছে আফগান মেসিকে

মোর্তাজা আহমেদি, যাকে পুরো বিশ্ব চিনে আফগান মেসি হিসেবেই। পলিথিন ব্যাগ দিয়ে বানানো আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর লিওলেন মেসির জার্সি পরা মোর্তাজার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার পর মেসির সঙ্গে দেখা করারও সৌভাগ্য হয়ে যায় আফগান বালকের। রাতারাতি সে হয়ে উঠে বিখ্যাত।

সেই খ্যাতিই যেন আফগান মেসির জীবনটা শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। সাত বছর বয়সী মোর্তাজাকে খুন করতে হন্যে হয়ে খুঁজছে তালিবান সন্ত্রাসীরা। প্রাণভয়ে তাকে নিয়ে ঘর ছেড়েছে পরিবার। আফগানিস্তানে গাজনি প্রদেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বাড়িটি ছেড়ে গত নভেম্বরে নিরুদ্দেশ হয়েছেন তারা।

শুধু মোর্তজার পরিবার নয়, তালিবান সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়েছে শত শত পরিবার। গাজনি ছেড়ে তারা পারি জমিয়েছেন কাবুলে। যেখানে প্রতিটি পরিবারই রীতিমত মানবেতর জীবনযাপন করছে।

২০১৬ সালে আফগানিস্তানের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে দাঁড়িয়ে তোলা মোর্তাজার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। যেটিতে দেখা যায়, মেসির দশ নাম্বার জার্সি পরে আছেন ছোট্ট মোর্তাজা। কিন্তু আর্জেন্টিনার নীল-সাদা স্ট্রাইপের সেই জার্সিটি ছিল পলিথিন ব্যাগ দিয়ে বানানো। মেসির প্রতি ভালোবাসা তার অগাধ, কিন্তু দরিদ্র পরিবার একটি জার্সি কিনে দিতে পারেনি-এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বাতাসের বেগে।

মিডিয়ার কল্যাণে সেটি পড়ে মেসির চোখেও। সে বছরই কাতারে আর্জেন্টাইন জাদুকরের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয় মোর্তাজার। বার্সেলোনার প্রীতি ম্যাচের দিনে তাকে কোলে নিয়ে ঘুরেছেন মেসি। অটোগ্রাফ সম্বলিত জার্সি ও ফুটবলও উপহার দিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে সাড়া পড়ে যায়, মোর্তাজার মতো ভাগ্যবান বোধ হয় আর কেউ নেই!

সেই সৌভাগ্য দুভার্গ্য হতে বেশি দিন সময় লাগলো না। তালিবান সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে কাবুলে পালিয়ে এসেছে মোর্তাজা ও তার পরিবার। সেখানেই আরেকটি দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে বাসা ভাড়া নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।

‘এএফপি’র কাছে মোর্তাজার মা জানালেন, নিজ জেলায় এক রাতে গুলির আওয়াজ শোনার পরই পালিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তারা। স্কার্ফের মাঝে শুধু তার মুখটা দেখা যাচ্ছিল। সেখানেও বোঝা যাচ্ছিল, চোখে পানি টলটল করছে।

মোতার্জার মা শফিকা জানালেন, তার সন্তান বিখ্যাত হওয়াতেই আরও ভয় বেশি তাদের। কান্নাজড়িত কন্ঠে বলছিলেন, ‘আমরা কিছু সঙ্গে নিয়ে আসতে পারিনি। শুধু নিজের জীবনটা নিয়ে এসেছি। তারা বলছিল, যদি তাকে (মোর্তাজা) ধরতে পারে, তবে কেটে টুকরো টুকরো করবে।’

ছেলেকে সন্ত্রাসীদের চোখের আড়ালে রাখতে স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন বলেও জানিয়েছেন শফিকা। বিখ্যাত হওয়ায় মোর্তাজাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে আছেন তারা।

মোর্তাজার মা আরও বলেন, ‘তালিবানদের ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। ফিরে যাওয়া তাই কোনো সমাধান নয়। স্থানীয় প্রভাবশালিরা বলতেন, তোমরা বড়লোক হয়েছ। মেসির কাছ থেকে যে টাকা পেয়েছ তা দিয়ে দাও, না হলে তোমার ছেলেকে নিয়ে যাব। রাতে আমরা মাঝেমধ্যে দেখতাম, অপরিচিত মানুষ ঘোরাঘুরি করছে। আমাদের ঘরবাড়ি তল্লাশি করছে। ওই দিনগুলোতে আমরা তাকে অন্য ছেলেদের সঙ্গে খেলতে দিতেও ভয় পেতাম।’

মোর্তাজাকে নিয়ে তার মা চলে এলেও তার বাবা আরিফ জাঘোরিতে রয়ে গেছেন। সেখানে তিনি কৃষিকাজ করেন। কাবুলে পালিয়ে পরিবারের সঙ্গে পালিয়ে আসা মোর্তাজার বড় ভাই হুমায়ুন, যিনি ওই বিখ্যাত জার্সিটা বানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি জানালেন, এখানেও তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। হুমায়ুন বলেন, ‘আমরা সবসময় ভয়ে থাকি, যদি তারা জানে মোর্তাজা এখানে তবে বিপদ হতে পারে।’

ছোট্ট মোর্তাজা অবশ্য এখনও এসব কিছু বোঝে না। সে তার বাড়িতে ফেলে আসা মেসির জার্সি আর ফুটবলটাকে খুব মিস করে। সারল্যমাখা চেহারা নিয়ে সে বলে, ‘আমি সেগুলো ফেরত চাই, তাহলে খেলতে পারব। আমি মেসিকে মিস করি। তার সঙ্গে দেখা হলে আমি তাকে সালাম দেব, জিজ্ঞেস করব কেমন আছো? সে বলবে ধন্যবাদ, ভালো থাকো। আমি তার সঙ্গে মাঠে যাব, যেখানে সে খেলে। আমি তাকে দেখব।’

এসএইচ-২১/০৬/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ধনে পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা

ধনে পাতার

অসাধারণ গুণে ভরপুর সুপরিচিত ধনে বা ধনিয়া (Coriander) একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Coriandrum sativum। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ।

এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল- সুগন্ধি, ওষুধ এমনকি মদে ব্যবহার করা হয়। বঙ্গ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তবে সুস্বাদু ধনের পাতা এশীয় চাটনি ও মেক্সিকান সালসাতে ব্যবহার করা হয়। ধনে পাতাকে আমরা সালাদ এবং রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু শুধু স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানোর কাজেই এর গুণাগুণ শেষ হয়ে যায় না। এ পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি তৃণ জাতীয় খাবার।

অধিকাংশ মানুষ ধনে পাতার উপকারিতা না জেনেই নিয়মিত বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করে আসছে। এতে রয়েছে ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, ৬ ধরণের অ্যাসিড (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যা ভিটামিন ‘সি’ নামেই বেশি পরিচিত), ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারী পদার্থ। এতে রয়েছে ফাইবার, ম্যাংগানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, ফসফরাস, ক্লোরিন এবং প্রোটিন। তাই এ পাতাকে সাধারণ কিছু ভাবার কোনো কারণ নেই।

ধনে পাতা রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি রূপচর্চায়ও দারুন কাজ দেয়। প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে ধনে পাতা দারুন কার্যকর। যাদের ঠোঁটে কালো দাগ আছে তারা রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধনে পাতার রসের সাথে দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এভাবে এক মাস লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে আর ঠোঁট কোমলও হবে।

এবার জানুন ধনে পাতার অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে:

১. ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

২. হজমে উপকারী, যকৃতকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, পেট পরিষ্কার হয়ে যায় ধনে পাতা খেলে।

৩. ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যে ধনে পাতা বিশেষ উপকারী। এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।

৪. ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও উপকারী, চোখের জন্যেও ভাল।

৫. ঋতুস্রাবের সময় রক্তসঞ্চানল ভাল হওয়ার জন্যে ধনে পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা সারাতেও বেশ উপকারী।

৬. ধনে পাতার ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘এ’ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

৭. এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে।

৮. স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিস্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে ধনে পাতা।

৯. ধনে পাতার ভিটামিন ‘কে’ অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

১০. ধনে পাতায় উপস্থিত সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যার মধ্যে অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এরা ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।

১১. ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং বা বিষাক্ততা রোধকারী, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এরা বিভিন্ন স্কিন ডিজঅর্ডার বা ত্বকের অসুস্থতা (একজিমা, ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন) সারাতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে তাই ধনে পাতার উপকারিতা অনেক।

১২. ক্যালসিয়াম আয়ন এবং কলিনার্জিক বা অ্যাসেটিকোলিন উপাদান মিলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১৩. অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকায় এরা অ্যালার্জি বা এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে দূরে রাখে।

১৪. খাবারের মাধ্যমে সৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ সালমোনেলা। ধনে পাতায় উপস্থিত ডডেসিনাল উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে সালমোনেলা জাতীয় রোগ সারিয়ে তুলতে অ্যান্টিবায়টিকের থেকে দ্বিগুণ কার্যকর।

১৫. এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং, ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে।

১৬. বিভিন্ন ভেষজ পদার্থের সাথে মিশিয়ে যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে ধনে পাতার উপকারিতা অনেক।

১৭. কারও মুখে যদি দুর্গন্ধ হয় ও অরুচি লাগে তাহলে ধনে ভাজা করে বোতলে ভরে রাখুন। মাঝে মাঝে চিবিয়ে খান মুখে দুর্গন্ধ থাকবে না।

১৮. কারও মাথাব্যথা হলে ধনে পাতা ও গাছের রস কপালে লাগান। মাথাব্যথা কমে যাবে।

১৯. ধনে পাতা চিবিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি মজবুত হয় এবং দাঁতের গোড়া হতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

সতর্কতা:

কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ধনে পাতা বেশি খেলে বীর্য সৃষ্টি ও কামউদ্দপিনা কমে যায়। চোখের দৃষ্টি ক্ষতি হতে পারে। শ্বাস রোগের ক্ষতি করে। অবশ্য আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণে ধনে পাতা সেবন করি তা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। অতিমাত্রায় রস সেবন করলেই ক্ষতির কারণ হয়। মনে রাখবেন রান্না করার সময় তরকারি চুলায় রেখে ধনে পাতা দিয়ে চুলায় আর তাপ দেবেন না। এতে ধনে পাতার সুগন্ধ কমে যাবে। তাই তরকারি চুলা হতে নামিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ছিটিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। পুরোপুরি স্বাদ পাবেন।

আরএম-১১/০৬/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)